:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬

  • ৪:০০:০০ PM


তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতার দিকে তাকালে
আজ ঘেন্না হয়।
বড্ড বেমানান তোমার সাথে।
এক একটি কবিতা যেন,
ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক একটি পতিতা।
আর সেই-
পতিতা কবিতাগুলোর প্রতিটি পঙক্তি যেন আজ
সেঁজে গুঁজে খদ্দর খুঁজে বেড়ায় রাতে,
আঁধারে।
বড্ড বেমানান সেই সব উপমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাতের ল্যাম্পপোস্ট গুলো।
আমায় অন্ধ বলে।
বলে, আমি নাকি রাতকানা। তাই-
পতিতার হৃদয় খুঁজে ভুল করেছি!
যে হাসনাহেনার সাথে কবিতা জুরে ছিল,
সেও আজ প্রশ্ন তোলে।
মানহানির মামলা ঠুকে দেবে বলে ভয় দেখায়!
বলে-
আমি নাকি গন্ধ বুঝি না।তাই-
কবিতার শরীরের পঁচা গন্ধকে
আমি নাকি ভেবেছিলাম হাসনাহেনা!
সত্যিই কি তবে আমি ভুল করেছিলাম-
আঁধার কে আলো ভেবে?
মাংস পঁচা গন্ধকে হাসনাহেনার গন্ধ ভেবে?
হ্যা,হয়ত আমারই ভুল ছিল।
ভুল ছিল,পতিতা কবিতার সঙ্গ চেয়ে।।
#নীলকান্ত
#ঘৃণা #সেই #সব #তাদের #প্রতি
  • ৩:৫৫:০০ PM
অবশেষে মা'কে বললাম,"মা,তোমার পুত্র বধু খোঁজ।"
মা আমার কথা বিশ্বাস করতে পারছিল না। অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল,"কেন? ওর সাথে কি রাগারাগি হয়েছে?"
মাকে বললাম, "না মা, রাগারাগি হয়নি।"
মা তবুও যেন বিশ্বাস করতে পারল না। আর কিভাবেই বা করবে! যে মেয়েটার জন্য এত কিছু সহ্য করলাম,যার জন্য জীবনটাকে ট্রেজেডি সিনেমা বানালাম, সেই মেয়েকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করব সেটা অবিশ্বাস্যই বটে!
মা তাই সত্য উদঘাটনের জন্য ওর নাম্বারে ফোন দিল।ফোন বন্ধ।
শেষ পর্যন্ত ঘুরে ফিরে ফোন টা আমার কাছেই এলো।
"হ্যালো মা,আসসালামু অলাইকুম। বল মা।" আমি ফোন রিসিভ করেই বললাম।
মা একটু অবাক হয়ে বলল,"এ নাম্বার তোর কাছে কেন? এটা তো আমার বৌমার কাছে থাকার কথা।"
মা'কে বললাম,"না মা,তুমি যে নাম্বারে ফোন দিয়েছ সেটা বোধহয় বন্ধ আছে।"
আমার মা খানিকটা চুপ থাকলেন।
তারপর বললেন,"সত্যিই কি ওর সাথে ব্রেক আপ হয়েছে?"
আমি আমার স্মার্ট মা'কে বুঝিয়ে বললাম,"মা,সব কিছু সব সময় সুখকর নাও হতে পারে। বিশেষ করে যদি তোমাদের পছন্দমত বিয়ে না করি তবে তো নয়ই।"
মা একটু দুঃখভরা হাসি হেসে বললেন,"কিন্তু তবুও।তোর পছন্দের ব্যাপারে তো আর না করিনি।"
মা'কে বললাম,"বাদ দাও তো মা। যে যাবে সে তার কপাল নিয়েই যাবে।কিন্তু এবার যে তোমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেলো।এতদিন তো ফ্রি ছিলা।ছেলের বৌ খোঁজার টেনশন ছিলো না।
এবার সেই টেনশনটা তোমাদের উপরই ন্যস্ত করলাম!"
