:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

  • ৭:২১:০০ PM
দূর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা দূর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আশা করা যায় না।
প্রশাসনকে দূর্নীতিমুক্ত করতে সরকার এ পদক্ষেপ, সে পদক্ষেপ, অমুকের বেতন বাড়ানো, তমুকের জন্য ওমুক আইন ইত্যাদি পেশ করে,পাশ করে কিংবা জারি করে ততক্ষণ পর্যন্ত সফল হবেন না,যতক্ষন পর্যন্ত তার রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের দূর্নীতিমুক্ত করতে পারছেন।
একটু গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখুন, দেশে যত প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য দূর্নীতি হচ্ছে তা কোন না কোনভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়।প্রশাসন যখন রাজনৈতিকদের ক্রীড়ানকে পরিনত হন তখন স্বতন্ত্রভাবে প্রশাসনকে দূর্নীতিগ্রস্ত বলা যায় না,উচিতও না।
উদাহরণ সরূপঃ
ধরুন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।সার্কুলার দেয়া হলো।প্রার্থীগণ আবেদনও করলেন।এবার শুরু হলো ধরাধরি!
x  নামে ক্যান্ডিডেট  y নামে এক মন্ত্রীর সুপারিশ ধারী। " x" ব্যক্তি "y" এর সুপারিশ পাওয়ার জন্য " z" নামে একজন এমপি কিংবা স্থানীয় নেতার আশ্রয় নিলেন । z চাকুরী পাইয়ে দেবে বলে x কে প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং সেই মোতাবেক y এর নিকট উপস্থাপন করলেন।y সাফ জানিয়ে দিলো, x এর চাকুরীর জন্য a পরিমান অর্থ লাগবে।এবার z এসে x কে a+1  পরিমাণ অর্থের চাহিদা দিলেন। x তাতে রাজিও হলেন।
এবার যা হলো, x পরীক্ষার হলে গেলেন পরীক্ষায় অংশ নিতে।z এর লোকজন ইতোমধ্যে পরীক্ষার হল পরিদর্শক এবং অন্যান্যদের এটা বুঝালেন যে,তারা কারা! হল পরিদর্শক নিরুপায়। কারন তার ক্ষমতা z এর নিকট পাঁচ বছরের জন্য পানি পান্তা। y এর কথা বাদই দিলাম।সুতরাং যা হবার হচ্ছে!
কি কি হতে পারে?
* z প্রশ্নপত্রের কপি বাহিরে এনে সলভ করে x কে সরবরাহ করতে পারে।
* z পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেই প্রভাব খাটিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করাতে পারে।
* এমনকি x কে z এটাও বলতে পারে যে,সাদা খাতা জমা দিয়ে আসতে।
* z, x এর সাদা ওএমআর পরীক্ষা শেষে পূরন করেও দিতে পারে।
* এমনকি x পরীক্ষার খাতায় যা কিছু লিখুক না  কেন z উক্তীর্ণদের তালিকায় x এর নাম নিয়ে আসতে পারে।
(এগুলো চোখের সামনে দেখা।তাই বিরোধিতা করে লাভ নাই। এমনকি সেটা অনেকেই জানেনও।বিদ্র. ব্যতিক্রম হতেই পারে।)
এবার পরের স্টেজ । ভাইভা পরীক্ষা।
z এর অনুরোধে y ভাইভা বোর্ড নিয়ন্ত্রণ কারীকে x এর জন্য সরাসরি ফোন দিতে পারেন। (২০০৯ সালে পাবনা পুলিশ লাইনে,পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে পুলিশ সুপার #জনাব মাঝি  এমনি এক নেতার অনুরোধ রাখতে না পারায় তাকে বদলি করা হয় সাত দিনের মাথায়।এমনকি স্থানীয় ওই নেতার লোকজন এসে এক্সাম পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। নিজের চোখে দেখা। )
এমতাবস্থায়, নিয়ন্ত্রক অসহায়। বাধ্য হয়ে তিনি সব মেনে নিলেন।
(আমি শুধু মাত্র একটা দিকের একটা  উদাহরণ টানলাম, প্রশাসনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে এরকম অজস্র দূর্নীতির মূল হোতা নেতারা।)
এখন কথা হলো,
প্রশাসন যদি চায়ও যে তারা স্বচ্ছভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।তাহলেও তারা তা করতে পারেন না রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে।
অপরাপর, তাদেরকেও রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের দূর্নীতির সাগরেদ হতে হয়।
কিন্তু দোষের ভাগিদার শুধু হোন তারাই।
তাই যতক্ষণ প্রশাসনকে নিজের মত চলতে দেয়া হবে না,এবং প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক হর্তাকর্তাদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে না,ততক্ষণ পর্যন্ত দূর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আশা করা যাবে না।
তাহলে, নেতা খ্যাতারা কি করবে? তাদের হাতে তো কোন কাজই থাকলো না?
সাধারণ জনগণ নেতাদের নেতা নির্বাচন করেন তাদের মঙ্গলের জন্য।নেতাদের উচিত জনস্বার্থে কাজ করে যাওয়া।কোথায় জনগনের কি প্রয়োজন তা লক্ষ্য রাখা এবং সেই মোতাবেক স্বচ্ছভাবে সে কাজ সম্পন্ন করা।
শুধু এসি রুমে বসে বসে দূর্নীতির পরিকল্পনা আর মঞ্চে উঠে বড় বড় বক্তৃতা দেয়া নয়!
Writer information NILKANTO