:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

  • ১:৫০:০০ AM
নারীর ক্ষমতায়ন নারীকে যতটা স্বাধীনতা দিয়েছে,বিশ্বকে এগিয়ে নিচ্ছে ঠিক ততটাই জগত সংসারে অশান্তি নিয়ে এসেছে,পারিবারিক শান্তি বিনিষ্ট হচ্ছে।
আজ ২৪ অক্টোবর ২০১৫। আমি  বলে রাখলাম, সেদিন খুব বেশি দূরে নেই যেদিন পরিবারে সুখ-শান্তি বলে কিছু থাকবে না।পৃথিবী ফিরে যাবে বর্বর,অশান্তি ও বিশৃংখলার যুগে।
আমাকে নারী বিদ্বেষী ভাববেন না।এটাই সত্য হবে।কারণ,
"এক বন্দুকে দু'জন শিকারি কখনো একই হরিণকে একসাথে শিকার করতে পারে না।হয় বন্দুক হাত বদল করতে হয় নতুবা দু'টি বন্দুক দুজনের হাতে থাকতে হয়।কিন্তু দু'টি বন্দুক দুজনের হাতে হলেও শিকার যখন একটিই তখন শিকারের কৃতিত্বটা কার, তা নির্ণয় করতে গেলেই বাঁধে বিশৃংখলা।আর এ বিশৃংখলাই জন্ম দেয় অশান্তির।"
রবি ঠাকুরের কথা খুব মনে পড়ছে।বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তিনি যে কথা উপলব্ধি করেছিলেন,যে চিরন্তন বাণী লিখে গিয়েছেন, আজ একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের মধ্যেই আমরা তার আঁচ পাচ্ছি খুব ভালভাবেই । আগামী শতাব্দী তে একথার প্রমাণ পাবে গোটা বিশ্ব।কিংবা  তার অনেক আগেই।।
#নারীর ক্ষমতায়ন ভয়ংকর।
#নীলকান্ত

