:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

  • ২:১৮:০০ AM

অবাক বাঙালি( প্রবন্ধ)


অবাক বাঙালি!
★-----------------------★
সময়ের কন্ঠস্বর নামে এক অনলাইন পত্রিকার নিউজ দেখে মর্মাহত হলাম।তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেলাম মন্তব্য গুলো পড়ে।
নিউজে বলা হয়েছে, "বিবাহিত পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করায় প্রাকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে এক নারীকে বিবস্ত্র করে চারজন নারী মিলে প্রহার করেছে।"
আর সেই নিউজে সবার কমেন্ট পড়ে মনে হলো,আমি বোধহয় সব বিবেকহীন মানুষের মধ্যে আছি।
অমানবিক। প্রকাশ্যে একজনকে এভাবে লাঞ্চিত করা উচিত হয় নি।এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।আর যেসব মেয়ে অভিযুক্তের(যদিও ঘটনার কারন সম্পর্কে আমার সংশয় আছে) সাথে এমন আচরন করল তাদের পোশাক আশাক দেখে বলতেই হবে এরা হয়ত ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটানোরর জন্য এই হীন কাজ করেছে।নয়ত, তারা যদি বলে ইসলামে ব্যভিচার অপরাধ তাই ইসলামী মন মাইন্ড থেকে এই শাস্তি দেয়া হলো , তবে বলব তারাও ইসলামের আইন লঙ্ঘন করেছে।।

আমি ভোগবাদী সুখী(নিবন্ধ)

মানুষ বিরহ,বেদনা আর দুঃখগুলোকে যত সুন্দর ভাবে, কাব্যিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে,আমার মনে হয়, সুখ গুলো কে,হাসি গুলো কে ঠিক সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে না! 
এর পেছনে কোন সায়িন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে কিনা জানি না।আর ব্যাখ্যা খুঁজতেও যাই নি।তবে কারো যদি এর কারন জানা থাকে তবে জানাবেন।
সম্ভবত প্রায় তিনশ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরাস যখন তার ভোগবাদী (Epicurism) দর্শন দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন যে, মানুষের মৌল আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সুখ লাভ এবং দুঃখ কে পরিহার করা তখন আমার মত তার কিছু শিষ্য তার মতবাদের উল্টো ব্যাখ্যা দাড় করালেন।বেচারা এপিকিউরাস চেয়েছিলেন মানুষ কে দুঃখ এবং ব্যক্তিগত ও ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য সুখ পরিহার করে অধিকতর ভালো পদ্ধতি তে মানুষিক সুখ লাভের পথ বাতলে দিতে কিন্তু আমরা তার পদ্ধতি টা নিজেদের মত করে দাড় করালাম। আর বুঝালাম যে," ব্যক্তিগত আর ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য সুখ লাভ ছাড়া মানুষিক সুখ লাভ করা যায় না! " 
আর তারই ফলশ্রুতি তে আমরা নিজেরাই নিজেদের সাথে ছলনা করতে শুরু করলাম।
মিথ্যে সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে সুখের সঙ্গাই ভুলে গেলাম। আর তখনই নিজেদের ব্যক্তিগত কিংবা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথাকথিত কোন সুখের একটু হেরফের হলেই কাব্যে,কলমে দুঃখের বন্যা বয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সুখ কে চিহ্নিত করার কোন ভাষা খুঁজে পাই না!!
কি আশ্চার্যই না ব্যাপার!  আমরা কত সহজে দুঃখকে আপন করে নেই,হৃদয়ের সিংহাসনে বসাই, প্রয়োজনে হৃৎপিন্ডটাও কেটে রেখে দেই তার জন্য, কিন্তু সুখের জন্য সমবেদনার ভাষা খুঁজে পাইনা। কিংবা সুখের ছোঁয়া পাওয়া মাত্রই কলমের কালি শেষ হয়ে যায় অথবা মোবাইল কিপ্যাডের "সুখ" শব্দটা লেখার মত চার্জটুকুও!!!
