:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

  • ৬:০৮:০০ PM

দেখতে দেখতে জীবনের ২৬ টি বছর কিভাবে পার হয়ে গেল কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না।জন্ম থেকে দুরন্ত শৈশব,শৈশব পেরিয়ে ডানপিটে কৈশোর, তারপর কিশোর বয়সের উন্মাদনা পেরিয়ে যৌবনের সাতটি বছর কেটে গেছে দেখতে দেখতেই।
বড় আদরে বেড়ে উঠা শৈশবের দিনগুলিকে আজো মনে হয় চোখের সামনে দেখতে পাই।কিছুটা ফ্যাকাসে-বিবর্ণ হয়ে গেলেও সেই শৈশব যেন আজো স্মৃতিতে বারবার ফিরে আসে! যে শৈশব ছিলো দুপুরের কাক ফাটা রৌদ্রে পুকুরে সাতার কাটার শৈশব,পাখি আর প্রজাপতিদের পেছনে সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর শৈশব কিংবা রঙিন ঘুড়ির আবদারে সারাদিন বায়না ধরার শৈশব ! 
প্রতি সপ্তাহের শনিবার,মঙ্গলবারে  হাটুরে ব্যাগ হাতে দাদার আঙুল ধরে হাটে যাওয়া আর
খয়ের কিংবা সুধীব হালাইকারের নানা জীবজন্তুর আকৃতিতে বানানো বাতাসা খাওয়ার শৈশব।
আহা! কোথায় আমার হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি....!!
তারপর হঠাৎ করেই একদিন বুঝতে পারলাম আমি বড় হয়ে গেছি। পড়নের সুতি, জিন্স কিংবা পলিস্টারের হাফ-প্যান্ট,গেঞ্জি আর জামা গুলো খুব দ্রুত ছোট হয়ে যাচ্ছে(আমার কাছে সেসময় তাই মনে হত।মনে হত কাপড় গুলোই ছোট হচ্ছে!)। তারপর কোন এক সময় হাফ প্যান্ট ছেড়ে ফুল প্যান্ট পড়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল। আর সেই ছিলো আমার জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়,ডানপিটে সেই কিশোরবেলা।
বাবা-মা,দাদা-দাদী,চাচা-চাচী,ফুফুদের খুব আদরে আদরেই হয়ত কিশোর বয়সের ডানপিটে জীবন পেয়েছিলাম।লেখা পড়ায় মন্দ ছিলাম না কিন্তু দুষ্টোমিতেও কম ছিলাম তা বলা যায় না! :P  (তবে আমার দুষ্টোমি কখনোই বাড়াবাড়ি পর্যায়ের ছিলো না বা আমার দ্বারা কারো ক্ষতিও হয়নি কখনো।)
কৈশোরের দুরন্তপনা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে এসেছিলো নিজের অজান্তেই। নিজের প্রতি নিজের ভাললাগা তারপর ভাললাগার ক্লাসিফিকেশন। সেটাও শুরু হয়েছিলো জীবনের তেরো কি চৌদ্দতম বছরে। :) সেই তো শুরু জীবনের গতির উঠা নামার। আর এই জীবনের এক্সিলারেটরে কখনো এক গতিতে এগুনো হয়নি।বার বার ব্রেক কষে গতি কমিয়েছি রং ড্রাইভে। রং রুটে চলতে গিয়ে পিছনে পড়েছি বহুবার তারপর যখন সিধে রুটে ড্রাইভ করতে শিখলাম জীবনের গাড়িটা তখন কৈশোরের ভুল ড্রাইভিং এর মাশুল গুনতে হলো খুব বাজে ভাবে।
বুঝলাম, আমি আর সেই কিশোর নই।যৌবনের প্রথম ধাপে আমার পদার্পন হয়েছে।কিন্তু তাও খুব বাজে ভাবে! :( নিজেকে একটু সামলে নিয়ে লক্ষ্যে যাওয়ার শেষ প্রচেষ্টায় এখন রত আছি।যদিও জানি লক্ষ্য আমার থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।কিন্তু শেষ প্রচেষ্টা, একটু দেরী হলেও লক্ষ্যে পৌছানো।আর সেটা অবশ্যই ভুল পথে এবং বাজে ড্রাইভিং এ নয়।।যাই হোক,
এটুকু বুঝতে বুঝতে জীবনের ২৫/২৬ বছর কেটে গেছে। চোখের সামনে একবিংশ শতাব্দীর শুরু হয়ে হয়ে ধীরে ধীরে একবিংশ শতাব্দীর পনেরতম বছর কেটে গেলো।
২০১৫:
এই শতাব্দীর পনেরতম বছর ছিলো আমার জীবনের ভালো মন্দের এক অপূর্ব সংমিশ্রন।
বছরের শুরুতে প্রিয় মানুষের সাথে অপূর্ব কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি,যা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় গুলো। বছরের মাঝামাঝি ঠিক ততটাই মন্দ সময় কাটিয়েছি যতটা সুন্দর সময় ছিলো বছরের প্রথমটা।
আর ২০১৫ এর শেষটায় যা পেয়েছি তা অবশ্যই বছরের মাঝামাঝির অপ্রাপ্তিগুলোকে ঢেকে দিয়েছে।
বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বর আমার জন্মদিনে আমার শত শত শুভাকাঙ্ক্ষীর শুভেচ্ছা বার্তায় আমি মুগ্ধ,কৃতজ্ঞ এবং ধন্য হয়েছি।
বিশেষ করে পুলিশ সুপার Mozammel Haque স্যার,Iftekhar Ahmed sir, Somaji নানু, Rajibul ronie ভাই,আব্দুল বারী মৃধা ভাই,জিয়া ভাই,মিঠু সিদ্দিক ভাই,ফারহানা দি,সুমাইয়া আপু সহ আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুদের ভালবাসা পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত,কৃতজ্ঞ। 
#আমি সবার নিকট দোয়া প্রার্থী,আমার জন্য দোয়া রাখবেন যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারি।।
#ওভার অল, ২০১৫ টা আমার জীবনের জন্য আশীর্বাদেরই।আর ২০১৬? জানিনা কি হবে । তবে সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা অবশ্যই ভালোর জন্যই করেন,করবেন।