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

  • ১১:০১:০০ PM
তুমি মিষ্টি হেসে যদি বল,"চিন্তা কি,আমি তো আছি । "
তখন চির কাঙাল এই আমি পৃথিবীর রাজা।
ইচ্ছে করলেই নেপোলিয়ন বোনাপার্ট 
কিংবা জুলিয়াস সিজারের মত দ্বিগ্বিজয়ী বীর হতে পারি,
হেমলকের বিষের পেয়ালা এক চুমুকেই  করতে পারি শেষ। 
মহাকাশ আর জগত কে ব্যাখ্যা করতে পারি
 তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে এক নিমিষেই।
প্রাণের স্পন্দনের কারন খুঁজে বলতে পারি জীবনটা কি!
  • ১০:৫৯:০০ PM
জীবনটা ঠিক এতটা সহজ না,যতটা আগে ভাবতাম।এটা অনেকটা মরুভূমির মত। মরুভূমি তে যেমন মাথার উপর প্রচন্ড রৌদ্রতাপে পায়ের নীচের বালুকারাশিকে পথিকের চোখে দূর থেকে অনন্ত জলরাশি  মত দেখায়,তেমনি জীবনের কিছু কিছু আশা মরিচিকার মত হৃদয়ে সুখের পুলক ছড়িয়ে যায়। কিন্তু সেই ভবিষ্যৎ অন্তিম মুহুর্তে উপনীত হলে বুঝা যায়,তা কেবলই একটা দূরাশা ছিল।
জীবনের সাদাকালো ক্যানভাসে স্বপ্নের রঙ ছড়ানো যতটা সহজ, বাস্তবে তা রাঙিয়ে তোলা ততটাই কঠিন।এখানেই জীবন আর সুমদ্রের মধ্যে এক দারুন ঐক্যতান । গভীর সমুদ্রে দূরের কোন স্থল চিহ্ন দেখে নাবিকের মন চঞ্চল হয়ে উঠে,"এই তো, তটরেখায় নব জীবনের আহ্বান।"
কিন্তু সে দূর যে কতটা দূর তা আন্দাজ করা নাবিকের পক্ষে সম্ভব হয়না।নাবিকের এটাও জানা হয়না,সেই তটে পৌঁছতে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে,এখনো  সহস্র যুদ্ধ আছে বাকি।হয়ত সে পথ ধীরে ধীরে নাবিকের কাছে ছোট হয়ে আসে অথবা সময়ের উল্টো স্রোতে গভীর থেকে গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যায়।দৃষ্টির সীমানায় তখন শুধু অনন্ত লোনাজল আর হতাশা ছাড়া আর কিচ্ছু থাকে না!!বুঝতে পারে স্বপ্নগুলো আসলেই মরিচীকা ছিলো।
তবুও আরেকবার পাল তুলে দেয় সে।আরেকবার এগিয়ে চলে অজানা কোন দ্বীপে একটু খানি সুখের প্রত্যাশায়।তারপর ......
  • ১০:৫৭:০০ PM
দেশে জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বগতি।জনাব অর্থমন্ত্রী সাহেব অনায়াসে বলতে পারেন, "মানুষের আয় বেড়েছে।গ্যাস বা জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এমন কিছু না। "
কিন্তু আমাদের মত বেকারদের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েছে।বেকারদের জন্য চাকুরীর বাজার মন্দা। (অর্থ্যাৎ চাকুরী নাই অথবা থাকলেও আগে অভিজ্ঞতা চাই।তারপর সেলসম্যানের পদবী)।
মাত্র ১৫ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়লেও ১৫ কোটি  ৮৫ লাখ সাধারন মানুষের বেতন বাড়েনি। এদের আবার ৮০%-৮৩%(আনুমানিক)  বেকার,নিম্ন বা মধ্য আয়ের বেসরকারি চাকুরে কিংবা শ্রমজীবী কৃষক এবং দিন মজুর।এদের আয় কতটুকু বেড়েছে? নাকি বাজারদরের তুলনায় আয় কমেছে??হয়ত মাননীয় মন্ত্রী সাহেবের পাওয়ার গ্লাসে এগুলো ধরা পরে না।পরেনি।তাই ৩০০ কোটি টাকার হেরফের তার কাছে কিছু মনে হয়না এমনকি ৩০০০ কোটি টাকাও!! তিনি মন্ত্রী হয়েছেন শুধু বড় বড় ব্যবসায়ী, এলিটিদের ভোটে।আর দেশে কোন দরিদ্র নেই, সবাই এলিট শ্রেনীর এটাই তার ধারনা।
তার ভাষায় তাকে "রাবিশ" বলা ছাড়া আর কোন শব্দ পেলাম না। (সরি,মি. অর্থ মন্ত্রী)
যাই হোক,
আজ বাবাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ধানের দাম কেমন? বাবা একটু হতাশ হয়ে বললেন ৫৫০-৫৬০ নতুন আমন ধান, আর পুরাতন টা ৬০০-৬৫০ টাকা/মণ।
কিন্তু এই ৫৫০ টাকার ধানের পেছনে কায়িক শ্রম,মজুরের অর্থ আর অন্যান্য খরচ বাদ দিলে ৫০ টাকাও কৃষকের হাতে আসে না।  তাদের বেতন/আয় বৃদ্ধি হয়নি।কিন্তু তবুও তাদের ২০ টাকার পেয়াজ ২০০ টাকা/কেজি দরে কিনতে হয়,তেল,লবন অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়,ফসলের পানি সেচের জন্য ডিজেল ৭৪ -৭৫টাকা/লিটার কিনতে হয়!! মজুরকে ৩০০-৪০০ টাকা/দিন দিতে হয়।।
তাদের আয় বাড়ে না।মধ্য বিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক এখন দরিদ্র কৃষকের পর্যায়ে পৌছেছে।তারা মান সন্মানের ভয়ে রিক্সা ভ্যানও চালাতে পারেনা কিংবা মজুর খাটতেও পারে না!
বলি, মাননীয় মন্ত্রী মহাদয় তাদের জন্য কি করলেন? কিছুই না।বরং  পারলে সারের দাম আরো কিছু বাড়িয়ে দেবেন,প্রয়োজনে মন্ত্রী আর এমপি দের পকেট ভরাতে কৃষকের গোয়ালের গরুর উপর "পশু ভ্যাট" ধার্য করবেন কিন্তু তাদের উন্নয়নের জন্য কিছুই করবেন না!
আর আমার মত যারা এই কৃষক পরিবারের সন্তান তাদের জন্য এই অউন্নয়নমূলক অর্থনৈতিক রাহুর কালো ছায়া পরে পড়ালেখা থেকে শুরু করে চাকরি বাকরি সব ক্ষেত্রে।।
অর্থ্যাৎ পরিবেশ টা এমন হয়ে যাচ্ছে যে,লেখাপড়া এবং চাকুরী শুধুমাত্র পুঁজিপতি ব্যবসায়ী ও বড় বড় বড়লোকের অধিকার।কৃষক এবং গরীবের জন্য চাকুরী হারাম,নাযায়েজ।
কারণ গরীব কৃষকের ছেলে মেয়েরা যখন অতি কষ্ট করে, দিন মজুরী করে,টিউশানি করে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন তখন বিলাসী পুঁজিপতির সন্তানেরা আরাম আয়েসে পড়া লেখা করে, এ নেতা, ও নেতা, ওমুক এর ছেলে,তমুকের নাতির রেফারেন্সে দিব্যি চাকুরী পেয়ে যায়।কিংবা চাকুরীর ধার না ধেরে অনায়াসে নিজস্ব ব্যবসা দাঁড় করাতে পারে।
আর বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত হয় সাধারন ছেলে মেয়ে, যাদের বাবা নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক বা চাকুরে।(ভাগ্যক্রমে দু একজন অদম্য মেধাবীরা ব্যাতীত।)
এসব পরিবারের ছেলেরা ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবে, সে চিন্তাও করতে পারে না। কারন ব্যবসা করতে পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়।বিনা পুঁজি তে ফটকা ও অবৈধ ব্যবসা করা যায় কিন্তু সৎ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা যায় না। এদিকে হত দরিদ্র পিতা তার শিক্ষিত বেকার সন্তানের জন্য জমি বেঁচে ব্যবসায় বিনিয়োগ করানোর ঝুঁকি কখনোই নিতে চান না।তাদের একটাই আশা,সন্তান চাকুরী করবে।লোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলবে,"এটা অমুকের ব্যাটা তমুক।ওমুক চাকরী করে,এত বেতন পায় "ইত্যাদি।
এদিকে সরকারের এক পেশে অর্থনৈতিক নীতিতে পুঁজিপতিরা স্বাভাবিকভাবেই অর্থমন্ত্রী সাহেবের প্রসংশায় পঞ্চমুখ। কারন, তিনি যে তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন!!
আর মন্ত্রীর সিদ্ধানন্তে চাটুকার, তোষামোদ কারীরা যখন বলে,
"বাহ বাহ! মন্ত্রী সাহেব তুলনা হয়না।"
তখন মন্ত্রী সাহেব নিজের মেধা ও সিদ্ধান্তে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন এই ভেবে যে,"আহ! লোক জন কত সুখে আছে! "
কিন্তু আসলেই কি তাই????
(বি.দ্র. এটাকে রাজনৈতিক ভাবে নিবেন না।যে কোন দল কিংবা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভাবে এমনি বলতাম আমি।)
[ত্রুটি ক্ষমা করবেন।]
  • ১০:৫৪:০০ PM
জীবনটা কে দূর থেকে দেখে কত সহজ,সুন্দর মনে হত! আহা!
কিন্তু আজ যখন জীবনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি তখন বুঝতে পারছি, এ জীবন বাহিরে থেকে যত সহজ, ভেতরে ততটাই কঠিন।
এত দিন জীবনকে আমি চোখ রাঙিয়েছি,আজ জীবন আমাকে চোখ রাঙায়।এত দিন জীবনকে আমি বলেছি,হে জীবন, তুমি আমার পিছে পিছে আসো।
আজ জীবন আমাকে বলে তার পিছু পিছু হাটতে,যখন আমি জীবনের পাশাপাশি হেটে যেতে চাই।।
জীবনের ঘাত প্রতিঘাত থেকে বহু দূরে ছিলাম আমি।কিংবা ছোট খাটো যেসব আঘাত এসেছিলো, তাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাড়িয়েছি।কিন্তু জীবনের এ পর্যায়ে এসে জীবন আমাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলে,"সেসব ভুল ছিলো। "
আর সেসব ভুল গুলো আজ চোখের সামনে পরিস্কার আয়নার মত ধরা দিয়েছে। কতই না ভুল করেছি জীবনে! জীবনের সাথে বাজি ধরেছি কতবার। আজ বাজির সে ফলাফল হাতে এসেছে।যা পেয়েছি তা "শূন্য" ছাড়া আর কিছু না।।
  • ১০:৫১:০০ PM