স্বপ্নের পাল্লা অনেক ভারী হয়ে গেছে এখন তাই দু হাত লাগিয়েও তা তুলে ধরতে পারছি না।
সেই ছোট বেলা হতে আজ পর্যন্ত শুধু স্বপ্ন দেখেই গেলাম তা আর পূরণ করা হলো না।আর সেই অপূর্ণ স্বপ্নরা আজ মিছিল মিটিং সমাবেশ করে আমার বিরুদ্ধাচরণ করছে।অবশ্য তার জন্য তাদের যথেষ্ট যুক্তিসংগত কারনও বিদ্যমান। তাই অনেক চেষ্টা করেও যেমন তাদের ধর্মঘট রুখতে পারছি না তেমনি তাদের দাবি পূরণ করবো আজ সেটাও নাগালের বাহিরে চলে গেছে।কখনো কখনো এটা মনে হয় যে,ধুর..সবগুলো কে ছাটাই করে দেই কিন্তু ২০বছরের লালিতপালিত স্বপ্নগুলোর মায়া ত্যাগ করা চাট্টিখানি কথা না।তাছাড়া নিজের কাছেই খারাপ লাগে এই ভেবে যে,
আজ অবধি তাদের জন্য আমি কিছুই করিনি,যা করার কথা ছিল বা দরকার ছিল।তাই তাদের এই ধর্মঘট যুক্তিযুক্ত এবং অবসম্ভাবীই বলা চলে।
তাহলে এতসব অপূর্ণ স্বপ্নের মিছিলে আমি হারিয়ে যাচ্ছি না তো? কিংবা হেরে যাচ্ছি স্বপ্নের সাথে স্নায়ু যুদ্ধে?
হয়তবা।
তারপরেও আরেকবার উঠে দাড়ানোর একটা সুযোগ হয়ত আছে।কিন্তু আমি উঠে দাঁড়াতে পারবো তো? 
হয়তবা।
জীবনের এই দ্বিধান্বিত প্রশ্নে আমি কি ধীরে ধীরে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছি? কই আমারো তো আর সবার মত হাত আছে,চোখ আছে,নাক আছে,পা আছে, মাথা আছে, সবই আছে তবে আমি কেন পারবো না??
জীবনের শত শত ভুল আজ স্বপ্ন পূরনে বাধার সৃষ্টি করেছে।নিজের সুক্ষ্মাতি সুক্ষ্ম ভুল গুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।এখন শুধু সেই ভুলগুলোকে ডিঙিয়ে সামনে এগুনোর পালা। আমি পারবো তো?
আমি পারবো তো স্বপ্নের মিছিলে সামনে থাকতে? অপূর্ণ পাল্লা ভারী স্বপ্ন গুলো কে পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিতে?
আমাকে যে পারতেই হবে। তা না হলে সারা জীবন স্বপ্ন পোড়ার জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে আর তা এখনকার চেয়ে বেশি দূর্বিষহ।।
# নীলকান্ত
আলোচনা ও সমালোচনাঃ

বাংলা ভাষায় এ দু'টি শব্দ বেশ জনপ্রিয় । এবং প্রায় কথায় কথায় এই শব্দ দু'টি আমরা ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু শব্দ দু'টির ব্যবহারের আগে এর অর্থ এবং সংগাটা জেনে নেয়া দরকার। তাছাড়া শব্দ দু'টি কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে তাও জেনে নেই, কি বলেন?
(বি দ্র. বিভিন্ন জনের সঙ্গার মধ্যে কিছুটা  তারতম্য থাকতে পারে।)
#১
আলোচনাঃ
"আলোচনার" ইংরেজি প্রতিশব্দ "Discussion"। ইংরেজিতে Discussion বলতে বুঝায়, "Conversation or debate concerning a particular topic" অথবা বলা যায়, "A text giving further details on a subject."
বাংলায় এর অর্থ করলে দাড়ায়, " কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিশদ কথোপকথন অথবা বিতর্ক"।
অর্থ্যাৎ "আলোচনা" শব্দটির সঙ্গা দিলে এভাবে দেয়া যেতে পারে," কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর  ইতিবাচক কথোপকথন যা >>READ MORE
--------------
ছেলেটার সর্বশেষ স্ট্যাটাস ছিলো
"ফ্রেন্ডস,
আজ থেকে আর আমি কখনো এফবি তে আসবো না।
বিদায় all...
মিস ইউ অল।
ভালো থেকো সবাই।
আসি...."
