প্রিয়তমা,
পৃথিবীর সকলের সামনে মুখে আত্মভুলানো হাসি টেনে কষ্ট লুকোনো গেলেও নিজের কাছ থেকে নিজেকে লুকোনো যায় না। আজ আমিও পারলাম না।জানি তুমিও পারছো না।
সে কথা ভেবে আর কষ্ট পেও না।যেনে রেখো, কেউ কখনো তা পারে না।আমি কিংবা তুমি কিংবা অন্য কেউ,কেউই না।
সে কথা ভেবে আর কষ্ট পেও না।যেনে রেখো, কেউ কখনো তা পারে না।আমি কিংবা তুমি কিংবা অন্য কেউ,কেউই না।
আজ খেতে বসে গলা দিয়ে খাবার নীচে নামছিলো না। বুকের ভেতরটাতে হঠাৎ করেই সেই চিনচিনে ব্যাথা শুরু হলো। অনেক কষ্টে হাতের কাছের পানির জগটা নিয়ে দু ঢোক পানি দিয়ে কোন মত গলাধঃকরণ করলাম। কিন্তু তারপর আর কিছু ভেতরে গেলো না।বাধ্য হয়ে হাত ধুয়ে উঠে দাঁড়ালাম। সত্যি বলছি,আমি খুব চেষ্টা করেছি আরেকটু খেতে কিন্তু পারিনি।
চোখের সামনে জলে ভেজা আবছা স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো ধীরে ধীরে।ভুলে যাবো বলে নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় ঘরের বাতাস ভারী হয়ে এলো,কিন্তু ভুলতে পারলাম না। সেই সব দিনগুলি,সেই সব স্বপ্ন যা দেখেছিলাম তুমি আমি এক সাথে তা চোখের সামনে এসে উপহাস করতে শুরু করলো। আমি তাদের তাড়াতে পারিনি।
চোখের সামনে জলে ভেজা আবছা স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো ধীরে ধীরে।ভুলে যাবো বলে নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় ঘরের বাতাস ভারী হয়ে এলো,কিন্তু ভুলতে পারলাম না। সেই সব দিনগুলি,সেই সব স্বপ্ন যা দেখেছিলাম তুমি আমি এক সাথে তা চোখের সামনে এসে উপহাস করতে শুরু করলো। আমি তাদের তাড়াতে পারিনি।
চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে বের হলাম রাস্তায়। ব্যস্ত মানুষের ভীরে যদি কষ্টগুলো কে লুকিয়ে রাখা যায় তাই ভেবে।কিন্তু সেখানেও তুমি,তোমার আমার শত সহস্র স্মৃতিদের আনাগোনা।
মনে আছে তোমার?
রাস্তা পার হতে গেলেই তুমি আমার হাত খানা শক্ত করে ধরে থাকতে।আর যতবারই রাস্তা দিয়ে হেটে যেতাম ততবারই তোমার একটা আঙুল খেলা করত আমার হাতের তালুতে ।তুমি হয়ত মনে করতে,আমি বুঝি হারিয়ে যাবো ব্যস্ত রাস্তায় ব্যস্ত মানুষের ভীরে! কিংবা আমার হাতটা ধরে চির নিরাপত্তা আর ভরসা অনুভব করতে মনে মনে।
জানো,
আমিও তোমার হাতটা ধরে চিরদিন এমনি করে পথ চলার কথা ভেবেছি তখন।ভাবতাম, সারা জীবন যেন আমার হাতের তালুতে তোমার আঙুল এভাবেই খেলতে থাকে।চির সবুজ হয়ে থাকে আমাদের ভালোবাসা বার্ধ্যক্যের শেষ বেলাতেও।
কিন্তু দেখ,
কি আচানক সব কিছু বদলে গেলো জীবন থেকে! চোখের পলকে এতদিনের গড়ে তোলা স্বপ্ন গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। বিনা অপরাধে নির্বাসিত হলাম দুজন দুজনার জীবন থেকে । কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চরম ত্যাগের মহিমা স্থাপন করলে তুমি। সেই সাথে চিরদিনের জন্য একটা মুখের হাসি হারিয়ে গেলো স্বার্থপর পৃথিবীর মানুষের থেকে ।।
মনে আছে তোমার?
রাস্তা পার হতে গেলেই তুমি আমার হাত খানা শক্ত করে ধরে থাকতে।আর যতবারই রাস্তা দিয়ে হেটে যেতাম ততবারই তোমার একটা আঙুল খেলা করত আমার হাতের তালুতে ।তুমি হয়ত মনে করতে,আমি বুঝি হারিয়ে যাবো ব্যস্ত রাস্তায় ব্যস্ত মানুষের ভীরে! কিংবা আমার হাতটা ধরে চির নিরাপত্তা আর ভরসা অনুভব করতে মনে মনে।
জানো,
আমিও তোমার হাতটা ধরে চিরদিন এমনি করে পথ চলার কথা ভেবেছি তখন।ভাবতাম, সারা জীবন যেন আমার হাতের তালুতে তোমার আঙুল এভাবেই খেলতে থাকে।চির সবুজ হয়ে থাকে আমাদের ভালোবাসা বার্ধ্যক্যের শেষ বেলাতেও।
কিন্তু দেখ,
কি আচানক সব কিছু বদলে গেলো জীবন থেকে! চোখের পলকে এতদিনের গড়ে তোলা স্বপ্ন গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। বিনা অপরাধে নির্বাসিত হলাম দুজন দুজনার জীবন থেকে । কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চরম ত্যাগের মহিমা স্থাপন করলে তুমি। সেই সাথে চিরদিনের জন্য একটা মুখের হাসি হারিয়ে গেলো স্বার্থপর পৃথিবীর মানুষের থেকে ।।
আজকেও দিন শেষে নিয়ন বাতির শহুরে রাতে ব্যস্ত রাস্তায় যখন পার হচ্ছিলাম,তখন নিজের অজান্তেই একটা হাত পেছনে বাড়িয়ে দিয়েছি তুমি ধরবে বলে।কিন্তু দ্রুত ধেয়ে আসা রিক্সার হ্যান্ডেলে বারি খেয়ে নিজের জ্ঞান ফিরে এলো।বুঝলাম, তুমি নেই।তুমি তো আর থাকবে না!হাত গুটিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে গেলাম। নিকোটিনের শলাকা হাত থেকে মুখে চলে এলো আপনা আপনি। তারপর এক গাল ধোয়ার কুন্ডলী ছেড়ে তোমার স্মৃতিকে ছড়িয়ে দিলাম দুর আকাশে।
হয়ত এভাবেই ছড়িয়ে দিতে হবে সারাটি জীবন ভর। কিন্তু তুমি যেখানেই থাকো, সুখে থেকো । খুব বেশি মনে পড়লে আকাশের তারাদের গুনো।আর ইচ্ছে মত কোন একটা কে ভেবে নিও,সেটা আমি।
হয়ত এভাবেই ছড়িয়ে দিতে হবে সারাটি জীবন ভর। কিন্তু তুমি যেখানেই থাকো, সুখে থেকো । খুব বেশি মনে পড়লে আকাশের তারাদের গুনো।আর ইচ্ছে মত কোন একটা কে ভেবে নিও,সেটা আমি।
একদিন আমাকেও তো আকাশের তারা হতে হবে,তাই না? সেই তারাটা না হয় আজ থেকেই স্থির করে রেখো!
ভালো থেকো।
ভালো থেকো।
ইতি
নীলকান্ত®
নীলকান্ত®