আমার হঠাৎ পরিবর্তন যে মা ভালভাবে নিতে পারছেন না তা বেশ বুঝতে পারছিলাম।তাই আরো ডিটেইলসে বললাম,
"মা,একটা মেয়ে দেখ।এতিম একটা মেয়ে।যার বাবা মা কেউ নেই।কোন ব্যাকগ্রাউন্ড নেই।কোন পিছুটান নেই।সেরকম একটা মেয়ে।"
"ও হ্যা,মেয়ে শ্যামলা হোক কিংবা ফর্সা হোক তাতে যায় আসেনা।মেয়ে অবশ্যই লম্বা, স্লিম এবং অশিক্ষিত কিংবা অল্প শিক্ষিত হতে হবে।"
মা আমার কথায় বাধা দিয়ে বললেন,"অল্প শিক্ষিত  কেন!"
আমি বললাম,"যেটুকু শিক্ষা বাকি থাকবে সেটুকু আমিই ওকে দিয়ে দেব।"
মা আমার কথার মানে বুঝলেন বলে মনে হয়না। তাই হুম বলে ফোনটা রেখে দিলেন।
তারপর দুদিন গেলো।মা হঠাৎ রাত দশটা নাগাদ ফোন দিলো।ফোন রিসিভ করে মাকে সালাম দিতেই মা উত্তর নিয়ে বলল,"একটা মেয়ে পাইছি।"
আমি তো অবাক! মা বলে কি এটা! দুই দিনেই মেয়ে জোগার করে ফেলল।তাও আবার বিয়ে করার জন্য!!!! কি করে সম্ভব।আমি তো এত তাড়াতাড়ি চাইনি। দু এক মাস দেরী হলেও কোন সমস্যা ছিল না। আর এত দিন জানতাম,প্রেম করার মেয়ে এভেইলেবল হলেও বিয়ের পাত্রী পাওয়া কঠিন।কিন্তু মা যে দু দিনেই পাত্রী যোগার করে ফেললেন!!
মা মেয়ের বর্ণনা করতে ব্যস্ত।মেয়ে প্রাইভেট মেডিক্যালে পড়ে,বাবা মা নেই,নানার বাড়িতে মানুষ, গায়ের রঙ ফর্সা, হাইট পাঁচ দুই,তোকে চেনে ইত্যাদি।তারপর যখন সারা গোষ্ঠীর পরিচয় বর্ণনা শেষ তখন আমাকে বলল,"কি রে, পছন্দ হইছে?"
আমি বললাম,হুম।খুব পছন্দ।কিন্তু আরো কিছুদিন দেরী করতে হবে যে!
মা আরো অবাক হয়ে বলল,"কেন?তুই তো বললি বিয়ে করবি।"
আমি বললাম,"করব।তবে এখনই যে করব তা তো বলিনি।আর দুই একটা মাস কি দেরী করা গেল না?"
মা আমার হাসতে হাসতে বলল,"ওই একই কথা।এখনই তো বিয়ে হচ্ছে না।"
আমি বললাম,"হবেও না।আর মেয়েটা তো বেশি শিক্ষিত!"
  • ৩:৪০:০০ PM
বাবা,
প্রথম যখন বুঝতে শিখলাম সম্পর্ক কি,তখন চার পাশে হাতড়ে তোমায় পাইনি।পরিবারে দাদা-দাদী,চাচা,ফুফুরা, মা সবাই ছিল শুধু তুমি ছিলে না।পরে জানলাম তুমি দেশের বাহিরে। চাকুরীর প্রয়োজনে হাজার হাজার মাইল দূরের অরন্য ঘেরা আফ্রিকায়। অবশ্য তখন ভূগোলের কোন ধারনা ছিল না আমার।না ছিল মাইল বা কিলোমিটারের ধারনা।শুধু জানতাম আফ্রিকা অনেক অনেক দূরে।  মাকে বলতাম,"মা,আফ্রিকা কত দূর?"
মা বলত, "অনেক অনেক দূরে। সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয়।"
সমুদ্র বলতে এটা জানতাম যে এটা অনেক বড়।সমুদ্রের নাকি কোন শেষ নেই।তাই মনে মনে ভাবতাম,সমুদ্র পাড়ি দেবে কি করে? নিশ্চয়ই জাহাজে করে।জাহাজও নাকি অনেক বড়।সমুদ্রে চলে।
তাহলে তো জাহাজেই পাড়ি দেবে, তাই না মা?
মার কাছে অবাক হয়ে জানতে চাইতাম।