তারপর একটা বিকেল কিংবা সন্ধ্যা এলো।একটা প্রাণ হতাশার অনলে দগ্ধ হয়ে পৃথীবি ছাড়লো।
এরপর সব শেষ!  একটা নাম মুছে গেলো পৃথীবির জীবিত মানুষের তালিকা থেকে।
শেষ শব্দে যে আসার প্রতিশ্রুতি ছিলো, সে আসা আর কখনো হলোই না।
এবার আসি  কেন,কি কারনে তার এই আত্নহনন  সে বিষয়ে।
ছেলেটার ফেসবুক টাইমলাইনের প্রথমেই বেশ কয়েকটা ছবি।তার মধ্যে হতাশাগ্রস্ততা, বিধ্বস্ততা আর মলিনতার সুস্পষ্ট ছাপ।
পরপর বেশ কিছু স্ট্যাটাসে >>READ MORE
হে বিবেক,
তুমি ঘুমিয়েই থাক।চির ক্লান্ত তোমার জেগে উঠার দরকার কি? যেখানে হাজারো চোখের সামনে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিতের আর্তনাদ আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় তখনও তুমি ঘুমিয়েই থাক,বরং তাই ভালো।।হাজারো চোখের মধ্যে যখন এক জোড়া চোখে অবিরত বারি বয়,তখনও তুমি ঘুমিয়েই থাক। শত আকুতি-মিনতি,বাঁচতে চাওয়ার তীব্র ব্যকুলতায় যখন কারো কন্ঠস্বর চারিদিকে আর্তনাদের সুর তোলে, তখন তুমি বধিরের মত পাশ কাটিয়ে চলে যাও।ঘুমিয়ে থাকো। তুমি ঘুমিয়েই থাক।
বিবেক,তুমি আজ বধির হয়ে গেছো। তুমি আজ অন্ধ হয়ে গেছো ।
আফসোস, কোন একদিন তুমিও জেগে উঠবে নিজের আর্তনাদ শুনে  কিন্তু তোমার আশ পাশের সবাই অন্ধ,বধির হয়ে থাকবে,যেভাবে তুমি ছিলে ।সেদিন তোমার বুক ফাটা আর্তনাদ কারো বিবেকে স্পর্শ করবে না। তারাও যে তোমারি মত অন্ধ,বধির আর ঘুম কাতুরে।
বিবেক, তুমি জেগে উঠো। দেখতে শিখো,বলতে শিখো, প্রতিবাদ করতে শিখো। আর তা না হলে ঘুমিয়েই থাকো।
কিছু মানুষের তেল মারার দক্ষতা থাকে অসাধারণ এবং তাদের এই দক্ষতা দেখে আমি যারপরনাই মুগ্ধ।মাঝে মাঝে আফসোসও হয় তাদের সেই মন ভুলানো, প্রাণ মাতানো চাটুকারিতা দেখে। আহা!  কেন যে এসব আমি করতে পারি না! :(
বৌ পটানো থেকে বস পটানো এমনকি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকেও এরা পটাতে এতটা দক্ষ যে,খোদ ইবলিস শয়তানও তাদের কাছে হার মানতে বাধ্য।উপরুন্ত, ইবলিস সেই বেচারার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্বীয় লেজ আপন পদে ঢুকিয়ে সেলাম ঠুকে চলে যায়!! :P
যাই হোক,ব্যাপার হলোঃ
ধরুন,আপনি একজন নামী দামী ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই আপনার চারপাশে মানুষজন মাছির মত ভন ভন করে।আর আপনিও নানা স্বাধের মিষ্টি দিয়ে তাদের চারপাশে রাখেন।এদের মধ্যে কিছু মাছি আছে যারা মৌমাছি আর কিছু আছে যারা কেবলি মাছি। আপনার চারপাশে যেসব মৌমাছি আছে তারা আপনার পাশে থাক বা না থাক আপনার মৌচাকে  ঠিকই মধু সরবরাহ করে যাচ্ছে।কিন্তু তাদের একটাই প্রবলেম আর তা হলো, "চাটুকারিতায় তারা বন্ধা তাই তাদের জমানো মধু আপনি দেখতে পান না এবং হুলওয়ালা। "অতএব, আপনার সুনজর হয়ত  >>READ FULL ARTICLE 
দূর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা দূর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আশা করা যায় না।
প্রশাসনকে দূর্নীতিমুক্ত করতে সরকার এ পদক্ষেপ, সে পদক্ষেপ, অমুকের বেতন বাড়ানো, তমুকের জন্য ওমুক আইন ইত্যাদি পেশ করে,পাশ করে কিংবা জারি করে ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হবেন না,যতক্ষন পর্যন্ত তার রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের দূর্নীতিমুক্ত করতে পারছেন।
একটু গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখুন, দেশে যত প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য দূর্নীতি হচ্ছে তা কোন না কোনভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়।প্রশাসন যখন রাজনৈতিকদের ক্রীড়ানকে পরিনত হন তখন স্বতন্ত্রভাবে প্রশাসনকে দূর্নীতিগ্রস্ত বলা যায় না,উচিতও না। 
উদাহরণ সরূপঃ 
ধরুন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।সার্কুলার দেয়া হলো।প্রার্থীগণ আবেদনও করলেন।এবার শুরু হলো ধরাধরি!
