:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

চিঠি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
চিঠি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

  • ১১:৫৩:০০ AM
প্রিয়তা,
তুমি আমার সুখের সময় যেমন আমার পাশে থাকো, তেমনি দুঃখের সময়ও সুখের স্পর্শ দিতে এগিয়ে আসো।
তুমি এভাবেই পাশে থেক আমার।তুমি পাশে থাকলে অনেক সাহস পাই,ভরসা পাই।জীবন যুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবারো শক্তি পাই।

স্বীকার করছি আমার জীবন অনেক ছন্নছাড়া, অগোছালো টাইপের।কিন্তু বিশ্বাস করো,এখন খুব গুছিয়ে চলতে ইচ্ছে করে।ইচ্ছে করে যে, একটা সুন্দর স্বপ্ন সাজাই তোমাকে নিয়ে।যেখানে তোমার আমার ভালোবাসা দিয়ে সাজানো গোছানো একটা ঘর থাকবে,সুখ থাকবে, সচ্ছল একটা জীবন থাকবে। এ স্বপ্ন দেখা কি পাপ?
তবে
অনেক সময় কিছু বিলাসী স্বপ্নে আমি খুব বিভোর হয়ে যাই।বিভোর হয়ে যাই, একটা পরিপাটি, সুন্দর বিলাসী স্বপ্নে। যেখানে তোমার চাওয়ার আগেই সব ইচ্ছে পূরণ হয়ে যায়।।তোমার মনের মধ্যে কোন কিছু স্পন্দিত হলেই তা তোমার সামনে হাজির হয়ে যায়,এমন এক বিলাসী স্বপ্ন।।
কিন্তু,
আমি জানি,তুমি আমার কাছে এমন কিছুই চাও না,বা যা তোমার খুব দরকার তাও চাও না।কিন্তু আমার একটা মন আছে, জ্যোতিষীর মত মন।যা তোমার মনকে ঠিক পড়ে নিতে পারে।যে কথা তুমি মুখে বলো, অথবা তোমার হৃদয় যে কথাগুলো  স্পন্দিত হয়,সব। 
তাই তুমি না চাইলেও কিংবা কোন কথা তোমার মুখ ফুটে না বের হলেও ঠিক তা আমার কানে পৌঁছে যায়।। তখন মনে হয়, যদি পারতাম তবে পৃথিবীকে তোমার হাতের মুঠোয় আর সমগ্র মহাকাশ ও তার গ্রহ নক্ষত্র গুলো তোমার পায়ে লুটাতাম। 

লক্ষীটি,
আজ ভালোবাসা দিবসে হয়ত সবাই প্রেমিকার মন রাখায় ব্যস্ত।কিন্তু দেখো,কি হতভাগা আমি যে,তোমার সাথে হাত ধরে হাটবো,তাও হয়ে উঠলো না।ছোট একটা আশা তাও পূরণ হলো না।
তবে এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া যে,তুমি আমাকে বুঝতে পারো। কখন,কিভাবে চলতে হবে তুমিই তা আমাকে শেখাও।এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?

আমি যখন হতাশার চাদরে মুখ লুকিয়ে ঘরের কোনে নিজেকে বন্দী করেছি,ঠিক তখনই তোমার বিজ্ঞ অভিমত আর শান্তনার বিচক্ষণতায় আমি  আশ্চার্যান্বিত।
মিষ্টি করে বুকের কষ্ট বুকে লুকিয়ে আমাকে বললে, "আজ হলো না তো কি হয়েছে? এখনো অনেক সময় আছে  । "

এর পরে কি আর কোন দুঃখ থাকতে পারে? পারে না।
জান, সত্যি আমিই সৌভাগ্যবান যে তোমাকে পেয়েছি।আর
এভাবেই সারাজীবন পাশে থেক আমার।।

ইতি
নীলকান্ত

বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

  • ১০:৪২:০০ PM
প্রিয় দেবী,

অনেকদিন পর তোমায় লিখছি। কতদিন পর! ঠিক ঠাক মনে পড়ছেনা কিছুই। শুধু মনে পড়ে, শত শত চিঠি পাঠিয়েছি বেনামী ঠিকানায় বহুদিন। হয়ত সেসব কখনো পাওনি তুমি অথবা স্ক্রোল করে সরিয়ে দিয়েছ কোন কিছু না দেখেই।

আজ আবারো লিখছি তোমায়। যখন তুমি আমি দূর বহুদূর।  যখন একটা দেয়ালের এপাশে আমি আর ও পাশে তুমি। দেবী, দেয়াল ভেদ করে আমার ভালবাসার আর্তচিৎকার কি তোমার হৃদয় মন্দিরে পৌছোবে??
যে পূজোর ডালা সাজিয়েছিলাম তাজা রক্ত গোলাপে সে ফুল কি তোমার হৃদয় রাঙাবে?
জানিনা।

