:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

  • ১:৩৯:০০ PM
চল একটা কবিতা লেখা যাক,
যেখানে প্রতিটি ছত্রে তুমি আর আমি,
যার প্রতিটি মাত্রায় যোগ হবে একেকটা স্বপ্ন,
পূর্ণিমার চাঁদ, বৃষ্টি ভেজা দুপুর আর
সময়ের উল্টো স্রোতে ভেসে বেড়ানো কষ্ট গুলি।
চল একটা গল্প লেখা যাক,
যেখানে স্বপ্নরা বাসা বাধে আবেগের তুলিতে,
নীল বেদনার লাল মেঘেরা উকি দেয় আকাশে,
আর ভালোবাসা হয়ে রয় সাদা ক্যানভাস।
চল,একটু খুনসুটি করা যাক,
যেখানে তোমার টোল পড়া গাল থাকবে,
চোখের তারায় কামনার ছাপ থাকবে,
কল্পলতার স্বল্পকালে মান থাকবে,রাগ থাকবে
আর থাকবে কাছে আসার উদাত্ত আহ্বান।
(সংক্ষিপ্ত)
#নীলকান্ত©

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

  • ১২:২৫:০০ AM
পরাগায়ন
---------------
ঠোট দু'টো দারুনভাবে আশাহত!
কামনার তীব্রতায় ব্যাকুল প্রতিটি শিরা-উপশিরা।
আচানক শুভ্র ফুলের বর্ষণ
মিনারের শীর্ষদেশ।
কোথাও কিছু নেই,
রক্তজবার কোমল স্পর্শ কিংবা
অপরিস্ফুট গোলাপের কলি,
নেই কিছু নেই।
সাধের ভ্রমর ডানা ভেঙে আছে; থাকে,
লাউয়ের কলিগুলো ধীরে ধীরে ফুল হয়;ঝরে পরে,
শুধু অতৃপ্ত ক্ষুধা নিয়ে জেগে থাকে গাছটা।
আবারো অন্য কোনদিন-ফুল ফুটবে,
ডানা মেলে উড়ে আসবে সাধের ভ্রমর;
পরাগায়নের সুখে লাউয়ের ডগা মল পড়বে,
পাপড়িগুলো ভিজে থাকবে
ভোরের শিশিরে;
ফল ধরবে, এই ভেবে।।

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

  • ৩:৫২:০০ PM
হে বিবেক,
তুমি ঘুমিয়েই থাক।চির ক্লান্ত তোমার জেগে উঠার দরকার কি? যেখানে হাজারো চোখের সামনে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিতের আর্তনাদ আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় তখনও তুমি ঘুমিয়েই থাক,বরং তাই ভালো।।হাজারো চোখের মধ্যে যখন এক জোড়া চোখে অবিরত বারি বয়,তখনও তুমি ঘুমিয়েই থাক। শত আকুতি-মিনতি,বাঁচতে চাওয়ার তীব্র ব্যকুলতায় যখন কারো কন্ঠস্বর চারিদিকে আর্তনাদের সুর তোলে, তখন তুমি বধিরের মত পাশ কাটিয়ে চলে যাও।ঘুমিয়ে থাকো। তুমি ঘুমিয়েই থাক।
বিবেক,তুমি আজ বধির হয়ে গেছো। তুমি আজ অন্ধ হয়ে গেছো ।
আফসোস, কোন একদিন তুমিও জেগে উঠবে নিজের আর্তনাদ শুনে  কিন্তু তোমার আশ পাশের সবাই অন্ধ,বধির হয়ে থাকবে,যেভাবে তুমি ছিলে ।সেদিন তোমার বুক ফাটা আর্তনাদ কারো বিবেকে স্পর্শ করবে না। তারাও যে তোমারি মত অন্ধ,বধির আর ঘুম কাতুরে।
বিবেক, তুমি জেগে উঠো। দেখতে শিখো,বলতে শিখো, প্রতিবাদ করতে শিখো। আর তা না হলে ঘুমিয়েই থাকো।
  • ৩:৫১:০০ PM
"ভালোবাসা(Love) হল এমন একটা শব্দ যার মোট বর্ণ  সংখ্যা চার। এবং এর প্রথম বর্ন L,ইংরেজি বর্ণমালার ১৬ নাম্বার বর্ণ এবং তৃতীয় বর্ণ V, ২৪ নাম্বার বর্ণ। দু'টোই ৪ দ্বারা বিভাজ্য।দ্বিতীয় বর্ণ
O,  হল ১৯ নাম্বার বর্ণ এবং পঞ্চম বর্ণ  E হলো ইংরেজি বর্ণমালার ৫ নাম্বার বর্ণ, যাদের যোগফল আবার  ২৪। এবং এটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য।
এবং সকল বর্নের অবস্থানের ক্রমিক একসাথে যোগ করলে হয় ১৬+১৯+২৪+৫=৬৪,যা ৪ দ্বারা বিভাজ্য এবং ভাগফল হয় ১৬। এবং অবাক করার বিষয় হলো ১৬ এর বর্গমূলও কিন্তু চার (৪)।
অন্যদিকে, চারটি বর্ণ দ্বারা একটা শব্দ হয় LOVE, যা বাংলাতেও চারটি বর্ণ দ্বারা গঠিত (ভা২৪+লো২৮+বা২৩+সা৩১)।
"ভালোবাসা" শব্দের "ভ" বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ২৪ নাম্বার বর্ণ এবং "ল" হলো ২৮ নাম্বার বর্ণ। দু'টি বর্ণের অবস্থান গত ক্রমিক ৪ দ্বারা বিভাজ্য এবং ভাগফল যথাক্রমে ৬ এবং ৭  । এই দু'টি ভাগফলের যোগফল ৬+৭=১৩।
আবার ২৪+২৮= ৫২ । এই ৫২ কে ১৩ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল হয় ৪।
অবাক করা বিষয় যে "ভালোবাসা" শব্দের বাকি দু'টি বর্ণ "ব" এবং "স" বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণমালার যথাক্রমে  ২৩ এবং ৩১ নাম্বার বর্ণ। যাদের সমষ্টিও আবার ৫২ এবং তা ১৩ দ্বারা ভাগ করলে দ্বারায় (৫২/১৩=৪)। অর্থ্যাৎ ৪ সংখ্যা টি ভালোবাসার জন্য একটা লাকি সংখ্যা।এবং ভালোবাসা এই ৪ সংখ্যার উপরই আবর্তিত হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, "ভালোবাসা" একটি গানিতিক যুক্তিতে প্রবাহমান। ভালোবাসার গানিতিক হিসেব যদি না মিলাতে পারেন তবে ভালোবাসা আপনার কাছে ধরা দেবে না কিংবা আপনি কখনোই তাকে ধরে রাখতে পারবেন না।
Now check it out.
গানিতিক বিশ্লেষনঃ
_নীলকান্ত
  • ৩:৫০:০০ PM
ভালোবাসা হলো কিছু সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম  অনুভূতির সমষ্টি। এর মধ্যে একটির অভাব অন্যটিতে প্রভাব ফেলে।
আগে বলতে শুনেছি,"যাকে ভালোবাসো,তাকে উজার করে দাও।প্রতিদান আশা করো না।"
এই উক্তিটা কে প্রথম করেছিলেন জানিনা,কিন্তু যে এই উক্তিটির জন্মদাতা তিনি পরোক্ষভাবে প্রেমিক প্রেমিকাদের আত্মহত্যাকে উৎসাহিত করেছিলেন।কেননা,এক পক্ষ শুধু দিয়েই যাবে প্রতিদানে এতটুকু ভালোবাসা পাবে না,তা মেনে নেয়া যায় না । আমার মতে, "যখন তুমি কাউকে ভালবাসি বল কিন্তু সে কখনো তোমাকে বলে না কিংবা এড়িয়ে যায় কিংবা গেছে কিংবা এড়িয়ে যাচ্ছে,মনে রেখ সে তোমাকে ভালোবাসে না,বাসেনি কিংবা এখন তোমার চেয়ে Better  কাউকে পেয়েছে। "
অতএব,এখন না পরে বলবে,পরে না পরশু বলবে কিংবা আজ বাসে না কাল বাসবে, এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মানে মানে কেটে পর।That'll b better.
