:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০১৫

  • ৪:২৬:০০ PM
বাংলাদেশ ও সাম্প্রদায়িকতাঃ
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে কারা?
গভীর ভাবে উপলব্ধি করার বিষয়। সম্পুর্ন লেখাটা পড়ুন। তারপর পাঁচ মিনিট ভেবে দেখুন,
কথাটা ঠিক কি না!
উপরের প্রশ্নটা আমি আমাকেই জিজ্ঞাসা করলাম।আসলেই তো, কে বা কারা এটাকে উস্কে দিচ্ছে? আসলে কারা এর জন্য দায়ী??
উত্তরঃ আমরা নিজেরাই
আগে বুঝি সাম্রদায়িকতা কি?
কোন নির্দিষ্ট সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধারী জনগোষ্ঠী যারা মূলত নিজেরা স্ব স্ব পরিমন্ডলে ভাষা,সংস্কৃতি,নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য , ধর্ম বা অন্য কোন ভাবে সংঘবদ্ধ এবং অন্য ভাষা ভাষী,সংস্কৃতি, ধর্ম বা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দের হতে নিজেদের স্বতন্ত্র ভাবে তাদের সেই গোষ্ঠীগত ভাবনাই হলো সাম্প্রদায়িকতা ।
উদাহরন সরূপঃ
বাংলা ভাষা ভাষী জনগোষ্ঠী বাঙালি সাংস্কৃতিক  বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং তারা বিশ্বের অন্যান্য ভাষাভাষী গোষ্ঠী হতে আলাদা।সেক্ষেত্রে বৈশ্বিক ভাষা গোষ্ঠীর বিচারে বাঙালি সম্প্রদায়। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটাকে আলাদা ভাবে বাঙালি সম্প্রদায় বলতে কোন শব্দ নেই। কারন বাংলাদেশের সকল মানুষের ভাষা হলো বাংলা। তাই বৃহত্তর বা বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠী কে বাঙালি সম্প্রদায় বলা যায়।
আবার বাংলাদেশের মধ্যে চাকমা,রাখাইন,সাঁওতাল প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর বাঙালি পরিচয়ের বাহিরে আরো একটা নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের সেই সাংস্কৃতিক বা ভাষাগত বৈশিষ্ট্যজনিত কারনে ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
যেমনঃ রাখাইন সম্প্রদায়, সাঁওতাল কিংবা চাঁকমা সম্প্রদায় ইত্যাদি।
তাহলে কিভাবে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম হচ্ছে?
উপরে উল্লেখিত বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন নিশ্চয়ই।
চাকমা হোক আর সাঁওতাল হোক,রাখাইন কিংবা খাসিয়া যাই হোক, সবাই যেহেতু বাংলাদেশি এবং বাংলা ভাষা তাদেরও ভাষা সেক্ষেত্রে তারা শুধুই বাঙালি কিংবা শুধুই বাংলাদেশি।
যখনই তাদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হবে, আলাদা চোখে দেখা হবে তখনই জন্ম নেয় সাম্রদায়িকতার। আর সেই সাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনাই একই দেশের মধ্যে, অভিন্ন জাতি সত্ত্বার মধ্যেও বৈসম্যের বীজ বোপন করে, তৈরি হয় সাম্প্রদায়িকতা।
তাহলে কি করা উচিত আমাদের? 
আমাদের উচিত, বাংলাদেশে বসবাসরত সকল নাগরিককে সমান চোখে দেখা এবং সমান সন্মান দেয়া। আর এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখেন "রাজনৈতিক হর্তা-কর্তা" গণ। কারন তাদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষ শুনেন বা মিডিয়ার কল্যানে দেখেন। তাই সেই সকল ব্যক্তি গণ যদি কোনভাবে সাম্প্রদায়িক কথা একবার বের করেন অথবা বৈষম্য মূলক আচরন দেখান তখনই সাম্প্রদায়িকতা উস্কে যায়!
তার বড় প্রমাণ গত ২০০৯-২০১৪ সালের মধ্যে আস্তিক-নাস্তিক, রাজাকার-দেশপ্রেমিক প্রভৃতির উত্থান।  যাকে নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হবে,
"আস্তিক সম্প্রদায়","নাস্তিক সম্প্রদায় ","রাজাকা সম্প্রদায়" কিংবা "দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রদায়"।
এসব সম্প্রদায় তৈরির মেশিন বাংলাদেশের বৃহত্তর কতিপয় রাজনৈতিক দলের বড় বড় রাজনীতিবিদ গণ। আর ইতাহাসে এটাই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোপনের প্রথম এবং প্রধান কারণ হিসেবেই ভবিষ্যতে চিহ্নিত হবে।
সম্প্রদায় এবং সাম্প্রসায়িকতার ধরনঃ