দেবী,
আজ আমার অর্ঘ্য অতি সামান্য পাপী পূজারীর। যার দেবীকে চাওয়ার স্পর্ধা হয়ত হবেনা কিংবা দেবীর ভালবাসার স্পর্শ পাওয়ার ব্যাকুলতা মিটবেনা কভু আর ।
 তবুও তোমার প্রতিমার সামনে বারবার এসে দাঁড়াই ভালবাসার অর্ঘ্য নিয়ে। তোমার হৃদয়ের কোণে পাপী পূজারীর জন্য সেই ভালবাসা খুঁজতে। যা একদিন শুধু আমারই ছিলো।

দেবী, 
ভালবাসার মাঝে পাপ আর পূণ্যের হিসেবের খাতা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ওই হৃদয় মন্দিরের পূজোর ভার আমায় দেবে কি? দেবে কি ওই হৃদয় মন্দিরে প্রবেশের একচ্ছত্র অধিকার! জানিনা।
তবুও দেবী তোমায় ভালবেসে যাবো। তোমার পূজোয় বারবার সাজাবো পূজোর ডালা, রাঙাবো তোমার ঘর। দুরত্বের মাইলেজ ঘুচাতে পাড়ি দেবো হাজার আলোকবর্ষ।  মহাবিশ্বের প্রতিটি কণাকে মালা গেথে পড়াবো তোমার গলে। তুমি শুধু ভালবাসতে দিও।।

ইতি
-নীলকান্ত

সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯

  • ১০:৪৫:০০ PM

পারু,
হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেলো টিনের চালায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে।
একটু কান খাড়া করে শুনতে চাইলাম, আসলে এটা বৃষ্টি না তোমার নুপুরের নিক্কন।একবার
মনে হল, তুমি আমার বারান্দায় দাড়িয়ে আছো।
লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম।দরজা খুলে দেখি,না সেখানে কেউ নেই বৃষ্টির ফোটারা ছাড়া।শুধু মাঝে মাঝে কে বা কারা যেন বেশ জোড়ে সোরে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে একেরপর এক।আর কোন অশতীপর বৃদ্ধার দৃষ্টি শক্তি বোধহয় একটু বেশিই কমে গেছে।না হলে এরকম সকালে বিজলী বাতি জ্বালিয়ে আমার বোকা হয়ে দাড়িয়ে থাকা দেখত না।
টিনের চাল বেয়ে বৃষ্টির ধারা সারি করে মাটিতে পরছে, তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে জমা হচ্ছে ঐ নিচু জায়গাটায়। জানো পারু, ওখানে বৃষ্টির ফোটারা এক এক করে স্পেস স্যুট এর মাস্ক পড়ে কি দারুন ভাবে ভেসে যাচ্ছে! ইস! তুমি যদি দেখতে।
পারু,
কথা ছিলো,সকালে তোমার সাথে দেখা করব।আমারো খুব ইচ্ছে করছে এই বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে তোমার সামনে দাঁড়াতে। তারপর, খোলা আকাশের নিচে, ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হেটে যাব সাতমাথায়।ওখান থেকে পৌর পার্ক,খোকন পার্ক হয়ে আলতাবেলীর সামনের ফুট পাতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে এক কাপ চা খাব ভাগা ভাগি করে।।লোকজন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে আর মাঝে মাঝে ঐ অশতীপর বৃদ্ধা হয়ত হাতের লাইট জ্বালিয়ে দেখবে আমাদের ছেলেমানুষি।
কিন্তু কি করব বলো, তুমিই তো বের হতে পারবে না। আর এখন যখন তোমাকে এত সব লিখছি তখন, হুমকি-ধামকির জোড় অনেক বেরে গেছে।বেড়ে গেছে বৃদ্ধার লাইটের চার্জ।।
এখন আমি কি করি বলো তো!!
পারু,
তুমিও কি জানালা খুলে বৃষ্টি দেখছ?
মনে হচ্ছে,তুমি হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোটাগুলো ধরে আলতো করে ঠোটের কোনে লাগিয়ে মিষ্টি করে হেসে উঠছো আমাকে ভেবে! দেখো, কি আশ্চার্য ! আমিও তো তোমার ছুয়ে দেয়া বৃষ্টিতে ভিজছি।এ যেন,তোমার স্পর্শ বুলিয়ে যাচ্ছে আলতোভাবে।
অনেক মিস করছি তোমাকে, পারু। অনেক মিস করছি তোমাকে।
এভাবেই মিস করে যাব কাল হতে অনন্তকাল ধরে। ভাল থেক প্রিয় পারু।আমি দেবদাস হয়ে না হয় পথ চেয়ে রইবো তোমার!