কেননা, ইমানের যেমন তিনটে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে তেমনি ভালোবাসারও তিনটে শর্ত আছে।
এক, মনে প্রাণে বিশ্বাস করা যে তুমি ভালোবাস।
দুই, মুখে স্বীকার করা যে তুমি ভালোবাস এবং
তিন, তুমি যে ভালবাস তা কার্যে পরিনত করে দেখানো।
এই তিনটে শর্তের একটি কম হলে সে ইমান যেমন দূর্বল, তেমনি সে ভালোবাসাটা দূর্বল। যাকে রসায়নের ভাষায় বলে "ভ্যানডারওয়াল"।
সুতরাং কেউ একজন কোন একজনকে পাগলের মত জান-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে যাবে কিন্তু প্রতিদানে অন্যের সন্তানের আংকেল বা আন্টি হবে তা মেনে নেয়া যায় না।আর তখনই বিগত দিনের পাগলামি ভুল মনে করে কেউ বখে যায় আর বিগত দিনের স্মৃতি গুলো নিয়ে কেউ হারিয়ে যায়। কিংবা আমৃত্যু মৃতপ্রায় মন নিয়ে বেঁচে থাকে কিংবা অন্যের ভুলের প্রতিদান দিতে হয় অন্য কাউকে।
কিন্তু তা কেন?
ভালোবাসলে সোজা বল,যে ভালবাস,আর না বাসলে নিজের রাস্তা মাপ।
বি.দ্রঃ ভালোবাসার অন্য কোন শ্রেনীবিভাগ করার দরকার নেই। আমি একটা ছেলে ও মেয়ের মধ্যে যে ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাই বুঝিয়েছি।
  • ৩:৪৮:০০ PM
জীবন চলার পথে ভুল পদক্ষেপের মাশুল ভয়াবহ এবং ভোগীই জানে তা কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
"Life is like playing chess. Every step you r taken, taking risk to lose or live there.
And in every squire you are stepping, leading you to the game over."
এই বিখ্যাত উক্তিটি কে করেছিলেন ঠিক মনে করতে পারছি না।তবে নিজের মত করে এর অনুবাদ করলে দাঁড়ায়।
"জীবন হলো দাবা খেলার মত।এখানে আপনার প্রতিটি  চালে ঝুঁকি নিতে হয় হারার কিংবা জিতার।
এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ আপনাকে চালনা করবে খেলার সমাপ্তির দিকে।"
সত্যিই তাই। এক চাল, দু'চাল করে জীবনের এমন এক পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছি, যেখানে পদে পদে হেরে যাবার ভয়।সময়ের স্রোতধারায় থেমে থাকার সুযোগ নেই।
পরিস্থিতি এমন যে," হয় এগিয়ে চল, নয়ত এখানেই ডুবে মর।
যদি এগিয়ে যাও তখনও মরতে হবে,কিন্তু কিছুটা সময় পাবে।কিন্তু যদি থেমে যাও তবে তোমার চারপাশের উত্তাল ঢেউ তোমাকে চাপা দিয়ে যাবে।"
#এখন মনে হয়,
দিক বিদিক জ্ঞান শূন্য আমি কাষ্ঠ ছেড়ে খড়কুটো কে আকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন বুঝছি সেই ছেড়ে দেয়াটা কত বড় ভুল ছিলো । আজ ডুবে যেতে যেতে ঊঠে দাড়ানোর যে নিরলস চেষ্টা করছি, তা আগে কেন করিনি তাই ভেবে নিজেকে ধিক্কার দেই।কষ্ট হয়,  কেন আমি দেখে না শিখে ঠেকে শিখতে গেলাম!ঠেকে শেখার জ্বালা যে কি তা আজ খুব বুঝি। আফসোস, দেখে শিখলে আজ হয়ত এই ঠেকে থাকার যন্ত্রণা টা হত না।
তারপরেও সৃষ্টিকর্তাকে শত সহস্র ধন্যবাদ যে, তিনি আমাকে এতটা পথ টেনে এনেছেন এবং এতটা পথ চলার জন্য সময় এবং সাহস দিয়েছেন।
  • ৩:৪৮:০০ PM
"জীবনটা মোকাবেলা করার জন্য, ভয়ে চুপসে থাকার জন্য নয়।"
------------------------------
আমার এক বান্ধবী হঠাৎ ফোন করলো আজ।তা, কমপক্ষে বছর খানেক পর হবে!
অপরিচিত নাম্বার দেখে একটু ইতস্তত করে ফোন টা রিসিভ করলাম।
ও পাশ থেকে কোন সম্বোধন কিংবা কুশল বিনিময়ের কোন বালাই নেই।ফোন রিসিভ করতেই ঠাস ঠাস করে কানের উপর কয়েকটা পড়লো,"তোরে থাপ্ড়াইয়া দাঁত খুলে ফেলবো। ফেসবুকে এসব কি লিখিস, হ্যা? "
আমি ঘটনার আকষ্মিকতায় হতবম্ভ। কে এত অধিকারের সাথে কথাগুলো বলছে তাও ভাবার কথা আমি ভুলে গেছি।সে যে কে, সেটাও জিজ্ঞাসা করার সাহস পাচ্ছি না।
এদিকে, অন্য পাশ থেকে তিনি এক নাগারে বলে চলছেন,
"আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।তুই কি সেই? যে মৃত দেহেও জীবনের সন্ধান খোঁজে? তবে আজ কেন এতটা হতাশ? স্ট্রেঞ্জ!
তুই যে এতটা হতাশ,জিরো কনফিডেন্টেড হবি তা ভাবতেই পারছি না।"
এবার একটু দম নিলেন তিনি।আর আমিও সুযোগ পেলাম একটু ভেবে দেখার আসলে তিনি কে!
"কিরে কথা বলিস না কেন? তোরে চাপড়াইয়া কিন্তু সোজা করে ফেলবো। "
আমার ভাবার আর সময় নাই।কেন জানি মনে হচ্ছে,উত্তর না দিলে সত্যি সত্যি বোধহয় কপালে দুঃখ আছে।তাই সম্বোধন এড়িয়ে বললাম,"না মানে,নিজেকে নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে আছি।তাই ভেতরের কিছু কথা নিজের অজান্তেই বের হয়ে যাচ্ছে! "
ও পাশ থেকে বান্ধবী বলল,"দূর.. কি যা তা ভাবিস! B positive man.Everything is a part of living. Take these as simple as u can."