x  নামে ক্যান্ডিডেট  y নামে এক মন্ত্রীর সুপারিশ ধারী। " x" ব্যক্তি "y" এর সুপারিশ পাওয়ার জন্য " z" নামে একজন এমপি কিংবা স্থানীয় নেতার আশ্রয় নিলেন । z চাকুরী পাইয়ে দেবে বলে x কে প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং সেই মোতাবেক y এর নিকট উপস্থাপন করলেন।y সাফ জানিয়ে দিলো, x এর চাকুরীর জন্য a পরিমান অর্থ লাগবে।এবার z এসে x কে a+1  পরিমাণ অর্থের চাহিদা দিলেন। x তাতে রাজিও হলেন।
এবার যা হলো, x পরীক্ষার হলে  >>READ FULL
দেশের নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করতে প্রত্যেক নাগরিককে প্রয়োজনীয় আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সবার আগে দরকার।
-----------------------+-----
প্রশ্ন হলোঃ 
→ 
আমরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে কি সম্পূর্নভাবে সচেতন?
আমরা কি আমাদের রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে ভালভাবে জানি?
উত্তরঃ
জানি না/আংশিক জানি/তেমন কিছু জানিনা
তাহলে, 
আমরা পদে পদে বিভিন্ন পরিস্থিতি তে হয়রানির শিকার কেন হই?
★ 
সরকারি কিংবা বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর দূর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে কিভাবে? 
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে কেন?
উত্তরঃ 
কি জানি? /বলতে পারবো না কিংবা এটা,ওটা,সেটা
কিন্তু আসলে একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন, এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একটা কথাতে লুকিয়ে আছে।আর তা হলোঃ "জনসাধারণ আইন সম্পর্কে সচেতন না এবং   >>READ FULL ARTICLE
বাংলাদেশ ও সাম্প্রদায়িকতাঃ
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে কারা?
গভীর ভাবে উপলব্ধি করার বিষয়। সম্পুর্ন লেখাটা পড়ুন। তারপর পাঁচ মিনিট ভেবে দেখুন,
কথাটা ঠিক কি না!
উপরের প্রশ্নটা আমি আমাকেই জিজ্ঞাসা করলাম।আসলেই তো, কে বা কারা এটাকে উস্কে দিচ্ছে? আসলে কারা এর জন্য দায়ী??
উত্তরঃ আমরা নিজেরাই
আগে বুঝি সাম্রদায়িকতা কি?