ইতি
নীলকান্ত

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

  • ৭:৩৯:০০ AM
প্রিয়তমা,
মুখনিঃসৃত নিকোটিনের সাদা ধোয়ার কুন্ডলীতে বেদনার হলদে রং হয়ত আজ আমার খুব প্রিয়।তবে চিরদিন এটা আমার প্রিয় ছিলো তা কিন্তু না।এমনকি একটা সময় ছিলো যখন তোমার মত আমার কাছেও এটি ছিলো সবচেয়ে ঘৃণ্য এবং অসহ্য। কিন্তু সেই অপ্রিয় বস্তুটাকেই আজ সব কিছুর উপরে আগলে রেখেছি ।। কেন? হয়ত জানতে চাও। কিংবা তার কারন তুমি নিজেও জানো। তারপরেও তুমি বারবার আমাকে প্রতিজ্ঞা করিয়েছ যেন আমি এসব ছাই পাশ ছেড়ে দেই  । আমিও তাই ভেবেছিলাম। ছেড়েও দিয়েছিলাম বহুবার । কিন্তু কখনো একেবারে ছেড়ে দেয়া আর হয়ে উঠেনি।জানিনা আর কখনো হবে কিনা! তবে ধীরে ধীরে যে মৃত্যু আমাকে টেনে গ্রাস করছে তাকে ত্যাগ করি কোন সাহসে? এ যে চিরন্তন, এটাই তো শ্বাস্বত সত্য। আর বাকি সব মিথ্যে মায়া বৈ আর কিছু নয়।
যাই হোক, তবুও ছেড়ে দেব এটাকে।কিন্তু নিকোটিনের সাদা ধোয়ার কুন্ডলীতে বেদনার হলদেটে যে আস্তরণ পড়ে আছে তাকে ছেড়ে দেব কি করে,বলতে পারো?
অনেক বার তোমাকে ছেড়ে,ফেলে আসা স্মৃতির মায়া কাটিয়ে বাঁচতেও চেয়েছি,পারিনি। বরং যতবার ভুলে গিয়ে সুখি হবো ভেবেছি ততবারই একশত বিশ শতাব্দীর পরতে পরতে ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আমার হৃদয়ের আকাশে তারা হয়ে জ্বলেছে। তুমিই বল,যে তারা গুলো আমার নাগালের বাহিরে,দূর আকাশে জ্বেলে থাকে আপন ইচ্ছায় ;তাকে কি জোর করে টেনে হিচড়ে থলিতে ভরা যায়? নাকি ফটোশপের এডিটর দিয়ে মুছে ফেলা যায়? যায় না।আর কখনও যাবেও না।আর তাই হয়ত কখনো ভুলে থাকা হবে না তোমাকে। সত্যি কথা বলতে, আসলে আমিই ভুলে থাকতে চাই না।
তবুও মাঝে মাঝে সব কিছু ভুলে যাবো বলে ঠোটের কোনে নিকোটিনে ভর্তি শলাকা জ্বালাই,তার তাপ নেই,ফু দিয়ে সাদা ধোয়ার কুন্ডলী আকাশে ছেড়ে দেই সাদা মেঘ ভেবে। তারপর এক বুক আশা নিয়ে চেয়ে থাকি তারার পানে। মনে মনে বলি,"ও তারা,তুই নেমে আয়।এ বুকে এসে বাসা বাঁধ যেভাবে বেঁধেছিলি গত শত শতাব্দী ধরে।"
কিন্তু তারারা আসে না।না আসো তুমি।কেউ বলেনা,"তুমি কখনো মানুষ হবে না।"কিংবা রাগ করে কেউ মুখ ফিরিয়ে থাকে না।শুধু স্মৃতির তারাগুলো মিটিমিটি জ্বলে থাকে হৃদয়ের আকাশে। আর আমি?? মিস করে যাই।মিস করে যাই ফেলে আসা একশত বিশ শতাব্দীর শীতের কুয়াশা,রাঙানো লেপের কাভার,সকালের সোনালী রোদ,রাতের উষ্ণ আলিঙ্গন।।
#নীলকান্ত ®