ও আমাকে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে, আর আমি মিলাতে চেষ্টা করছি সে কে! বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর বুঝতে পারলাম, হায়রে! এত সেই টিনা! ২০০৮ এ যে সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আত্মহত্যার মত দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিলো ।প্রাইমারি থেকে কলেজে যে সেরাদের সেরা হয়েও এইচ এস সি তে চরম ফলাফল বিপর্যয়ে হতাশ ছিলো ।তারপর কত দিন-রাত ওকে বুঝিয়েছি তার ঠিক নেই!   দু'জনের জীবনের চরম মুহুর্ত গুলো শেয়ার করে সেদিন জীবন থেকে হালকা হয়েছিলাম।সামনে এগুনোর পথ ধরে আমিই ওকে চলতে শিখিয়েছিলাম ভবিষ্যতের পথে। তারপর ও গেছে ওর পথে আর আমি আমার।
মাঝখানে প্রায় ৬ টি বছর কেটে গেছে।পাল্টে গেছে জীবনের লেনদেন,বদলে গেছে হিসেব। কিন্তু সাত বছর পর হঠাৎ করে উল্কা পিন্ডের মত উদয় হয়ে ও যে আমাকে নতুন করে পথ দেখিয়ে দেবে তা কখনোই ভাবিনি।
ও কথা বলেই চলেছে। সেসব কথা নয়,উপদেশ।আমি মনযোগী ছাত্রের মত শুনে চলেছি। হ্যা,হু কিচ্ছু নেই।
বেশ কিছুক্ষণ পর ও বলল,"কি রে,বুঝেছিস, কি বললাম? "
আমি ওকে বললাম, "তুই কেমন আছিস? ভালো আছিস তো? "
"ওহ! সরি রে! দেখ, তোর স্ট্যাটাস পড়ে এত মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিলো যে,তুই কেমন আছিস তা জিজ্ঞাসা করতেও ভুলে গেছি? আমি ভালো, তুই? "
-"যেমন দেখছিস।তেমনি আছি। আগে যেমন ছিলাম সেরকমই আছি,শুধু মাঝখানের সময়টা বদলে গেছে।
কত বছর হলো বলত? "
আমি কিছুটা শুকনো গলায় ওকে জিজ্ঞাস করলাম।
ও একটু পেছনে ফিরে গিয়ে বলল,"Its about six years. তাই না? লাষ্ট তোর সাথে কথা হয়েছে এডমিশনের পর।তারপর তো তুই হাওয়া হয়ে ছিলি।তোর আগের নাম্বার বন্ধ। কত ট্রাই করেছি!
কিন্তু গত ছয় মাস ধরে তোকে ফেসবুকে পেয়েছি। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলাম,কিন্তু তুই তো এখনো আমাকে ঝুলায়ে রাখছিস! তোর ফেসবুকে দেয়া নাম্বারে কম করে হলেও দিনে দু বার ট্রাই করি।কিন্তু ওই যে, তুই হাওয়া হয়ে আছিস! তোকে মেসেজ করলেও কোন রিপ্লাই দিস না।ইচ্ছা করে ... । "
আমি বললাম, "কি ইচ্ছা করে? থাপড়াইয়া দাঁত খুলে ফেলার? "
ও বলল,"হু।তুই তো জানিস,আমি কারাতে ব্লাক বেল্ট। সো, তোর দাঁত খুলতে খুব বেশি পরিশ্রম হবে না!  হা হা হা। "
ওর কথা শুনে আমি না হেসে পারলাম না।
সেই সাথে সাত বছর আগে ওর অনুপ্রেরণায়য় কারাত শিখতে যাওয়ার দিনগুলি চোখের সামনে ভেসে উঠলো। আমি দু একটা কাতা শিখে মাঝ পথেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। তখন ওত পরিশ্রম সহ্য হয়নি।কিন্তু ও ধরে ছিলো  । মাঝে মাঝে কোন ছেলে কে কারাত ক্লাসে কিভাবে কাত করেছে সেসব বলে বলে আমাকে ঝারি মারতো,হাসাহাসি করতাম  ।
হা হা হা।সেই বাঘিনী কন্যাই কিনা আবার আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো দু দুইবার । শেষ বার ও এতটাই হতাশ আর জীবন বিতৃষ্ণায় ভুগতো যে,ওকে ফেরানো ছিলো মৃতকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া ।
সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সেবার সে জীবন যুদ্ধে আরেকবার লড়াই করার শক্তি পেয়েছিলো । আমি শুধু ওর কষ্ট গুলো ভাগ করে নেয়ার দায়িত্ব পালন করেছিলাম।
আর সেদিন থেকে একটা কথা আমি বুঝেছি,"কেউ যখন অত্যধিক হতাশাগ্রস্থ আর আত্মহত্যা প্রবন হয়ে উঠে তখন তার কষ্ট গুলো সে কাউকে শেয়ার করতে চায়।চায়,কেউ তার কথাগুলো শুনুক।কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াক।মাথায় হাত বুলিয়ে বলুক,সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি তো আছি।"
মুলত,কষ্ট গুলো যখন বুকের মধ্যে চাপা পরে থাকে, তখনই আত্মহত্যার মত দূর্ভাবনা মাথায় আসে।কিন্তু যখন কেউ তার কষ্ট গুলো কাউকে শেয়ার করতে পারে,কেউ যখন তার চাপা কষ্ট গুলো মনযোগ দিয়ে শোনে তখন হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তির কষ্ট গুলো হালকা হয়ে যায়।।জীবন সংগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পায়। ঘুরে দাঁড়ায়।
টিনার বেলাতেও তাই হয়েছিলো। ও নিজেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে, স্বইচ্ছায়।
আমার দাঁত ভেঙে নেয়ার খুব একটা ইচ্ছে নেই।ওকে বললাম, "নে বাবা,আমারই ঘাট হয়েছে।দয়া করে মাফ কর।"
ও বলল,"তোকে সে জন্য মাফ করে দিলাম। কিন্তু ফেসবুকে যে উল্টা-পাল্টা লিখিস সেটার কি হবে,বল? "
"তুই হঠাৎ করে এতটা হতাশ হলি কিভাবে? প্রোবলেমটা কি? "
আমি একে একে গত ছয় বছরকে হাইলাইট করলাম । জীবনের এ বেলায় এসে আমার উপলব্ধি কি, তাও ওকে বুঝিয়ে বললাম । আর ও নিজেও কয়েকদিনের স্ট্যাটাস গুলো থেকে বেশ বুঝতে পেরেছে, আমি কি ভাবছি আর কি চাই।
অনেকক্ষণ ধরে কথা বলার পর ওর শেষ কথা হলো,
"যদি পারিস তবে আজ থেকে ছয়/সাত বছর পেছনে চলে যাস।আর টিনার জীবনের মোড় ঘুরানোর স্মৃতি গুলো একবার খুঁজে দেখিস।যদি না পারিস তবে, একটা কথা মনে রাখিস,"জীবনটা মোকাবেলা করার জন্য, ভয়ে চুপসে থাকার জন্য নয়।"
  • ৩:৪৭:০০ PM
এ পথে আমার আগে বহুজন হেটেছে,পদচিহ্ন এঁকেছে আমাদের পথ দেখাতে। এবং আমিও শেষ নই, আমার পরেও অনেকেই এ পথে যাবে।
কিন্তু, এ পথে হাটতে গিয়ে কে কতটা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এগিয়ে যেতে পেরেছে তাই দেখা হবে এক সময়। হয়তবা বারবার হোচট খেয়েও আমাদের মত আরো অনেকেই এগিয়ে যাবে চূড়ান্ত সীমানা ছোয়ার তীব্র আকাঙ্খায়। কিংবা অনেকেই পিছু হটবে যেভাবে হটেছে এর আগেও অনেকে।শুধু আফসোস, যারা পিছু হটেছিলো তাদের শুরুটা হয়েছিলো প্রচন্ড জোশ আর আত্ম অহংকারে।
কিন্তু যারা পথের ধুলো-কাদা মেখে একাকার হয়ে বারবার হোচট খেয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো, তারাই আজ পথের সীমানায় জয়মালা পড়েছে। অভ্যর্থিত হয়েছে জীবনের কাছে।
বড় সাধ হয়,  তাদের পদধূলি ললাটে মেখে যেন একদিন আমিও দাঁড়াতে পারি এক কাতারে। কিন্তু,এখনো যেতে হবে অনেক দূর। অনেকটা পথ বাকি যে এখনো!
