বাংলাদেশ ও সাম্প্রদায়িকতাঃ
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে কারা?
গভীর ভাবে উপলব্ধি করার বিষয়। সম্পুর্ন লেখাটা পড়ুন। তারপর পাঁচ মিনিট ভেবে দেখুন,
কথাটা ঠিক কি না!
কথাটা ঠিক কি না!
উপরের প্রশ্নটা আমি আমাকেই জিজ্ঞাসা করলাম।আসলেই তো, কে বা কারা এটাকে উস্কে দিচ্ছে? আসলে কারা এর জন্য দায়ী??
উত্তরঃ আমরা নিজেরাই
আগে বুঝি সাম্রদায়িকতা কি?
কোন নির্দিষ্ট সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধারী জনগোষ্ঠী যারা মূলত নিজেরা স্ব স্ব পরিমন্ডলে ভাষা,সংস্কৃতি,নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য , ধর্ম বা অন্য কোন ভাবে সংঘবদ্ধ এবং অন্য ভাষা ভাষী,সংস্কৃতি, ধর্ম বা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দের হতে নিজেদের স্বতন্ত্র ভাবে তাদের সেই গোষ্ঠীগত ভাবনাই হলো সাম্প্রদায়িকতা ।
উদাহরন সরূপঃ
বাংলা ভাষা ভাষী জনগোষ্ঠী বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং তারা বিশ্বের অন্যান্য ভাষাভাষী গোষ্ঠী হতে আলাদা।সেক্ষেত্রে বৈশ্বিক ভাষা গোষ্ঠীর বিচারে বাঙালি সম্প্রদায়। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটাকে আলাদা ভাবে বাঙালি সম্প্রদায় বলতে কোন শব্দ নেই। কারন বাংলাদেশের সকল মানুষের ভাষা হলো বাংলা। তাই বৃহত্তর বা বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠী কে বাঙালি সম্প্রদায় বলা যায়।
বাংলা ভাষা ভাষী জনগোষ্ঠী বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং তারা বিশ্বের অন্যান্য ভাষাভাষী গোষ্ঠী হতে আলাদা।সেক্ষেত্রে বৈশ্বিক ভাষা গোষ্ঠীর বিচারে বাঙালি সম্প্রদায়। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটাকে আলাদা ভাবে বাঙালি সম্প্রদায় বলতে কোন শব্দ নেই। কারন বাংলাদেশের সকল মানুষের ভাষা হলো বাংলা। তাই বৃহত্তর বা বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠী কে বাঙালি সম্প্রদায় বলা যায়।
আবার বাংলাদেশের মধ্যে চাকমা,রাখাইন,সাঁওতাল প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর বাঙালি পরিচয়ের বাহিরে আরো একটা নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের সেই সাংস্কৃতিক বা ভাষাগত বৈশিষ্ট্যজনিত কারনে ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
যেমনঃ রাখাইন সম্প্রদায়, সাঁওতাল কিংবা চাঁকমা সম্প্রদায় ইত্যাদি।
যেমনঃ রাখাইন সম্প্রদায়, সাঁওতাল কিংবা চাঁকমা সম্প্রদায় ইত্যাদি।
তাহলে কিভাবে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম হচ্ছে?
উপরে উল্লেখিত বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন নিশ্চয়ই।
চাকমা হোক আর সাঁওতাল হোক,রাখাইন কিংবা খাসিয়া যাই হোক, সবাই যেহেতু বাংলাদেশি এবং বাংলা ভাষা তাদেরও ভাষা সেক্ষেত্রে তারা শুধুই বাঙালি কিংবা শুধুই বাংলাদেশি।
উপরে উল্লেখিত বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন নিশ্চয়ই।
চাকমা হোক আর সাঁওতাল হোক,রাখাইন কিংবা খাসিয়া যাই হোক, সবাই যেহেতু বাংলাদেশি এবং বাংলা ভাষা তাদেরও ভাষা সেক্ষেত্রে তারা শুধুই বাঙালি কিংবা শুধুই বাংলাদেশি।
যখনই তাদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হবে, আলাদা চোখে দেখা হবে তখনই জন্ম নেয় সাম্রদায়িকতার। আর সেই সাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনাই একই দেশের মধ্যে, অভিন্ন জাতি সত্ত্বার মধ্যেও বৈসম্যের বীজ বোপন করে, তৈরি হয় সাম্প্রদায়িকতা।
তাহলে কি করা উচিত আমাদের?