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

  • ৯:০৫:০০ PM
বাংলাদেশি চ্যানেল গুলোর প্রতি মানুষের অনীহার কারন কি??
যারা এবারের বিপিএল নিয়িমিত দেখলেন তারা হয়ত এর কারন এতক্ষণে টের পাচ্ছেন।শুধু যে একটি চ্যানেলেই এরকম হয় তা না।প্রত্যেকটা বাংলা চ্যানেলেরই একই সমস্যা।
আর সেটা হলো,
পাঁচ মিনিটের অনুষ্ঠানে দশ মিনিট বিজ্ঞাপন। অসহ্য একটা ব্যাপার এটা।আমরা যারা দর্শক তারা কি শুধু বিজ্ঞাপন দেখার জন্য টিভির সামনে বসে থাকব!!কখনোই না।
আমরা জানি এবং বুঝি যে,বিজ্ঞাপন একটা চ্যানেলের আয়ের অন্যতম প্রধান  উৎস।কিন্তু তাই বলে এরকম বিরতিহীন বিজ্ঞাপন!!! যা দর্শকের বিরক্তির উদ্রেক করে,চ্যানেল পাল্টাতে বাধ্য করে!
দেখুন, আমরা দেশি চ্যানেলের উন্নতি কামনা করি।আমরা চাই বাংলাদেশের জনগন ভারতীয় চ্যানেল নির্ভর না হয়ে দেশি চ্যানেল দেখুক।কিন্তু দর্শকের উপর চ্যানেল গুলোর এরকম অত্যাচার চলতে থাকলে সেটা কি করে সম্ভব??
আমি জানি আমার এই কথাগুলো কোন চ্যানেল মালিকের দৃষ্টি গোচর হবে না। কিংবা হলেও তা মূল্যহীন  ।
কিন্তু সত্যিকারেই যদি আপনারা দেশীয় চ্যানেলকে বাংলাদেশি জনগনের নিকট গ্রহনযোগ্য করতে চান তবে এরকম অতিরিক্ত এবং বিরক্তির উদ্রেক করা বিজ্ঞাপন প্রচারের পরিমান কমান।
খুব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে,চ্যানেল নাইন বাংলাদেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল।কিন্তু বাংলাদেশের জনগনের বহু আকাঙ্খার বিপিএল ফাইনাল ম্যাচেও যেরুপভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে তা সত্যি বিরক্তিকর। প্রতি ওভারের শেষ বল হোক বা না হোক, বল ব্যাটে লাগুলো কি লাগলো না তার আগেই বিজ্ঞাপন চলে আসে।উইকেট পড়ল কি পড়লো না তার আগেই বিজ্ঞাপন চলে আসে। উইকেট টা কিভাবে পড়লো তার রিপ্লেটা আর দেখা হয় না!! এই ত অবস্থা!
জনাব চ্যানেল কর্তৃপক্ষ,
দয়া করে আমাদের মত সাধারণ দর্শকের কথাও ভাবুন! বাংলাদেশি চ্যানেল বিমুখী হতে বাধ্য করবেন না।।

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

  • ১:৫৪:০০ AM
ডিসেম্বরের এই কনকনে শীতের মধ্য রাতে টিনের চালায় শিশিরের নৃত্য আর মাঝে মাঝে দুর থেকে পাহারাদার কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ছাড়া পুরো পৃথিবীটা নিস্তব্দ।যেন কুয়াশার চাদর গায়ে  গাছের পাতারাও ঘুমিয়ে আছে অঘোর ঘুমে, তোর মত ।
শুধু আমি জেগে আছি শিশিরের মত,ঘন কুয়াশার মত একশত বিশ শতাব্দীর স্মৃতিদের সাথে। রাঙানো লেপের কাভারের উষ্ণতাকে বুকে জড়িয়ে যে স্মৃতিরা খেলা করেছিলো, যে স্মৃতির কোন এক অধ্যায়ে আমি হয়েছিলাম সাত মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা ফুচকাওয়ালা কিংবা চুড়ুইভাতির ভ্যান্যা তলায় কলার পাতার ঘর।  সেই স্মৃতিদের সাথে জেগে আছি আধারের বুকে কুয়াশায় ধোয়াসা হওয়া তোর স্বপ্ন হয়ে।
বড় জানতে ইচ্ছে করে,
ঘুমের ঘোরে একলা ঘরে বুকের ভেতর মোচর দিলে,
আমায় ভেবে বালিশটাকে কখনো কি
জাপটে ধরিস?
একলা আমি তোর বিরহে কেমন করে একলা ঘরে
নষ্ট হওয়ার কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি,
বুঝতে পারিস?
#নীলকান্ত ®
Writer information NILKANTO