কোন নির্দিষ্ট সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধারী জনগোষ্ঠী যারা মূলত নিজেরা স্ব স্ব পরিমন্ডলে ভাষা,সংস্কৃতি,নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য , ধর্ম বা অন্য কোন ভাবে সংঘবদ্ধ এবং অন্য ভাষা ভাষী,সংস্কৃতি, ধর্ম বা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দের হতে নিজেদের স্বতন্ত্র ভাবে তাদের সেই গোষ্ঠীগত ভাবনাই হলো সাম্প্রদায়িকতা ।
উদাহরন সরূপঃ
বাংলা ভাষা ভাষী জনগোষ্ঠী বাঙালি সাংস্কৃতিক  বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং তারা  >>READ FULL ARTICLE
দেশে জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বগতি।জনাব অর্থমন্ত্রী সাহেব অনায়াসে বলতে পারেন, "মানুষের আয় বেড়েছে।গ্যাস বা জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এমন কিছু না। "
কিন্তু আমাদের মত বেকারদের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েছে।বেকারদের জন্য চাকুরীর বাজার মন্দা। (অর্থ্যাৎ চাকুরী নাই অথবা থাকলেও আগে অভিজ্ঞতা চাই।তারপর সেলসম্যানের পদবী)। 
মাত্র ১৫ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়লেও ১৫ কোটি  ৮৫ লাখ সাধারন মানুষের বেতন বাড়েনি। এদের আবার ৮০%-৮৩%(আনুমানিক)  বেকার,নিম্ন বা মধ্য আয়ের বেসরকারি চাকুরে কিংবা শ্রমজীবী কৃষক এবং দিন মজুর।এদের আয় কতটুকু বেড়েছে? নাকি বাজারদরের তুলনায় আয় কমেছে??হয়ত মাননীয় মন্ত্রী সাহেবের পাওয়ার গ্লাসে এগুলো ধরা পরে না।পরেনি।তাই ৩০০ কোটি টাকার হেরফের তার কাছে কিছু মনে হয়না এমনকি ৩০০০ কোটি টাকাও!! তিনি মন্ত্রী হয়েছেন শুধু বড় বড় ব্যবসায়ী, এলিটিদের ভোটে।আর দেশে কোন দরিদ্র নেই, সবাই এলিট শ্রেনীর এটাই তার ধারনা।
তার ভাষায় >>READ FULL
মুক্তিচিন্তা,প্রগতিশীলতা ও উগ্রতা বলতে যা আমি বুঝিঃ
------------------------------------+---------
প্রগতিশীলতাঃ
যে কোন ধর্ম কে আঘাত দিয়ে লেখা বা বলাকে প্রগতিশীলতা বলা যায় না।
প্রগতিশীলতা হলো এমন সব চিন্তা চেতনা যা মানুষের সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিকতা বোধ, সামাজিক কুসংস্কার বা সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসংগতি কে তুলে ধরে এবং এর থেকে উত্তরণের চিন্তা,বক্তব্য বা লেখনি।।
মুক্ত চিন্তাঃ
"মুক্ত চিন্তা বলতে যে কোন বিষয়ে ব্যক্তি তার যে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করে কিন্তু ব্যক্তির চিন্তা চেতনা, বক্তব্য বা লেখনি যদি কোনভাবে সমাজের যে কোন একটি নৃগোষ্ঠী  বা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকে তবে তাকে আমরা মুক্তবাদ/মুক্ত চিন্তা বলতে পারি না।বরং এটি তার গোঁড়ামি বা ব্যক্তিগত আক্রোশ এর প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।"
ইতিকথাঃ
আমি ইসলাম বিরোধী, খ্রীষ্ট বিরোধী বা হিন্দু বিরোধী বক্তব্য দিলে আমি নিশ্চয়ই গোঁয়ার,আর এসব আমার ঠ্যাটামি ছাড়া কিছু না।
হ্যাঁ,আমি বলতে পারি ইসলামের এই জিনিসটা ভালো, এটা ভালো না কিংবা এর কিছুটা উন্নয়ন দরকার।তাহলে ঠিক আছে।কারণ ইসলামে শরীয়তের মূল বিষয় ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে যুগোপযোগী আইন বা রীতি গ্রহন করা হয়েছে।
এবং ইসলাম একটি প্রগতিশীল ধর্ম।
হিন্দু ধর্মের মাঝে কিছু অসংগতি বা কুসংস্কার আছে বলে যদি আমার মনে হয় তবে আমি সেই বিষয় টা নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করতেই পারি।কিন্তু সেই সমালোচনার মানে এই নয় যে, >>READ MORE
#১৫ আগষ্ট একটা রাজনৈতিক ট্র‍্যাজেডী। স্বাধীন বাংলাদেশের একটি কালো দিন।
-----------------------