  • ৩:৪৫:০০ PM
দু'চোখ ভরা অভিমান নিয়ে ও প্রায়ই বলে,"তুমি আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাও না। "
"বল তো,আমাকে নিয়ে তুমি কোথাও বেড়াতে গেছো? "
তারপর
ওর অভিমানী চোখের পাতায় না পাওয়ার শিশিরেরা ভর করে । আমি একটু ভেবে দেখি,সত্যিই তো, ওকে নিয়ে কোথাও সেভাবে ঘোরা হয়নি!আমাদের সীমাবদ্ধ ঘোরা ফেরা শুধু সাত মাথা থেকে খোকন পার্ক আর বড়জোর বিসিএল কিংবা কোয়ালিটিরর ফাস্ট ফুড শপ।তার বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি।এমনকি এক দেড় ঘন্টার বেশি বাহিরে যে ওকে সময় দিতে পেরেছি তাও না! বরং যা দিতে পেরেছি তা হল, অনাগত ভবিষ্যৎ জীবনে দু'জন সারা দেশ ঘুরে বেড়াবো সেই অনিশ্চিত প্রতিশ্রুতি।
তবে কি এ অভিমান যথার্থ নয়? হ্যা,,অবশ্যই তার এ অভিমান করা অমূলক নয়।অমূলক নয় অভিমানের বাহিরে এসে সম্পর্ক কে সেখানেই ইতি টানা।
কিন্তু না,সে সামান্য অভিমান করেছে বটে আবার পরক্ষণেই সে অভিমান ভুলে কখন যে দীর্ঘ ঘর সংসার করা গৃহিণীদের মত বড় মানুষ হয়ে গেছে ও নিজেও বুঝত না।
আমি ওকে বলি,"তো চল যাই,কোথাও থেকে ঘুরে আসি।"
ও তখন বড় মানুষের মত বলে,"আগে তোমার চাকরী বাকরি কিছু একটা হোক।তারপর সব সুদে আসলে উশুল করবো। কিন্তু এখন না। "
কথা বলতে বলতে ওর চোখ মুখ চকচক করে উঠত ভবিষ্তের দিকে তাকিয়ে।মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে কাঁধের উপর হেলান দিয়ে আস্তে আস্তে বলত,"আই লাভ ইউ সো মাচ সোনা।উই হ্যাভ আদারস টাইম টু গো।"
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবি,"যেন সে সময় আসার আগে বিধাতা আমাকে তুলে না নিয়ে যান। তা না হলে মৃত্যুর পরেও এই অপ্রাপ্তির ভার আমায় বয়ে বেড়াতে হবে।"
এভাবে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরে বলি,আই লাভ ইউ টু।ইয়া,উই হ্যাভ আদারস টাইম টু গো।বাট উই উইল নেভার গেট দিজ মোমেন্ট ব্যাক।"
কিছুটা কষ্ট বুকের মধ্যে বাসা বাঁধতে চায়। কিন্তু ওর টোল পড়া গালের মিষ্টি হাসি আর আমার বর্তমান পরিস্থিতি বুঝে ওর এমন বড় মানুষের মত কথা শুনে সব ভুলে যাই।একে একে গত প্রায় এক বছরের সুন্দর মুহুর্ত গুলো চোখের তারায় এসে ভীর জমায়। সেই সব স্বপ্ন দেখার আর স্বপ্ন দেখানোর দিনগুলো।
ও আমাকে এতটা ভালোবাসে,এতটা কেয়ার করে,মাত্র উনিশের কোঠায় সে যখন হঠাৎ অনেক বড় হয়ে যায় তখন
নিজেকে খুব লাকি মনে হয়। মনে হয়,আমার চেয়ে পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যারা এতটা সৌভাগ্যবান হয়,এতটা ভালো কাউকে জীবন চলার সঙ্গী হিসেবে পায়।।
সত্যি কথা বলতে কি জানেন,
জীবনের ছোট ছোট সুখের মুহুর্ত গুলো আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসময় কেও ভুলিয়ে রাখতে পারে। ছোট ছোট অভিমান ভরা মুহুর্ত গুলো আপনার বন্ধুর পথচলায় আনন্দ এনে দেয়।আপনি তখন অনায়াসে দুঃস্বপ্নের এভারেস্ট জয় করতে পারেন সহজেই।পারেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেতে।
আপনার প্রিয় মানুষটির প্রতিটি মুহুর্ত কে বুঝার চেষ্টা করুন।তার ভালোলাগা, মন্দ লাগাকে যথার্থ মূল্যায়ন করুন।প্রচন্ড খারাপ লাগার মুহুর্ত গুলোতে একটু পেছন ফিরে তাকান,প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো প্রিয় মুহুর্ত গুলো স্মরণ করুন, দেখবেন কত সহজেই সেই খারাপ লাগা ভালোলাগায় বদলে গেছে।
সম্পর্কের মাঝে রাগ-অভিমান, সুখ দুখ,হাসি-কান্না খুব পাশাপাশি। এগুলো কে এড়িয়ে যেতে কেউ পারে না।কিন্তু একটু চেষ্টা করলে নেতিবাচক বিষয়গুলোকে অবশ্যই কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রিয় মানুষটি যখন আপনার উপর প্রচন্ড অভিমান করেছে,যখন আপনার কোন ভুলে সে কষ্ট পাচ্ছে তখন অবলীলায় তাকে "সরি" বলুন। নিজের ভুলের জন্য তার কাছে মন থেকে ক্ষমা চান।অভিমান ভাঙান।
আমার মতে,সম্পর্কের মাঝে রাগ-অভিমানকে জিইয়ে রাখা কখনোই উচিত নয়। অনেক সময় আপনি যেটাকে ভাবছেন কিছুই নয়,সেটাও অন্য কারো কাছে অনেক বড় কিছু হতে পারে। তাই যত দ্রুত নিজেদের মধ্যে মিউচুয়াল হওয়া যায় ততই মঙ্গল। ততই সম্পর্ক টা দীর্ঘস্থায়ী ও সুদৃঢ় হয়।
আপনি বিশ্বাস করবেন কি না জানি না,কিন্তু আমার আর ওর মাঝে প্রতিদিন ঠুক ঠাক লেগেই থাকে।কখনো কখনো আমি ইচ্ছে করেই লাগাই আবার কখনো ভুল বুঝাবুঝিতে লাগে।কিন্তু তা সত্বেও ও কখনোই আধা ঘন্টার বেশি রাগ করে থাকেনি।এমনকি আমিও না।তবে মাঝে মাঝে আমি একটু বেশি রাগ করেছি হয়ত,একটু বেশি সময় ধরে ওকে ফোন দিচ্ছি না,কথা বলছি না কিংবা ফোন ধরছি না, তখন ও পাগলের মত আমাকে ফোন দেবে।ফোন ধরলে ধরা গলায় যখন বলে,"আই য়াম সরি।ভুল হয়ে গেছে আমার।"কিংবা "সরি জান আই লাভ ইউ।"
তখন রাগ তো দূরের কথা, আমি যে কেন রাগ করেছিলাম সেটাও আর মনে করতে পারিনা।
আচ্ছা,এটা কে কি তবে ভালোবাসা বলে? হ্যা,এটাই ভালোবাসা।আর সম্পর্কের মাঝে দুঃখ গুলো, রাগ অভিমানের কারন গুলো ভুলে যাওয়াই উত্তম।ভুলে যাই,ভুলে যায়,আপনিও ভুলে যান।
দেখবেন কত সহজেই সবকিছু সুন্দর হয়ে গেছে।পৃথিবীটাকে কত প্রেমময় কাব্যিক মনে হচ্ছে।
বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা বেড়ে গেছে শতভাগ ।
আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করি ওকে পেয়ে।কারন ওই আমাকে শিখিয়েছে, কিভাবে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে বাঁচতে হয়।সুন্দর পৃথিবীটাকে কিভাবে নিজের করে নিতে হয়!
