দেশের নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করতে প্রত্যেক নাগরিককে প্রয়োজনীয় আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সবার আগে দরকার।
-----------------------+-----
-----------------------+-----
প্রশ্ন হলোঃ
→
আমরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে কি সম্পূর্নভাবে সচেতন?
→
আমরা কি আমাদের রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে ভালভাবে জানি?
→
আমরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে কি সম্পূর্নভাবে সচেতন?
→
আমরা কি আমাদের রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কে ভালভাবে জানি?
উত্তরঃ
জানি না/আংশিক জানি/তেমন কিছু জানিনা
জানি না/আংশিক জানি/তেমন কিছু জানিনা
তাহলে,
★
আমরা পদে পদে বিভিন্ন পরিস্থিতি তে হয়রানির শিকার কেন হই?
★
সরকারি কিংবা বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর দূর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে কিভাবে?
★
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে কেন?
★
আমরা পদে পদে বিভিন্ন পরিস্থিতি তে হয়রানির শিকার কেন হই?
★
সরকারি কিংবা বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর দূর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে কিভাবে?
★
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে কেন?
উত্তরঃ
কি জানি? /বলতে পারবো না কিংবা এটা,ওটা,সেটা
কি জানি? /বলতে পারবো না কিংবা এটা,ওটা,সেটা
কিন্তু আসলে একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন, এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একটা কথাতে লুকিয়ে আছে।আর তা হলোঃ "জনসাধারণ আইন সম্পর্কে সচেতন না এবং তারা আইন জানেন না। "
অর্থ্যাৎ জনগণ যদি আইন সম্পর্কে যথাযথ ওয়াকিবহাল হোন তবে এসকল সমস্যাগুলো হত না কিংবা হলেও তা মোকাবেলা করা যেত।
প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে?
উদাহরণ সরূপঃ
আপনি একজন নিরপরাধ ব্যক্তি।রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। এমন সময় কোন কারন ছাড়াই একজন পুলিশ কর্মকর্তা আপনাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায়(বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার) আটক করতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তার আটক করার অস্ত্র হলো তার উপর ন্যস্ত করা আইনি ক্ষমতা।যেখানে আপনাকে সন্দেহের বসে আটক করতেই পারে।(যদিও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নয়টি কারন উল্লেখ করা আছে।যেসব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে একজন পুলিশ অফিসার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন।)
পুলিশ কর্মকর্তার আটক করার অস্ত্র হলো তার উপর ন্যস্ত করা আইনি ক্ষমতা।যেখানে আপনাকে সন্দেহের বসে আটক করতেই পারে।(যদিও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নয়টি কারন উল্লেখ করা আছে।যেসব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে একজন পুলিশ অফিসার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন।)
কিন্তু সে সময় আপনার কি করণীয় আছে কিংবা আপনার কতটুকু আইনি অধিকার রয়েছে তা সম্পর্কে আপনি সচেতন না হলে বোকার মত চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
তিনি আপনাকে গ্রেফতার করার মত কোন কারন হয়ত পেলেন না কিন্তু আপনি হয়রানির শিকার হবেন।যদি এই হয়রানির শিকার যদি হতে না চাই তবে অন্তত নিজের আইনি অধিকার জানা আবশ্যক।
তিনি আপনাকে গ্রেফতার করার মত কোন কারন হয়ত পেলেন না কিন্তু আপনি হয়রানির শিকার হবেন।যদি এই হয়রানির শিকার যদি হতে না চাই তবে অন্তত নিজের আইনি অধিকার জানা আবশ্যক।
আচ্ছা,সে বিষয় না হয় গেলো।এবার ধরুন, আপনাকে মামুলি কোন অপরাধে আটক করে মেজেস্ট্রেটের কাছে নেয়া হলো।সেক্ষেত্রে একজন ৩য় শ্রেনীর একজন মেজেস্ট্রেট আপনাকে ৫ বছরের জেল অথবা দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন।আপনিও বিনা দ্বিধায় পাঁচ বছরের জেলের পরিবর্তে দুই লাখ টাকা দেয়া শ্রেয় মনে করে টাকাই দিলেন।কিন্তু আপনি এটা জানলেন না যে, একজন তৃতীয় শ্রেনীর মেজেস্ট্রেটের দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড দেয়ার এখতিয়ার নেই কিংবা দুই হাজার টাকার বেশি জরিমানা করবার।
এক্ষেত্রে যা হলো তা, মেজেস্ট্রেটের ভয়ে আপনি তাকে দূর্নীতি করতে সহায়তা করলেন। (এটা শুধুমাত্র উদাহরণ। আমি বলছি না যে,মেজেস্ট্রেটগণ কোন দূর্নীতি করেন।)কিন্তু আপনি যদি আইন এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতেন তবে আপনাকে অবশ্যই এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হত না।
আর আইনের ধারা এবং দন্ড সম্পর্কে সচেতন কোন নাগরিক সহজে কোন অপরাধ করতে সাহসও পাবেন না। কারন তিনি জানেন এই অপরাধের জন্য কি শাস্তি হতে পারে!