সুনসান নীরবতা চারিদিকে।গাড়ির মধ্যে যে ক'জন যাত্রী আছে তারাও সবাই অঘোর ঘুমে অচেতন। শুধু নীলের চোখে ঘুম নেই।সাধারণত গাড়িতে উঠলে ঘুম-টুম আসে না ওর।কিন্তু শরতের নাতিশীতোষ্ণ এমন এক রাতে বাহিরের খোলা হাওয়া যখন মুখে এসে লাগে তখন ঘুম আপনা আপনি চলে আসে।নীলও খানিকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলো বৈ কি! কিন্তু হঠাৎ করে চেতনা ফিরে সামনে তাকাতেই রাতের অপূর্ব সৌন্দর্য ওর ঘুম কেরে নিলো।সত্যি অপূর্ব সুন্দর লাগছে। যতদূর চোখ যায় টানা রাস্তা। একদম ফাঁকা।
শা শা করে গাড়ি এগিয়ে চলছে কিন্তু
ফাঁকা রাস্তার দু পাশে দাড়িয়ে থাকা গাছ গুলোর উপর গাড়ির হেড লাইট পড়ে মনে হচ্ছে কোন গুহার মধ্যে স্থির দাড়িয়ে আছে গাড়িটা আর দু পাশের গাছ গুলো দ্রুত সরে যাচ্ছে পেছন দিকে। বহুদূর পর্যন্ত কোন যানবাহনের চিহ্ন চোখে পড়ছে না।যেন অন্য কোন পৃথিবীতে, অন্য কোন রাস্তা এটা।কিন্তু ছোট বেলা থেকে কতবার যে এ রাস্তায় যাতায়াত করেছে তার হিসেব নেই। আসে পাশের সব কিছু নীলের নখ দর্পণে। তারপরেও সব কিছু অচেনা, ভারী অচেনা লাগছে আজ।
নীল ওর ব্যাগ থেকে হেডফোন টা বের করে কানে লাগালো।এই মুহূর্তে ও কোন গান শুনবে না, ওর নাকি গভীর রাতে গান শুনার চেয়ে ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে ভালো লাগে। তাও সলো মিউজিক।বিশেষ করে গিটার কিংবা সেতারের । ফোন ঘেটে ঘুটে বেশ কয়েকটা মিউজিক সিলেক্ট করে রিপিট অল করে দিলো। হেডফোনের ভলিউম টা মাঝামাঝি রেখে হেলান দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে এই প্রকৃতি উপভোগ করার মজাটাই আলাদা।এর আগেও যতবার কোথাও গেছে সে ট্রেনেই হোক আর বাসেই হোক,এই মজাটা নিতে ভুলে নি।
ওর মতে,
"যদি দু'চোখ ভরে পৃথিবীকে দেখতেই না পেলাম তবে এ দু'চোখের মূল্য কি!  প্রাণ ভরে কোন কিছু দেখার চেয়ে আনন্দের কিছু নাই।সে রমনীই হোক আর প্রকৃতিই হোক।তাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এই আনন্দ আমি মিস করতে চাই না।"
গাড়ি দ্রুত বেগে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে,আর দু'পাশের গাছ গুলো সরে যাচ্ছে পেছনে। অনেক ক্ষন পরপর দু'একটা নাইট কোচ কিংবা ট্রাক হেড লাইট উচু করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে শা শা করে। ওর কানের মধ্যে এখন অনুপমের "প্রিয়তমা" গানটার "গীটার" বাজছে।অসাধারণ সুন্দর গানের লিরিকটা।
"চলে এসো আজ এ রাতে,
চলে এসো আমার কাছে...  প্রিয়তমা। "
গানটা প্রথম ওকে কান্তা শুনিয়েছিলো।বলেছিলো, "তুমি এ গানটা শুনলে পাগল হয়ে যাবা! "
সত্যি গানটা ওকে পাগল করে দিয়েছিলো।  পাগল করে দিয়েছে কান্তার প্রেমে।
গান শুনতে শুনতে হঠাৎই স্মৃতির দরজায় বিগত দিনগুলি এসে একে একে জমা হতে শুরু করলো।যেন স্মৃতিরা ওকে ডেকে ডেকে বলছে,"এই নীল,দেখো আজ আমি নীল শাড়ি পড়েছি! "
"এই,আমার একটা ছবি তুলো না, প্লিজ? "
"ওভাবে না,এভাবে । দুজন এক সাথে উঠবো। "
"তোমার গালটাকে খুব মিস করছি।তোমার গালে একটা কামড় দেই? "
নীল স্মৃতির রাজ্যে যেন এক নবাগত সওয়ারী। চোখের পাতায় দিনগুলি ভাসছে ফাস্ট ফরওয়ার্ড মুডে। আর ও মিটিমিটি হাসছে কান্তার পাগলিপনা দেখে! আর এই পাগলির জন্য একটু আধটু কেন, পুরো পাগল হওয়া যায়।
স্মৃতির দরজায় বিগত দিনগুলি একটা একটা করে ভীর করছে।আর কান্তার অশরীরী উপস্থিতি ওর সমস্ত সত্তা জুড়ে।হঠাৎ কান্তা যেন ডেকে উঠলো-
"এই যে দেখো দেখো, সেই পুরোনো রেস্তোরাটা।
মনে আছে,প্রথম যেদিন তোমার সাথে বেড়িয়েছিলাম সেদিন এখানেই খেয়েছিলাম?"
সাথে সাথে গাড়ি ব্রেক করলো। নীলের স্মৃতির রাজ্য অদৃশ্য হয়ে ধরা দিলো বাস্তবতায়। ইতোমধ্যে গাড়ির ভেতরের দু একটা লাইট জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ।গাড়ির স্পিড ক্রমশ কমে আসছে। নীল একটা হেলে সামনে তাকিয়ে বুঝতে পারলো খাবারের জন্য হোটেল ব্রেক।
কিন্তু কি আশ্চর্য!
সেই হোটেল! হোটেল নূরজাহান,কুমিল্লা। কান্তা শখ করে এটাকে বলত "পুরোনো রেস্তোরা "।আর এই তো এই মাত্র কান্তা ওকে বলেছিলো "দেখো দেখো,সেই পুরোনো রেস্তরাঁ। "
এখনো সে কথা নীলের কানে বাজছে।একটু হেসে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে মনে মনে বলল,"কান্তা,আই মিস ইউ।আই মিস ইউ সো মাচ।"