মা বলত, "না রে ব্যাটা, তোমার বাবা প্লেনে গেছে।"
প্লেন অবশ্য চিনতাম তখন।ওই যে মেঘের উপর দিয়ে শব্দ করে করে উড়ে যায় যে, সেটা। কিন্তু ছোট্ট প্লেনটা মাটিতে কি করে নামে জানা ছিল না। মাকে একদিন বললাম," মা,প্লেন কত বড়? মাটিতে নামে কি করে?"
আমার মা অর্ধশুক্ষিত হলেও ভূগোল আর আধুনিক দুনিয়ার অনেক কিছুই জানতেন। কিংবা তোমার চিঠি পড়ে পড়ে বর্ণনা করতেন প্লেন,প্লেনের ল্যান্ডিং কিভাবে হয়। মায়ের ভাষায় তখন প্লেন ছিল,"বড় বড় বাসের মত"।
কিংবা কখনো সখনো আমাদের চৌচালা ঘর দেখিয়ে বলতেন,"এই এত বড় তো বটেই।"
আমি প্লেন কে বাস কিংবা ঘরের মতই মনে করতাম।শুধু জানতাম,প্লেন বাসের মত সরক দিয়ে যায় না।যায় আকাশ দিয়ে উড়ে।
জানো বাবা,তারপর থেকে যখনি মাথার উপর দিয়ে প্লেন উড়ে যেত,কিংবা প্লেনের শব্দ পেতাম তখন দৌড়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে হাত উচু করে ডাকতাম।
আর বলতাম,"ও প্লেনওয়ালা,আমার আব্বাকে নামায়া দিয়া যাও।"
কিন্তু প্লেনওয়ালারা আমার কথা শুনত না।আস্তে আস্তে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেত।আমি অপেক্ষায় থাকতাম,কবে আমার বাবা ফিরে আসবে!
এরপর যখন তুমি দেশে ফিরলে তখন আমি মহা খুশি। বিদেশ থেকে আনা টেন ব্যান্ডের রেডিও আর ইয়াশিকা ক্যামেরার ফ্লাশের সামনে সামনে থাকা যেন আমার নেশা হয়ে গেল।যেই ছবি উঠতে যাবে সেখানে রেডিও হাতে আমি আছিই। হা হা হা।
বাবা,মনে আছে এসব কথা?
যাই হোক,
তারপর ধীরে ধীরে বড় হলাম।স্কুলে গেলাম।লেখাপড়া শিখতে লাগলাম। তোমার সাথে ঘুরতে লাগলাম এক কর্মস্থল হতে অন্যথায়। এভাবেই বেশ যাচ্ছিল।এরপর একটা সময় এলো।তোমার দুষ্ট ছেলেটা তখন বেয়ারা প্রায়। আষ্টম শ্রেনী পাশ করলাম। সাথে সাথে যিদ আর রাগ যেন বেড়ে গেল।
বয়সের চেয়ে যেন সবকিছু বেশিই বুঝতে শিখলাম। তোমার কিংবা মায়ের অবাধ্য হতেও বাধল না। তোমার মনে একটার পর একটা কষ্ট দেয়া যেন নিয়মিত হয়ে গেল।শাসন করলে কিন্তু তা যেন আগুনে ঘি ছিটানোর মত ছিল তখন। তখন মনে হত,আমিই ঠিক বাকি সব ভুল।আর তাই একের পর এক কষ্ট দিতে এতটুকু দ্বিধা করিনি তোমাকে। তারপরেও তুমি সব ভুলে আমাকে বুকে টেনে নিয়েছ রক্তের কারনে।
বাবা,আজ আমি আমার পুরোনো ভুলের জন্য লজ্জিত। আজ বুঝি আমি কতটা ভুল ছিলাম। এখন বুঝি, তোমাকে কতটা কষ্ট দিয়েছি।
তখন যে ভুল করেছিলাম তা তো আর সুধরাতে পারব না কিন্তু নতুন করে যেন ভুল না করি আজ সেদিকে খেয়াল রাখতে শিখেছি।
বাবা,
সব কিছুর পরে একটা কথা তোমাকে বলতে খুব ইচ্ছে করে।যদিও সামনাসামনি কখনো বলতে পারিনি।পারবও না। আবার এখানে লিখলে তুমি দেখবেও না,তাই বলতে পারছি-
"বাবা,আই লাভ ইউ।"

বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

  • ৪:৪৫:০০ AM
প্রিয়তমা,
বুকের মধ্যে চিনচিন করছে।একটা অস্ফুট হাহাকার বুকের ভেতরটা ফালাফালা করে দিচ্ছে অবিরত।  এ ব্যাথাটা যে কেমন ব্যাথা জানো তুমি?
জানো হয়ত কিন্তু বুঝ না। বুঝলেও অনুভব করতে পারবে না তুমি। এটা কষ্টের এমন এক মাঝামাঝি অবস্থা যেখানে অনুভূতি গুলো ভোঁতা হয়ে যায়,হৃৎপিন্ডের উঠানামা শিথিল হতে শিথিলতর হয়, কষ্টগুলো অশ্রু হয়ে বেড়িয়ে আসতে চায় কিন্তু পারেনা।
স্মৃতিগুলোর আর্তনাদে কেঁপে কেঁপে উঠে হারানোর ভয়ে ভীত স্বপ্নগুলো।তারপর ধীরে ধীরে চোখটা ছলছল করে উঠে কিন্তু লোনা জল লোক লজ্জার ভয়ে লুকিয়ে থাকে চক্ষু গহবরে।
প্রিয়তমা,
এ ব্যাথা যে কেমন ব্যাথা তা বুঝানো যায়না।বুকের পাঁজর দুপাশ থেকে চেপে ধরে হৃৎপিন্ডটাকে। ঘাড়ের রগ টেসে আসে,স্মৃতির পিছুটানে মস্তিস্কের নিউরন ছিড়ে যেতে চায়,যায় না।ভাবি, হয়ত ছিড়ে গেলেই ভাল হত।
মুছে যেত সব।ভুলে যেতাম সেই সব একশত বিশ শতাব্দীর স্মৃতিগুলো! আমাকে দেখানো তোমার সেই স্বপ্নগুলো।
প্রিয়তমা,
তুমি চলে গিয়ে সুখী হতে চাও।হও তুমি সুখী হও।কিন্তু শতাব্দীর স্মৃতিগুলো সঙ্গে নিয়ে যেও প্লিজ। আমি এ স্মৃতির ভার সইতে পারছিনা।
ভাল থেক প্রিয়তমা। দরজা খুলে রেখেছি।পারলে চুপিসারে চলে এসো কাছাকাছি। স্মৃতিগুলো নিয়ে যেও অথবা স্মৃতিগুলো বেঁধে রেখ তোমার আমার রাগ-অভিমানের, সুখ-দুঃখের সোনালি ফ্রেমে।
#নীলকান্ত

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬

  • ৬:১৩:০০ PM

পাশাপাশি হেটে অনেকটা পথ দিয়েছি পাড়ি,
অনেকটা বন্ধুর পথ একসাথে।
কথা ছিলো, বন্ধুর পথ পেরুলেই পিচঢালা জীবন;
সুখ আর সুখের স্বপ্ন বুনবো তাতে।
কিন্তু-
এখন যখন পিচ ঢালা পথে এসে দাঁড়িয়েছি
তখন দুজনার দুটি পথ আলাদা হয়ে গেছে!
স্বপ্নের সুতো ছিড়ে গেছে স্বার্থের কড়িতে।
হয়ত এভাবেই ছিঁড়ে যায় সব,
ছিঁড়ে যায় সব বন্ধন এসে পিচঢালা এই পথে।।

বড়ই নিষ্ঠুর এ পথ ,নিষ্ঠুর এই পিচঢালা জনপদ।
স্বার্থের কাছে ভালবাসা হয় বধ,
সত্যিই, এ এক নিষ্ঠুর জনপদ।
দেখ,
নেই পথে যখন পথ খুঁজে নিয়েছিলাম, তখন
চলেছিস একসাথে।
আর এই পিচঢালা জনপদে হারালি তুই, চাকচিক্যের অন্ধ অলিগলিতে!
হায়রে প্রেম! হায়রে ভালবাসা!
দুঃসময়ে ভোল বদলাতে তোর জুড়ি মেলা ভার,
বলতে পারিস,এ তোর কেমন অহংকার?
ভিখারি বলেই কি তবে আজ তুই রুদ্ধ করলি দ্বার??
বুঝলাম, এটাই ছিল পরিহাস বিধাতার!
স্বেচ্ছায় যখন হারিয়েছিস তুই,
তখন ফিরিয়ে আনার সাধ্য আছে কার!!