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

  • ৮:০২:০০ PM
প্রিয়তমা,
পৃথিবীর সকলের সামনে মুখে আত্মভুলানো হাসি টেনে কষ্ট লুকোনো গেলেও নিজের কাছ থেকে নিজেকে লুকোনো যায় না। আজ আমিও পারলাম না।জানি তুমিও পারছো না।
সে কথা ভেবে আর কষ্ট পেও না।যেনে রেখো, কেউ কখনো তা পারে না।আমি কিংবা তুমি কিংবা অন্য কেউ,কেউই না।
আজ খেতে বসে গলা দিয়ে খাবার নীচে নামছিলো না। বুকের ভেতরটাতে হঠাৎ করেই সেই চিনচিনে ব্যাথা শুরু হলো। অনেক কষ্টে হাতের কাছের পানির জগটা নিয়ে দু ঢোক পানি দিয়ে কোন মত গলাধঃকরণ করলাম। কিন্তু তারপর আর কিছু ভেতরে গেলো না।বাধ্য হয়ে হাত ধুয়ে উঠে দাঁড়ালাম। সত্যি বলছি,আমি খুব চেষ্টা করেছি আরেকটু খেতে কিন্তু পারিনি।
চোখের সামনে জলে ভেজা আবছা স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো ধীরে ধীরে।ভুলে যাবো বলে নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় ঘরের বাতাস ভারী হয়ে এলো,কিন্তু ভুলতে পারলাম না। সেই সব  দিনগুলি,সেই সব স্বপ্ন যা দেখেছিলাম তুমি আমি এক সাথে তা চোখের সামনে এসে উপহাস করতে শুরু করলো। আমি তাদের তাড়াতে পারিনি।
চোখে পানির ঝাপটা দিয়ে বের হলাম রাস্তায়। ব্যস্ত মানুষের ভীরে যদি কষ্টগুলো কে লুকিয়ে রাখা যায় তাই ভেবে।কিন্তু সেখানেও তুমি,তোমার আমার শত সহস্র স্মৃতিদের আনাগোনা।
মনে আছে তোমার?
রাস্তা পার হতে গেলেই তুমি আমার হাত খানা শক্ত করে ধরে থাকতে।আর যতবারই রাস্তা দিয়ে হেটে যেতাম ততবারই তোমার একটা আঙুল খেলা করত আমার হাতের তালুতে ।তুমি হয়ত মনে করতে,আমি বুঝি হারিয়ে যাবো ব্যস্ত রাস্তায় ব্যস্ত মানুষের ভীরে! কিংবা আমার হাতটা ধরে চির নিরাপত্তা আর ভরসা অনুভব করতে মনে মনে।
জানো,
আমিও তোমার হাতটা ধরে চিরদিন এমনি করে পথ চলার কথা ভেবেছি তখন।ভাবতাম, সারা জীবন যেন আমার হাতের তালুতে তোমার আঙুল এভাবেই খেলতে থাকে।চির সবুজ হয়ে থাকে আমাদের ভালোবাসা বার্ধ্যক্যের শেষ বেলাতেও।
কিন্তু দেখ,
কি আচানক সব কিছু বদলে গেলো জীবন থেকে! চোখের পলকে এতদিনের গড়ে তোলা স্বপ্ন গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। বিনা অপরাধে নির্বাসিত হলাম দুজন দুজনার জীবন থেকে । কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চরম ত্যাগের মহিমা স্থাপন করলে তুমি। সেই সাথে চিরদিনের জন্য একটা মুখের হাসি হারিয়ে গেলো স্বার্থপর পৃথিবীর মানুষের থেকে ।।
আজকেও দিন শেষে নিয়ন বাতির শহুরে রাতে ব্যস্ত রাস্তায় যখন পার হচ্ছিলাম,তখন নিজের অজান্তেই একটা হাত পেছনে বাড়িয়ে দিয়েছি তুমি ধরবে বলে।কিন্তু দ্রুত ধেয়ে আসা রিক্সার হ্যান্ডেলে বারি খেয়ে নিজের জ্ঞান ফিরে এলো।বুঝলাম, তুমি নেই।তুমি তো আর থাকবে না!হাত গুটিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে গেলাম। নিকোটিনের শলাকা হাত থেকে মুখে চলে এলো আপনা আপনি।  তারপর এক গাল ধোয়ার কুন্ডলী ছেড়ে তোমার স্মৃতিকে ছড়িয়ে দিলাম দুর আকাশে।
হয়ত এভাবেই ছড়িয়ে দিতে হবে সারাটি জীবন ভর। কিন্তু তুমি যেখানেই থাকো, সুখে থেকো । খুব বেশি মনে পড়লে আকাশের তারাদের গুনো।আর ইচ্ছে মত কোন একটা কে ভেবে নিও,সেটা আমি।
একদিন আমাকেও তো আকাশের তারা হতে হবে,তাই না? সেই তারাটা না হয় আজ থেকেই স্থির করে রেখো!
ভালো থেকো।
ইতি
নীলকান্ত®