আমাদের উচিত, বাংলাদেশে বসবাসরত সকল নাগরিককে সমান চোখে দেখা এবং সমান সন্মান দেয়া। আর এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখেন "রাজনৈতিক হর্তা-কর্তা" গণ। কারন তাদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষ শুনেন বা মিডিয়ার কল্যানে দেখেন। তাই সেই সকল ব্যক্তি গণ যদি কোনভাবে সাম্প্রদায়িক কথা একবার বের করেন অথবা বৈষম্য মূলক আচরন দেখান তখনই সাম্প্রদায়িকতা উস্কে যায়!
তার বড় প্রমাণ গত ২০০৯-২০১৪ সালের মধ্যে আস্তিক-নাস্তিক, রাজাকার-দেশপ্রেমিক প্রভৃতির উত্থান। যাকে নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হবে,
"আস্তিক সম্প্রদায়","নাস্তিক সম্প্রদায় ","রাজাকা সম্প্রদায়" কিংবা "দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রদায়"।
"আস্তিক সম্প্রদায়","নাস্তিক সম্প্রদায় ","রাজাকা সম্প্রদায়" কিংবা "দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রদায়"।
এসব সম্প্রদায় তৈরির মেশিন বাংলাদেশের বৃহত্তর কতিপয় রাজনৈতিক দলের বড় বড় রাজনীতিবিদ গণ। আর ইতাহাসে এটাই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোপনের প্রথম এবং প্রধান কারণ হিসেবেই ভবিষ্যতে চিহ্নিত হবে।
সম্প্রদায় এবং সাম্প্রসায়িকতার ধরনঃ
আগেই বলেছি, সম্প্রদায় হলো নির্দিষ্ট কিছু সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর একটি সংঘ।যারা ভাষা কিংবা সংস্কৃতি, ধর্ম কিংবা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্ব স্ব গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সাধনে সংঘবদ্ধ। তাই সাম্প্রদায়িকতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
সেটা হতে পারে ভাষাগত সাম্প্রদায়িকতা কিংবা ধর্মীয় কিংবা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগত সাম্প্রদায়িকতা। যেহেতু ভাষা গত এবং নৃ-তাত্ত্বিক সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে দু একটি কথা আগেই বলেছি তাই আর পুনঃ ব্যক্ত করতে চাই না। বরং বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা নিয়েই আলোচনা করে শেষ করি। যদিও আমি মূলত কি বোঝাতে চেয়েছি তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যে দিয়েছি।।
সেটা হতে পারে ভাষাগত সাম্প্রদায়িকতা কিংবা ধর্মীয় কিংবা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগত সাম্প্রদায়িকতা। যেহেতু ভাষা গত এবং নৃ-তাত্ত্বিক সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে দু একটি কথা আগেই বলেছি তাই আর পুনঃ ব্যক্ত করতে চাই না। বরং বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা নিয়েই আলোচনা করে শেষ করি। যদিও আমি মূলত কি বোঝাতে চেয়েছি তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যে দিয়েছি।।
বাংলাদেশ ও বর্তমান সাম্প্রদায়িকতার সরূপঃ
একটু ভালো ভাবে খেয়াল করুন।গত চার পাঁচ বছর পেছনে যান এবং ধীরে ধীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলো মনে করার চেষ্টা করুন। কি পেলেন? কিছু পেয়েছেন?
আচ্ছা, না পেলেও সমস্যা নেই।আমিই ধীরে ধীরে সব বলছি।শুধু ধৈর্য্য ধরে আপনি পড়তে পারলেই হয়!