তোমাকে অনেক ভালবাসি আমি,যতটা ভালোবাসা যায়।
  • ৩:৪৫:০০ PM
কয়েকটা কষ্ট ও তার অনুভূতি
#এক
যখন আপনি চাচ্ছেন কেউ আপনাকে নিজে থেকে বুঝুক কিন্তু সে বুঝছে না, কিংবা আপনার মনের কথাটা তাকে আকার-ঈঙ্গিতে বুঝাতে চাচ্ছেন কিন্তু সে বুঝতেই চাচ্ছে না তখন যে অনুভূতি টা আপনার হৃদয়ে অনুভব করবেন তা হলো কষ্ট । একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন, আপনার হৃৎকম্পন হঠাৎই শীথিল হয়ে গেছে, জামাট কষ্টে বুকের ভেতর টা হাহাকার করছে,বুকটা চিনচিন করছে।কিন্তু সেই অনুভূতির, সেই ব্যাথা ব্যাখ্যা করার শব্দ আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না।
#দুই
কারো জন্য আপনি পাগলপ্রায়।তার সাথে দেখা না হলে, এক-দেড় ঘন্টা কথা না হলে চারপাশের সব কিছু অর্থহীন মনে হয়,কিন্তু সে যদি আপনি ফোন না করলে ফোন না করে, তবে এক সুক্ষ্ম হতাশা আপনার মনের উঠোনে বেদনার বীজ বুনে(বোপন) দেবে।
হয়ত কোনদিন ব্যস্ততা বশত এরকম হতে পারে কিন্তু প্রতিদিন নিশ্চয়ই নয়।আর যখন প্রতিদিন এরকম হবে সেদিন বুঝবেন He/She wasn't your's but unfortunately only you were..
#তিন
আমার চোখে দেখা দু একজন বন্ধু আছে।যারা তাদেরকে নিশ্চিত চালাক চতুর আর জ্ঞানী ভাবে।এখানে ভাবনাটা দোষের কিছু না কিন্তু সেই মত কাজ করতে গিয়ে অন্যের কাছে নিজেকে ছোট করাটা দোষের।
নিজে যত বোকা থাকবেন ততই ভালো।বোকার কোন শত্রু থাকে না। কিন্তু নিজেকে চালাক জাহির করতে গিয়ে অন্য কোন বাটপারের ক্ষপ্পরে পরে ইউজড হবার কোন মানে হয়না।
এই ধরুন,
আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যিনি অত্যধিক চালাক চতুর হিসেবে নিজেকে মনে করে।চলাফেরা করে তার চেয়ে বড় চালিকের(চালাকের স্ত্রী লিঙ্গ ধরে নেন) সাথে। সম্পর্ক বন্ধুত্বের কিন্তু ইউজড হয় ভৃত্যের মত।
উদাহরণ সরূপঃ চালিকের পিরিয়ড কালীন তেনা থেকে সব কিছু যেন চতুরের দ্বারাই ক্রীত হয়।
তো একদিন ওকে বললাম,"শোন,তুই অন্তত কিছুদিন এসব করতে অস্বীকার কর।তারপর দেখবো তোর বন্ধুত্ব কত শক্ত! "
আমি শিওর,
যে আপনাকে তার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে,যার জন্য আপনি এত শত ত্যাগ স্বীকার করছেন সে কিন্তু তার নিজের স্বার্থের বিপরীতে আপনাকে এতটুকু পাত্তা দেয় না।
নিজের স্বার্থে একটু আঘাত লাগলে যে কেটে পরে সে কোনদিন আপনার বন্ধু ছিলো না।
তখন বিগত দিনগুলোর কথা মনে হয়ে যে কষ্ট পাবেন তা হবে ক্ষোভ। সে ক্ষোভ উদয় হয়ে আবার নিভে যাবে কিন্তু পোড়া জায়গাটা জ্বলতে থাকবে আপনি কাউকে দেখাতে পারবেন না।
#চার
নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু যদি একজন থাকে তবে তিনি আপনার "মা"। আর যদি দুই জন থাকে তবে আপনার "বাবা"।
পৃথিবীতে একমাত্র স্বার্থহীন/নিঃস্বার্থ  ভাবে এই দুটো সম্পর্কই আপনার সবসময় পাশে থাকবে । বাকি সবাই স্বার্থে টান লাগলে লেজ গুটয়ে পালাবে।কিন্তু সন্তান কখনো তার বাবা-মা'র জন্য নিঃস্বার্থ হতে পারে বলে মনে হয় না।
এর প্রমাণ লাগলে একটা বিয়ে করে ফেলুন। বিয়ের পর স্ত্রী যখন সেপারেট বাসা ছাড়া থাকবেই না তখন বুঝতে পারবেন আপনি আপনার বাবা-মা'র জন্য কতটা নিঃস্বার্থ ভাবে দিতে পারেন!
আর যদি কপাল ভালো হয়,তবে হয়ত একটা নিঃস্বার্থ বৌ পেতে পারেন।আর শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই আপনি হবেন সুখী। কিন্তু যদি বিপরীত হয় তবে??
জৈবিক চাহিদার একটা সম্পর্ক আপনাকে বুকের মধ্যে নাড়ীর টান অনুভব করতে দেবে না। কিংবা আপনি অনুভব করলেও তাতে সারা দেবার শক্তি জৈবিক প্রনালীতেই আটকে থাকবে  । আপনি বের হতে পারবেন না।
তখন যে ব্যাথা অনুভব করবেন তা হলো বিষ মুখে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে গিলে ফেলে বাঁচতে চাওয়ার আকুতির মত। মৃত্যু নিশ্চিত কিন্তু বাঁচা???
- অনিশ্চিত
#নীলকান্ত
  • ৩:৪৫:০০ PM
যখন হতাশা আমাকে ঘিরে ধরে তখন স্বপ্ন আমাকে  বাঁচাতে শেখায়।
প্রথমত, যে কোন কারনেই হোক মাঝে মাঝে ভীষন মেজাজ খারাপ হয়।
যেমনঃএই মুহুর্তে আমার মেজাজ খুব খারাপ। আর মেজাজ খারাপ থেকে আসে হতাশা,অভিমান, জীবনের প্রতি মায়াহীনতা।
২য়ত, মেজাজ খারাপ থাকলে আমার কষ্ট লাগে।যেহেতু কষ্ট টা মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রিত তাই মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
তৃতীয়ত, হার্ট অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে। যেমনঃ বুকটা চাপ ধরে থাকে,মনে হয় শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ নিশ্বাস নিলে তবে একটু ভালো লাগে কিন্তু অস্থিরতা বেড়ে যায়।
গলা ছেড়ে চেঁচাতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা।
৩য়ত, এরকম পরিস্থিতি তে নিজেকে অন্যরকম অসাহায় লাগে। মনে হয় কারো আদর ভালোবাসা মাখা দু'টো কথা হয়ত আমার সবকিছু ভালো করে দিতে পারে।কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তা পাওয়া তো দূরে থাক বরং ......।
#৪র্থত
তখন আমি নিজেকে একা করে রাখি। ইচ্ছে হয় কেউ খোঁজ নিক,কেউ বলুক,আমি পাশে আছি।কিন্তু সেরকম কিছুই হয় না। ঘরটা অন্ধকার করে রাখি, যেন কেউ আমার কষ্ট টা বুঝতে না পারে।তারপর আঁধারের বুকে স্বপ্ন আঁকি সফেদ রঙের আচড়ে লাল নীল স্বপ্ন।।কিন্তু সে স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়!