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

  • ৩:৩৪:০০ AM
মিস ইউ সো মাচঃপত্র ৮
প্রিয়তমা,
কতদিন হলো, বল তো!
স্বপ্নভাঙা কষ্ট গুলির সুখ হারানোর  আর্তনাদের?
কতরাত গেল, ভাবো তো!
আঁধার ঘরে চক্ষু দু'টির নিদ হারানোর অশ্রুজলের?
দু-চার দিন? বছর,যুগ কিংবা শতাব্দী?
হবে হয়ত।
জানো,
সময়ের মিথ্যে অহংকারে কত দিন রাত হয়?
কত রাত তার জোসনা হারায় সূর্য তাপে?
জানো হয়ত।!
ডানাভাঙা পাখির মত স্বপ্নগুলোর আর্তনাদে দিনের আলো গোধূলির সাথে সাথে রাতের আধারে হারায়।
আমি ভাবি,এই তো আজ রাতটা বুঝি আমার। পূব আকাশে সকালের উদীয়মান সূর্যের দিকে তাকিয়ে ভাবি,আজকের দিনটা বুঝি আমার।
কিন্তু হায়! সেই দিন আর আমার থাকে না। সেই রাত আর আমার হয় না।এই সব দিন-রাত্রী আজ আমার বড় অচেনা কেউ।যার দিনের আলোয় সুখ থাকে না,রাতের আঁধারে স্বপ্ন থাকে না।
বরং কষ্টের ঝিঝিপোকাগুলো সারা রাত ধরে ডুকরে কাঁদে।
ডানা ভাঙা  স্বপ্নগুলো আগ্নি গোলায় পুড়তে থাকে।
এক আকাশ স্মৃতির মেঘেরা রাতের আধারে টপটপ করে ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে!
ঝরতে থাকে।
চোখের কার্নিশে জমা হয় বেদনার জলোচ্ছ্বাস । স্বপ্ন পোড়া কষ্ট গুলো বুকের ভেতর আইলা কিংবা সিডরের মত সবকিছু তছনছ করে দেয় ।
সময় থমকে যায়, আমি বুদ হয়ে থাকি স্মৃতির আফিমের নেশায়।সেই সব কয়েক হাজার শতাব্দীর ফেলে আসা স্মৃতিতে।তোমার আমার ফেলে আসা অতীতে।
প্রিয়তা,
তোমারও কি এমনি হয়?
তুমিও কি ডুকরে কাঁদো,স্বপ্ন পোড়ার আর্তনাদে!
তুমিও কি অশ্রু ঢালো,
জড়িয়ে স্মৃতি বুকের মাঝে মধ্যরাতে,
কষ্ট নিয়ে মিথ্যে তাদের অপবাদে??
হবে হয়ত।
হয়ত তুমিও আমার মত কষ্টে আছো। নষ্টা মানুষের ভ্রষ্টা হওয়া এই ধরাতে!!
#নীলকান্ত©
  • ৩:৩২:০০ AM
আই মিস ইউ -পত্রঃ১০
প্রিয়তমা,
"বেদনার বালুচরে দাড়িয়ে বুক ভরা হাহাকার আর আর্তনাদ নিয়ে বড় জানতে ইচ্ছে করছে,তুমি কেমন আছো? "
তেমনি আছো কি, যেমনটি ছিলে? নাকি চন্দ্র সূর্যের দিন রাত্রির চির আবর্তনে পাল্টে গেছে তোমার অবস্থান? তুমি কি শরতের নীল আকাশের তুলো মেঘের মত মাথার ঠিক উপরে যেভাবে ছিলে সেভাবেই আছো, না কি কুয়াশায় ঢাকা কোন হাড় কাঁপানো শীতের মধ্য দুপুরে সূর্য হয়ে দক্ষিন গোলার্ধ ঘেষে এগিয়ে যাচ্ছ অনাগত গ্রীষ্মের দিকে? সত্যিই খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
জানো সোনা,