দীর্ঘদিনের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ আহত পাখির মত বাঙালি জাতি যখন মুক্তির জন্য ছটফট করছিলো,কিন্তু মুক্ত আকাশ দেখার সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারেনি ঠিক তখনি একজন মহান নেতার আবির্ভাব হয়।তিনি শুধু বাঙালিকে আকাশ দেখাননি বরং সেই আকাশে কিভাবে উড়তে হয় তাও শিখিয়েছিলেন।তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, সম্মোহনী বক্তৃতা,নিগূঢ়  দেশপ্রেম বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে করেছিলো উদ্ভাসিত । দু'শ বছরের বৃটিশ শৃঙ্খল ভেঙে যে জাতি মুক্তির স্বাদ পেতে চেয়েছে  পাকিস্থানের প্রতারণার শিকার হয়ে তারাই পুনরায় হয়েছিলো শৃঙ্খলে আবদ্ধ। কিন্তু বীর বাঙালির জন্মগত স্বাধীনতার অধিকার শোসন,নির্যাতন আর নিপীড়ন করে যে আটকে রাখা যায় না,তা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলো পাকিস্তানি হানাদার রা।আর তাই পিছু হটতে হটতে দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো তখন ঠিকই রুখে দাড়িয়েছে তারা। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে একটা  লাল সবুজের পতাকা,ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের একটা স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখন্ড,বাংলাদেশ।
কিন্তু এই সব কিছুর পেছনে যিনি ছিলেন,যিনি শৃঙ্খলাবদ্ধ বাঙালিকে মুক্ত আকাশ দেখিয়েছিলেন,ডানা মেলে উড়তে শিখিয়েছিলেন মুক্ত আকাশে তিনি আর কেউ নন,তিনি বাঙলার আপামর জনসাধারণের নেতা,বাঙালি জাতির পিতা,খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের "শেখ সাহেব" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
"শেখ" শব্দের অর্থ নেতা বা দলপতি।সত্যিই তিনি ছিলেন বাঙলি জাতির নেতা,দলপতি। তিনি তার নামের যে সুবিচার করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তাই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, যতদিন একজন বাঙালিও পৃথিবীতে থাকবেন ততদিন তিনি ইতিহাসের পাতায় চির অম্লান হয়ে রবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম পরিচয় কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার অবদান কতটা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সে বিষয়ে ইতিহাসই চিরন্তন স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে।তবে ঐতিহাসিক আলোচনা-সমালোচনার উর্দ্ধে রেখে তাকে মূল্যায়ন করাই শ্রেয়। তার অনবদ্য অবদান,দেশপ্রেম তাকে চিরস্মরণীয় বরণীয় করে রেখেছে এবং রাখবে।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে যে ঘৃণ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিলো তা বাঙালি জাতির জন্য একটা লজ্জাজনক ঘটনা।আমরা কেউই এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারিনা। আমাদের ব্যর্থতা যে,আমরা এমন এক নিবেদিত প্রাণকে ধরে রাখতে পারিনি।আমরা তাকে হারিয়েছি আমাদেরই কিছু বিপথগামী এবং বাঙলার স্বাধীনতার দোসরদের মদদে।কিন্তু তার বিচার আজো আমরা করতে পারিনি এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
হয়ত,অনেকেই আছেন যারা আজো এই নিকৃষ্ট ঘটনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলবেন,"এটা সে সময় জরুরী ছিলো। কেউ কেউ বাকশাল গঠন কিংবা তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবেলায় শেখ মুজিবের ব্যর্থতাকে দায় করবেন। কিন্তু তাদের অন্তত এটা মাথায় রাখা উচিত যে,যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশে মাত্র তিন বছরের মধ্যে কোন ভাবেই সম্পুর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
