দেখতে দেখতে জীবনের ২৬ টি বছর কিভাবে পার হয়ে গেল কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না।জন্ম থেকে দুরন্ত শৈশব,শৈশব পেরিয়ে ডানপিটে কৈশোর, তারপর কিশোর বয়সের উন্মাদনা পেরিয়ে যৌবনের সাতটি বছর কেটে গেছে দেখতে দেখতেই।
বড় আদরে বেড়ে উঠা শৈশবের দিনগুলিকে আজো মনে হয় চোখের সামনে দেখতে পাই।কিছুটা ফ্যাকাসে-বিবর্ণ হয়ে গেলেও সেই শৈশব যেন আজো স্মৃতিতে বারবার ফিরে আসে! যে শৈশব ছিলো দুপুরের কাক ফাটা রৌদ্রে পুকুরে সাতার কাটার শৈশব,পাখি আর প্রজাপতিদের পেছনে সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর শৈশব কিংবা রঙিন ঘুড়ির আবদারে সারাদিন বায়না ধরার শৈশব !
প্রতি সপ্তাহের শনিবার,মঙ্গলবারে হাটুরে ব্যাগ হাতে দাদার আঙুল ধরে হাটে যাওয়া আর
খয়ের কিংবা সুধীব হালাইকারের নানা জীবজন্তুর আকৃতিতে বানানো বাতাসা খাওয়ার শৈশব।
আহা! কোথায় আমার হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি....!!
তারপর হঠাৎ করেই একদিন বুঝতে পারলাম আমি বড় হয়ে গেছি। পড়নের সুতি, জিন্স কিংবা পলিস্টারের হাফ-প্যান্ট,গেঞ্জি আর জামা গুলো খুব দ্রুত ছোট হয়ে যাচ্ছে(আমার কাছে সেসময় তাই মনে হত।মনে হত কাপড় গুলোই ছোট হচ্ছে!)। তারপর কোন এক সময় হাফ প্যান্ট ছেড়ে ফুল প্যান্ট পড়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল। আর সেই ছিলো আমার জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়,ডানপিটে সেই কিশোরবেলা।
বাবা-মা,দাদা-দাদী,চাচা-চাচী,ফুফুদের খুব আদরে আদরেই হয়ত কিশোর বয়সের ডানপিটে জীবন পেয়েছিলাম।লেখা পড়ায় মন্দ ছিলাম না কিন্তু দুষ্টোমিতেও কম ছিলাম তা বলা যায় না! :P (তবে আমার দুষ্টোমি কখনোই বাড়াবাড়ি পর্যায়ের ছিলো না বা আমার দ্বারা কারো ক্ষতিও হয়নি কখনো।)
কৈশোরের দুরন্তপনা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে এসেছিলো নিজের অজান্তেই। নিজের প্রতি নিজের ভাললাগা তারপর ভাললাগার ক্লাসিফিকেশন। সেটাও শুরু হয়েছিলো জীবনের তেরো কি চৌদ্দতম বছরে। :) সেই তো শুরু জীবনের গতির উঠা নামার। আর এই জীবনের এক্সিলারেটরে কখনো এক গতিতে এগুনো হয়নি।বার বার ব্রেক কষে গতি কমিয়েছি রং ড্রাইভে। রং রুটে চলতে গিয়ে পিছনে পড়েছি বহুবার তারপর যখন সিধে রুটে ড্রাইভ করতে শিখলাম জীবনের গাড়িটা তখন কৈশোরের ভুল ড্রাইভিং এর মাশুল গুনতে হলো খুব বাজে ভাবে।
বুঝলাম, আমি আর সেই কিশোর নই।যৌবনের প্রথম ধাপে আমার পদার্পন হয়েছে।কিন্তু তাও খুব বাজে ভাবে! :( নিজেকে একটু সামলে নিয়ে লক্ষ্যে যাওয়ার শেষ প্রচেষ্টায় এখন রত আছি।যদিও জানি লক্ষ্য আমার থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।কিন্তু শেষ প্রচেষ্টা, একটু দেরী হলেও লক্ষ্যে পৌছানো।আর সেটা অবশ্যই ভুল পথে এবং বাজে ড্রাইভিং এ নয়।।যাই হোক,
এটুকু বুঝতে বুঝতে জীবনের ২৫/২৬ বছর কেটে গেছে। চোখের সামনে একবিংশ শতাব্দীর শুরু হয়ে হয়ে ধীরে ধীরে একবিংশ শতাব্দীর পনেরতম বছর কেটে গেলো।
২০১৫:
এই শতাব্দীর পনেরতম বছর ছিলো আমার জীবনের ভালো মন্দের এক অপূর্ব সংমিশ্রন।
বছরের শুরুতে প্রিয় মানুষের সাথে অপূর্ব কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি,যা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় গুলো। বছরের মাঝামাঝি ঠিক ততটাই মন্দ সময় কাটিয়েছি যতটা সুন্দর সময় ছিলো বছরের প্রথমটা।
আর ২০১৫ এর শেষটায় যা পেয়েছি তা অবশ্যই বছরের মাঝামাঝির অপ্রাপ্তিগুলোকে ঢেকে দিয়েছে।
বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বর আমার জন্মদিনে আমার শত শত শুভাকাঙ্ক্ষীর শুভেচ্ছা বার্তায় আমি মুগ্ধ,কৃতজ্ঞ এবং ধন্য হয়েছি।
বিশেষ করে পুলিশ সুপার Mozammel Haque স্যার,Iftekhar Ahmed sir, Somaji নানু, Rajibul ronie ভাই,আব্দুল বারী মৃধা ভাই,জিয়া ভাই,মিঠু সিদ্দিক ভাই,ফারহানা দি,সুমাইয়া আপু সহ আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুদের ভালবাসা পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত,কৃতজ্ঞ।
বিশেষ করে পুলিশ সুপার Mozammel Haque স্যার,Iftekhar Ahmed sir, Somaji নানু, Rajibul ronie ভাই,আব্দুল বারী মৃধা ভাই,জিয়া ভাই,মিঠু সিদ্দিক ভাই,ফারহানা দি,সুমাইয়া আপু সহ আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুদের ভালবাসা পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত,কৃতজ্ঞ।
#আমি সবার নিকট দোয়া প্রার্থী,আমার জন্য দোয়া রাখবেন যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারি।।
#ওভার অল, ২০১৫ টা আমার জীবনের জন্য আশীর্বাদেরই।আর ২০১৬? জানিনা কি হবে । তবে সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা অবশ্যই ভালোর জন্যই করেন,করবেন।