এর মধ্যে মেজাজটা কিছুটা ডাইভার্টেড হয় কল্পনার জগতে।এখানে চাইলেই সব পাওয়া যায়,সব করা যায়। হওয়া যায় কুখ্যাত কিংবা বিখ্যাত। সব চাই,সবই পাই
তারপর ধীরে ধীরে হারিয়ে যাই নিদ্রাজগতের ফাস্ট ফোরওয়ার্ড মুডে।
ব্যস,যখন ঘুম ভাঙে তখন ভুলে যাই বিগত কিছু সময় আগের সব কিছু।অভিমানে সিলিং এ ঝুলানো পাটের দড়ি,গামছা কিংবা হাতে ধরে রাখা হেমলকের পেয়ালা  সব কিছু।
ফিরে পাই নতুন উদ্যম।বেঁচে থাকার নতুন মানে।
বুঝি,
এভাবেই বাঁচতে হয়।নিজেকে বাঁচাতে হয়। জাগাতে হয়।জাগতে হয়।
  • ৩:৪২:০০ PM
It was better than the good.
(Its how i have spent my last 72 hours.)
#৮ তারিখ,
সারা রাত ইউ টিউবে ইংলিশ মুভি।
#৯ তারিখ,
সাকাল ১০ টায় ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর গোসল & ব্রেকফাস্ট ১১:৩০।
#১২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত পারসোনাল অফিস ট্যুর উইথ মাই পারসোনাল সেক্রেটারি।
#৬:৩০ থেকে ক্লান্ত শরীর শ্রান্ত মনে এক ঘুমে রাত ১০:৩০ টা।
দ্যান আ সিম্পল ডিনার & দ্যান ফেসবুকিং ভোর ছয়টা পর্যন্ত।
#১০ তারিখ,
সোয়া ছয়টায় ঘুমিয়ে উঠলাম ১১ টা নাগাদ।তারপর...
দেড় ঘন্টার ছোট্ট একটা সী অফ ট্যুর।বাসায় এসে গোসল,লাঞ্চ ইত্যাদি ইত্যাদি দুপুর তিনটে।
#তখনই মনে হলো,ওহ হো! বাসা ভাড়ার টাকা তো গোছানো হলো না। (টাকা আগেই খেয়ে শেষ করে ফেলেছি।)
কয়েক জায়গায় ফোন দিলাম, অবশেষে আপন পিতার নিকট অন্যকে দিয়ে টাকা ধার করা।
#টাকা উঠাতে যাবো,সেই মুহুর্তে আমার সাবেক বাড়িওয়ালারর ফোন। উনার এক মেয়ে থাকেন আমেরিকায়।টাকা পাঠাবে কিন্তু তিনি তার ছেলের একাউন্টে টাকা নিতে রাজি নয়।(ছেলেটা টোটালি ড্রাংকেন।)। তিনি আমার একাউন্ট নাম্বার চাইলেন।বৃদ্ধার কথায় না করতে পারলাম না।এদিকে আমার ক্রেডিট কার্ডের বিল এখনো বাকি। টাকা ইন হওয়ার সাথে সাথে হাজার খানেক টাকা নাই হয়ে যাবে।আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম সব।তিনি কিছুই শুনবেন না।উনার মেয়ে আমাকে ফোন দিলেন। বাধ্য হয়ে আমার ব্যাংক একাউন্ট দিলাম।
#বিকেল ৩:২০ আমার একাউন্টে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ইন করলো। সংগে সংগে মেসেজে কনফার্ম হলাম।
#৩:৩০ - সাত মাথায় গিয়ে ব্যাংক থেকে দরকারি এমাউন্টের  টাকা তুলে, সেই সাথে আমার ধার করা টাকা তুলে সাবেক বাড়িওয়ালার বাসায়।
ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে সাতটা বেজে গেলো ।
#আমার বর্তমান বাড়িওয়ালা কে টাকা পাঠিয়ে দিয়ে যখন চেয়ারে বসলাম তখন বুঝলাম, আমি খুব ক্লান্ত। অন্তত একটু ঘুম দরকার।এক ফ্রেন্ড কে বললাম রাত দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ যেন ডেকে দেয়।
ঘুমিয়ে পড়লাম । সাড়ে দশটায় বন্ধু ডাক দেয়ার আগেই আমি ১০:২৩ এ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, খেতে খেতে ১১ টা।
#যখন ভাবছি যে কালকে তো আমার খবর আছে,ঠিক তখনই আমার পারসোনাল ফোন। রিসিভ করে কথা বলতে বলতে ১১:২০।
#সাড়ে ১১ টায় যখন পড়তে বসলাম, তখন আমার হাতে আর মাত্র ৯ ঘন্টা সময় আছে এক্সাম হলে ঢোকার।
#এই নয় ঘন্টার মধ্যে বিরতি আছে,একটু ঘুম আছে, সকালের গোসল,প্রকৃতির ডাক, খাওয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ৫ ঘন্টা মিনিমাম ।
#১১:৩০ থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত পড়লাম(এর মধ্যে প্রতি ২৫ মিনিট পর পর ৫মিনিট বিরতি। এবং দুইবার #১৫+১৫=৩০ মিনিট বিরতি ছিলো।)
রাত সাড়ে তিনটায় আর কোনভাব
চোখ আটকে রাখতে পারছি না।বাধ্য হয়ে বেডে এলাম। ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস আপডেট দিয়ে ঘুমতে গেলাম ৪ টায়। দুই ফ্রেন্ডের পড়ার টেবিলে দুইটা চিরকুট লিখে রাখলাম যেন ৬:৩০ এ ডাক দেয় তারা।
#সকাল ৬:২৮ ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেশ হতে হতে ৭ টা।আধা ঘন্টা এদিক সেদিক পাতা উল্টয়ে বই গুলো সব টেবিলেকে পড়ার জন্য দিয়ে আমি গেলাম গোসল করতে।
এদিকে অল্প ঘুমে শরীর টা টালমাটাল অবস্থা।
#৮ টা নাগাদ যখন ঘর থেকে বের হয়ে পরীক্ষার হলে গেলাম,তখন ভেবে দেখে #গত ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমি বই পড়েছি মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। আর এটেন্ড করতে যাচ্ছি চার ঘন্টার এক্সামে!!
#পরীক্ষার হলে যখন কোশ্চেন পেপার হাতে পেলাম তখন মনে হচ্ছিলো সবই পারি আবার কিচ্ছু পারি না।
কিন্তু যখন লিখতে শুরু করলাম, তখন লিখেই যেন শেষ করতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত পারলামও না।কিন্তু যা লিখলাম #its better than the good.