হোটেল ব্রেক শেষ।গাড়ি ধীরে ধীরে গড়িয়ে হাই ওয়ে তে উঠে টানতে শুরু করলো।  এখন রাত প্রায় দু'টো বাজে।গাড়ি চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল প্রায় সাতটা আটটা বেজে যাবে।কান্তা প্রেগন্যান্ট, আর তিন চারদিনের মধ্যে ওদের ঘর আলো করে নতুন অতিথি আসবে। কিন্তু  কি জানি,এই ক্লান্ত-শ্রান্ত,শতত বিধ্বস্ত শরীর দেখে কান্তা কি বলবে! নিশ্চয়ই অভিমানের সুরে বলবে,"খুব কষ্ট হয়েছে না! আই এম সরি, আমার জন্য তোমাকে এতটা কষ্ট করতে হলো।"
কিন্তু কান্তা জানে,নীলের কাছে পৃথিবীর সব কিছু একদিকে আর কান্তা অন্যদিকে। ও সব কিছুকে ছেড়ে তুড়ি মেরে চলে আসতে পারে,কিন্তু কান্তাকে না।ওর জন্য পৃথিবীকে অবলীলায় ছেড়ে দিতে পারে নীল।এতটাই ভালোবাসে কান্তাকে।
কান্তার যেবার টাইফয়েড হয়েছিলো, সেবার প্রায় এক মাস কান্তাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি ও।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি। বসের কাছে ছুটি চেয়ে যখন পেলো না তখন অর্ধ লক্ষের উপরের সেলারিকে পায়ে দলে কান্তার পাশে পাশে ছিলো। কান্তা বারবার ওকে বলেছিলো, "চাকরী টা ছেড়ে দিও না,কর।আমি ঠিক হয়ে যাব।"
কিন্তু নীলের একটাই কথা, চাকুরী জীবনে বহু পাবো।কিন্তু তোমাকে পাবো না।আর আমার সামান্য চাকুরীর জন্য তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা।অবশ্য মাস খানেক পর যখন কান্তা সুস্থ হয়ে উঠলো তখন নীল আবার চাকুরীর জন্য চেষ্টা করতে শুরু করলো। মাস না যেতেই আরেকটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে নিয়োগ পেলো।  শুনেছি,ভাইভা বোর্ডে নাকি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলো,আগের চাকুরী টা কেন ছেড়েছে।ও সরাসরি বলেছিলো, "আমার ওয়াইফ অসুস্থ ছিলো তাই ছুটি চেয়েছিলাম । দেয়নি তাই ছেড়ে দিয়েছি । " ভাইভা বোর্ড নীলকে আবার যখন জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি কি তবে এ চাকুরীও ছেড়ে দিবেন, যদি আপনাকে ছুটি না দেয়া হয়? "
নীল বলেছিলো, "কান্তার জন্য ওর কাছে অন্য সব কিছু তুচ্ছ ।অন্য কোন কারনে ছুটি না পেলেও তার ওয়াইফ এর অসুস্থতার ব্যাপারে কোন কম্প্রোমাইজ করতে পারবে না। "
তারপর
কোম্পানি ওকে শুধু চাকুরীই দেয়নি বরং কোম্পানির এম ডি সাহেব ও তার ওয়াইফ নিজে এসেছিলেন কান্তার সাথে দেখা করতে।নীল কোম্পানির এমপ্লয়িদের মধ্যে সবচেয়ে স্মার্ট,হ্যান্ডসাম এবং জিনিয়াস হিসেবে ইতোমধ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মাসে সোয়া লাখের উপর সেলারি।কোম্পানির নিজস্ব বাসা পেয়েছে নীল। কান্তার বাবু হবে, নীল বারবার বলেছিলো, ঢাকা তেই থাকতে কিংবা ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করতে।কিন্তু কান্তা রাজি হয়নি।ওর একটাই কথা, প্রথম বাচ্চাটা বাবা-মার বাড়িতে হবে। ও বলে,"আমার বাচ্চা হবে আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদের হাত মাথায় নিয়ে।আমি হাসপাতালে যেতে চাই না।"
নীল অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওকে রাজি করাতে পারেনি।এমনকি এটাও বলেছিলো, "দরকার হলে আব্বা-আম্মাকে ঢাকায় নিয়ে আসি।এত বড় বাসা।আরো দশজন মানুষ থাকলেও কোন সমস্যা নেই।"  কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে কান্তাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হলো। এছাড়া নীলের বাবা-মা নেই। দু'জনেই ইহলোক ত্যাগ করেছে বহু আগে তাই কান্তার কথা ও ফেলতেও পারলো না।নিজেও হয়ত এরকম একটা কিছু অনুভব করেছিলো সে। কিন্তু নীল কান্তাকে চট্টগ্রাম পাঠিয়েই যে ক্ষান্ত হয়েছে তা নয়। সেখানে সার্বক্ষণিক একজন নার্স,দু'জন কাজের লোক রেখেছে। প্রতি দুই দিন পর পর একজন এম বি বি এস ডাক্তার এসে কান্তাকে চেক আপ করে যায়। আর বাচ্চার জন্য প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে যেখানে যে খেলনা ভালো লাগে কিনে কিনে নিয়ে যায়,ঢাকার বাসায় জমা করে।
এসব দেখে কান্তা হেসে কুটি কুটি হয়। প্রকাশ্যে বলে,"ওকে কি পেটের মধ্যেই খেলতে দিবা নাকি? "
আর কানে কানে বলে,"শুধু বাবুর জন্য এত কিছু! বাবুর আম্মুর জন্য কই!বাবুর আম্মুর প্রতি ভালবাসা কি কমে গেল না কি।" তারপর হেসে কুটিকুটি হয়।
আজকেও অনেক অনেক খেলনা নিয়ে যাচ্ছে ও।অফিসের কাজে রাজশাহী এসে যেখানে যা দেখেছে কিনেছে।কান্তার জন্য রাজশাহী সিল্ক,বাবুর জন্য কাপড়,খেলনা ইত্যাদি ।