আচ্ছা, না পেলেও সমস্যা নেই।আমিই ধীরে ধীরে সব বলছি।শুধু ধৈর্য্য ধরে আপনি পড়তে পারলেই হয়!
ব্যাক টু ২০০৯ -২০১৩(সার সংক্ষেপঃ)
একটা অসাধারণ নির্বাচন হলো। ফকরুদ্দিন আর মইনুদ্দিন সাহেব একটা আমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন শাসন ব্যবস্থায়। অতঃপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে, দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দলীয় জোট বিপুল সমারোহে সিংহাসন দখল করল।
আর তারই কিছু দিন পর ২৩/২৪ ফেব্রুয়ারি বি ডি আর বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নতুন এক কালো অধ্যায়। সরকার প্রধান অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠলেন ঠিকই কিন্তু তারপর একের পর এক নতুন নতুন ইস্যুর জন্ম হতে থাকল।
তাতে অবশ্য বেসরকারি চ্যানেল গুলোর টি আর পি এবং চায়ের কাপে ঝড় তুলে টক শো শুরু হলো টিভি স্টুডিও থেকে অজপাড়াগায়ের সিডি'র হলেও।
সেই ইস্যু গুলোর টক মিষ্টি শো গুলো আবার জন্ম দিলো নতুন কিছু ইস্যুর। আর সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন গোড়াপত্তন শুরু হলো তখন থেকেই।
আর তারই কিছু দিন পর ২৩/২৪ ফেব্রুয়ারি বি ডি আর বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নতুন এক কালো অধ্যায়। সরকার প্রধান অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠলেন ঠিকই কিন্তু তারপর একের পর এক নতুন নতুন ইস্যুর জন্ম হতে থাকল।
তাতে অবশ্য বেসরকারি চ্যানেল গুলোর টি আর পি এবং চায়ের কাপে ঝড় তুলে টক শো শুরু হলো টিভি স্টুডিও থেকে অজপাড়াগায়ের সিডি'র হলেও।
সেই ইস্যু গুলোর টক মিষ্টি শো গুলো আবার জন্ম দিলো নতুন কিছু ইস্যুর। আর সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন গোড়াপত্তন শুরু হলো তখন থেকেই।
তবে যেসব ইস্যু এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে
১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব।
২। রাজাকার আর মুক্তি যোদ্ধা। (যেখানে একজন বীর উত্তম কেও রাজাকার আখ্যায়িত করা হয়েছিলো।)
৩। যুদ্ধাপরাধীদের স্বপক্ষের আর বিপক্ষের শক্তি।(অক্ষ শক্তি আর মিত্র শক্তি)
৪। গণ জাগরন মঞ্চ
১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব।
২। রাজাকার আর মুক্তি যোদ্ধা। (যেখানে একজন বীর উত্তম কেও রাজাকার আখ্যায়িত করা হয়েছিলো।)
৩। যুদ্ধাপরাধীদের স্বপক্ষের আর বিপক্ষের শক্তি।(অক্ষ শক্তি আর মিত্র শক্তি)
৪। গণ জাগরন মঞ্চ
৫। আস্তিক নাস্তিক তত্ত্ব।
৬। তেতুল তত্ত্ব এবং ৫ মে এর হেপাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি ও তাতে অস্বচ্ছ হস্তক্ষেপ।
এবার আসি এসবের কি প্রভাব পড়েছিলো এবং কিভাবে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন সূচনা হলোঃ
বাংলাদেশের আজ প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।ধর্মীয় উগ্রবাদীতা,মৌলবাস বা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে আখ্যায়িত করে থাকেন একে।
যাই হোক, বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বলার আগে একটু জেনে নেই, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা কি এবং কেন?