মনে মনে উপরওয়ালা কে একটা থ্যাংকস দিয়ে বের হলাম।
প্রমথ চৌধুরী কে স্মরণে এনে ভাবলাম,
যাক অল্প কথায় যদি কাজ হয় তবে বেশি কথার দরকার কি??
১১/০৮

বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৫

  • ১:০৮:০০ AM
স্বপ্ন দেখাটা ছাড়তে পারিনি বলে খুব পস্তাতে হয়।সেই ছোট বেলা থেকে বড় বড় স্বপ্ন দেখে এসেছি। সেসব স্বপ্ন গুলো সে সময় এতই বাস্তব ছিলো যে,মনে হত যেন স্বপ্ন গুলোকে আমি ধরতে পারতাম,স্বপ্নের স্পর্শ অনুভব করতে পারতাম।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজের অবহেলা আর অনাদরে স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে লাগলো। আমি স্পষ্টতই স্বপ্নের এই হারিয়ে যাওয়াকে উপলব্ধি করতে পারছিলাম। কিন্তু কেন জানি তাকে ধরে রাখতে ইচ্ছে করেনি।
তারপর দিনের পর দিন চলে গেছে,বছরের পর বছর, যুগ পেরিয়ে আরেক যুগ এসেছে। আমার স্বপ্নের ভেলাও সময়ের সাথে সাথে দিক পরিবর্তন করতে থাকে।কিন্তু কেন জানি স্বপ্ন দেখা ফুরিয়ে যায়নি।
আমার আকাশ কুশুম স্বপ্ন দেখাকে বাবা বলতে,"কাঁচের স্বপ্ন।"
আমি বাবাকে কখনোই সাপোর্ট করিনি।বরং বলেছি,"উহু,It'll b true."
কিন্তু আজ বহু বছর পর,বহু পথ ঘাট ঘেটে জীবনের এমন এক লগ্নে উপনীত হয়েছি যে মনে হয়, বাবার কথাই ঠিক ছিলো । সত্যি আমার স্বপ্নগুলো ছিলো কাঁচের স্বপ্ন।
তবে এত শত ভাবনার ভেতরেও স্বপ্নরা বাসা বাঁধে।আবারো স্বপ্ন দেখি,অবাস্তব স্বপ্ন গুলোর বাস্তবায়নের।
কিন্তু কি জানি! স্বপ্ন গুলো বোধ হয় অনেক বেশিই স্বপ্ন ছিলো।
বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত জীবনে কল্পনাবিলাস মানায় না। এ কথাটি এতদিন পরে এসে বুঝলাম।
সেই সাথে ভুলের চক্রবৃদ্ধি সুদের হার সময়ের সাথে সাথে আজ আকাশ ছুঁয়েছে। যেখান থেকে মুলধন বাঁচিয়ে জীবন গড়া হয়েছে প্রায় দুঃসাধ্য। জীবনের দেউলিয়াত্বে আমি কেবলি এক পরীক্ষণের বস্তু ছিলাম কি? আজ কেন জানি এ প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব মেলে।তবে কি এ পথ চলা থমকে যাবে সময়ের নিষ্ঠুর পরিহাসে?
কি জানি,আমি কেন জানি তাও মেনে নিতে পারছি না।
স্বপ্নগুলোর ভাঙাচোরা অংশ গুলো এবার জোড়া দিতে ইচ্ছে করছে খুব। আরেকবার পরিপূর্ণ এক স্বপ্ন দেখতে চাই।নিবিড় সান্নিধ্য চাই স্বপ্নের চরিত্রগুলোর,সুকোমল স্পর্শ একটি বারের জন্য উপলব্ধি করতে চাই বাস্তবে।
আমি কি পারবো?
অন্তত একটি বারের জন্য হলেও যে আমাকে পারতে হবে।
আমি যে এখনো নিঃশেষ হয়ে যাইনি।বেঁচে আছি।
#নীলকান্ত

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫

  • ১২:৫৩:০০ PM
ভালোবাসার গানিতিক ভিত্তিঃ
"ভালোবাসা(Love) হল এমন একটা শব্দ যার মোট বর্ণ  সংখ্যা চার। এবং এর প্রথম বর্ন L,ইংরেজি বর্ণমালার ১৬ নাম্বার বর্ণ এবং তৃতীয় বর্ণ V, ২৪ নাম্বার বর্ণ। দু'টোই ৪ দ্বারা বিভাজ্য।দ্বিতীয় বর্ণ
O,  হল ১৯ নাম্বার বর্ণ এবং পঞ্চম বর্ণ  E হলো ইংরেজি বর্ণমালার ৫ নাম্বার বর্ণ, যাদের যোগফল আবার  ২৪। এবং এটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য।
এবং সকল বর্নের অবস্থানের ক্রমিক একসাথে যোগ করলে হয় ১৬+১৯+২৪+৫=৬৪,যা ৪ দ্বারা বিভাজ্য এবং ভাগফল হয় ১৬। এবং অবাক করার বিষয় হলো ১৬ এর বর্গমূলও কিন্তু চার (৪)।
অন্যদিকে, চারটি বর্ণ দ্বারা একটা শব্দ হয় LOVE, যা বাংলাতেও চারটি বর্ণ দ্বারা গঠিত (ভা২৪+লো২৮+বা২৩+সা৩১)।
"ভালোবাসা" শব্দের "ভ" বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ২৪ নাম্বার বর্ণ এবং "ল" হলো ২৮ নাম্বার বর্ণ। দু'টি বর্ণের অবস্থান গত ক্রমিক ৪ দ্বারা বিভাজ্য এবং ভাগফল যথাক্রমে ৬ এবং ৭  । এই দু'টি ভাগফলের যোগফল ৬+৭=১৩।
আবার ২৪+২৮= ৫২ । এই ৫২ কে ১৩ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল হয় ৪।
অবাক করা বিষয় যে "ভালোবাসা" শব্দের বাকি দু'টি বর্ণ "ব" এবং "স" বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণমালার যথাক্রমে  ২৩ এবং ৩১ নাম্বার বর্ণ। যাদের সমষ্টিও আবার ৫২ এবং তা ১৩ দ্বারা ভাগ করলে দ্বারায় (৫২/১৩=৪)।
অর্থ্যাৎ ভালোবাসার গানিতিক ভিত্তি হলো ৪ এবং ভালোবাসা এই ৪ সংখ্যার উপরই আবর্তিত হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, "ভালোবাসা" একটি গানিতিক যুক্তিতে প্রবাহমান। ভালোবাসার গানিতিক হিসেব যদি না মিলাতে পারেন তবে ভালোবাসা আপনার কাছে ধরা দেবে না কিংবা আপনি কখনোই তাকে ধরে রাখতে পারবেন না।
Now check it out.