গাড়ি এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। বেশ কিছুক্ষণ আগে ফেনী পার হয়ে চট্টগ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।পাহাড়ের উপর দিয়ে সকালের সূর্য আভা ধীরে ধীরে জানান দিচ্ছে নতুন একটা দিনের শুরুর।আশে পাশের রাস্তাঘাটে ক্রমেই জন যাতায়াত বাড়ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রিয় মানুষের কাছে পৌছানোর স্নায়ুবিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে নীলের সমস্ত দেহে।সারা রাতের ক্লান্তকর জার্নিকে যেন কিছুই মনে হচ্ছে না। চোখের সামনে অনাগত ভবিষ্যৎ এর সুখের কল্পনা। সমস্ত ঘর জুড়ে ছোট দু'খানা পায়ের চঞ্চল ছুটাছুটি, বাবার আদর,বাবুর মুখে প্রথম বাবা ডাক ইত্যাদি কেমন হবে তাই যেন ভেসে চলেছে নীলের কল্পনার আয়নায়।
গাড়ি দ্রুত এগিয়ে চলেছে । আর মিনিট ত্রিশের মধ্যে চট্টগ্রাম পৌছে যাবে।পাশ দিয়ে দ্রুত ছুটে যাচ্ছে সকালের বাস গুলো ঢাকা বা অন্যান্য জায়গার উদ্দেশ্যে।
তারপর হঠাৎই একটা ধাক্কা । একটা আর্তনাদ। তারপর সব শেষ।
সমস্ত ঘর জুড়ে ছোট দু'খানা পায়ের চঞ্চল ছুটাছুটি, বাবার আদর,বাবুর মুখে প্রথম বাবা ডাক সব কিছু সমাধিত হলো একটা আর্তনাদে ।ভবিষ্যৎ থমকে গেলো পিচ ঢালা পথের পাশে ছিটকে পড়া নিথর দেহে।।
তারপর.... ।
এর আর কোন পর নেই।
#নীলকান্ত®
  • ১০:৫১:০০ PM
এই শোন,
জেগে থেকো  । গভীর রাতে আসবো আমি কবিতা হয়ে।
হৃৎপিন্ডে হাতটা ধুয়ে বন্য কোন শব্দ হয়ে।
জেগে থেকো,
শব্দ পোড়া শবাসনে, শূন্য বুকের তৃষ্ণা নিয়ে।
গভীর রাতে আসবো দেখো,
ধ্রুপদী এক কবিতা হয়ে।।

বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৫

  • ১১:২৬:০০ AM
দেশের নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করতে প্রত্যেক নাগরিককে প্রয়োজনীয় আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সবার আগে দরকার।
-----------------------+-----
প্রশ্ন হলোঃ

আমরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে কি সম্পূর্নভাবে সচেতন?

আমরা কি আমাদের রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে ভালভাবে জানি?
উত্তরঃ
জানি না/আংশিক জানি/তেমন কিছু জানিনা
তাহলে,

আমরা পদে পদে বিভিন্ন পরিস্থিতি তে হয়রানির শিকার কেন হই?

সরকারি কিংবা বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর দূর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে কিভাবে?

রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে কেন?
উত্তরঃ
কি জানি? /বলতে পারবো না কিংবা এটা,ওটা,সেটা
কিন্তু আসলে একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন, এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একটা কথাতে লুকিয়ে আছে।আর তা হলোঃ "জনসাধারণ আইন সম্পর্কে সচেতন না এবং তারা আইন জানেন না। "
অর্থ্যাৎ জনগণ যদি আইন সম্পর্কে যথাযথ ওয়াকিবহাল হোন তবে এসকল সমস্যাগুলো হত না কিংবা হলেও তা মোকাবেলা করা যেত।
প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে?
উদাহরণ সরূপঃ
আপনি একজন নিরপরাধ ব্যক্তি।রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। এমন সময় কোন কারন ছাড়াই একজন পুলিশ কর্মকর্তা আপনাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায়(বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার) আটক করতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তার আটক করার অস্ত্র হলো তার উপর ন্যস্ত করা আইনি ক্ষমতা।যেখানে আপনাকে সন্দেহের বসে আটক করতেই পারে।(যদিও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নয়টি কারন উল্লেখ করা আছে।যেসব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে একজন পুলিশ অফিসার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন।)
কিন্তু সে সময় আপনার কি করণীয় আছে কিংবা আপনার কতটুকু আইনি অধিকার রয়েছে তা সম্পর্কে আপনি সচেতন না হলে বোকার মত চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
তিনি আপনাকে গ্রেফতার করার মত কোন কারন হয়ত পেলেন না কিন্তু আপনি হয়রানির শিকার হবেন।যদি এই হয়রানির শিকার যদি হতে না চাই তবে অন্তত নিজের আইনি অধিকার জানা আবশ্যক।
আচ্ছা,সে বিষয় না হয় গেলো।এবার ধরুন, আপনাকে মামুলি কোন  অপরাধে আটক করে মেজেস্ট্রেটের কাছে নেয়া হলো।সেক্ষেত্রে একজন ৩য় শ্রেনীর একজন মেজেস্ট্রেট আপনাকে ৫ বছরের জেল অথবা দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন।আপনিও বিনা দ্বিধায় পাঁচ বছরের জেলের পরিবর্তে দুই লাখ টাকা দেয়া শ্রেয় মনে করে টাকাই দিলেন।কিন্তু আপনি এটা জানলেন না যে, একজন তৃতীয় শ্রেনীর মেজেস্ট্রেটের  দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড দেয়ার এখতিয়ার নেই কিংবা দুই হাজার টাকার বেশি জরিমানা করবার।
এক্ষেত্রে যা হলো তা, মেজেস্ট্রেটের ভয়ে আপনি তাকে দূর্নীতি করতে সহায়তা করলেন। (এটা শুধুমাত্র উদাহরণ। আমি বলছি না যে,মেজেস্ট্রেটগণ কোন দূর্নীতি করেন।)কিন্তু আপনি যদি আইন এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতেন তবে আপনাকে অবশ্যই এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হত না।
আর আইনের ধারা এবং দন্ড সম্পর্কে সচেতন কোন নাগরিক সহজে কোন অপরাধ করতে সাহসও পাবেন না। কারন তিনি জানেন এই অপরাধের জন্য কি শাস্তি হতে পারে!
উদাহরণ শেষ। এবার মূল প্রসঙ্গে দুটি কথা বলি।
আমার লিখার প্রধান বিষয় ছিলো,
" দেশের নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করতে প্রত্যেক নাগরিককে প্রয়োজনীয় আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সবার আগে দরকার।"
উপরের উদাহরণ থেকে আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন সেটা কিভাবে সম্ভব!
এবার কথা হলো,হুম।দেশের নাগরিকদের আইন সম্পর্কে সচেতন করতে কি করা উচিত? কিংবা কিভাবে এটা করা যাবে?
উত্তরটা হচ্ছে,আইন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে।
কিন্তু যেহেতু আইন পরিবর্তনশীল এবং এটি সময় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে তাই এই শিক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা নির্দিষ্ট শ্রেনী(৪র্থ বা ৫ম শ্রেনী) হতে আইন বিষয়টি পাঠ্য পুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং কমপক্ষে এইচ এস সি পর্যন্ত আইন বিষয় বাধ্যতামূলক পড়তে হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইন সমূহ সকলেই জানবে। ফলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগার সাথে সাথে নিজের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।কেউ কোন ভাবে দূর্নীতি করতে গেলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবে এবং যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দপ্তর দ্বারা যেভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা হতে মুক্তি লাভ করবে।
কিন্তু
এইচ এস সি'র পরে যেহেতু আইন বিষয়ে আলাদা ভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা যায় তাই এ সময় বাধ্যতামূলক আইন পাঠ্য বিষয় জরুরী নয়।
সর্বশেষ কথাঃ
" জনগণ আইন সম্পর্কে সচেতন হলে দেশের দূর্নীতি প্রতিরোধ এবং নিজেদের অধিকার আদায় করা সম্ভব। আর দূর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে দেশও উন্নতি লাভ করবে এবং  দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।"
-নীলকান্ত ®ব্লগ