আগেই বলেছি, সম্প্রদায় হলো নির্দিষ্ট কিছু সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর একটি সংঘ।যারা ভাষা কিংবা সংস্কৃতি, ধর্ম কিংবা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্ব স্ব গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সাধনে সংঘবদ্ধ। তাই সাম্প্রদায়িকতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
সেটা হতে পারে ভাষাগত সাম্প্রদায়িকতা কিংবা ধর্মীয় কিংবা নৃ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগত সাম্প্রদায়িকতা। যেহেতু ভাষা গত এবং নৃ-তাত্ত্বিক সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে দু একটি কথা আগেই বলেছি তাই আর পুনঃ ব্যক্ত করতে চাই না। বরং বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তা নিয়েই আলোচনা করে শেষ করি। যদিও আমি মূলত কি বোঝাতে চেয়েছি তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যে দিয়েছি।।
বাংলাদেশ ও বর্তমান সাম্প্রদায়িকতার সরূপঃ
একটু ভালো ভাবে খেয়াল করুন।গত চার পাঁচ বছর পেছনে যান এবং ধীরে ধীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলো মনে করার চেষ্টা করুন। কি পেলেন? কিছু পেয়েছেন?
আচ্ছা, না পেলেও সমস্যা নেই।আমিই ধীরে ধীরে সব বলছি।শুধু ধৈর্য্য ধরে আপনি পড়তে পারলেই হয়!
ব্যাক টু ২০০৯ -২০১৩(সার সংক্ষেপঃ)
একটা অসাধারণ নির্বাচন হলো। ফকরুদ্দিন আর মইনুদ্দিন সাহেব একটা আমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন শাসন ব্যবস্থায়।  অতঃপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে, দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন চৌদ্দ দলীয় জোট বিপুল সমারোহে সিংহাসন দখল করল।
আর তারই কিছু দিন পর ২৩/২৪ ফেব্রুয়ারি বি ডি আর বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নতুন এক কালো অধ্যায়।  সরকার প্রধান অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠলেন ঠিকই কিন্তু তারপর একের পর এক নতুন নতুন ইস্যুর জন্ম হতে থাকল।
তাতে অবশ্য বেসরকারি চ্যানেল গুলোর টি আর পি এবং চায়ের কাপে ঝড় তুলে টক শো শুরু হলো টিভি স্টুডিও থেকে অজপাড়াগায়ের সিডি'র হলেও।
সেই ইস্যু গুলোর টক মিষ্টি শো গুলো আবার জন্ম দিলো নতুন কিছু ইস্যুর। আর সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন গোড়াপত্তন শুরু হলো তখন থেকেই।
তবে যেসব ইস্যু এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে
১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব।
২। রাজাকার আর মুক্তি যোদ্ধা। (যেখানে একজন বীর উত্তম কেও রাজাকার আখ্যায়িত করা হয়েছিলো।)
৩। যুদ্ধাপরাধীদের স্বপক্ষের আর বিপক্ষের শক্তি।(অক্ষ শক্তি আর মিত্র শক্তি)
৪।  গণ জাগরন মঞ্চ
৫। আস্তিক নাস্তিক তত্ত্ব।
৬। তেতুল তত্ত্ব এবং ৫ মে এর হেপাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি ও তাতে অস্বচ্ছ হস্তক্ষেপ।
এবার আসি এসবের কি প্রভাব পড়েছিলো এবং কিভাবে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন সূচনা হলোঃ
বাংলাদেশের আজ প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।ধর্মীয় উগ্রবাদীতা,মৌলবাস বা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে আখ্যায়িত করে থাকেন একে।
যাই হোক, বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বলার আগে একটু জেনে নেই, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা কি এবং কেন?
আমি আগেই সাম্প্রদায়িকতার একটী সঙ্গা দিয়েছি।এবার শুধু তাতে একটা বিষয় যুক্ত করতে হবে। আর তা হলোঃ ধর্ম
ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা বলতে তাই কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় চেতনা সম্পন্ন গোষ্ঠীর সাথে অন্য একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সুস্পষ্ট মত পার্থক্য এবং তার উপর ভিত্তি করে যে ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাকে বুঝায়।
যেমনঃ
