:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

  • ৩:৪৫:০০ PM
দু'চোখ ভরা অভিমান নিয়ে ও প্রায়ই বলে,"তুমি আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাও না। "
"বল তো,আমাকে নিয়ে তুমি কোথাও বেড়াতে গেছো? "
তারপর
ওর অভিমানী চোখের পাতায় না পাওয়ার শিশিরেরা ভর করে । আমি একটু ভেবে দেখি,সত্যিই তো, ওকে নিয়ে কোথাও সেভাবে ঘোরা হয়নি!আমাদের সীমাবদ্ধ ঘোরা ফেরা শুধু সাত মাথা থেকে খোকন পার্ক আর বড়জোর বিসিএল কিংবা কোয়ালিটিরর ফাস্ট ফুড শপ।তার বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি।এমনকি এক দেড় ঘন্টার বেশি বাহিরে যে ওকে সময় দিতে পেরেছি তাও না! বরং যা দিতে পেরেছি তা হল, অনাগত ভবিষ্যৎ জীবনে দু'জন সারা দেশ ঘুরে বেড়াবো সেই অনিশ্চিত প্রতিশ্রুতি।
তবে কি এ অভিমান যথার্থ নয়? হ্যা,,অবশ্যই তার এ অভিমান করা অমূলক নয়।অমূলক নয় অভিমানের বাহিরে এসে সম্পর্ক কে সেখানেই ইতি টানা।
কিন্তু না,সে সামান্য অভিমান করেছে বটে আবার পরক্ষণেই সে অভিমান ভুলে কখন যে দীর্ঘ ঘর সংসার করা গৃহিণীদের মত বড় মানুষ হয়ে গেছে ও নিজেও বুঝত না।
আমি ওকে বলি,"তো চল যাই,কোথাও থেকে ঘুরে আসি।"
ও তখন বড় মানুষের মত বলে,"আগে তোমার চাকরী বাকরি কিছু একটা হোক।তারপর সব সুদে আসলে উশুল করবো। কিন্তু এখন না। "
কথা বলতে বলতে ওর চোখ মুখ চকচক করে উঠত ভবিষ্তের দিকে তাকিয়ে।মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে কাঁধের উপর হেলান দিয়ে আস্তে আস্তে বলত,"আই লাভ ইউ সো মাচ সোনা।উই হ্যাভ আদারস টাইম টু গো।"
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবি,"যেন সে সময় আসার আগে বিধাতা আমাকে তুলে না নিয়ে যান। তা না হলে মৃত্যুর পরেও এই অপ্রাপ্তির ভার আমায় বয়ে বেড়াতে হবে।"
এভাবে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরে বলি,আই লাভ ইউ টু।ইয়া,উই হ্যাভ আদারস টাইম টু গো।বাট উই উইল নেভার গেট দিজ মোমেন্ট ব্যাক।"
কিছুটা কষ্ট বুকের মধ্যে বাসা বাঁধতে চায়। কিন্তু ওর টোল পড়া গালের মিষ্টি হাসি আর আমার বর্তমান পরিস্থিতি বুঝে ওর এমন বড় মানুষের মত কথা শুনে সব ভুলে যাই।একে একে গত প্রায় এক বছরের সুন্দর মুহুর্ত গুলো চোখের তারায় এসে ভীর জমায়। সেই সব স্বপ্ন দেখার আর স্বপ্ন দেখানোর দিনগুলো।
ও আমাকে এতটা ভালোবাসে,এতটা কেয়ার করে,মাত্র উনিশের কোঠায় সে যখন হঠাৎ অনেক বড় হয়ে যায় তখন
নিজেকে খুব লাকি মনে হয়। মনে হয়,আমার চেয়ে পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যারা এতটা সৌভাগ্যবান হয়,এতটা ভালো কাউকে জীবন চলার সঙ্গী হিসেবে পায়।।
সত্যি কথা বলতে কি জানেন,