আজ আমার মনের আকাশটা বিরহের অমাবস্যার ঘুটঘুটে আঁধারে ঢাকা।স্বপ্নের জোনাকি গুলো ডানা ভেঙে লুটিয়েছে জমিনে। কষ্টের ঝিঝিপোকা গুলো আর্তনাদ করে চলেছে স্মৃতি গুলোর বুক জুড়ে।আমি না পেরেছি তাদের বুঝাতে, না পারি নিজেকে বুঝাতে।ব্যর্থতার এহেন পরিস্থিতিতে আমি আজ বোবা-কালা কিংবা, অন্ধ কিছু একটা হব হয়ত।
জানো,আর তাই
ভালোবাসার যে আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে তুমি ছিলে তা আজ আঁধারে ঢাকা। । ছোট ছোট স্বপ্ন আর সুখের স্মৃতিগুলো রাতের আকাশে যে তারা হয়ে জ্বলত,তারাও আজ নিভে গেছে প্রায়।অশরীরী স্বপ্নেরা মাঝে মাঝে সামনে এসে ভীর করে বটে,কিন্তু তাদের ধরা যায় না,ছোয়া যায় না।
সত্যি তুমি ছাড়া আমি আজ অসহায়। সত্যি আজ আমি সেই আমি আর নেই।।আমি মরে গেছি মন থেকে, শুধু অর্ধ মৃত খাঁচাটা পরে আছে মানুষের মাঝে একটা নাম নিয়ে!
আজ তুমি বললে,"কিছু একটা লিখো তো,তোমার লেখা কতদিন হল পড়িনা।"
আমি বললাম,"লেখার ভাষা হারিয়েছে তোমার সাথে সাথে।"
তবুও তোমার অনুরোধে মোবাইলের ডিসপ্লের উপর ঘন্টা চার কেটে গেলো শুধুই তাকিয়ে তাকিয়ে! কিন্তু
শেষ পর্যন্ত অনেক চিন্তাভাবনা করে একটা শব্দ বেরুলো না যা লিখা যায়। একটা বাক্য এলো না, যা দিয়ে মনের কথা গুলো তোমাকে জানাতে পারি। তাই এলোমেলো শব্দের বিন্যাসে অনর্থক কিছু কথা বলে গেলাম,যার হয়ত কোন মানে হয়না! তবুও লিখলাম, হয়ত এরই মধ্যে কোন শব্দের আড়ালে আমার লুকোনো বেদনার ছাপ তুমি খুঁজে পাবে বলে।হয়ত কোন অনর্থক শব্দের আড়ালে লুকিয়ে থাকা তোমাকে পাবার তীব্র বাসনা তুমি বুঝবে বলে।
আচ্ছা,
তুমি কি খুঁজে পেয়েছ সেরকম কোন কিছু? বুঝেছ কি শব্দের আড়ালে হৃদয়ের তীব্র আর্তনাদ??
জানিনা।
আর জানতেও চাই না।
লক্ষীটি,
শুধু একটা কথাই জানতে চাই,
তুমি কি এখনো ভালবাসো আমাকে? এখনো কি অমাবস্যার আধার ঠেলে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে আমার আকাশে উদিত হওয়ার তীব্রতা অনুভব কর তুমি? যেমনটি করতে!
এখনো কি মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে মোবাইলের ডায়াল প্যাডে আমার নাম্বার তুলো আনমনে? একলা ঘরে ভয়ে কাঁচুমাচু হয়ে, এখনো কি ইচ্ছে করে শক্ত করে জরিয়ে ধরে থাকতে?
হয়তবা!!
যদি এখনো হৃদয়ের কোন এক কোণে স্মৃতিগুলো জ্বলে উঠে হঠাৎ হঠাৎ, কিংবা চোখের কার্নিশে জমা হয় বিরহী লোনা জল, তবে চলে এসো।
চলে এসো চির উন্মুক্ত হৃদয়ের দরজা ঠেলে।আমি অপেক্ষায় থাকবো এভাবেই ।।
ভালো থেক।খুব বেশি মিস করলে আয়নায় নিজেকে দেখো।স্পর্শ গুনো একটা একটা করে। সেখানেই আমাকে খুঁজে পাবে!
#নীলকান্ত©
১৫/০৯
০৩:২৪