কোন একটি দেশে একই সাথে কয়েকটি ধর্মীয় সম্প্রদায় এর বসবাস থাকতে পারে।কিন্তু তাই বলে যদি কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী(লঘিষ্ঠ কিংবা গরিষ্ঠ) অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর ধর্মীয় চেতনায় আঘাত হানে বা বৈষম্যর স্বীকার হয় তবে তা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা।
এবার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কারণ এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধির কারন কি তা বুঝিঃ
বিশ্বের প্রতিটি দেশে কমবেশি সাম্প্রদায়িকতার ছোয়া আছেই। ইংল্যান্ড, আমেরিকা কিংবা ইউরোপের যেসব দেশ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে সেসব দেশেও আনাচে কানাচে, কোথাও না কোথাও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার নোংরা স্তুপ আছেই। পার্থক্য হলো, কিছু কিছু দেশের এই নোংরা সাম্প্রদায়িকতার স্তুপের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পরে আর কিছু কিছু দেশ পারফিউম বা মাটি চাপা দিয়ে গন্ধ ঢেকে রাখে।
পার্শ্ববর্তী মায়ানমারে বৌদ্ধ ও মুসলমান দের সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস সুদীর্ঘ কালের। সেই এক হাজার খ্রীষ্টাব্দের কিছু আগে থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে সংখ্যা লঘু রোহিঙ্গারা উৎপীড়নের স্বীকার হচ্ছে। চীনের উইঘুর কিংবা বলিভিয়া, কসোভো প্রভৃতি দেশে মুসলিমরা সেখানে অত্যাচারিত হচ্ছে।আবার আরব,ইরাক,পাকিস্থান,আফগানিস্থান, প্রভৃতি মুসলিম প্রধান দেশে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস ছিলো অন্যরকম। বাংলাদেশে বরাবরই ধর্মীয় সহনশীলতা,সম্প্রীতি বিদ্যমান ছিল। সেটা '৪৭ কিংবা '৭১ এর পর হতে এই তো কিছু বছর আগ অবধি।
তখন কথায় কথায় আস্তিক-নাস্তিক, মালাউন কিংবা গোঁড়া, ইত্যাদি অপ্রীতিকর শব্দের ব্যবহার ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু যেদিন থেকে বাংলাদেশে এই সব শব্দের প্রচলন শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই সম্প্রীতির ইতিহাস সাম্প্রদায়িকতায় বদল নিচ্ছে।
এর কারনঃ
১। যুদ্ধাপরাধী দের বিচারে এক তরফা ভাবে একই গোষ্ঠীর কিছু মানুষ কে অপরাধী সাব্যস্ত করা।
২। মুসলমান বা টুপি পড়া মোল্লা মুসল্লিদের একাধারে জঙ্গি, মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী বলা কিংবা ইন্ডিকেট করা।
৩। মুসলমান কিছু পথভ্রষ্ট দের উগ্রতাবাদী চিন্তা চেতনা।
৪। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একে অন্যকে ধর্মীয় চেতনায় আঘাত দেয়া।
৫। ধর্মীয় বাণী,মহাপুরুষ দের নিয়ে কটুক্তি কিংবা কিছু উচ্চাভিলাষী মানুষের মধ্যে অন্য ধর্মকে আঘাত দিয়ে বক্তব্য,লেখনি ইত্যাদি।
৬। ধর্মীয় কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যধিক অনুকম্পা এবং
৭। ধর্মীয় অনুভুতি তে যারা আঘাত দেয় তাদের প্রকাশ্যে কিংবা আড়ালে লালন করা এবং প্রশ্রয় দেয়া।
৮। সোস্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ব্লগ এবং ফেসবুকে নিরর্থক ধর্মীয় বাড়াবাড়ি  ইত্যাদি।
এসব কতিপয় কিছু কারন। এর সাথে সাথে মিডিয়া এবং এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা এই সাম্প্রদায়িকতা কে আরো উস্কে দিচ্ছে।
কিন্তু এত কিছুর পরও একটা সমাধান হলো, 
আপনারা কেউ অন্যের ধর্মকে আঘাত দিয়ে কিছু লিখবেন কিংবা বলবেন না।
ধর্মের অনুভুতি টা সব ধর্মাবলম্বীর কাছে একই রকম। আপনারা অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তারাও আপনার বিরুদ্ধে করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নিজে বিরত থাকুন, অন্যকে বিরত রাখুন এবং যার যার ধর্ম,যার যার বিশ্বাস সে সে পালন করুন।
দেখবেন বাংলাদেশ আবারো সাম্প্রদায়িক সম্প্রোতির দেশ হয়ে উঠবে।হয়ে উঠবে একটি সোনার বাংলা।।
শেষ কথাঃ
আপনি যাই হোন না কেন এটা মনে রাখবেন,
"বাংলাদেশ কখনো সম্পুর্ন  ধর্মীয় রাষ্ট্র বা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে না।আর এর যে কোন একটি তে রুপান্তরিত করতে চাইলে অবশ্যই এ দেশ সুদান এর মত কিছু একটা হবে

রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

  • ৭:২২:০০ PM
মানুষ বিরহ,বেদনা আর দুঃখগুলোকে যত সুন্দর ভাবে, কাব্যিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে,আমার মনে হয়, সুখ গুলো কে,হাসি গুলো কে ঠিক সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে না!
এর পেছনে কোন সায়িন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে কিনা জানি না।আর ব্যাখ্যা খুঁজতেও যাই নি।তবে কারো যদি এর কারন জানা থাকে তবে জানাবেন।
সম্ভবত প্রায় তিনশ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরাস যখন তার ভোগবাদী (Epicurism) দর্শন দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন যে, মানুষের মৌল আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সুখ লাভ এবং দুঃখ কে পরিহার করা তখন আমার মত তার কিছু শিষ্য তার মতবাদের উল্টো ব্যাখ্যা দাড় করালেন।বেচারা এপিকিউরাস চেয়েছিলেন মানুষ কে দুঃখ এবং ব্যক্তিগত ও ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য সুখ পরিহার করে অধিকতর ভালো পদ্ধতি তে মানুষিক সুখ লাভের পথ বাতলে দিতে কিন্তু আমরা তার পদ্ধতি টা নিজেদের মত করে দাড় করালাম। আর বুঝালাম যে," ব্যক্তিগত আর ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য সুখ লাভ ছাড়া মানুষিক সুখ লাভ করা যায় না! "
আর তারই ফলশ্রুতি তে আমরা নিজেরাই নিজেদের সাথে ছলনা করতে শুরু করলাম।
মিথ্যে সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে সুখের সঙ্গাই ভুলে গেলাম। আর তখনই নিজেদের ব্যক্তিগত কিংবা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথাকথিত কোন সুখের একটু হেরফের হলেই কাব্যে,কলমে দুঃখের বন্যা বয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সুখ কে চিহ্নিত করার কোন ভাষা খুঁজে পাই না!!
কি আশ্চার্যই না ব্যাপার!  আমরা কত সহজে দুঃখকে আপন করে নেই,হৃদয়ের সিংহাসনে বসাই, প্রয়োজনে হৃৎপিন্ডটাও কেটে রেখে দেই তার জন্য, কিন্তু সুখের জন্য সমবেদনার ভাষা খুঁজে পাইনা। কিংবা সুখের ছোঁয়া পাওয়া মাত্রই কলমের কালি শেষ হয়ে যায় অথবা মোবাইল কিপ্যাডের "সুখ" শব্দটা লেখার মত চার্জটুকুও!!!

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

  • ১২:২৩:০০ PM
সেই অপূর্ণ চাওয়াগুলো,  একে একে সব
হতাশার চাদরে পড়েছে ঢাকা।
চলতে চলতে সোজা পথ গুলোও
হয়েছে বাঁকা, প্রাপ্তির প্রান্তে এসে।
কালো আধারের বুকে কষ্টের জোনাকিরা সব
নীল আলো জ্বেলে পাখা মেলে!
আর বুক ফাটা আত্মচিৎকারে
মাটির বুকে মাথা খুটে মরে,
স্বপ্নের ঝিঝি পোকাগুলো।
জ্বলন্ত সিগারেট শেষ হয়,নিভে যায়;
এক এক করে ধোয়ার কুন্ডলি গুলো
হারিয়ে যায়, কুয়াশার মত।
কিন্তু শেষ হয় না, কষ্টের ছুচো গুলোর
গা থেকে বিগলিত বিশ্রী গন্ধ।
নেভে না,
স্বপ্নের গায়ে লেগে থাকা আরডিএক্স,
বিস্ফোরিত হতাশার আগুন।
হৃদয় পোড়া তামাটে গন্ধে,
চারপাশের বাতাসে মৃদু কোলাহল জাগে,
আবার থেমে যায় সব, সভ্য জাতিদের
অসভ্য কার্যকলাপে!
আশার পেয়ালায় আরেকবার
স্বপ্নের হুইস্কি ঢেলে নেশা খুঁজি,
ঢুলু ঢুলু চোখে স্বপ্ন জুড়ি,
লাল,নীল,হলুদ, সবুজ, তামাটে স্বপ্ন।
তবুও আজ কেন যেন,
আশার পেয়ালাতে আর নেশা লাগে না!!
#নীলকান্ত
১৫/০৩/১৫ ১২:০৮

শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

  • ৮:৪৯:০০ PM

বউ বলে তোকে, অকারণে ডেকে যাই;
রাগ করিস তুই?
হয়ত কখনো আদর করে,
ধীর পায়ে চুপটি মেরে
পেছন থেকে জাপটে ধরে
তুল-তুলে তোর গ্রীবাদেশে
চুম্বনেরই রেখা টেনে দেই,
রাগ করিস তুই?

যখন তুই বুকের উপর
মুখ লুকিয়ে কান্না করিস;
দু হাতে তোর চিবুক ধরে
ললাটে তোর আদর করে,
লক্ষী বলে কাছে টেনে নেই,
রাগ করিস তুই??

ঘর থেকে বাহিরে যেতেই,
দরজার ফাঁকে মুখ লুকোনো
দু নয়ন তোর ছলছলিয়ে ;
দেখলে পরে,
দৌড়ে আসি।
জড়িয়ে ধরে শূন্যে তুলে
শুকনো ঠোটে আদর দিয়ে,
বলি যখন ভালোবাসি,
রাগ করিস তুই??

লক্ষী -সোনা,বউ কিংবা অমুকের মা
বললে পরে মুচকি হাসিস।
রাগ করিস তুই?
মটকু না হয় হলাম আমি
তুই আমার শুটকি হলি,
আদর করে বললে পুটি,
রাগ করিস তুই?
তবে ভালবাসিস তুই।।

#নীলকান্ত
(কল্পনা মিশ্রিত। হয়ত কোন একদিন এরকমই হবে, পুটি)

Nilkanto( নীলকান্ত)

