:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

সোমবার, ১৫ জুন, ২০১৫

  • ২:০২:০০ AM

--------------
ছেলেটার সর্বশেষ স্ট্যাটাস ছিলো
"ফ্রেন্ডস,
আজ থেকে আর আমি কখনো এফবি তে আসবো না।
বিদায় all...
মিস ইউ অল।
ভালো থেকো সবাই।
আসি...."
তারপর একটা বিকেল কিংবা সন্ধ্যা এলো।একটা প্রাণ হতাশার অনলে দগ্ধ হয়ে পৃথীবি ছাড়লো।
এরপর সব শেষ!  একটা নাম মুছে গেলো পৃথীবির জীবিত মানুষের তালিকা থেকে।
শেষ শব্দে যে আসার প্রতিশ্রুতি ছিলো, সে আসা আর কখনো হলোই না।
এবার আসি  কেন,কি কারনে তার এই আত্নহনন  সে বিষয়ে।
ছেলেটার ফেসবুক টাইমলাইনের প্রথমেই বেশ কয়েকটা ছবি।তার মধ্যে হতাশাগ্রস্ততা, বিধ্বস্ততা আর মলিনতার সুস্পষ্ট ছাপ।
পরপর বেশ কিছু স্ট্যাটাসে মায়ের প্রতি তীব্র অভিমান। কোন এক কারনে কিংবা অকারনে "মায়ের কাছে তার অধিকার খর্ব। মা'কে মা ডাকার অধিকার হতে বঞ্চিত হওয়ার তীব্র অভিমান।"
কোথাও আবার মায়ের বিরুপ আচরন তার মনে রেখাপাত করেছে বেশ গভীর ভাবে।তার ভাষায়,
"মা যদি তার প্রতিবন্ধী শিশুটিকে বোঝা মনে করে,তাহলে সেই শিশুটির মত অসহায় আর কেউ না।"
আমি জানি না কেন সে একথা লিখেছিলো। এমনকি এও জানিনা সে নিজেই সেই শিশুটি কিনা।
অতঃপর তার ভাষায় সে ছোট বেলা থেকে পারিবারিক অনাদর-অবহেলায় বড় হয়েছে।এবং যখন সে সব কিছু বুঝতে শিখেছে,বড় হয়েছে, তখনো তার সাথে ঠিক একই আচরন করা হয়েছে।
"এভাবে সে কিভাবে বাঁচতে পারে? "
ছেলেটির এই এক প্রশ্ন ছিলো সেখানে।
টাইমলাইনের আরো গভীরে গেলে তার হতাশার আরো কিছু দৃশ্য চোখে পড়ে তার লেখায়।যখন সে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত যে, সে কি করবে।এমনকি নিজের অতি আপনার স্থান, "মায়ের কোল" সেখানেও ফিরে যাবার সাহস পাচ্ছে না,বারবার সে ভীত হচ্ছে। আর হওয়াটাই এখানে বোধহয় স্বাভাবিক ছিলো, যদি পূর্বোল্লিখিত কথাগুলো সত্য হয়। এবং সে কথা গুলো অবশ্যই সত্য ছিলো, কারন "মানুষ মৃত্যুর আগে চাইলেও মিথ্যা বলতে পারে না।"
আত্মহত্যার কারণ মোটামুটি পরিস্কার।
কিন্তু এটাই কি সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা ছিলো,  নিজেকে সেই অনাদর-অবহেলা,হতাশা থেকে মুক্তি করার?
না, কখনোই না।
আজ ছেলেটি পৃথীবিতে নেই।তার খুব কাছের যে ক'জন মানুষ ছিলো, তারা হয়ত আর দু'দিনের মধ্যে সব ভুলে যাবে।
যার বা যাদের জন্য ছেলেটি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে,সে বা তারাও সব ভুলে যাবে। এই সুন্দর পৃথীবিতে তারা ঠিকই সুখের সাথে বসবাস করবে।
কিন্তু যে অবহেলা-অনাদরের জন্য ছেলেটি আত্মহত্যা করলো সেই অবহেলা অনাদরের কি কোন পরিবর্তন হবে? হবে না।
কিংবা নিজের বা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কি কেউ ছেলেটির জন্য সারা জীবন কাঁদবে?  না,কাঁদবে না।
কিংবা নিজের ভুলের কথা ভেবে কেউ ছেলেটির মত স্বেচ্ছা মৃত্যুও গ্রহন করবে না।
তাহলে তার এই আত্মহত্যার কোন মূল্যই কারো কাছে নেই।এবং থাকেও না।
যে আত্মহত্যা করলো,সে নিজের কাছেই  নিজেই হেরে গেলো এবং হেরে গেলো বাকি পৃথীবির কাছে।
##
আমি যে ছেলেটির কথা বললাম, ওর নাম #আকাশ রোজারিও, বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার উথুলি নামক গ্রামে।যে অত্যন্ত অভিমান আর হতাশা নিয়ে গত কাল পৃথীবি ছেড়েছে।
#আকাশ,
যদি আমার সাথে তোমার পরিচয় থাকতো, তবে আমি কখনোই তোমাকে অকালে ঝরে যেতে দিতাম না।
তোমার কাছে আরো অনেক পথ খোলা ছিলো। কিন্তু তুমি সঠিক ডিরেকশনটা সঠিক সময়ে পাওনি। এটাই সবচেয়ে বেদনাদায়ক। বেদনাদায়ক তোমার মৃত্যু।
##
তাই আত্মহত্যা কোন সমাধান হতে পারে না।বরং প্রতিকূলতা কে টেক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যদি সকলের মত উচু দরের না হতে পারেন সমস্যা নেই।নিজের নিম্ন দর নিয়ে খুশি থাকেন। আর উচু দরে উঠার জন্য চেষ্টা করতে থাকুন।
মনে রাখবেন, জীবন একটাই।এর কোন ডেমো ভার্সন অথবা এক্সট্রা ভার্সন পাবেন না। জীবনের মূল্য টা বুঝুন।আর আত্মহত্যার মত কোন বাজে চিন্তা মাথায় এলে অবশ্যই ঝেরে ফেলুন।
"Remain calm when a storm hits your life and remember, the sun never too far away."
Writer information NILKANTO