:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

  • ৮:১১:০০ PM



কর্ণেল মিথঃ শেষ রাতের খুন


হঠাৎ চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেলো।কত বাজে দেখতে দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকালাম। ঘরের মৃদু আলোয় দেয়াল ঘড়ির কাটাটা প্রায় তিনটা ছুই ছুই দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু এত রাতে চেঁচামেচি করে কারা?না এখন ফজরের নামাজ শুরু হয়েছে যে লোকজন রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে যাবে,না এটা কোন বাজার এলাকা! বরং শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটা নির্জন পাঁচতালা বাসার চারতলায় থাকি আমি। আর শহর থেকে এই দূরে এসে থাকাটার একমাত্র কারন হলো , আমার সাধের ঘুমের যেন ব্যাঘাত না ঘটে।কিন্তু এই এত রাতে হঠাৎ চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙায় একটু রাগই হলো। চোখটা সামান্য ডলে বালিশের পাশে রাখা ফোনটা হাতে নিলাম। রাস্তার লোক গুলো কে আচ্ছা মত দু'টো কথা শোনানোর প্রবল ইচ্ছে নিয়ে বারান্দায় এসে হাজির হলাম। কিন্তু যা দেখলাম তাতে কথা শুনানো তো দূরে থাক চোখ চড়কগাছে!

বাসার সামনেই প্রায় গজ পঞ্চাশেক দূরে ডান দিকের ল্যাম্পপোস্টটার নীচে মানুষের জটলা। যেন কিছু একটা ঘিরে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু কি সেটা? দেখার কৌতুহল নিয়ে ছাদে গেলাম।যা দেখলাম তাতে স্বাভাবিক ভাবেই একটা শকড খেলাম বৈ কি।তড়িঘড়ি করে গায়ের জামাটা লাগিয়ে নীচে নেমে গেলাম দেখতে ।ভীরের কাছে যেতেই সবাই সামনে থেকে সরে জায়গা করে দিলো।
গত এগারো বছর ধরে আছি এখানে। এ এলাকায় যে ক'জন মানুষের বাস তারা সবাই আমাকে ভাল করে চিনে। ভীরের দিকে তাকিয়ে বললাম,
"কেউ পুলিশে খবর দিয়েছেন? "
কেউ কিছু বলল না।একজন সামনে এগিয়ে এসে বলল,"স্যার,দশ পনের মিনিট আগে আমি পানি ছাড়ার জন্যি বাহির হইছি। হয়া দেখি এই অবস্থা।
ভয়ে আমি চিৎকার মারলি ওরা সব বাড়ায়ে আসে।"
"এখনো কাউরে কিছু কই নাই স্যার। "

আমি পকেট থেকে সেল ফোনটা হাতে নিয়ে বগুড়া সদরের ওসি নাজমুল সাহেব কে ফোন দিলাম। ও পাশ থেকে ঘুম ঘুম কন্ঠে ফোন রিসিভ করেই সালাম দিলো।
"সালামু আলাইকুম স্যার, এত রাতে? কোন সমস্যা স্যার? "
আমি সংক্ষেপে ঘটনাটা খুলে বললাম। ও পাশ থেকে নাজমুল সাহেব ফোন রাখতে রাখতে বললেন, "স্যার, ১০ মিনিটের মধ্যে চলে আসছি স্যার। "
আমি যদিও জানি, বিশ মিনিটের মধ্যে উনি আসবেন না,তবুও বললাম, "ঠিক আছে চলে আসেন।"

ভীরের কাছে ফিরে সবাইকে কিছুটা দূরে সরে থাকতে বললাম।ইতোমধ্যে লোকজনের সংখ্যাও বেড়ে গেছে।এমতাবস্থায় এভিডেন্স নষ্ট হওয়ার একটা ভয় থাকেই। যেহেতু ওসি সাহেব আসতে খানিকটা দেরী হচ্ছে তাই নিজের মত কিছু তথ্য সংগ্রহ করার জন্য উপস্থিত সকলের একটা ফেস ভিডিও এবং কয়েকটা স্থির চিত্র নিলাম।আর সেই সাথে রাস্তায় পরে থাকা লাশের।এতে ঘটনাস্থলে কারা কারা তাৎক্ষনাত উপস্থিত ছিলো তার একটা বিশ্বস্ত রেকর্ড থাকলো এবং লাশের অবস্থার।

লাশটাকে ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম।যুবক ছেলে।বয়স কত আর হবে,এই ছাব্বিশ সাতাস । গায়ে হাফ হাতা ব্লু টি শার্ট,পরনে ব্লাক জিন্স প্যান্ট। তবে একটা আভিজাত্য আছে চেহারায় এবং পোশাকে, তা দেখলেই বুঝা যায়।হাতে চেনওয়ালা ঘড়ি,পায়ে এপেক্স এর কেডস।বাম পায়ের চেয়ে ডান পায়ের গোড়ালিতে জুতোর ক্ষয় বেশি। জুতোতে ঘাস ও কাদা লেগে আছে,আর একটা ধানের পাতা। বুঝাই যাচ্ছে মৃত্যুর আগে বেশ খানিকটা ধস্তাধস্তি চলেছে অপরাধীর সাথে।তবে অপরাধী একজন হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। সুপরিকল্পিত মার্ডার এটা। (লাশ খুনের স্পট থেকে দূরে ফেলা হয়েছে)