আমি আগেই সাম্প্রদায়িকতার একটী সঙ্গা দিয়েছি।এবার শুধু তাতে একটা বিষয় যুক্ত করতে হবে। আর তা হলোঃ ধর্ম
ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা বলতে তাই কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় চেতনা সম্পন্ন গোষ্ঠীর সাথে অন্য একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সুস্পষ্ট মত পার্থক্য এবং তার উপর ভিত্তি করে যে ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাকে বুঝায়।
যেমনঃ
কোন একটি দেশে একই সাথে কয়েকটি ধর্মীয় সম্প্রদায় এর বসবাস থাকতে পারে।কিন্তু তাই বলে যদি কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী(লঘিষ্ঠ কিংবা গরিষ্ঠ) অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর ধর্মীয় চেতনায় আঘাত হানে বা বৈষম্যর স্বীকার হয় তবে তা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।
যেমনঃ
কোন একটি দেশে একই সাথে কয়েকটি ধর্মীয় সম্প্রদায় এর বসবাস থাকতে পারে।কিন্তু তাই বলে যদি কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী(লঘিষ্ঠ কিংবা গরিষ্ঠ) অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর ধর্মীয় চেতনায় আঘাত হানে বা বৈষম্যর স্বীকার হয় তবে তা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।
এবার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কারণ এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধির কারন কি তা বুঝিঃ
বিশ্বের প্রতিটি দেশে কমবেশি সাম্প্রদায়িকতার ছোয়া আছেই। ইংল্যান্ড, আমেরিকা কিংবা ইউরোপের যেসব দেশ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে সেসব দেশেও আনাচে কানাচে, কোথাও না কোথাও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার নোংরা স্তুপ আছেই। পার্থক্য হলো, কিছু কিছু দেশের এই নোংরা সাম্প্রদায়িকতার স্তুপের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পরে আর কিছু কিছু দেশ পারফিউম বা মাটি চাপা দিয়ে গন্ধ ঢেকে রাখে।
পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে বৌদ্ধ ও মুসলমান দের সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস সুদীর্ঘ কালের। সেই এক হাজার খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে সংখ্যা লঘু রোহিঙ্গারা উৎপীড়নের স্বীকার হচ্ছে। চীনের উইঘুর কিংবা বলিভিয়া, কসোভো প্রভৃতি দেশে মুসলিমরা সেখানে অত্যাচারিত হচ্ছে।আবার আরব,ইরাক,পাকিস্থান,আফগানিস্থান, প্রভৃতি মুসলিম প্রধান দেশে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে বৌদ্ধ ও মুসলমান দের সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস সুদীর্ঘ কালের। সেই এক হাজার খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে সংখ্যা লঘু রোহিঙ্গারা উৎপীড়নের স্বীকার হচ্ছে। চীনের উইঘুর কিংবা বলিভিয়া, কসোভো প্রভৃতি দেশে মুসলিমরা সেখানে অত্যাচারিত হচ্ছে।আবার আরব,ইরাক,পাকিস্থান,আফগানিস্থান, প্রভৃতি মুসলিম প্রধান দেশে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস ছিলো অন্যরকম। বাংলাদেশে বরাবরই ধর্মীয় সহনশীলতা,সম্প্রীতি বিদ্যমান ছিল। সেটা '৪৭ কিংবা '৭১ এর পর হতে এই তো কিছু বছর আগ অবধি।
তখন কথায় কথায় আস্তিক-নাস্তিক, মালাউন কিংবা গোঁড়া, ইত্যাদি অপ্রীতিকর শব্দের ব্যবহার ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু যেদিন থেকে বাংলাদেশে এই সব শব্দের প্রচলন শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই সম্প্রীতির ইতিহাস সাম্প্রদায়িকতায় বদল নিচ্ছে।
