:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

  • ৫:৪৩:০০ PM
সকাল ৬:০০ টায় যখন দিন শুরু হয় তখন মূলত কামলা দেয়ার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবেই শুরু হয়।এরপর ৮:০০ টা নাগাদ কামলা দিতে বের হই। পেটে দানা পানি বলতে কখনো সখনো নিকোটিনের সাদা ধোয়া কিংবা বুড়িগঙ্গার শুদ্ধপ্রায় জল। স্যুটেড, বুটেড হয়ে নিজের ইচ্ছা, আকাঙখা, ভালবাসা, চাওয়া পাওয়া এমনকি পেটের ক্ষুধা ভুলে সভ্যতার অসভ্য নীতিভ্রষ্টতাকে সমর্থন করে তেল দেই রাত-দিন। 

প্রতিদানসরূপ কখনো ঝাঁঝালো বাক্যবাণ, কখনো নীতিভ্রষ্টের শিষ্টাচার। আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই শিষ্টাচারের ভার্চুয়াল ইমেজ নিয়ে ধন্য মনে করি নিজেকে। যাক, তবুও ত কিছু পেয়েছি! 

এভাবে সকাল গড়িয়ে দুপুর, ভেতরে ছুঁচোরকেত্তন শুরু হয়। বাধ্য হয়ে ২:০০ টা নাগাদ যখন বাসায় ফিরে শূন্য হাড়ি সামনে পাই তখন নিজেকে সহস্রবার গালি দেই। বলি, "এটাই তোর প্রাপ্য।"
 
দুপুর গড়িয়ে শীতের জৌলুসহীন সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে। আধার নামবে হয়ত আর কিছুক্ষণ।  অসহায় কামলার জীবনের ২য় অধ্যায়ের পাঠ শুরু হয়। স্যুটেড বুটেড দেহের উচু মস্তকটা আবারো ভ্রষ্টাচারদের সামনে নুইয়ে পড়ে। বিদ্রোহী মন তখনো খেলা করে তার আপন রাজ্যে। ইচ্ছে করে স্বাধীনতার স্বাদ নিতে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নিজেকে স্বাধীন দেখার সাধ জাগে।কিন্তু তা আর হয় না।

মধ্যবিত্ত জীবনের অভাব অনটনে, সমাজের নীচুদরের মানুষ হয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন যেন অলীক কল্পনামাত্র। আমাদের স্বাধীন দেখার স্বাদ মানায় না।। তার উপর জীবনের ভুলগুলো চোখের সামনে এসে তিরস্কার করে বলে,
"এটাই তোর প্রাপ্য। তুই এর চেয়ে বেশি স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য না।"

মেনে নেই। চাপা কষ্ট চাপা থাক না হৃদয়ে। চেপে যাই নিজের ভেতরে। এভাবে একটা কামলার জীবনের রেগুলার রুটিন মেনে যখন ক্লান্ত শরীর বাসায় ফেরে তখনো ফেরা হয়না স্বাধীনতায়, ফেরা হয়না নিজের জগতে।

প্রতিদিন বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১২ টা। তারপর আবার কাগজ কলম নিয়ে বসে কামলা দেই ১:০০ টা পর্যন্ত। মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে পরিবার, বাবা মা, স্বজনদের কথা। কিন্তু ঘড়ির কাটা বলে দেয়, এখন সবাই ঘুমে অচেতন। বিরক্ত করার সময় এখন নয়। হয়ত তারাও সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে আছে। ঘুম ভাঙানোর অধিকার আমার নেই। মনে মনে ভাবি, আজ হলো না যখন তখন কাল কথা বলব সবার সাথে! 
এরপর বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই নিজেকে আবিষ্কার করি সকালের সূর্যোদয়ে। আবারো শুরু হয় একজন কামলার জীবন। আবারো অপেক্ষায় থাকি আরেকটা দিনের। অপেক্ষা করি আমার নিজের জন্য, যে সময়টা শুধুই আমার হবে।। 😔🙁

প্রকাশঃ ২৩/১২/১৯
সময়ঃ দুপুর ২:০০ টা

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

  • ১১:৪৫:০০ AM



গভীর হতে থাকে একাকী রাত,
নিস্তব্ধতা ভাঙে একেকটা দীর্ঘশ্বাস।
কত দিন হলো বলো তো?
কত শত শতাব্দী, কত শত বছর
কত সহস্র মাস!

হিসেবের খাতায় শূন্য ফলাফল
চাওয়া-পাওয়ার যোগবিয়োগে
চোখের লোনা জল।
কত সমুদ্র হলো বলো তো?
কত প্রশান্ত, কত আটলান্টিক
কত টাইগ্রিস -ইউফ্রেটিস!

স্মৃতিরা সব ধাওয়া করে পিছু,
ধূলো জমা ক্যানভাস,পোঁড়া হৃদয়,
ছেঁড়া এলবাম, আকুল স্পর্শ।
কত বয়স হলো বলো তো?
কত চন্দ্ররাত, কত শত সহস্র আলোকবর্ষ!

ফেলে আসা শতাব্দীর গল্পে,
তোমার আমার লাল নীল সংসার,
ফিরে ফিরে যায় বিরহী হৃদয়,
এ অশান্ত মন আমার।।
দেখো, আজ তুমিও একা, আমিও একা
শুধুই একাকীত্ব মনের আঙিনায়।।

#নীলকান্ত© [সংক্ষিপ্ত ]

শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

  • ১১:৪৫:০০ PM



কবিতার অন্ত্যমিলে খুঁজে চলি অবিরাম
ছন্নছাড়া জীবন, মেঘ কালোকেশী
রমণীর টোল পড়া গাল, জোড়া ভ্রু,
পশমি বলের মত বুক, কাব্যিক হাসি।
পার্কের বেঞ্চে বসে যাকে প্রথম দেখেছিলাম,
চারসহস্র শতাব্দী বছর আগে।
তারপর স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম দুজনে একসাথে,
দু'রুমের ফ্লাটে স্বপ্নগুলোর হয়েছিল স্থান।
তারপর একশত বিশ কিংবা তার কিছু বেশী
শতাব্দী কেটেছে উন্মত্ত জৈবিক সাধনায়।
শতাব্দীর সুখ সে তো দিয়েছিল আমায়।
সেই জোড়া ভ্রু,
কালোকেশ, টোল পড়া গাল।
সেই সব ঝড়ের রাত, শীতের কুয়াশা
সকালের মিঠে রোদ, সম্পর্কজাল।
সে তো আমার নয়, আমিই ছিলাম তার,
কিন্তু কি আশ্চর্য! আজ
ভুলেই গেছ কি ছিল তার নাম!! ধ্রুব? নাকি ধ্রুবক!!
#নীলকান্ত©
Writer information NILKANTO