:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

  • ৩:০০:০০ PM
তখন শিল্প বিপ্লবের যুগ।বৃটেনে শিল্প বিপ্লবের(সম্ভবত ১৭৬০-১৮২০/৩০ এর মধ্যবর্তী সময়ে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়।) সূচনা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ শিল্পকারখানায় ক্রীতদাসের মত খেটে চলেছে।তবে হ্যা,তখনও কিন্তু দাস প্রথা উচ্ছেদ হয়নি।কেবল বেশ কিছু দেশে দাস প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন এবং দাসপ্রথা রহিত করণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
এই তো ১৮৩৪ সালে বৃটেন দাস প্রথা নিষিদ্ধ করে একটা করা আইন পাস করে।যদিও এর আগে থেকেই জার্মান (১৭০৭ সালে),বৃটেন (১৭৭৭ সালে) দাসপ্রথা উচ্ছেদের জন্য আইন পাশ করেছিলো কিন্তু ১৮৩৪ সালের আইন ছিল আরো কঠোর এবং মূলত ১৮৩৪ সালের আইনেই বৃটেন এবং তার সমস্ত উপনিবেশ থেকে দাস প্রথা উচ্ছেদ করা হয়।
যাই হোক,
শিল্প বিপ্লবের যুগে দাস প্রথাটা কিছু কিছু দেশে ছিলো "ওপেন সিক্রেট"। এমতাবস্থায় শিল্পকারখানায় নিজের জীবিকা গড়ার তাগিদে এক যুবক নিজের ছোট্ট মফস্বল শহর ত্যাগ করে লন্ডনে চলে আসে।যুবকের নাম হ্যারি ওয়াষ্টেন।লেখা পড়া জানে যৎসামান্য। অল্প বয়সে পিতার মৃত্যুতে পড়ালেখা করতে পারেনি।তার পরিবর্তে ছোট দুই ভাই আর এক বোন এবং বিধবা মায়ের সমস্ত দায়িত্ব তুলে নিয়েছে কাঁধে। কিন্তু তার ছোট্ট শহরের সামান্য আয়ে এতবড় সংসার চালানো কিছুতেই সম্বব নয়।তাই কোন উপায় না দেখে সোজা লন্ডন। লন্ডনের পথ ঘাট,মানুষ জন সবাই অপরিচিত তার কাছে। এমনকি তাকে এক রাত আশ্রয় দেবে তেমন কেউও নেই এখানে । কি আর করা, বাধ্য হয়ে এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে,ফুটপাতে থেকে তার দিন রাত অতিবাহিত হচ্ছিলো। এদিকে সংগে নিয়ে আসা সামন্য কিছু সম্বলও প্রায় শেষের দিকে।কি খাবে আর কোথায় থাকবে তার ঠিক নেই।দিনে দিনে শরীরটাও অস্থিচর্মসার হয়ে গেছে। বিভিন্ন কারখানায় ঘুরে ঘুরে কোন কাজ পায় নি।আজ সারাদিন ক্লান্তিকর ঘোরাঘুরি শেষে প্রবল হতাশা নিয়ে রাস্তার পাশেই এক পার্কের বেঞ্চে গিয়ে বসলো সে।পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা।সারাদিন তেমন কিছুই পেটে যায় নি।এদিকে রাত এখন বেশ হয়ে এলো প্রায়।কিছুটা দূরের এক হোটেলের মৃদু আলো চোখে পড়ছে।
যুবক তার তেলচিটে কোটের পকেট থেকে অবশিষ্ট কয়েক পেনি হাতে নিয়ে একবার দেখলো। যা আছে তা দিয়ে আর দু বেলা হালকা খাবার খাওয়া যাবে, কিন্তু তারপর??উশকো খুশকো মাথা ভর্তি চুলের মধ্যে দু'হাতের দশ আঙুল ঢুকিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেলো সে। 
"নাহ! আজ আর কিছু খাবে না।"
বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সে ওই হোটেলে গেলো।তারপর বন্ধ প্রায় হোটেল থেকে পেট ভর্তি করে পানি খেয়ে ফিরে এলো পূর্বের স্থানে ।
তখনি পাশের কোন গীর্জা থেকে ১২ টার ঘন্টা বেজে উঠলো। চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না সে।চারপাশে সুনসান নীরবতা। বাড়ি গুলোর জানালা দিয়ে যে আলো গুলো দেখা যাচ্ছিলো তাও এক এক করে নিভে যাচ্ছে। হ্যারি তার তেলচিটে ওভার কোটটা জড়িয়ে পার্কের বেঞ্চে শুয়ে পড়লো।
বন্ধ চোখের পাতায় ফেলে আসা ছোট্ট শহরটা আর তার মানুষ গুলোর মুখ বারবার ভেসে উঠছে। মায়ের জলে ভেজা চোখ,ভাই বোনের অসহায় চেহারা, সব সব কিছু। "নাহ! আর পারছি না।" মনে মনে বলে উঠলো সে। শোয়া ছেড়ে উঠে বসে দু হাত দিয়ে চোখ টা আড়াল করে হু হু করে কেঁদে উঠলো নিজের অপরাগতায়।
বেশ কিছুক্ষন ধরে সে ওভাবেই আছে।হঠাৎ শুকনো পাতায় কারো পা ফেলার শব্দে সেদিকে ফিরে তাকালো। কেউ যেন তার দিকেই এগিয়ে আসছে। কিন্তু কে সে? আর এত রাতে?
লম্বা ওভার কোটে জড়ানো মধ্যবয়সী এক লোক, সামনে এসে কিছুক্ষন হ্যারির মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের হাত প্রসারিত করলো হ্যারির দিকে,
"হ্যালো, আমি ম্যাথুস"।
টু বি কন্টিনিউড...... 
(১ম পর্ব)
Writer information NILKANTO