এর কারনঃ
১। যুদ্ধাপরাধী দের বিচারে এক তরফা ভাবে একই গোষ্ঠীর কিছু মানুষ কে অপরাধী সাব্যস্ত করা।
২। মুসলমান বা টুপি পড়া মোল্লা মুসল্লিদের একাধারে জঙ্গি, মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী বলা কিংবা ইন্ডিকেট করা।
৩। মুসলমান কিছু পথভ্রষ্ট দের উগ্রতাবাদী চিন্তা চেতনা।
৪। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একে অন্যকে ধর্মীয় চেতনায় আঘাত দেয়া।
৫। ধর্মীয় বাণী,মহাপুরুষ দের নিয়ে কটুক্তি কিংবা কিছু উচ্চাভিলাষী মানুষের মধ্যে অন্য ধর্মকে আঘাত দিয়ে বক্তব্য,লেখনি ইত্যাদি।
৬। ধর্মীয় কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যধিক অনুকম্পা এবং
৭। ধর্মীয় অনুভুতি তে যারা আঘাত দেয় তাদের প্রকাশ্যে কিংবা আড়ালে লালন করা এবং প্রশ্রয় দেয়া।
২। মুসলমান বা টুপি পড়া মোল্লা মুসল্লিদের একাধারে জঙ্গি, মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী বলা কিংবা ইন্ডিকেট করা।
৩। মুসলমান কিছু পথভ্রষ্ট দের উগ্রতাবাদী চিন্তা চেতনা।
৪। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একে অন্যকে ধর্মীয় চেতনায় আঘাত দেয়া।
৫। ধর্মীয় বাণী,মহাপুরুষ দের নিয়ে কটুক্তি কিংবা কিছু উচ্চাভিলাষী মানুষের মধ্যে অন্য ধর্মকে আঘাত দিয়ে বক্তব্য,লেখনি ইত্যাদি।
৬। ধর্মীয় কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যধিক অনুকম্পা এবং
৭। ধর্মীয় অনুভুতি তে যারা আঘাত দেয় তাদের প্রকাশ্যে কিংবা আড়ালে লালন করা এবং প্রশ্রয় দেয়া।
৮। সোস্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ব্লগ এবং ফেসবুকে নিরর্থক ধর্মীয় বাড়াবাড়ি ইত্যাদি।
এসব কতিপয় কিছু কারন। এর সাথে সাথে মিডিয়া এবং এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা এই সাম্প্রদায়িকতা কে আরো উস্কে দিচ্ছে।
কিন্তু এত কিছুর পরও একটা সমাধান হলো,
আপনারা কেউ অন্যের ধর্মকে আঘাত দিয়ে কিছু লিখবেন কিংবা বলবেন না।
ধর্মের অনুভুতি টা সব ধর্মাবলম্বীর কাছে একই রকম। আপনারা অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তারাও আপনার বিরুদ্ধে করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নিজে বিরত থাকুন, অন্যকে বিরত রাখুন এবং যার যার ধর্ম,যার যার বিশ্বাস সে সে পালন করুন।
দেখবেন বাংলাদেশ আবারো সাম্প্রদায়িক সম্প্রোতির দেশ হয়ে উঠবে।হয়ে উঠবে একটি সোনার বাংলা।।
আপনারা কেউ অন্যের ধর্মকে আঘাত দিয়ে কিছু লিখবেন কিংবা বলবেন না।
ধর্মের অনুভুতি টা সব ধর্মাবলম্বীর কাছে একই রকম। আপনারা অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তারাও আপনার বিরুদ্ধে করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নিজে বিরত থাকুন, অন্যকে বিরত রাখুন এবং যার যার ধর্ম,যার যার বিশ্বাস সে সে পালন করুন।
দেখবেন বাংলাদেশ আবারো সাম্প্রদায়িক সম্প্রোতির দেশ হয়ে উঠবে।হয়ে উঠবে একটি সোনার বাংলা।।
শেষ কথাঃ
আপনি যাই হোন না কেন এটা মনে রাখবেন,
"বাংলাদেশ কখনো সম্পুর্ন ধর্মীয় রাষ্ট্র বা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে না।আর এর যে কোন একটি তে রুপান্তরিত করতে চাইলে অবশ্যই এ দেশ সুদান এর মত কিছু একটা হবে
আপনি যাই হোন না কেন এটা মনে রাখবেন,
"বাংলাদেশ কখনো সম্পুর্ন ধর্মীয় রাষ্ট্র বা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে না।আর এর যে কোন একটি তে রুপান্তরিত করতে চাইলে অবশ্যই এ দেশ সুদান এর মত কিছু একটা হবে