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

  • ৮:৪৪:০০ PM
বিরহের চিঠি ফটো স্মোকিং
বিরহের চিঠিঃ স্মোকিং এলোন-ছবি সংগৃহীত

প্রিয় দেবী,
আমার হাতে পুড়ে পুড়ে ছাই হওয়া জ্বলন্ত সিগারেট দেখলে মায়া হয় তোর। মুখে চুকচুক শব্দ করে বলিস,
"ইস! এই সিগারেটটাই তোমার জীবনটা শেষ করে দিলো। "
কিন্তু যে আগুন আমার বুকে জ্বালিয়ে আমাকে তুই পুড়িয়ে কাঠ কয়লা করেছিস তার খবর রাখিস না।সত্যি আশ্চার্য তোর ভালোবাসা!!
ছেলেবেলায় একবার কলা গাছের পাতা কাটতে গিয়ে বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুল প্রায় হাড়াতে বসেছিলাম।সেদিন এত রক্ত ঝড়েছিলো আর ব্যাথা পাচ্ছিলাম যে, মনে হয়েছিলো আমি বুঝি আজ মারাই যাব।মা বকা দেবে বলে সেই কথাটাও মাকে বলিনি।নীরবে দূর্বা ঘাসের রস আর আমার পুরোনো গেঞ্জির কাপড় জড়িয়ে রেখেছিলাম সেখানে।কেউ যাতে বুঝতে না পারে তাই কতভাবে যে লুকিয়ে রেখেছিলাম তার ইয়াত্তো নেই।।
আজও যখন তোর কথার ছুড়িতে হৃদয়টা কেটে ফালাফালা, অবহেলার শকুনিগুলো বুকের উপর বসে হৃৎপিন্ডটা খুবলে খাচ্ছে তখনো আমি সেদিনের মতো নীরব।তুই কষ্ট পাবি কিনা জানিনা কিন্তু তারপরেও বলতে পারিনি কখনো। হয়ত সহানুভূতির মিথ্যে খোলসে ভালোবাসার সলিল সমাধি হওয়ার ভয়ে কখনো আর বলাও হবে না।
তুই কি জানিস,
সিগারেটের নিকোটিন আমাকে যতটা না শেষ করছে তার চেয়ে বেশি শেষ হচ্ছি তোর নীরবতার ছুড়িকাঘাতে!! হয়ত জানিস কিন্তু বুঝিস না।তাই ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয়ে কত ভাবে যে সেই ক্ষত লুকিয়ে রাখছি তুই যদি বুঝতি!!
সেদিন তুই রাগ করে বললি,
"সত্যি,আমি আর পারছি না।"
তোর কথা শুনে বুকটা আরেকবার মোচড় দিয়ে উঠলো। মনে হলো,বুকের সব কটা হাড় মড় মড় করে ভেঙে হৃৎকম্পন বন্ধ করে দেবে।নিজের পাজড় ভাঙার শব্দটা কখনো শুনেছিস? শুনিস নি।শুনলে বুঝতি,কতটা কষ্টের পাহাড় জমলে বুকের পাঁজড় ভাঙে!
তারপরে বললি,
" আমি কিছুই জানি না আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি"।
তোর এই কথাটা নতুন করে আশা জাগায় আবার।হৃৎস্পন্দন ধীরে ধীরে ট্র‍্যাকে আসে।কিন্তু তা ধরে রাখতে পারলাম না তোর পরের কথায়।
তুই বললি, "ঠিক আছে আমায় আর কিছু বলতে হবে না।"
আমি বললাম," রাগ করছো??"।
তুই সেই চিরচেনা অবস্থায় ফিরে গিয়ে বললি," না, আচছা ভালো থাক।"
তারপর হুট করে হারিয়ে গেলি।
তুইই বল,তারপরে আবার কিভাবে আমি স্বাভাবিক থাকি? কিভাবে স্বপ্ন সাজাই? স্বপ্ন দিয়ে ভালোবাসার জন্য যে ঘর আমি গড়ে তুলেছিলাম সেই ঘর তুই এক নিমিষে তাসের ঘরের মত ভেঙে ফেললি।
একদিন অভিমান করে বললি,
আমার জন্য নাকি কোন পরী আছে।সেদিন তোর অভিমানী মুখটা খুব দেখতে ইচ্ছে করেছিলো।কাছে থাকলে তোর উষ্ণ ঠোটে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে বলতাম,"আমার পরী-টরী লাগবে না,আমার এই দেবীকেই চাই।"যাকে ভালোবাসার অর্ঘ্য নিবেদন করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেব।
কিন্তু কি আশ্চার্য দেখ! তুই সেই সুযোগটাও কখনো দিলিনা।
তোর কাছ থেকে খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম কি? শুধু হাসি মুখে দুটো কথা আর দু দন্ড শান্তি ছাড়া?
#নীলকান্ত (বিরহ)
তাং নভেম্বর ২৩,২০১৪
  • ৮:৩৭:০০ PM
sad boy missing his girlfriend
sad boy animation Wallpaper: Collected

প্রিয় অবহেলাকারিনী,
"আজ আমার ভালোবাসাকে তুমি অবহেলা করছো।পদতলে দলে ভাবছো, এইটাই ঠিক!
কিন্তু দেখো , আমার এই  ভালোবাসা তোমার কাছে বারবার অবহেলিত হয়ে  যেন চিরতরে হারিয়ে না যায়! একবার অন্তত এটা মনে রেখ, কখনো কখনো খুব বেশি যাকে  ভালোবাসা যায় তার নিকট হতে পাওয়া ছোট্ট ছোট্ট অবহেলা একসময় অনেক বড় ব্যাথার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, যা শত চেষ্টা করলেও আর পূর্বাবস্থায় ফিরে যায় না।
আজ হয়ত তোমার এটা মনে হচ্ছে যে, আমিই ঠিক।কিন্তু একদিন তুমিই বুঝবে তুমি কতটা ভুল ছিলে!
সেদিন হয়ত সময় থাকবে না।সেদিন হয়ত আমারই দোষ খুঁজবে কিন্তু নিজের আজকের কথা গুলো মনে রাখবে না।
আমি চাই না তা হোক।
ইতি
অবহেলার পাত্র
তাং জানু ৫,২০১৫
#নীলকান্ত
Sent from my Symphony