  • ১:৪৮:০০ PM
তুমি এই বুকে মাথা রেখে শুয়ে থাক,
চুপটি করে,
ঘাপটি মেরে।
একটু উষ্ণতা না হয় ছড়িয়ে পরুক,
কামনার লোফারটা না হয় জেগেই উঠুক,
বীর্যের বর্ষনে না হয় জন্মাক আরো কিছু
সফেদ চারাগাছ।
শরীরে কাপড়ের বেষ্টনী টা,
বারবার খুলে পড়া কানের দুল,
খুলে ফেলো,
এলোমেলো চুলগুলো বেধে রাখ
শক্ত করে।
তারপর, এই বুকে মাথা রাখ,
ঊষ্ণ জলপ্রবাহ গতিপথ পাল্টে ফেলুক,
লাগাতার দন্ডাঘাতে।
উষ্ণ লাভাগুলো না হয় ভিজিয়ে দিক
তোমার তপ্তমরু অঞ্চল
ছিড়িৎ ছিড়িৎ বৃষ্টিপাতে।
Nilkanto( নীলকান্ত)

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

  • ১০:৪৬:০০ PM
ইদানীং অন্ধকারকে বড্ড ভয় হয়,
মৃত স্বপ্ন পঁচা ভয়।
যেন হিংস্র শকুনির তীক্ষ্ণ নখে, ক্ষতবিক্ষত
স্বপ্নের বুক ফাটা চিৎকার আর
লাশ পঁচা বিভৎস গন্ধ তাতে।
এই অন্ধকারকে বড্ডই ভয় হয়।।
টেবিল ল্যাম্পটার আলোও ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে ,
হাসপাতালের বেডে মুমূর্ষু
রোগীদের মত।
যেন ইন্টেন্সিভ কেয়ারে সঙ্গাহীন
কোন মৃত্যু যাত্রী।
হয়ত এখনই নিভে যাবে
কবরের অন্ধকারে ঢেকে যাবে সব।
এই অন্ধকারকে বড্ড ভয় হয় আমার,
স্বপ্ন পোড়া লাশের গন্ধ
আর বিভৎস নারকীয় পিশাচের ভয়।
স্বপ্নের গলা লাশ খুবলে খাওয়া শকুনির ভয়,
তীক্ষ্ণ দাঁতাল হায়েনার ভয়।
বড্ড ভয় হয় ইদানীং।
বড্ড ভয়।।
#নীলকান্ত
Nilkanto( নীলকান্ত)