আর সম্ভব নয় এই কারনেই যে,শান্তি স্থাপনের জন্য যেসব নিয়ামক অপরিহার্য তা সেই সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন কিংবা পুনস্থাপন করা কখনোই সম্ভব নয়। এমনকি বর্তমান উন্নত প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সীমা যখন হাতের নাগালে তখনো সম্ভব হচ্ছে না।আর তা বর্তমান লিবিয়া,সুদান,আফগানিস্তান কিংবা অন্যান্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত রাষ্ট্র গুলোর দিকে তাকালে সহজেই প্রমাণ করা যায়।
সেদিক থেকে ১৯৭২-১৯৭৫, ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ কে যতটুকু এগিয়ে নিয়েছিলেন তা কল্পনাতীত। তিনি তার এক বক্তব্যে নিজের স্বল্প সময়ের সফলতা ও বিফলতা অকপটে স্বীকার করেছেন। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের জন্য সংবিধান প্রনয়ন,আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়,যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের ভঙ্গুর অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীলকরন থেকে শুরু করে বহু উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন যা আজকের যুগেও অনেক রাষ্ট্র প্রধান করতে পারছে না।এত সব কিছুর পরেও দেশের তৎকালীন পরিবেশের জন্য তাকে এককভাবে দায়ী করা কোনভাবেই সমিচীন বলে আমি মনে করিনা।
তিনি যেসব কার্যাবলি হাতে নিয়েছিলেন বা যেভাবে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ওই সময়ের প্রেক্ষিতে যথাপোযুক্তই ছিলো।হাজার বছরেএ অগনতান্ত্রিকতায় অভ্যস্ত বাঙালি রক্ত মাত্র কয়েক বছরে গনতান্ত্রিক ভাবে প্রবাহিত হবে তা আসলে আবেগীয় ভ্রম ছাড়া আর কিছুই ছিলো না।এবং সে প্রমাণও আমরা নব্বই এর আগ পর্যন্ত পেয়েছি । এমনকি নব্বই এর পরেও বিভিন্ন দল ও উপদলের রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারীতা ও স্বৈরাতান্ত্রিক মনোভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এবং এটাই সত্যি যে,সেই একনায়কতান্ত্রিক প্রথাকে সাধারন  বাঙালি জাতি যত সহজে আপন করতে পেরেছে তা পক্ষপাতদুষ্ট গনতন্ত্রকে করতে পারেনি।এবং নানা ভাবে এটাও প্রমাণ হয়েছে যে,আবেগপ্রবণ বাঙালি অস্থির চিত্তের এক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী । আর তাদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখতে হলে কঠোরতার বিকল্প নেই।
কিন্তু এত সব প্রমানিত সত্যকে অস্বীকার করে যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে "Right act at right time" বলে আখ্যায়িত করেছে তাদেরকে স্বাধীনতার শত্রু বলতে আমি দ্বিধাবোধ করবো না।এমনকি তারা বর্তমান রাজনীতির আড়ালে যেভাবে ইতিহাস বিকৃতির ইন্ধদাতা হিসেবে নোংরা কুটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে তারা প্রকৃত পক্ষে দেশপ্রেমিক নন।বরং পরোক্ষভাবে বাংলার স্বাধীনতা ও স্বাধিন বাংলাদেশের আদর্শ বিচ্যুত এক দল কীট।
যাই হোক,দেশের উন্নয়নের পথে শেখ মুজিবের নির্মম,হৃদয়বিদারক হত্যা কান্ডের পর দু একজন এমন শাসক এসেছেন যারা প্রকৃত দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন।তারাও দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন অনেকটা পথ।তাদের অবদানকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে,বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি বিদরা যেভাবে এক জন অন্য জনের বিরুদ্ধে কাদা ছুড়াছুড়িতে ব্যস্ত এবং যেভাবে দেশের মহান নেতাদের অবদানকে ভূলুণ্ঠিত করছেন তাতে আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ কে ছোট করা হচ্ছে।