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

  • ১:৫৫:০০ AM
প্রিয় প্রথম প্রেম,
 




লিপির প্রথমে ভালোবাসা নিতে বলবো সে ক্ষমতা আমার নেই।
আজ তোমার বিয়ে।
শুনে ভালো লেগেছে না খারাপ
লেগেছে সে কথা বলতে চাই না।শুধু সেই ২০০২
সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কিছু সময়ের
কথা মনে পরে গেলো তাই দু কথা লিখছি। 
শৈশবের অবুঝ ভালোবাসা যৌবনে যে দোলা দিয়েছিলো তার
পরিনতিতে তোমায় হারিয়েছি।
সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পরাজয়।
তা না হলে হয়ত জীবনের ইতিহাস একটু অন্য
রকম হত।যাই হোক, সেই ভুলের চরম মূল্য দিয়েছি গত চার বছর।
শুরুটা সেখান থেকে যেখান থেকে তুমি শুরু করেছিলে।
আসলে তোমার কোন দোষ ছিল না।সব দোষ ছিল আমারই।আমিই পারিনি তোমার ভালোবাসার যথাযথ মূল্য দিতে। আর তাই ঠিক অনুরুপ ভাবে তুমিও আমাকে সেই ব্যাথাই দিয়েছিলে যা আমার পাওনা ছিল।
কিন্তু অপেক্ষাকৃত একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও তোমার কোন দোষ দিচ্ছি না। তবে এতদিন যে কথা টি তোমায় বলা হয়নি সেই গোপন কথাটি আজ বলছি।
 
আজ বলছি এ জন্যই যে,আজ
হতে তুমি চিরদিনের জন্য আমার কাছ পর হয়ে যাচ্ছ।আজ বলছি এ জন্যঈ যে,আর কোনদিন তোমাকে বলার সুযোগ পাব না।আজ বলছি এ জন্যই যে,আজ হতে তুমি অন্য
কারো ঘরনি হয়ে,অন্য কারো বুকে মাথা রেখে তোমার জীবন
কাটাবা।
আমি জানি,কথাটা বলার অধিকার আজ আমার নেই।কারন আমিই সেই অধিকার ক্ষুন্ন
করেছিলাম।তুমি বার বার
ফিরে আসতে চাইলেও আমি গ্রহন করিনি।আর গ্রহন করিনি সে কারনেই যে কথাটা আজ তোমায় বলতে যাচ্ছি।।
লক্ষীটি,
আর ভনিতা করতে ইচ্ছে করছে না।তাই বলেই ফেলি।তার আগে তোমার দাম্পত্য জীবন সুখি হোক, সুন্দর হোক সেই কামনা করি।
সেই সাথে পারলে আমাকে ক্ষমা করো। কারন,
তোমাকে ছোয়ার যে ক্ষমতা আমি চার বছর আগেই হারিয়েছি তা আমি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইনি আর।
সেই সাথে ক্ষমা করো, কারন,তোমার আমার ব্রেক হবার পরে আমি রাগে,ক্ষোভে,অপমানে অসংখ্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছি।তাদের কষ্ট দিয়েছি।কিন্তু বিশ্বাস করো,আমি কাউকে স্পর্শও করিনি।কিন্তু মন ভেঙেছি বহুবার।
তার জন্য আমায় ক্ষমা করো।আর
নীরবে পুষে রাখা আমার প্রথম
ভালোবাসা নীরবে রেখেই তোমাকে বিদায় জানাচ্ছি।তার জন্য পারলে ক্ষমা করো।।
আজ হতে আর কাউকে কষ্ট দেব না।
না নিজে কষ্ট পাবো।
তুমি ভালো থেক।সুখে থেক।
পারলে জীবনটা কে সুন্দর করে সাজিয়ে নিও।
আর তোমার হাসব্যান্ড কে ততটুকুই
ভালবেসো যা তার প্রাপ্য।তাহলে তোমার সেই ভুলগুলো হয়ত ক্ষমা পাবে।।
খোদা হাফেজ।ভালো থেক।
অনেক ভালবাসতাম তোমায়।পারলে ভুলে যেও ঠিক চার বছর আগের মত।।
আর আমাকে যদি সত্যিই
ভালবাসতে কখনো তবে এই মেসেজ পাবার পর প্লিজ কেঁদো না।তোমার কাছে আমার শেষ মিনতি।।

ইতি
তোমার প্রথম প্রেম


Writer information NILKANTO