#নীলকান্ত©

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

  • ৮:৩৪:০০ PM
মেয়েরা সব সময় নিজেদের স্বার্থটাই বড় করে দেখে,এরকম কথা লোকে বলে।কিন্তু আসলেই কি তাই? লোকে বলে "স্বার্থের জন্য প্রয়োজনে সব কিছু করতে পারে। এমনকি বয় ফ্রেন্ডকেও ছেড়ে দিতে পারে যখন তখন।নিজের রাগ যিদ কে সফল করার জন্য তো বটেই।"
যাই হোক এর জন্য নারীকে দোষ দিচ্ছিনা। বিশেষ করে শুধুমাত্র এ যুগের নারীদের তো অবশ্যই না।কারন, নারী সন্দেহবাতিক, কৌতুহলপরায়ন,অস্থিরচিত্তের একদিনে হয়নি। তাদের এসব গুণের পেছনে রয়েছে বহু পুরোনো ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ব্যাপারটা হলো,মানুষের সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সে নিজ জায়গায় স্বার্থপর। কিভাবে?
তার জন্য আমাদের সৃষ্টির আদিতে যেতে হবে।স্রষ্টা যখন মানব জাতিকে সৃষ্টি করল তখন প্রথম সৃষ্টি করল আদমকে। যে আদম স্বর্গের আরাম আয়েশের মধ্যেও একাকীত্ব ফিল করা শুরু করে।তখন তার মধ্যে কারো সঙ্গ পাবার ইচ্ছে জাগে। মনে মনে ভাবেন,"ইস,এই স্বর্গে যদি কেউ থাকত যার সাথে কথা বলে সময় কাটানো যেত তবে কতই না ভাল হত! "
স্রষ্টা আদমের মনকষ্ট বুঝতে পারলেন।আর তাই আদমকে সঙ্গ দেয়ার জন্য আদমের বাম পাজরের হাড় থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন।
আদম তার মত একজন মানুষ কে পেয়ে তো মহা খুশি।স্বর্গের বুকে দুজন ঘুরে ফেরে,খায় দায়, গল্প করে বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিল সময়। এমন সময় আবির্ভাব হলো শয়তানের। শয়তান আদমকে নানাভাবে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে পথচ্যুত করতে তৎপর হলো।কিন্তু স্রষ্টার প্রতি চির বাধ্য আদম কোনভাবেইই শয়তানের প্ররোচনায় ভুললো না। আদমকে প্ররোচিত করতে ব্যর্থ হয়ে ইবলিশ শয়তান নতুন ফন্দী আটলো।
সে অগোচরে হাওয়ার সাথে মিল দিয়ে হাওয়াকে ফুসলাতে চেষ্টা করল।এবং দেখল "আরে বাহ!  আদম কে ফুসলানোর চেয়ে হাওয়াকে ফুসলানো তো বেশ সহজ! "
সুতরাং সে সব সময় হাওয়াকে নানাভাবে প্ররোচিত করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকলো। হাওয়াকে বলল,"দেখেছ হাওয়া,ওই যে গাছটা দেখছো, ওই গাছটার ফল স্বর্গের সবচাইতে মিষ্টি এবং সুন্দর ফল। আর তা না হলে আল্লাহ তোমাদের ওই গাছের কাছে যেতে নিষেধ করবে কেন? নিশ্চয়ই আল্লাহ চায়না তোমরা ওই ফল খাও!অথবা নিশ্চয়ই আরো কোন রহস্য লুকিয়ে আছে ওখানে! "
এসব কথা শুনে হাওয়ার মনে কৌতুহল কিংবা সন্দেহ জন্মালো।যে কৌতুহল নারীর চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। আর সেই কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে সে প্রিয়তম আদমকে বলল,"দেখ আদম,আমি ওই গাছটার ফল চাই। অতএব আমাকে ফলটা পেরে দিতে হবে।"
আদম হাওয়াকে বহু চেষ্টা করল বুঝাতে।কিন্তু কিছুতেই হাওয়া বুঝতে রাজি হলো না। সে তার যিদে অটল। বরং আদমের সাথে অভিমান করে কথা বলাই বন্ধ করে দিলো।
এদিকে আদম পড়ে গেলো মহা বিপদে।একে তো আল্লাহ তাকে ওই গাছটার কাছে যেতে নিষেধ করেছে অন্যদিকে হাওয়া ওই গাছের ফল নেবেই নেবে।নচেৎ কথাটি নট।
আদম ঠিক কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। হাওয়াকে বুঝিয়েও লাভ হয়নি।বরং সে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে।অন্যদিকে স্বর্গের আরাম আয়েশ হাওয়ার সঙ্গ ছাড়া যেন পানসে হয়ে গেছে। কিছুই আর ভাল লাগছে না তার। কি করবে আর কি করবে না তাই ভেবে সে আকুল। এদিকে হাওয়ার এক কথা,"আমার ওই ফল চাইই চাই।"
আদম হাওয়ার মধ্যে যখন এরকম মনমালিন্য চলছে তখন দূরে থেকে শয়তান সব দেখে আর মিটিমিটি হাসে। আর মাঝে মাঝে হাওয়ার কাছে গিয়ে কানপড়া দেয়,"দেখেছ হাওয়া,আদম তোমাকে একদম ভালবাসে না। ভালবাসলে এতক্ষণে ওই ফলটা পেড়ে এনে দিত।"
শয়তানের কানপড়ায় হাওয়ার মনে আরো যিদ হয়, আরো রেগে যায় আদমের উপর।তারপর গাল ফুলিয়ে দূরে গিয়ে বসে থাকে।