#তারপরেও আমরা আশাবাদী যে,একদিন আমাদের রাজনীতিজ্ঞরা তাদের ভুল বুঝতে পারবেন।এবং মহান নেতাদের প্রাপ্য সন্মান-মর্যদা অক্ষুণ্ণ রেখে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।
সর্বোপরি আজ ১৫ আগষ্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ৪০ তম শাহাদত বার্ষিকী তে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি । এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
#লেখকঃ
সরকার হারুন অর রশিদ
সিইও,SAVA BD
সমগ্র ভাবে কোন সম্প্রদায় কে দায় করার আগে একবার ভাবুন।সবই ভালো কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই ভালো না।
যারা মুসলমানদের ইচ্ছে মত তুলোধনা করছেন তাদের জন্য বলছি,
বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। মুসলমান রা জঙ্গি, মুসলমানরা রক্ষনশীল, গোঁয়ার,হত্যাকারী ইত্যাদি শব্দ যারা ব্যবহার করছেন তাদের পারিপার্শ্বিক, বহির্বিশ্বের অন্যান্য ধর্মীয় গোঁয়ার, রক্ষনশীল, জঙ্গি, হত্যাকারী সম্প্রদায় সম্পর্কে হয় জানার ঘাটতি আছে, না হয় জেনেও না জানার ভান করেন কিংবা চোখ বন্ধ করে আছেন।।
কোন মুক্তমনা কে দেখলাম না যে, কোন দেশে মুসলমানরা নির্যাতিত,অত্যাচারিত, বঞ্চিত হলে মুখ দিয়ে টু শব্দ করেন।বরং কিভাবে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের এই সোনার বাংলাকে মৃত্যুপুরী করা যায় তাই নিয়ে মত্ত তারা।
আপনি ইতিহাস জানেন না, অথবা ইতিহাসের সেই পাতাটা আগে ভাগে উল্টিয়ে পড়েন যেখানে অন্য জাতি কর্তৃক মুসলমানরা নিপীড়িত, বঞ্চিত,শোষিত হচ্ছে।
আপনি ইসরাইলী দের অহেতুক হামলায় লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনী মুসলমানদের মৃত্যুর খবর রাখেন না।আপনি বসনিয়ার সংখ্যালঘু মুসলমানদের ভিটা মাটি ছাড়ার খবর রাখেন না,আপনি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া বোঝার খবর রাখেন না,আপনি মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত, অমানুষিক, নির্মম,পশুচিত অত্যাচারের খবর রাখেন না!
আপনি শুধু মুসলমানদের জঙ্গি হওয়ার কথা জানেন,আপনি জানেন তাদের রক্ষনশীল মনোভাবের কথা।
কিন্তু আপনার প্রতিবেশি ভারতের হিন্দুত্ববাদ নিয়ে কোন কথা উঠাতে দিবেন না।আপনি ১৯৯২ এর হিন্দু -মুসলিম দাঙ্গা ভুলে গেছেন, বাবরী মসজিদের সাথে সাথে।কারন সেগুলো কখনো উগ্রবাদ ছিলো না। বাহ!  খুব ভালো।
এবার আমাকে হয়ত বলবেন আমি চরম রক্ষনশীল, উগ্র মুসলমান।  আমি কসম কেটে বলছি, আমি শুধুই মুসলমান। এবং একজন মুসলমান যে নিজ ধর্মের ব্যাপারে আপনাদের মতই রক্ষনশীল, সেনসিটিভ।
কিন্তু আমি আপনাদের মত অন্ধ নই।আমি আপনাদের মত এক চোখা নই।
বিশ্বের যে ২৮/২৯ টি সংখ্যালঘু মুসলমান দেশ আছে সে সম্পর্কে জানুন,পড়ুন তারপর বিচার করুন।সেই সাথে আমিও বিচার করি বাকি মুসলিম প্রধান দেশের সুংখ্যা লঘু অন্যান্যদের নিয়ে।
যারা মুসলমান কর্তৃক অত্যাচারীত হচ্ছে। আমি তাদের তীব্র ঘৃণা করি।আমি তাদের দলে নই।
আমি মুসলমান কিন্তু হত্যাকারীদের দলে নই।যারা বিপথে গেছে তাদের চরম ঘৃনা করি কিন্তু আমি যখন অত্যাচারিত তখন তীব্র প্রতিবাদ করি।যেভাবে আপনি করেন বা করবেন।।
আমি কমেন্ট এ একটা লিংক দিলাম।পারলে পড়বেন।
Link  গুলো দেয়ার মানে হলো, অন্তত আপনি নিজে একটু পরে দেখুন,জানুন এবং বুঝুন।
তারপর বলেন,আমরা এই দেশে এখনো ভালো আছি কি না?
এখনো সম্প্রীতি আছে কি না?
যদি থেকেই থাকে তবে কেন আরো উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন? কেন সেটা কে নষ্ট করছেন?
এর জন্য দায়ী কারা হবে?
নিশ্চয়ই আমি বা আমরা,আপনারা।
আর এখন থেকে আমিও মুক্ত মনা।
আমার যা খুশি তাই লিখবো। দেখি কারা কারা তার প্রতিবাদ করে আর কারা কারা তার সামর্থন।
Article by: smharun
Writer information NILKANTO