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

  • ১১:০০:০০ PM
রক্তজবা -২
যেদিন রক্তজবা আর মিনারের গল্প লিখেছিলাম, সেদিন
তুমি বলেছিলে, "কখনো কি তুমি মানুষ হবা না? "
তারপর -
অনেকটা দিন কেটে গেছে!
রক্তজবার পাপড়িগুলো গোলাপি থেকে ধূসর হয়েছে,
মিনারের গায়ে যে শুভ্র ফুল ফুটেছিলো,
তাও ঝড়ে পড়েছে একটা একটা করে।
নুইয়ে পড়েছে,
শিরা-উপশিরা টানটান করে থাকা সাধের মিনার!
চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে শুকিয়ে  কুঁকড়ে গেছে-
চুপসে থাকা সিক্ত গহ্বর!
রক্তজবার গোড়ায় ঘন ঘাস জেগেছে,
মিনারের দেয়াল বেয়ে একে বেঁকে
ছেয়ে গেছে জঞ্জালে!
দেখ,
আজ আমি কিন্তু মানুষ হয়েছি!
আর দশটা মানুষের মত।
তবুও যেন মানুষের মত না,
ভীষণ খরায় আগের মত তোমায় খুঁজি না,
রাত-বিরোতে রক্তজবার
গল্পও লিখি না।
নুইয়ে পড়া মিনারের গায়ে, শুভ্র ফুল ফোটে বটে,
কিন্তু-
তাতে গন্ধ থাকে কই!
বাগান ছাড়া মালী আমি-
বাগান মালিক নই!
#নীলকান্ত ®
  • ৭:২১:০০ PM
দূর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা দূর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আশা করা যায় না।
প্রশাসনকে দূর্নীতিমুক্ত করতে সরকার এ পদক্ষেপ, সে পদক্ষেপ, অমুকের বেতন বাড়ানো, তমুকের জন্য ওমুক আইন ইত্যাদি পেশ করে,পাশ করে কিংবা জারি করে ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হবেন না,যতক্ষন পর্যন্ত তার রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের দূর্নীতিমুক্ত করতে পারছেন।
একটু গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখুন, দেশে যত প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য দূর্নীতি হচ্ছে তা কোন না কোনভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়।প্রশাসন যখন রাজনৈতিকদের ক্রীড়ানকে পরিনত হন তখন স্বতন্ত্রভাবে প্রশাসনকে দূর্নীতিগ্রস্ত বলা যায় না,উচিতও না।
উদাহরণ সরূপঃ
ধরুন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।সার্কুলার দেয়া হলো।প্রার্থীগণ আবেদনও করলেন।এবার শুরু হলো ধরাধরি!
x  নামে ক্যান্ডিডেট  y নামে এক মন্ত্রীর সুপারিশ ধারী। " x" ব্যক্তি "y" এর সুপারিশ পাওয়ার জন্য " z" নামে একজন এমপি কিংবা স্থানীয় নেতার আশ্রয় নিলেন । z চাকুরী পাইয়ে দেবে বলে x কে প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং সেই মোতাবেক y এর নিকট উপস্থাপন করলেন।y সাফ জানিয়ে দিলো, x এর চাকুরীর জন্য a পরিমান অর্থ লাগবে।এবার z এসে x কে a+1  পরিমাণ অর্থের চাহিদা দিলেন। x তাতে রাজিও হলেন।
এবার যা হলো, x পরীক্ষার হলে গেলেন পরীক্ষায় অংশ নিতে।z এর লোকজন ইতোমধ্যে পরীক্ষার হল পরিদর্শক এবং অন্যান্যদের এটা বুঝালেন যে,তারা কারা! হল পরিদর্শক নিরুপায়। কারন তার ক্ষমতা z এর নিকট পাঁচ বছরের জন্য পানি পান্তা। y এর কথা বাদই দিলাম।সুতরাং যা হবার হচ্ছে!
কি কি হতে পারে?
* z প্রশ্নপত্রের কপি বাহিরে এনে সলভ করে x কে সরবরাহ করতে পারে।
* z পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেই প্রভাব খাটিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করাতে পারে।
* এমনকি x কে z এটাও বলতে পারে যে,সাদা খাতা জমা দিয়ে আসতে।
* z, x এর সাদা ওএমআর পরীক্ষা শেষে পূরন করেও দিতে পারে।
* এমনকি x পরীক্ষার খাতায় যা কিছু লিখুক না  কেন z উক্তীর্ণদের তালিকায় x এর নাম নিয়ে আসতে পারে।
(এগুলো চোখের সামনে দেখা।তাই বিরোধিতা করে লাভ নাই। এমনকি সেটা অনেকেই জানেনও।বিদ্র. ব্যতিক্রম হতেই পারে।)
এবার পরের স্টেজ । ভাইভা পরীক্ষা।
z এর অনুরোধে y ভাইভা বোর্ড নিয়ন্ত্রণ কারীকে x এর জন্য সরাসরি ফোন দিতে পারেন। (২০০৯ সালে পাবনা পুলিশ লাইনে,পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে পুলিশ সুপার #জনাব মাঝি  এমনি এক নেতার অনুরোধ রাখতে না পারায় তাকে বদলি করা হয় সাত দিনের মাথায়।এমনকি স্থানীয় ওই নেতার লোকজন এসে এক্সাম পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। নিজের চোখে দেখা। )
এমতাবস্থায়, নিয়ন্ত্রক অসহায়। বাধ্য হয়ে তিনি সব মেনে নিলেন।
(আমি শুধু মাত্র একটা দিকের একটা  উদাহরণ টানলাম, প্রশাসনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে এরকম অজস্র দূর্নীতির মূল হোতা নেতারা।)
এখন কথা হলো,
প্রশাসন যদি চায়ও যে তারা স্বচ্ছভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।তাহলেও তারা তা করতে পারেন না রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে।
অপরাপর, তাদেরকেও রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের দূর্নীতির সাগরেদ হতে হয়।
কিন্তু দোষের ভাগিদার শুধু হোন তারাই।
তাই যতক্ষণ প্রশাসনকে নিজের মত চলতে দেয়া হবে না,এবং প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক হর্তাকর্তাদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে না,ততক্ষণ পর্যন্ত দূর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আশা করা যাবে না।
তাহলে, নেতা খ্যাতারা কি করবে? তাদের হাতে তো কোন কাজই থাকলো না?
সাধারণ জনগণ নেতাদের নেতা নির্বাচন করেন তাদের মঙ্গলের জন্য।নেতাদের উচিত জনস্বার্থে কাজ করে যাওয়া।কোথায় জনগনের কি প্রয়োজন তা লক্ষ্য রাখা এবং সেই মোতাবেক স্বচ্ছভাবে সে কাজ সম্পন্ন করা।
শুধু এসি রুমে বসে বসে দূর্নীতির পরিকল্পনা আর মঞ্চে উঠে বড় বড় বক্তৃতা দেয়া নয়!