গানিতিক বিশ্লেষনঃ
_নীলকান্ত®

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

  • ১:১৪:০০ PM
#১৫ আগষ্ট একটা রাজনৈতিক ট্র‍্যাজেডী। স্বাধীন বাংলাদেশের একটি কালো দিন।
-----------------------
দীর্ঘদিনের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ আহত পাখির মত বাঙালি জাতি যখন মুক্তির জন্য ছটফট করছিলো,কিন্তু মুক্ত আকাশ দেখার সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারেনি ঠিক তখনি একজন মহান নেতার আবির্ভাব হয়।তিনি শুধু বাঙালিকে আকাশ দেখাননি বরং সেই আকাশে কিভাবে উড়তে হয় তাও শিখিয়েছিলেন।তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, সম্মোহনী বক্তৃতা,নিগূঢ়  দেশপ্রেম বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে করেছিলো উদ্ভাসিত । দু'শ বছরের বৃটিশ শৃঙ্খল ভেঙে যে জাতি মুক্তির স্বাদ পেতে চেয়েছে  পাকিস্থানের প্রতারণার শিকার হয়ে তারাই পুনরায় হয়েছিলো শৃঙ্খলে আবদ্ধ। কিন্তু বীর বাঙালির জন্মগত স্বাধীনতার অধিকার শোসন,নির্যাতন আর নিপীড়ন করে যে আটকে রাখা যায় না,তা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলো পাকিস্তানি হানাদার রা।আর তাই পিছু হটতে হটতে দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো তখন ঠিকই রুখে দাড়িয়েছে তারা। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে একটা  লাল সবুজের পতাকা,ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের একটা স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখন্ড,বাংলাদেশ।
কিন্তু এই সব কিছুর পেছনে যিনি ছিলেন,যিনি শৃঙ্খলাবদ্ধ বাঙালিকে মুক্ত আকাশ দেখিয়েছিলেন,ডানা মেলে উড়তে শিখিয়েছিলেন মুক্ত আকাশে তিনি আর কেউ নন,তিনি বাঙলার আপামর জনসাধারণের নেতা,বাঙালি জাতির পিতা,খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের "শেখ সাহেব" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
"শেখ" শব্দের অর্থ নেতা বা দলপতি।সত্যিই তিনি ছিলেন বাঙলি জাতির নেতা,দলপতি। তিনি তার নামের যে সুবিচার করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তাই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, যতদিন একজন বাঙালিও পৃথিবীতে থাকবেন ততদিন তিনি ইতিহাসের পাতায় চির অম্লান হয়ে রবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম পরিচয় কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার অবদান কতটা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সে বিষয়ে ইতিহাসই চিরন্তন স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে।তবে ঐতিহাসিক আলোচনা-সমালোচনার উর্দ্ধে রেখে তাকে মূল্যায়ন করাই শ্রেয়। তার অনবদ্য অবদান,দেশপ্রেম তাকে চিরস্মরণীয় বরণীয় করে রেখেছে এবং রাখবে।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে যে ঘৃণ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিলো তা বাঙালি জাতির জন্য একটা লজ্জাজনক ঘটনা।আমরা কেউই এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারিনা। আমাদের ব্যর্থতা যে,আমরা এমন এক নিবেদিত প্রাণকে ধরে রাখতে পারিনি।আমরা তাকে হারিয়েছি আমাদেরই কিছু বিপথগামী এবং বাঙলার স্বাধীনতার দোসরদের মদদে।কিন্তু তার বিচার আজো আমরা করতে পারিনি এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
হয়ত,অনেকেই আছেন যারা আজো এই নিকৃষ্ট ঘটনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলবেন,"এটা সে সময় জরুরী ছিলো। কেউ কেউ বাকশাল গঠন কিংবা তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবেলায় শেখ মুজিবের ব্যর্থতাকে দায় করবেন। কিন্তু তাদের অন্তত এটা মাথায় রাখা উচিত যে,যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশে মাত্র তিন বছরের মধ্যে কোন ভাবেই সম্পুর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
আর সম্ভব নয় এই কারনেই যে,শান্তি স্থাপনের জন্য যেসব নিয়ামক অপরিহার্য তা সেই সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন কিংবা পুনস্থাপন করা কখনোই সম্ভব নয়। এমনকি বর্তমান উন্নত প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সীমা যখন হাতের নাগালে তখনো সম্ভব হচ্ছে না।আর তা বর্তমান লিবিয়া,সুদান,আফগানিস্তান কিংবা অন্যান্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত রাষ্ট্র গুলোর দিকে তাকালে সহজেই প্রমাণ করা যায়।
সেদিক থেকে ১৯৭২-১৯৭৫, ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ কে যতটুকু এগিয়ে নিয়েছিলেন তা কল্পনাতীত। তিনি তার এক বক্তব্যে নিজের স্বল্প সময়ের সফলতা ও বিফলতা অকপটে স্বীকার করেছেন। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের জন্য সংবিধান প্রনয়ন,আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়,যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের ভঙ্গুর অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীলকরন থেকে শুরু করে বহু উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন যা আজকের যুগেও অনেক রাষ্ট্র প্রধান করতে পারছে না।এত সব কিছুর পরেও দেশের তৎকালীন পরিবেশের জন্য তাকে এককভাবে দায়ী করা কোনভাবেই সমিচীন বলে আমি মনে করিনা।
তিনি যেসব কার্যাবলি হাতে নিয়েছিলেন বা যেভাবে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ওই সময়ের প্রেক্ষিতে যথাপোযুক্তই ছিলো।হাজার বছরেএ অগনতান্ত্রিকতায় অভ্যস্ত বাঙালি রক্ত মাত্র কয়েক বছরে গনতান্ত্রিক ভাবে প্রবাহিত হবে তা আসলে আবেগীয় ভ্রম ছাড়া আর কিছুই ছিলো না।এবং সে প্রমাণও আমরা নব্বই এর আগ পর্যন্ত পেয়েছি । এমনকি নব্বই এর পরেও বিভিন্ন দল ও উপদলের রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারীতা ও স্বৈরাতান্ত্রিক মনোভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এবং এটাই সত্যি যে,সেই একনায়কতান্ত্রিক প্রথাকে সাধারন  বাঙালি জাতি যত সহজে আপন করতে পেরেছে তা পক্ষপাতদুষ্ট গনতন্ত্রকে করতে পারেনি।এবং নানা ভাবে এটাও প্রমাণ হয়েছে যে,আবেগপ্রবণ বাঙালি অস্থির চিত্তের এক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী । আর তাদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখতে হলে কঠোরতার বিকল্প নেই।
কিন্তু এত সব প্রমানিত সত্যকে অস্বীকার করে যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে "Right act at right time" বলে আখ্যায়িত করেছে তাদেরকে স্বাধীনতার শত্রু বলতে আমি দ্বিধাবোধ করবো না।এমনকি তারা বর্তমান রাজনীতির আড়ালে যেভাবে ইতিহাস বিকৃতির ইন্ধদাতা হিসেবে নোংরা কুটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে তারা প্রকৃত পক্ষে দেশপ্রেমিক নন।বরং পরোক্ষভাবে বাংলার স্বাধীনতা ও স্বাধিন বাংলাদেশের আদর্শ বিচ্যুত এক দল কীট।
যাই হোক,দেশের উন্নয়নের পথে শেখ মুজিবের নির্মম,হৃদয়বিদারক হত্যা কান্ডের পর দু একজন এমন শাসক এসেছেন যারা প্রকৃত দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন।তারাও দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন অনেকটা পথ।তাদের অবদানকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে,বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি বিদরা যেভাবে এক জন অন্য জনের বিরুদ্ধে কাদা ছুড়াছুড়িতে ব্যস্ত এবং যেভাবে দেশের মহান নেতাদের অবদানকে ভূলুণ্ঠিত করছেন তাতে আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ কে ছোট করা হচ্ছে।
#তারপরেও আমরা আশাবাদী যে,একদিন আমাদের রাজনীতিজ্ঞরা তাদের ভুল বুঝতে পারবেন।এবং মহান নেতাদের প্রাপ্য সন্মান-মর্যদা অক্ষুণ্ণ রেখে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।
সর্বোপরি আজ ১৫ আগষ্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ৪০ তম শাহাদত বার্ষিকী তে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি । এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
#লেখকঃ
সরকার হারুন অর রশিদ
সিইও,SAVA BD
Writer information NILKANTO