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

  • ৯:০৪:০০ PM
তোমার তপ্ত মরূ অঞ্চল
আমার সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
ভেতরে উত্তপ্ত লাভা,উদগীরনের অপেক্ষায়।।
শীতের থুরথুরে বুড়ি পালিয়েছে
ভালবাসার যাতাকলে পিষে।
মোটা লেপের যে আস্তরন ছিল,
শরীরের যেটুকু কাপড়  ছিল,
হারিয়েছে-
ভালবাসার  উষ্ণতা মিশে।
কিন্তু,
তোমার মরূতে যে কুপ করেছি খনন
তাতে পানি নেই।
ভেজেনি সেখানকার  বালি মাটি,
জন্মায় নি সবুজ ফসল।
আমার আগ্নেয়গিরি  আছে,
ভেতরে উত্তপ্ত লাভা আছে;
ভিজিয়ে দেব তোমার  খা খা মরুভুমি,
নিচ থেকে তুলে আনব উষ্ণ পানি,
ভরিয়ে দেব সবুজ।
এক ফোটা  দু ফোটা  করে।।।
নীলকান্ত©
Nilkanto( নীলকান্ত)
  • ৮:৫৬:০০ PM
হয়ত তোমার পথ চেয়ে বসে থাকা,
খররৌদ্রে মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে অথবা
পুর্নিমা বা অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকারে তোমাকে খুজে ফেরা ছিল আমার পাগলামি।
এবার আমি মানুষ হবো।
মানুষের মত ভালো বাসব।
যেভাবে তুমি চাও।
আমার মাতাল ভালো বাসাকে এবার পিঞ্জরে ধরে রাখব।
লোহার বেড়ী, মনকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাব তোমার আদালতে।
তুমি না দিলেও, নেব স্বেচ্ছা নির্বাসন,
সারাদিন ঘরের কোনে বেধে রাখব মন।
ঘাপটি মেরে বসে থাকাবে আমার ভালবাসা।
তোমার দৃষ্টির আড়ালে নীরবে  পোষা কষ্টে
ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে যন্ত্রনার প্রলেপ দেব।।
তবুও এবার আমি মানুষ হব।
ভালবাসব মানুষের মত।।
সেপ্টেম্বর ২০১৪
  • ৮:৫১:০০ PM
অবাক বাঙালি!
★-----------------------★
সময়ের কন্ঠস্বর নামে এক অনলাইন পত্রিকার নিউজ দেখে মর্মাহত হলাম।তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেলাম মন্তব্য গুলো পড়ে।
নিউজে বলা হয়েছে, "বিবাহিত পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করায় প্রাকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে এক নারীকে বিবস্ত্র করে চারজন নারী মিলে প্রহার করেছে।"
আর সেই নিউজে সবার কমেন্ট পড়ে মনে হলো,আমি বোধহয় সব বিবেকহীন মানুষের মধ্যে আছি।
অমানবিক। প্রকাশ্যে একজনকে এভাবে লাঞ্চিত করা উচিত হয় নি।এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।আর যেসব মেয়ে অভিযুক্তের(যদিও ঘটনার কারন সম্পর্কে আমার সংশয় আছে) সাথে এমন আচরন করল তাদের পোশাক আশাক দেখে বলতেই হবে এরা হয়ত ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটানোরর জন্য এই হীন কাজ করেছে।নয়ত, তারা যদি বলে ইসলামে ব্যভিচার অপরাধ তাই ইসলামী মন মাইন্ড থেকে এই শাস্তি দেয়া হলো , তবে বলব তারাও ইসলামের আইন লঙ্ঘন করেছে।।
মাথায় স্কার্ব পরলেও তারা যে কেমন ইসলামী মাইন্ডেড তা তাদের আটশাট প্যান্টই বলে দিচ্ছে।ইসলাম কি এই পোশাকে তাদের বাহিরে বের হওয়ার অনুমতি দেয়??নাকি অন্যকে বিবস্ত্র করে পিটানোর অনুমতি দেয়?
দেয় না।
কিন্তু তারপরেও আমরা মেনে নিতে পারি।মেনে নেই।কারন ইসলামই সকল খারাপ কাজে যেমন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সেই সাথে প্রগতিশীলতাকেও সামর্থন করেছে।
আচ্ছা, মেয়েটি অপরাধ করেছে।তার জন্য অন্য কোন শাস্তি হতে পারে কিন্তু বিবস্ত্র করে রাস্তার মাঝখানে পিটানো কোনভাবেই সামর্থন যোগ্য না।অন্তত বিবেকবান মানুষ হিসেবে কেউ এটার সামর্থন করতে পারে না।।সে অপরাধ করেছে তাকে ঘৃনা কর(আমি সামর্থন করি না)।তার সাথে মিশো না।কথা বল না।একঘরে করে দাও।তাকে অন্তর্জ্বালায় দগ্ধ হতে দাও।যেন সে নিজে থেকেই সব কিছু বুঝতে পারে।কিন্তু এভাবে শাস্তি দেয়া ঠিক হয়নি।
এখানে মানবতা চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।আর তাই দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছে,"ঠিক,এটাই করা উচিত,উচিত বিচার" ইত্যাদি ইত্যাদি ।
যারা এই কথাগুলো বলেছে তাদের বলি,
আপনি নিজে ভালো তো?
আপনি নিজে কয়জনের সাথে এরকম নষ্টি-ফষ্টি করেছেন তার তো গ্যারান্টি নাই।
অন্য রে নিয়া খালি সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু নিজে কখনো শুধরাবেন না। নিজে চালিয়েই যাবেন লীলা খেলা।।
আর বলবেন,আমার কোন দোষ নাই।আমি ভালো মানুষ।
আপনি যে কতটুকু ভালো তা আর কেউ না জানলে আপনি জানেন।
মনে রাখবেন, "বিবেকের দংশনের মত বড় শাস্তি আর নেই"।
অবাক বাঙালি। অবাক!!
ফটো কপিড ফ্রমঃ সময়ের কন্ঠস্বর
  • ৮:৪৭:০০ PM
আমি কি এখনো সেই ছোট্ট খোকা
আছি নাকি?
যে তুমি,কার্টুন দেখিয়ে মন ভুলাবে?
আমি কি সেই ছ'বছরের সুবোধ বালক!
যে তুমি, লাঠি লজেন্স দেখিয়ে মন ভুলাবে?
আমি আজ ২৫ বছরের উদ্দাম যুবক,
কার্টুন দেখে দেখে আর মন ভরে না,
এবার রক্ত-মাংসের মানুষ চাই।
যার উলের মত হাত আছে,
হরিনীর মত চোখ আছে,
মেঘ কালো চুল আছে যার,
আছে কলমিলতার দেহ।
গোলাপের মত ঠোট আছে যার,
হুইস্কির মত উন্মাদনা আছে যার।
পশমি বলের মত বুক আছে যার,
আছে কোকিলের মত কন্ঠ।।
আমি কি এখনো সেই ছোট্ট খোকা আছি নাকি!
যে তুমি, কথার জালে মন ভুলাবে?
আমি কি সেই ছ'বছরে সুবোধ বালক
আছি নাকি?
যে তুমি, রঙিন ঘুরির লোভ দেখিয়ে
আমায় কাছে নেবে!
আমি আজ ২৫ বছরের হালহীন,পালহীন নৌকা,
যার নোঙর করার তীর প্রয়োজন,
যার, দীর্ঘ যাত্রার জন্য পাল প্রয়োজন।
প্রয়োজন, একটা হাল।।
দীর্ঘ সমুদ্র পথের ক্লান্তি ভুলানো নাচ প্রয়োজন,
গান প্রয়োজন।
প্রয়োজন, তোমাকে।।


#নীলকান্ত ©
[[০১/১১/২০১৪ 02:18am]]
(আমি জানি, তুমি বুঝবে)