যাই হোক,বেশ কিছুক্ষণ সময় চলে গেছে।ওসি সাহেবের দশ মিনিট অতবাহিত হয়ে আধা ঘন্টা হলো প্রায়।এখনো তার দেখা নেই।এমনকি তার গাড়ির টিকিটিও দেখতে পাচ্ছি না।

আমি নিজের মত করে লাশের একটা সুরতহাল করলাম নিজের প্রয়োজনের জন্যই।এবার ভীরের দিকে লক্ষ্য করে বললাম,লাশটাকে কেউ চিনে কিনা?
সবাই অস্বীকার করলো। অর্থ্যাৎ কেউই চিনে না।এলাকার হলে অবশ্যই চিনতে পারত।কেননা এই আশে পাশের আধা কিলো মিটার এর মধ্যে মাত্র দু'টি বাড়ি আর একটি দোকান ঘর ছাড়া কিছু নেই।সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেক লোক থাকে এখানে। তার মধ্যে আমার পাঁচ তলা বাসায় থাকেন ছেলে-বুড়ো-বুড়ি-বউ বাচ্চা সহ মোট জনা ত্রিশ লোক। রাস্তার অপজিটে আজাদ সাহেবের বাসায় জনা পনেরো ষোলজন । আর দু'জন তো সবসময় দোকানেই থাকে,রহমান আর ওর বউ। অতএব, এখানকার বা আশে পাশের কেউ হলে নিশ্চয়ই চিনতে পারত। আর ভীরের মধ্যে যারা আছেন তারা সবাই প্রায় এ পাড়ারই, চার পাঁচ জন ছাড়া।

যাই হোক,
>>সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ুন


মৃত মানুষের সাথে সফর


অমীমাংসিত প্রশ্নঃ(মৃত মানুষের যখন সফরসঙ্গী) 
(কেউ উত্তর জানলে বলবেন প্লিজ)

আমার সাথে দু'একটা অতি অলৌকিক ঘটনা না ঘটলে আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না যে, জ্বিন-ভূত বলে কিছু আছে।
এখনো মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতে চাইনা।আর এই জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে ভূত-প্রেতে বিশ্বাস একেবারেই বেমানান। তবে এই পৃথীবিতে এখনো অনেক বিষয় আছে যা অমীমাংসিত। যার কোন সদুত্তর কেউ দিতে পারেনি।
আমার জীবনে তেমনি একটা অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়ে গেছে।আমি অনেককেই এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছি কিন্তু কোন যুক্তিসংগত উত্তর পাইনি।আজ তাই সবার কাছে আমি সেই প্রশ্নটা আরেকবার করতে চাই।
তার আগে ঘটনাটা বলি,
মাঘ মাসের কনকনে শীতের রাত।আমি সেদিন রাতের ট্রেনে বগুড়া থেকে বাড়ি ফিরছি।রাত দশটা  বিশে রংপুর এক্সপ্রেসে উঠলাম।যেহেতু চাটমোহর স্টেশনে রংপুর এক্সপ্রেস দাড়ায় না তাই বাধ্য হয়ে বড়ালব্রীজের টিকিট কাটতে হলো।  বগুড়া থেকে বড়ালব্রীজ পৌছাতে রাত আড়াইটে বেজে গেলো। 
ছোট্ট একটা স্টেশন।দু' একটা দোকান খোলা আছে।দেখে শুনে এক চায়ের দোকানে বসলাম।আর মনে মনে ভাবলাম, আজ আর বাড়ি যাবো না।স্টেশনেই সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তাই আরাম করে পায়ের উপর পা তুলে বসে বসে চা-সিগারেট খাচ্ছি। প্রায় আধা ঘন্টা হয়ে গেলো এভাবে বসে থাকতে থাকতে।এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় চারদিকে ঢেকে আসছে। নিজের অযাচিত বোকামির জন্য নিজের কাছেই রাগ হচ্ছে!  
মনে মনে ভাবলাম, 

শেষ যাত্রা/The Last Journey (ছোট গল্প)