উদাহরণ শেষ। এবার মূল প্রসঙ্গে দুটি কথা বলি।
আমার লিখার প্রধান বিষয় ছিলো,
" দেশের নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করতে প্রত্যেক নাগরিককে প্রয়োজনীয় আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সবার আগে দরকার।"
" দেশের নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং দেশকে প্রকৃত অর্থে উন্নত করতে প্রত্যেক নাগরিককে প্রয়োজনীয় আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সবার আগে দরকার।"
উপরের উদাহরণ থেকে আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন সেটা কিভাবে সম্ভব!
এবার কথা হলো,হুম।দেশের নাগরিকদের আইন সম্পর্কে সচেতন করতে কি করা উচিত? কিংবা কিভাবে এটা করা যাবে?
উত্তরটা হচ্ছে,আইন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে।
কিন্তু যেহেতু আইন পরিবর্তনশীল এবং এটি সময় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে তাই এই শিক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা নির্দিষ্ট শ্রেনী(৪র্থ বা ৫ম শ্রেনী) হতে আইন বিষয়টি পাঠ্য পুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং কমপক্ষে এইচ এস সি পর্যন্ত আইন বিষয় বাধ্যতামূলক পড়তে হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইন সমূহ সকলেই জানবে। ফলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগার সাথে সাথে নিজের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।কেউ কোন ভাবে দূর্নীতি করতে গেলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবে এবং যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দপ্তর দ্বারা যেভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা হতে মুক্তি লাভ করবে।
কিন্তু
এইচ এস সি'র পরে যেহেতু আইন বিষয়ে আলাদা ভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা যায় তাই এ সময় বাধ্যতামূলক আইন পাঠ্য বিষয় জরুরী নয়।
কিন্তু যেহেতু আইন পরিবর্তনশীল এবং এটি সময় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে তাই এই শিক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা নির্দিষ্ট শ্রেনী(৪র্থ বা ৫ম শ্রেনী) হতে আইন বিষয়টি পাঠ্য পুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং কমপক্ষে এইচ এস সি পর্যন্ত আইন বিষয় বাধ্যতামূলক পড়তে হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইন সমূহ সকলেই জানবে। ফলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগার সাথে সাথে নিজের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।কেউ কোন ভাবে দূর্নীতি করতে গেলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবে এবং যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দপ্তর দ্বারা যেভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা হতে মুক্তি লাভ করবে।
কিন্তু
এইচ এস সি'র পরে যেহেতু আইন বিষয়ে আলাদা ভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা যায় তাই এ সময় বাধ্যতামূলক আইন পাঠ্য বিষয় জরুরী নয়।
সর্বশেষ কথাঃ
" জনগণ আইন সম্পর্কে সচেতন হলে দেশের দূর্নীতি প্রতিরোধ এবং নিজেদের অধিকার আদায় করা সম্ভব। আর দূর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে দেশও উন্নতি লাভ করবে এবং দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।"
" জনগণ আইন সম্পর্কে সচেতন হলে দেশের দূর্নীতি প্রতিরোধ এবং নিজেদের অধিকার আদায় করা সম্ভব। আর দূর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে দেশও উন্নতি লাভ করবে এবং দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।"
-নীলকান্ত ®ব্লগ