জীবনের ছোট ছোট সুখের মুহুর্ত গুলো আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসময় কেও ভুলিয়ে রাখতে পারে। ছোট ছোট অভিমান ভরা মুহুর্ত গুলো আপনার বন্ধুর পথচলায় আনন্দ এনে দেয়।আপনি তখন অনায়াসে দুঃস্বপ্নের এভারেস্ট জয় করতে পারেন সহজেই।পারেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেতে।
আপনার প্রিয় মানুষটির প্রতিটি মুহুর্ত কে বুঝার চেষ্টা করুন।তার ভালোলাগা, মন্দ লাগাকে যথার্থ মূল্যায়ন করুন।প্রচন্ড খারাপ লাগার মুহুর্ত গুলোতে একটু পেছন ফিরে তাকান,প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো প্রিয় মুহুর্ত গুলো স্মরণ করুন, দেখবেন কত সহজেই সেই খারাপ লাগা ভালোলাগায় বদলে গেছে।
সম্পর্কের মাঝে রাগ-অভিমান, সুখ দুখ,হাসি-কান্না খুব পাশাপাশি। এগুলো কে এড়িয়ে যেতে কেউ পারে না।কিন্তু একটু চেষ্টা করলে নেতিবাচক বিষয়গুলোকে অবশ্যই কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রিয় মানুষটি যখন আপনার উপর প্রচন্ড অভিমান করেছে,যখন আপনার কোন ভুলে সে কষ্ট পাচ্ছে তখন অবলীলায় তাকে "সরি" বলুন। নিজের ভুলের জন্য তার কাছে মন থেকে ক্ষমা চান।অভিমান ভাঙান।
আমার মতে,সম্পর্কের মাঝে রাগ-অভিমানকে জিইয়ে রাখা কখনোই উচিত নয়। অনেক সময় আপনি যেটাকে ভাবছেন কিছুই নয়,সেটাও অন্য কারো কাছে অনেক বড় কিছু হতে পারে। তাই যত দ্রুত নিজেদের মধ্যে মিউচুয়াল হওয়া যায় ততই মঙ্গল। ততই সম্পর্ক টা দীর্ঘস্থায়ী ও সুদৃঢ় হয়।
আপনি বিশ্বাস করবেন কি না জানি না,কিন্তু আমার আর ওর মাঝে প্রতিদিন ঠুক ঠাক লেগেই থাকে।কখনো কখনো আমি ইচ্ছে করেই লাগাই আবার কখনো ভুল বুঝাবুঝিতে লাগে।কিন্তু তা সত্বেও ও কখনোই আধা ঘন্টার বেশি রাগ করে থাকেনি।এমনকি আমিও না।তবে মাঝে মাঝে আমি একটু বেশি রাগ করেছি হয়ত,একটু বেশি সময় ধরে ওকে ফোন দিচ্ছি না,কথা বলছি না কিংবা ফোন ধরছি না, তখন ও পাগলের মত আমাকে ফোন দেবে।ফোন ধরলে ধরা গলায় যখন বলে,"আই য়াম সরি।ভুল হয়ে গেছে আমার।"কিংবা "সরি জান আই লাভ ইউ।"
তখন রাগ তো দূরের কথা, আমি যে কেন রাগ করেছিলাম সেটাও আর মনে করতে পারিনা।
আচ্ছা,এটা কে কি তবে ভালোবাসা বলে? হ্যা,এটাই ভালোবাসা।আর সম্পর্কের মাঝে দুঃখ গুলো, রাগ অভিমানের কারন গুলো ভুলে যাওয়াই উত্তম।ভুলে যাই,ভুলে যায়,আপনিও ভুলে যান।
দেখবেন কত সহজেই সবকিছু সুন্দর হয়ে গেছে।পৃথিবীটাকে কত প্রেমময় কাব্যিক মনে হচ্ছে।
বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা বেড়ে গেছে শতভাগ ।
আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করি ওকে পেয়ে।কারন ওই আমাকে শিখিয়েছে, কিভাবে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে বাঁচতে হয়।সুন্দর পৃথিবীটাকে কিভাবে নিজের করে নিতে হয়!
তোমাকে অনেক ভালবাসি আমি,যতটা ভালোবাসা যায়।
Writer information NILKANTO