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

  • ৮:০২:০০ PM
প্রিয়তমা,
পৃথিবীর সকলের সামনে মুখে আত্মভুলানো হাসি টেনে কষ্ট লুকোনো গেলেও নিজের কাছ থেকে নিজেকে লুকোনো যায় না। আজ আমিও পারলাম না।জানি তুমিও পারছো না।
সে কথা ভেবে আর কষ্ট পেও না।যেনে রেখো, কেউ কখনো তা পারে না।আমি কিংবা তুমি কিংবা অন্য কেউ,কেউই না।
আজ খেতে বসে গলা দিয়ে খাবার নীচে নামছিলো না। বুকের ভেতরটাতে হঠাৎ করেই সেই চিনচিনে ব্যাথা শুরু হলো। অনেক কষ্টে হাতের কাছের পানির জগটা নিয়ে দু ঢোক পানি দিয়ে কোন মত গলাধঃকরণ করলাম। কিন্তু তারপর আর কিছু ভেতরে গেলো না।বাধ্য হয়ে হাত ধুয়ে উঠে দাঁড়ালাম। সত্যি বলছি,আমি খুব চেষ্টা করেছি আরেকটু খেতে কিন্তু পারিনি।
চোখের সামনে জলে ভেজা আবছা স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো ধীরে ধীরে।ভুলে যাবো বলে নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় ঘরের বাতাস ভারী হয়ে এলো,কিন্তু ভুলতে পারলাম না। সেই সব  দিনগুলি,সেই সব স্বপ্ন যা দেখেছিলাম তুমি আমি এক সাথে তা চোখের সামনে এসে উপহাস করতে শুরু করলো। আমি তাদের তাড়াতে পারিনি।
চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে বের হলাম রাস্তায়। ব্যস্ত মানুষের ভীরে যদি কষ্টগুলো কে লুকিয়ে রাখা যায় তাই ভেবে।কিন্তু সেখানেও তুমি,তোমার আমার শত সহস্র স্মৃতিদের আনাগোনা।
মনে আছে তোমার?
রাস্তা পার হতে গেলেই তুমি আমার হাত খানা শক্ত করে ধরে থাকতে।আর যতবারই রাস্তা দিয়ে হেটে যেতাম ততবারই তোমার একটা আঙুল খেলা করত আমার হাতের তালুতে ।তুমি হয়ত মনে করতে,আমি বুঝি হারিয়ে যাবো ব্যস্ত রাস্তায় ব্যস্ত মানুষের ভীরে! কিংবা আমার হাতটা ধরে চির নিরাপত্তা আর ভরসা অনুভব করতে মনে মনে।
জানো,
আমিও তোমার হাতটা ধরে চিরদিন এমনি করে পথ চলার কথা ভেবেছি তখন।ভাবতাম, সারা জীবন যেন আমার হাতের তালুতে তোমার আঙুল এভাবেই খেলতে থাকে।চির সবুজ হয়ে থাকে আমাদের ভালোবাসা বার্ধ্যক্যের শেষ বেলাতেও।
কিন্তু দেখ,
কি আচানক সব কিছু বদলে গেলো জীবন থেকে! চোখের পলকে এতদিনের গড়ে তোলা স্বপ্ন গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। বিনা অপরাধে নির্বাসিত হলাম দুজন দুজনার জীবন থেকে । কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চরম ত্যাগের মহিমা স্থাপন করলে তুমি। সেই সাথে চিরদিনের জন্য একটা মুখের হাসি হারিয়ে গেলো স্বার্থপর পৃথিবীর মানুষের থেকে ।।
আজকেও দিন শেষে নিয়ন বাতির শহুরে রাতে ব্যস্ত রাস্তায় যখন পার হচ্ছিলাম,তখন নিজের অজান্তেই একটা হাত পেছনে বাড়িয়ে দিয়েছি তুমি ধরবে বলে।কিন্তু দ্রুত ধেয়ে আসা রিক্সার হ্যান্ডেলে বারি খেয়ে নিজের জ্ঞান ফিরে এলো।বুঝলাম, তুমি নেই।তুমি তো আর থাকবে না!হাত গুটিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে গেলাম। নিকোটিনের শলাকা হাত থেকে মুখে চলে এলো আপনা আপনি।  তারপর এক গাল ধোয়ার কুন্ডলী ছেড়ে তোমার স্মৃতিকে ছড়িয়ে দিলাম দুর আকাশে।
হয়ত এভাবেই ছড়িয়ে দিতে হবে সারাটি জীবন ভর। কিন্তু তুমি যেখানেই থাকো, সুখে থেকো । খুব বেশি মনে পড়লে আকাশের তারাদের গুনো।আর ইচ্ছে মত কোন একটা কে ভেবে নিও,সেটা আমি।
একদিন আমাকেও তো আকাশের তারা হতে হবে,তাই না? সেই তারাটা না হয় আজ থেকেই স্থির করে রেখো!
ভালো থেকো।
ইতি
নীলকান্ত®
  • ১২:০২:০০ PM
জীবনের ভুল গুলো থেকে মানুষ শিক্ষা পায়।কিন্তু আমার মনে হয়, আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে ভুলের উপর ভুল করি!
ছোটবেলা থেকে আজ অবধি যত ভুল করেছি তার প্রত্যেকটা যদি একটার পর একটা সাজাই তবে তা মাউন্ট এভারেস্ট হয়ে যাবে। আর সে জন্যেই নিজের ভুলের মাঝে কখনো কখনো খেই হারিয়ে ফেলি । কি করব? কি করা উচিত? কোনটা করা উচিত না? কিংবা কোন কাজ করতে গিয়ে বার বার মনে হয়, এটা করা ঠিক হচ্ছে তো? এরকম শত সহস্র সিদ্ধান্ত হীনতার জন্ম আমার ভুল থেকে।তারপরেও সব কিছু ঠেলে যখন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই,তখনই আবার কোন না কোন ভুল করে বসি।আর সে ভুল জীবনের তিল তিল করে গড়ে তোলা ছোট ছোট স্বপ্নের প্রাসাদ টা নিমিষে ধুলিষ্যাৎ করে দেয়।
নিজের প্রতি প্রচন্ড রাগ হয়,আর বিধাতার প্রতি অভিমান।
বারবার আমিই কেন!
আমাকেই কেন এত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়? আমারো তো ইচ্ছে করে নিজেকে নিজের মত করে বাঁচতে,নিজের মত করে নিজেকে গড়তে।
তবে কেন বারবার আমিই হোচট খাই?
তবে কি বিধাতা অন্য সবার জন্য,আমার জন্য নয়?? 
প্রচন্ড হতাশা, রাগ,অভিমান বাসা বাধে মনে। নিজের বিবেকের দংশন,প্রতিবেশীর ভ্রুকুটি, বন্ধু-বান্ধবের স্বার্থপর অবহেলা, পরিবারের সদস্যদের অসহায় মুখ গুলো আমাকে উপহাস করে।
ইচ্ছে হয়, পৃথিবীকে গুডবাই জানিয়ে উপরের জগতে চলে যাই।কিন্তু যে আমি অন্যদের এ পথে যেতে বারন করি,যে আমি অন্যদের হতাশাগ্রস্ততার উপর আশার প্রলেপ দেই কথায় কিংবা কাজে, সেই আমি এত হীন সিদ্ধান্ত নেই কি করে???
আমি যদি আত্মহত্যার মত বাজে,নিচু,ফালতু একটা সিদ্ধান্ত নেই তবে যারা আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রুকুটি করে,যারা আমায় দেখে উপহাসের হাসি ঠোটের কোণায় লাগিয়ে মিটিমিটি হাসে তারাই তো জিতে যাবে।
আমার বন্ধ নিঃশ্বাসের আড়ালে দাড়িয়ে তারা আরো মজা উড়াবে আমাকে নিয়ে! কিন্তু আমি সেটা কি করে হতে দিতে পারি??
নিজের ব্যর্থতার সকল দায়-ভার নিজের কাধে নিয়ে আমি আরেকবার ঘুরে দাড়ানোর শপথ নেই। যেটা হয়নি তা যে হবে না তা ত না।তাই নতুন করে স্বপ্ন সাজাই।আবারো স্বপ্ন দেখি বেঁচে থাকার,নিজের স্বপ্ন গুলোর সফল পরিনতি দেখার।।
আমাকে যে পারতেই হবে।।।
Writer information NILKANTO