আদম আড় চোখে হাওয়ার বিষাদময় চেহারার দিকে তাকায়।হাওয়ার ঠোট বাঁকিয়ে, গাল ফুলিয়ে বসে থাকাটা যেন আদমের হৃদয়টাকে ফালাফালা করে দেয়। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয়,"যা হয় হবে।কিন্তু আমি আর হাওয়ার মন খারাপ দেখতে চাইনা।"
তাই সে ধীর পায়ে হাওয়ার কাছাকাছি এগিয়ে আসে।তারপর হাওয়ার কাঁধে হাত রেখে মৃদু চাপ দিয়ে বলে,"প্রিয়তমা, তুমি এভাবে মন খারাপ করে বসে আছো কেন? তোমার মন খারাপ থাকলে আমার যে ভাল লাগেনা প্রিয়তমা। "
আদমের কথায় হাওয়া ঝাকি দিয়ে উঠে। রেগে মেগে বলে,"হ্যা হ্যা জানি।কতটা ভালবাস তুমি আমাকে। আর আমার জন্য তোমার কতটা মন খারাপ হয়! হুম!"
তারপর একটু থেমে আবার বলতে থাকে,"যদি আমাকে ভালইবাসতে আর আমার মন খারাপ দেখে তোমার খারাপ লাগত তবে এতক্ষনে আমাকে ফলটা পেড়ে এনে দিতে!"
আদম হাওয়ার কথায় কষ্ট পায়।সে হাওয়ার হাত ধরে বলে,"চল প্রিয়তমা, তোমাকে ওই ফলটা পেড়ে এনে দেই।"
আদমের মুখে এ কথা শুনে হাওয়ার চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠে। সেই সাথে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ইবলিশেরও। হাওয়া আদমের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,"সত্যিই বলছ তো? "
আদম স্রষ্টার নিষেধ অমান্য করার শাস্তির ভয়ে ভীত থাকলেও হাওয়ার সন্তুষ্টির জন্য হাসি হাসি মুখ করে বলে উঠে,"হ্যা প্রিয়তমা, সত্যিই।"
হাওয়ার আদন্দের বাঁধ ভেঙে যায়। অস্থির হয়ে উঠে সে। আদমকে বলে,"চল তবে এক্ষুনি যাই।"বলেই সে আদমকে টানাটানি করা শুরু করে। নারীর অস্থিরতা সেখান থেকেই।তারপর কোটি কোটি বছর কেটে গেছে কিন্তু নারীর মনের "কৌতুহল",সন্দেহ আর অস্থিরতা কাটেনি।
যাই হোক, আদম এবং হাওয়া নিষিদ্ধ গাছটার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলো।আর পেছন পেছন শয়তানও।শয়তান নিজের বুদ্ধির প্রশংসা করে বলল,"আরে আমি হলাম ইবলিশ শয়তান।আমি চাইলে কিই না করতে পারি! পুরুষকে প্ররোচিত করতে না পারি কিন্তু নারীর দ্বারা পুরুষকে তো প্রভাবিত করতেই পারি! হা হা হা। আমার কাজে নারীর ভূমিকা অপরিসীম। হা হা হা।"
শয়তান যখন এসব ভাবছিল ততক্ষণে আদম-হাওয়া নিষিদ্ধ গাছের নীচে এসে দাঁড়িয়েছে। হাওয়া তো খুশিতে বাকবাক। সে বারবার আদমকে ফলটা পারার জন্য আস্থির করে তুলতে শুরু করলো। এক পর্যায়ে আদম তার প্রিয়তমা হাওয়ার কথা শুনে ফলটা ছিঁড়েই ফেলল।
সঙ্গে সঙ্গে স্রষ্টা ক্ষুব্ধ হলেন।আদেশ অমান্যের অপরাধে দুজনকেই স্বর্গ থেকে বের করে দিলেন। আদম ও হাওয়া তাদের ভুল বুঝতে পেরে স্রষ্টার কাছে তাদের ভুলের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে লাগলো। বিশেষ করে হাওয়া তার কৌতুহল,সন্দেহ আর অস্থিরতার জন্য লজ্জিত ও দুঃখিত হলো।কিন্তু স্রষ্টা তার আদেশে অটল। তিনি আর তাদের স্বর্গে ফিরিয়ে নিলেন না।বরং মর্ত্যলোকে দুজনে দু প্রান্তে নির্বাসিত করলেন।
এসব দেখে শয়তান তার প্রথম সফলতার আনন্দে হেসে কুটিকুটি। আনন্দের অতিশয্যে গেয়ে উঠলেন, "আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!! "
(Don't take it religiously .)
#নীলকান্ত

সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬

  • ১০:১০:০০ AM


সেই অপূর্ণ চাওয়াগুলো, একে একে সব
হতাশার চাদরে পড়েছে ঢাকা।
চলতে চলতে সোজা পথ গুলোও
হয়েছে বাঁকা, প্রাপ্তির প্রান্তে এসে।

কালো আধারের বুকে কষ্টের জোনাকিরা সব
নীল আলো জ্বেলে পাখা মেলে!
আর বুক ফাটা আত্মচিৎকারে
মাটির বুকে মাথা খুটে মরে,
স্বপ্নের ঝিঝি পোকাগুলো।

জ্বলন্ত সিগারেট শেষ হয়,নিভে যায়;
এক এক করে ধোয়ার কুন্ডলি গুলো
হারিয়ে যায়, কুয়াশার মত।
কিন্তু শেষ হয় না, কষ্টের ছুচো গুলোর
গা থেকে বিগলিত বিশ্রী গন্ধ।
নেভে না,
স্বপ্নের গায়ে লেগে থাকা আরডিএক্স,
বিস্ফোরিত হতাশার আগুন।

হৃদয় পোড়া তামাটে গন্ধে,
চারপাশের বাতাসে মৃদু কোলাহল জাগে,
আবার থেমে যায় সব, সভ্য জাতিদের
অসভ্য কার্যকলাপে!

আশার পেয়ালায় আরেকবার
স্বপ্নের হুইস্কি ঢেলে নেশা খুঁজি,
ঢুলু ঢুলু চোখে স্বপ্ন জুড়ি,
লাল,নীল,হলুদ, সবুজ, তামাটে স্বপ্ন।
তবুও আজ কেন যেন,
আশার পেয়ালাতে আর নেশা লাগে না!!

#নীলকান্ত
১৫/০৩/১৫ ১২:০৮

রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬

  • ১০:২২:০০ AM

আজ নাকি কোন স্পেশাল দিন!!
ওহ!এখন তো রাত।
দিন তো সেই কখন রাতের
আধারে ঢেকেছে।
তাহলে আমিই বোধহয় এক্টু
দেরি করে ফেলেছি।
রাস্তার পাশের ওই দোতলার
জানালাটা খোলা ছিল,
এলোকেশী কোন রমণীর ধব
ধবে সাদা পিঠের
সকালের সুর্যস্নান দেখতে দেখতে দুপুর
গড়িয়েছে।
তারপর,
নিকশ কালো ভেজা চুল শুকাতে আসা
পাশের বাড়ির যুবতীর
দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে হয়েছে
আসব আসব করেও আসা হয়নি।
আচ্ছা,আজ না কি কোন স্পেশাল দিন?
সেও তো চলে গেছে আধারের
সাথে সাথে।
তবুও রাত এখনো কিছুটা বাকি!
কিন্তু,দোতলার বারান্দারর
এলোকেশী রমণী নেই,
নেই পাশের বাড়ির যুবতী।
হয়তবা আবারো একশ বছর
পরে ফিরে আসবে
ওরা দুজন, ফিরে আসব আমি।
ফিরে পাব আজকের এই স্পেশাল দিন।।

নীলকান্ত
  • ১০:১৯:০০ AM

একটা সকাল দিতে ইচ্ছে করে তোমায়,
এরকম এক বৃষ্টিস্নাত সকাল।
আকাশে কালো মেঘের ভেলা,
বিদ্যুতের ঝলকানি,
গুরুম গুরুম বজ্রপাত
আর মাথার উপর ঝুম বৃষ্টি।
আর সেই সকালে,
রাস্তা ফাকা,পাতি হাসগুলো খেলবে জলকেলি।
বজ্র মেঘের ঝলকানিতে চোখ বন্ধ করে-
দু কানে আঙ্গুল ঢুকাবে অশীতিপর বৃদ্ধা।
আর তোমার ভীত-সন্ত্রস্ত মুখটা
লুকোবে আমার বুকে।
শির শির করে কেঁপে উঠা তোমার ঠোট,
উষ্মতা খুজবে আমার ঠোঁটে।
এরকম এক সকাল দিতে ইচ্ছে করে খুব।
এমনই একটা বৃষ্টিস্নাত সকাল।।
  • ১০:১৭:০০ AM


