প্রিয় দেবী,
অনেকদিন পর তোমায় লিখছি। কতদিন পর! ঠিক ঠাক মনে পড়ছেনা কিছুই। শুধু মনে পড়ে, শত শত চিঠি পাঠিয়েছি বেনামী ঠিকানায় বহুদিন। হয়ত সেসব কখনো পাওনি তুমি অথবা স্ক্রোল করে সরিয়ে দিয়েছ কোন কিছু না দেখেই।
আজ আবারো লিখছি তোমায়। যখন তুমি আমি দূর বহুদূর। যখন একটা দেয়ালের এপাশে আমি আর ও পাশে তুমি। দেবী, দেয়াল ভেদ করে আমার ভালবাসার আর্তচিৎকার কি তোমার হৃদয় মন্দিরে পৌছোবে??
যে পূজোর ডালা সাজিয়েছিলাম তাজা রক্ত গোলাপে সে ফুল কি তোমার হৃদয় রাঙাবে?
জানিনা।
দেবী,
আজ আমার অর্ঘ্য অতি সামান্য পাপী পূজারীর। যার দেবীকে চাওয়ার স্পর্ধা হয়ত হবেনা কিংবা দেবীর ভালবাসার স্পর্শ পাওয়ার ব্যাকুলতা মিটবেনা কভু আর ।
তবুও তোমার প্রতিমার সামনে বারবার এসে দাঁড়াই ভালবাসার অর্ঘ্য নিয়ে। তোমার হৃদয়ের কোণে পাপী পূজারীর জন্য সেই ভালবাসা খুঁজতে। যা একদিন শুধু আমারই ছিলো।
দেবী,
ভালবাসার মাঝে পাপ আর পূণ্যের হিসেবের খাতা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ওই হৃদয় মন্দিরের পূজোর ভার আমায় দেবে কি? দেবে কি ওই হৃদয় মন্দিরে প্রবেশের একচ্ছত্র অধিকার! জানিনা।
তবুও দেবী তোমায় ভালবেসে যাবো। তোমার পূজোয় বারবার সাজাবো পূজোর ডালা, রাঙাবো তোমার ঘর। দুরত্বের মাইলেজ ঘুচাতে পাড়ি দেবো হাজার আলোকবর্ষ। মহাবিশ্বের প্রতিটি কণাকে মালা গেথে পড়াবো তোমার গলে। তুমি শুধু ভালবাসতে দিও।।
ইতি
-নীলকান্ত