  • ৮:৪৪:০০ PM
বিরহের চিঠি ফটো স্মোকিং
বিরহের চিঠিঃ স্মোকিং এলোন-ছবি সংগৃহীত

প্রিয় দেবী,
আমার হাতে পুড়ে পুড়ে ছাই হওয়া জ্বলন্ত সিগারেট দেখলে মায়া হয় তোর। মুখে চুকচুক শব্দ করে বলিস,
"ইস! এই সিগারেটটাই তোমার জীবনটা শেষ করে দিলো। "
কিন্তু যে আগুন আমার বুকে জ্বালিয়ে আমাকে তুই পুড়িয়ে কাঠ কয়লা করেছিস তার খবর রাখিস না।সত্যি আশ্চার্য তোর ভালোবাসা!!
ছেলেবেলায় একবার কলা গাছের পাতা কাটতে গিয়ে বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুল প্রায় হাড়াতে বসেছিলাম।সেদিন এত রক্ত ঝড়েছিলো আর ব্যাথা পাচ্ছিলাম যে, মনে হয়েছিলো আমি বুঝি আজ মারাই যাব।মা বকা দেবে বলে সেই কথাটাও মাকে বলিনি।নীরবে দূর্বা ঘাসের রস আর আমার পুরোনো গেঞ্জির কাপড় জড়িয়ে রেখেছিলাম সেখানে।কেউ যাতে বুঝতে না পারে তাই কতভাবে যে লুকিয়ে রেখেছিলাম তার ইয়াত্তো নেই।।
আজও যখন তোর কথার ছুড়িতে হৃদয়টা কেটে ফালাফালা, অবহেলার শকুনিগুলো বুকের উপর বসে হৃৎপিন্ডটা খুবলে খাচ্ছে তখনো আমি সেদিনের মতো নীরব।তুই কষ্ট পাবি কিনা জানিনা কিন্তু তারপরেও বলতে পারিনি কখনো। হয়ত সহানুভূতির মিথ্যে খোলসে ভালোবাসার সলিল সমাধি হওয়ার ভয়ে কখনো আর বলাও হবে না।
তুই কি জানিস,
সিগারেটের নিকোটিন আমাকে যতটা না শেষ করছে তার চেয়ে বেশি শেষ হচ্ছি তোর নীরবতার ছুড়িকাঘাতে!! হয়ত জানিস কিন্তু বুঝিস না।তাই ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয়ে কত ভাবে যে সেই ক্ষত লুকিয়ে রাখছি তুই যদি বুঝতি!!
সেদিন তুই রাগ করে বললি,
"সত্যি,আমি আর পারছি না।"
তোর কথা শুনে বুকটা আরেকবার মোচড় দিয়ে উঠলো। মনে হলো,বুকের সব কটা হাড় মড় মড় করে ভেঙে হৃৎকম্পন বন্ধ করে দেবে।নিজের পাজড় ভাঙার শব্দটা কখনো শুনেছিস? শুনিস নি।শুনলে বুঝতি,কতটা কষ্টের পাহাড় জমলে বুকের পাঁজড় ভাঙে!
তারপরে বললি,
" আমি কিছুই জানি না আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি"।
তোর এই কথাটা নতুন করে আশা জাগায় আবার।হৃৎস্পন্দন ধীরে ধীরে ট্র‍্যাকে আসে।কিন্তু তা ধরে রাখতে পারলাম না তোর পরের কথায়।
তুই বললি, "ঠিক আছে আমায় আর কিছু বলতে হবে না।"
আমি বললাম," রাগ করছো??"।
তুই সেই চিরচেনা অবস্থায় ফিরে গিয়ে বললি," না, আচছা ভালো থাক।"
তারপর হুট করে হারিয়ে গেলি।
তুইই বল,তারপরে আবার কিভাবে আমি স্বাভাবিক থাকি? কিভাবে স্বপ্ন সাজাই? স্বপ্ন দিয়ে ভালোবাসার জন্য যে ঘর আমি গড়ে তুলেছিলাম সেই ঘর তুই এক নিমিষে তাসের ঘরের মত ভেঙে ফেললি।
একদিন অভিমান করে বললি,
আমার জন্য নাকি কোন পরী আছে।সেদিন তোর অভিমানী মুখটা খুব দেখতে ইচ্ছে করেছিলো।কাছে থাকলে তোর উষ্ণ ঠোটে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে বলতাম,"আমার পরী-টরী লাগবে না,আমার এই দেবীকেই চাই।"যাকে ভালোবাসার অর্ঘ্য নিবেদন করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেব।
কিন্তু কি আশ্চার্য দেখ! তুই সেই সুযোগটাও কখনো দিলিনা।
তোর কাছ থেকে খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম কি? শুধু হাসি মুখে দুটো কথা আর দু দন্ড শান্তি ছাড়া?
#নীলকান্ত (বিরহ)
তাং নভেম্বর ২৩,২০১৪
  • ৮:৪১:০০ PM
★★বেকার স্কেল চাইঃ★★
সরকারি চাকুরীদের আম-দুধ লেগে গেছে। বেতন স্কেল ধাম করে ডাবলের চেয়েও বেশি!  আর তাই দেখে ম্যানুফ্যাকচার কম্পানি গুলোও খুশি। বিজনেস প্লান নতুন করে সাজাচ্ছে,সরকারি দের জন্য।
বেসরকারি চাকুরী জীবিরা এই ভেবে শান্তনা খুঁজছে যে, তাদের বেতনও প্রয়োজনের তাগিদেই বাড়ানো হবে।আর তা না হলে কর্ম বিরতি, ধর্মঘট, আন্দোলন তো আছেই!!
কিন্তু বেতন বাড়াবাড়ির মাইনক্যা চিপায় ফাইসা গেছে আপামর শিক্ষিত বেকার জনগন,আমার মত। যাদের বাবা দিন মজুর,কিংবা কৃষক শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত।
যদি দ্রব্য মূল্য বেড়ে যায়,যাতায়াত ভাড়া দিগুন হয় বেতন দিগুনের সাথে সাথে, তখন কৃষক বাবাকে কি করে বুঝাবো,
"বাপ, সব খরচ বেড়ে গেছে।আমার পড়াশোনার জন্যও যে এবার মাসিক খরচ বাড়াতে হবে! "
আমার কথা শোনার পর
সেই মুহুর্তে আমার বাবার মুখটা কল্পনা করে আমার লেখাপড়ার সাধ অর্ধেক উবে গেছে।
টিউশানির যে পয়সায় এতদিন কোন মত দিন কেটে যেত,সে সময় এখন শেষ। এবার  ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে।
#যাই হোক, কথা তা না।যে কথাটা বলতে চাই তা হলো,
মেসে মেসে আন্দোলন গড়ে তোলেন,হোস্টেলে হোস্টেলে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন,
আপনার ছেড়া স্যান্ডেল, ক্ষয়ে যাওয়া জুতা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। আমাদের দাবি মানতে হবে।
এবারের আন্দোলন বেকার স্কেলের আন্দোলন, এবারের আন্দোলন বেকার দের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
সরকারি চাকুরী দের পাশা পাশি বেকারদেরও বেকার ভাতা দিতে হবে,
আরে ভাই, নচেৎ চলবো কেমন করে!!! না খেয়ে মারা যাব যে!!!
তাং ২৩/১২/২০১৪
ফেসবুক পোষ্ট
  • ৮:৩৭:০০ PM
sad boy missing his girlfriend
sad boy animation Wallpaper: Collected