এই যে,
এরা সব কাঠবিড়ালের দল,
লেজ উচিয়ে ঘোরে-ফিরে,
খায় গাছের পাকা ফল।।
এরা সব কাঠবিড়ালের দল।
রাজনীতির মাঠটা গরম,
আছে ক্ষমতা,শক্তি,বল;
এবার তোকে কে ঠেকাবে,
ইচ্ছা মত চল।
এরা সব কাঠবিড়ালের দল।।
অবশ্য জাত আছে দুটো,
কেউ কারো কাছে হবে না কো ছোট,
শুধু,
দ্বন্দ্ব তাদের কে খাবে কোন ফল!
কেউ পেড়ে খায় গাছ থেকে তো
কেউ কুড়ায় গাছের তল।
যত যাই বলো রে ভায়া,
এরা সব কাঠবিড়ালের দল।
আর আমরা??
আমরা মানুষ বড়ই খাস,
পদে পদে তাই খেয়ে যাই বাশ।।
মুখ ফুটে বললে কিছু,
এরা বলে," আরে শালা,তুই আবার কি চাস?? "
আমাদের নরম কমল দিল,
ভুলেও কভু মারি না এদের ঢিল,
কুকুরের সাথে কতই না তাই মিল,
ঠ্যাঙানি খেলেও পরের বার
মারব আবার একই জায়গায় সীল।।
তারপর,
আবার এরা লেজ উচিয়ে
খাবে গাছের ফল,
চেয়ে চেয়ে দেখব আমরা
ফেলব চোখের জল।
আরে শালা,
আগেই বলেছি, এরা কাঠবিড়ালের দল।।
  • ১০:১৩:০০ AM

যতবার এ হাতে ময়লা লেগেছে,ধুয়েছি।
খালি পানিতে ধুয়েও ময়লা পরিস্কার হয়েছে,
কিন্তু এবার??
এবার যে  লেগেছে-
চটের ব্যাগ হাতে গ্রাম্য হাটুরের রক্ত,
রাস্তায় পড়ে থাকা লুলা ভিখারি সাত্তারের রক্ত।
লেগেছে সারাদিন ঘামে ভেজা ভ্যানওয়ালা মন্টুর রক্ত,
রোদে পোড়া কৃষ্ণকায় বর্গাচাষী রবিউল মিয়ার রক্ত।
এ রক্ত সরাবো কিভাবে??
সাবান দিয়ে,হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে, ডেটল বা স্যাভলনের মত এন্টিসেপ্টিক দিয়ে কতবার ঘসেছি, যায়নি।
কাপড় কাচা ডিটারজেন্ট এর মধ্যে হাত ভিজিয়ে রেখেছি বহুবার,
তবুও যায়নি।
না রক্তের দাগ,না  গন্ধ, কোনটাই।
কি করেই বা যাবে -
এ রক্তের দাগ যে মিশে গেছে আমার রক্তে,
জিহ্বায়,প্রতিটি শিরা-উপশিরা,ধমনীতে।
কতভাবে চুষে খেয়েছি রক্ত ওদের....
হাটুরের ব্যাগে লালশাক আর কলমিলতা ছিলো,
একটা লাল পেড়ে শাড়িও কিনেছিল
মেয়ে তিথলীর জন্য।
আমি ওর নিওরোনে দুশ্চিন্তার বিষ ঢেলেছিলাম।
তারপর চুষে খেয়েছি ওর তাজা লাল রক্ত পিষাচের মত।।
লুলা ভিখারি ছাত্তারের ইনকাম ইদানীং বেড়ে গেছে বহুগুন..
রাস্তা দিয়ে যেই যায়, দিয়ে যেত দু পয়সা।
মোট দুইশ দশ টাকা ছিলো ওর ভাঙা থালাতে।
ভিখারির বাচ্চা! এত টাকা কামাইস চাদা দিবি না??
তাইতো, ওর ভাঙা প্লেট ভর্তি করে ওর রক্ত গিলেছি ছোট্ট ফুটা দিয়ে।
কেউ দেখেনি।
কেউ দেখেনি,ভ্যানওয়ালা মন্টুর গায়ের ঘাম কিভাবে রক্ত হয়েছিল!
রবিউল মিয়ার ধানী জমি কিভাবে
আমার পিপাসার মিটিয়েছিল।
কেউ দেখেনি।।
কিন্তু শালার সব গুলার রক্তে বিশ্রী গন্ধ,
এখনো যায়নি কিছুতেই।
না সাবান, না ডিটারজেন্টে।
মনে হচ্ছে,প্যারিসের সব পারফিউম গিলে খাই,
প্লাস্টিক সার্জারি করে বদলে ফেলি হাতের চামড়া।
এখনো যে অনেক রক্ত খাওয়া বাকি।।।
Writer information NILKANTO