সুনসান নীরবতা চারিদিকে।গাড়ির মধ্যে যে ক'জন যাত্রী আছে তারাও সবাই অঘোর ঘুমে অচেতন। শুধু নীলের চোখে ঘুম নেই।সাধারণত গাড়িতে উঠলে ঘুম-টুম আসে না ওর।কিন্তু শরতের নাতিশীতোষ্ণ এমন এক রাতে বাহিরের খোলা হাওয়া যখন মুখে এসে লাগে তখন ঘুম আপনা আপনি চলে আসে।নীলও খানিকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলো বৈ কি! কিন্তু হঠাৎ করে চেতনা ফিরে সামনে তাকাতেই রাতের অপূর্ব সৌন্দর্য ওর ঘুম কেরে নিলো।সত্যি অপূর্ব সুন্দর লাগছে। যতদূর চোখ যায় টানা রাস্তা। একদম ফাঁকা।
শা শা করে গাড়ি এগিয়ে চলছে কিন্তু
ফাঁকা রাস্তার দু পাশে দাড়িয়ে থাকা গাছ গুলোর উপর গাড়ির হেড লাইট পড়ে মনে হচ্ছে কোন গুহার মধ্যে স্থির দাড়িয়ে আছে গাড়িটা আর দু পাশের গাছ গুলো দ্রুত সরে যাচ্ছে পেছন দিকে। বহুদূর পর্যন্ত কোন যানবাহনের চিহ্ন চোখে পড়ছে না।যেন অন্য কোন পৃথিবীতে, অন্য কোন রাস্তা এটা।কিন্তু ছোট বেলা থেকে কতবার যে এ রাস্তায় যাতায়াত করেছে তার হিসেব নেই। আসে পাশের সব কিছু নীলের নখ দর্পণে। তারপরেও সব কিছু অচেনা, ভারী অচেনা লাগছে আজ।
নীল ওর ব্যাগ থেকে হেডফোন টা বের করে কানে লাগালো।এই মুহূর্তে ও কোন গান শুনবে না, ওর নাকি গভীর রাতে গান শুনার চেয়ে ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনতে ভালো লাগে। তাও সলো মিউজিক।বিশেষ করে গিটার কিংবা সেতারের । ফোন ঘেটে ঘুটে বেশ কয়েকটা মিউজিক সিলেক্ট করে রিপিট অল করে দিলো। হেডফোনের ভলিউম টা মাঝামাঝি রেখে হেলান দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে এই প্রকৃতি উপভোগ করার মজাটাই আলাদা।এর আগেও যতবার কোথাও গেছে সে ট্রেনেই হোক আর বাসেই হোক,এই মজাটা নিতে ভুলে নি।
ওর মতে,
"যদি দু'চোখ ভরে পৃথিবীকে দেখতেই না পেলাম তবে এ দু'চোখের মূল্য কি!  প্রাণ ভরে কোন কিছু দেখার চেয়ে আনন্দের কিছু নাই।সে রমনীই হোক আর প্রকৃতিই হোক।তাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এই আনন্দ আমি মিস করতে চাই না।"
গাড়ি দ্রুত বেগে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে,আর দু'পাশের গাছ গুলো সরে যাচ্ছে পেছনে। অনেক ক্ষন পরপর দু'একটা নাইট কোচ কিংবা ট্রাক হেড লাইট উচু করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে শা শা করে। ওর কানের মধ্যে এখন অনুপমের "প্রিয়তমা" গানটার "গীটার" বাজছে।অসাধারণ সুন্দর গানের লিরিকটা।
"চলে এসো আজ এ রাতে,
চলে এসো আমার কাছে...  প্রিয়তমা। "
গানটা প্রথম ওকে কান্তা শুনিয়েছিলো।বলেছিলো, 
>>সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ুন


আরো গল্পঃ 

ক্রমিক গল্পের শিরোনাম লেখক গল্পের ধরন 
অদৃশ্য নুপুরের শব্দ নীলকান্ত (ছদ্ম) ভৌতিক
এক শ্রাবনের বিকেলে নীলকান্ত (ছদ্ম) প্রেম
কর্ণেল মিথঃ শেষ রাতের খুন নীলকান্ত (ছদ্ম) গোয়েন্দা
ভূতের গল্পঃ ঘোর..! নীলকান্ত (ছদ্ম) ভৌতিক
ছোট গল্পঃ ক্যান?? নীলকান্ত (ছদ্ম) সামাজিক
নায়িকা ও আমি নীলকান্ত #১ম অংশ(ছোট গল্প) নীলকান্ত (ছদ্ম) প্রেম
ভূতের গল্পঃ প্লানচেট নীলকান্ত (ছদ্ম) ভৌতিক
ভূতের গল্পঃ বড় ব্রীজের ভূত নীলকান্ত (ছদ্ম) ভৌতিক
মতি চোরা ও ডাইনির গল্প নীলকান্ত (ছদ্ম) ভৌতিক
১০ মৃত মানুষের সাথে সফর নীলকান্ত (ছদ্ম) ভৌতিক
১১ মেয়েটির নাম "নিশা" নীলকান্ত (ছদ্ম) প্রেম
১২ শেষ যাত্রা/The Last Journey (ছোট গল্প) নীলকান্ত (ছদ্ম) প্রেম
১৩ সেতু-ছোট গল্প নীলকান্ত (ছদ্ম) প্রেম
Writer information NILKANTO