:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

  • ১০:৫৭:০০ PM
দেশে জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বগতি।জনাব অর্থমন্ত্রী সাহেব অনায়াসে বলতে পারেন, "মানুষের আয় বেড়েছে।গ্যাস বা জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এমন কিছু না। "
কিন্তু আমাদের মত বেকারদের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েছে।বেকারদের জন্য চাকুরীর বাজার মন্দা। (অর্থ্যাৎ চাকুরী নাই অথবা থাকলেও আগে অভিজ্ঞতা চাই।তারপর সেলসম্যানের পদবী)।
মাত্র ১৫ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়লেও ১৫ কোটি  ৮৫ লাখ সাধারন মানুষের বেতন বাড়েনি। এদের আবার ৮০%-৮৩%(আনুমানিক)  বেকার,নিম্ন বা মধ্য আয়ের বেসরকারি চাকুরে কিংবা শ্রমজীবী কৃষক এবং দিন মজুর।এদের আয় কতটুকু বেড়েছে? নাকি বাজারদরের তুলনায় আয় কমেছে??হয়ত মাননীয় মন্ত্রী সাহেবের পাওয়ার গ্লাসে এগুলো ধরা পরে না।পরেনি।তাই ৩০০ কোটি টাকার হেরফের তার কাছে কিছু মনে হয়না এমনকি ৩০০০ কোটি টাকাও!! তিনি মন্ত্রী হয়েছেন শুধু বড় বড় ব্যবসায়ী, এলিটিদের ভোটে।আর দেশে কোন দরিদ্র নেই, সবাই এলিট শ্রেনীর এটাই তার ধারনা।
তার ভাষায় তাকে "রাবিশ" বলা ছাড়া আর কোন শব্দ পেলাম না। (সরি,মি. অর্থ মন্ত্রী)
যাই হোক,
আজ বাবাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ধানের দাম কেমন? বাবা একটু হতাশ হয়ে বললেন ৫৫০-৫৬০ নতুন আমন ধান, আর পুরাতন টা ৬০০-৬৫০ টাকা/মণ।
কিন্তু এই ৫৫০ টাকার ধানের পেছনে কায়িক শ্রম,মজুরের অর্থ আর অন্যান্য খরচ বাদ দিলে ৫০ টাকাও কৃষকের হাতে আসে না।  তাদের বেতন/আয় বৃদ্ধি হয়নি।কিন্তু তবুও তাদের ২০ টাকার পেয়াজ ২০০ টাকা/কেজি দরে কিনতে হয়,তেল,লবন অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়,ফসলের পানি সেচের জন্য ডিজেল ৭৪ -৭৫টাকা/লিটার কিনতে হয়!! মজুরকে ৩০০-৪০০ টাকা/দিন দিতে হয়।।
তাদের আয় বাড়ে না।মধ্য বিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক এখন দরিদ্র কৃষকের পর্যায়ে পৌছেছে।তারা মান সন্মানের ভয়ে রিক্সা ভ্যানও চালাতে পারেনা কিংবা মজুর খাটতেও পারে না!
বলি, মাননীয় মন্ত্রী মহাদয় তাদের জন্য কি করলেন? কিছুই না।বরং  পারলে সারের দাম আরো কিছু বাড়িয়ে দেবেন,প্রয়োজনে মন্ত্রী আর এমপি দের পকেট ভরাতে কৃষকের গোয়ালের গরুর উপর "পশু ভ্যাট" ধার্য করবেন কিন্তু তাদের উন্নয়নের জন্য কিছুই করবেন না!
আর আমার মত যারা এই কৃষক পরিবারের সন্তান তাদের জন্য এই অউন্নয়নমূলক অর্থনৈতিক রাহুর কালো ছায়া পরে পড়ালেখা থেকে শুরু করে চাকরি বাকরি সব ক্ষেত্রে।।
অর্থ্যাৎ পরিবেশ টা এমন হয়ে যাচ্ছে যে,লেখাপড়া এবং চাকুরী শুধুমাত্র পুঁজিপতি ব্যবসায়ী ও বড় বড় বড়লোকের অধিকার।কৃষক এবং গরীবের জন্য চাকুরী হারাম,নাযায়েজ।
কারণ গরীব কৃষকের ছেলে মেয়েরা যখন অতি কষ্ট করে, দিন মজুরী করে,টিউশানি করে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন তখন বিলাসী পুঁজিপতির সন্তানেরা আরাম আয়েসে পড়া লেখা করে, এ নেতা, ও নেতা, ওমুক এর ছেলে,তমুকের নাতির রেফারেন্সে দিব্যি চাকুরী পেয়ে যায়।কিংবা চাকুরীর ধার না ধেরে অনায়াসে নিজস্ব ব্যবসা দাঁড় করাতে পারে।
আর বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত হয় সাধারন ছেলে মেয়ে, যাদের বাবা নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক বা চাকুরে।(ভাগ্যক্রমে দু একজন অদম্য মেধাবীরা ব্যাতীত।)
এসব পরিবারের ছেলেরা ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবে, সে চিন্তাও করতে পারে না। কারন ব্যবসা করতে পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়।বিনা পুঁজি তে ফটকা ও অবৈধ ব্যবসা করা যায় কিন্তু সৎ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা যায় না। এদিকে হত দরিদ্র পিতা তার শিক্ষিত বেকার সন্তানের জন্য জমি বেঁচে ব্যবসায় বিনিয়োগ করানোর ঝুঁকি কখনোই নিতে চান না।তাদের একটাই আশা,সন্তান চাকুরী করবে।লোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলবে,"এটা অমুকের ব্যাটা তমুক।ওমুক চাকরী করে,এত বেতন পায় "ইত্যাদি।
এদিকে সরকারের এক পেশে অর্থনৈতিক নীতিতে পুঁজিপতিরা স্বাভাবিকভাবেই অর্থমন্ত্রী সাহেবের প্রসংশায় পঞ্চমুখ। কারন, তিনি যে তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন!!
আর মন্ত্রীর সিদ্ধানন্তে চাটুকার, তোষামোদ কারীরা যখন বলে,
"বাহ বাহ! মন্ত্রী সাহেব তুলনা হয়না।"
তখন মন্ত্রী সাহেব নিজের মেধা ও সিদ্ধান্তে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন এই ভেবে যে,"আহ! লোক জন কত সুখে আছে! "
কিন্তু আসলেই কি তাই????
(বি.দ্র. এটাকে রাজনৈতিক ভাবে নিবেন না।যে কোন দল কিংবা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভাবে এমনি বলতাম আমি।)
[ত্রুটি ক্ষমা করবেন।]
Writer information NILKANTO