প্রিয় অবহেলাকারিনী,
"আজ আমার ভালোবাসাকে তুমি অবহেলা করছো।পদতলে দলে ভাবছো, এইটাই ঠিক!
কিন্তু দেখো , আমার এই  ভালোবাসা তোমার কাছে বারবার অবহেলিত হয়ে  যেন চিরতরে হারিয়ে না যায়! একবার অন্তত এটা মনে রেখ, কখনো কখনো খুব বেশি যাকে  ভালোবাসা যায় তার নিকট হতে পাওয়া ছোট্ট ছোট্ট অবহেলা একসময় অনেক বড় ব্যাথার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, যা শত চেষ্টা করলেও আর পূর্বাবস্থায় ফিরে যায় না।
আজ হয়ত তোমার এটা মনে হচ্ছে যে, আমিই ঠিক।কিন্তু একদিন তুমিই বুঝবে তুমি কতটা ভুল ছিলে!
সেদিন হয়ত সময় থাকবে না।সেদিন হয়ত আমারই দোষ খুঁজবে কিন্তু নিজের আজকের কথা গুলো মনে রাখবে না।
আমি চাই না তা হোক।
ইতি
অবহেলার পাত্র
তাং জানু ৫,২০১৫
#নীলকান্ত
Sent from my Symphony
  • ৮:৩৩:০০ PM
বেঁচে থাকতে আমরা যাকে প্রানাধিক ভালোবাসি, ঠিক কবরে শুইয়ে দিয়েই তাকে বেমালুম ভুলে যাই।
আজ সত্যি একটা উপলব্ধি হলো, আর তা হচ্ছে," বেঁচে থাকাটাই একটা মিরাকল,কিন্তু মৃত্যুটাই একটা  ফ্যাক্ট।
বেঁচে থাকাটাই অস্বাভাবিক, মৃত্যুটাই স্বাভাবিক,চিরন্তন।
শামসুর রহমানের "ফটোগ্রাফ" কবিতার কথা মনে পরছে। সেই কয়েক লাইন,
" কী সহজে হয়ে গেল বলা,
কাঁপলো না গলা
এতটুকু,বুক
চিরে বেরুলো না দীর্ঘশ্বাস,চোখ ছলছল
করলো না এবং নিজের কন্ঠস্বর শুনে
নিজেই চমকে উঠি,কি নিস্পৃহ,কেমন
শীতল।"
মিস ইউ ফুফি।
  • ৮:৩০:০০ PM
জরিপের গল্পঃ(অনুভূতি)
"আমাগেরে কাছোত কেউ আহে না,শীতোত বাইচলেই কি আর মইরলেই কি।"
"ইখেনে কিবা কইরা যে থাকি! তার উপরে হরতাল, অবরোধ এর জন্যি আপনের কাকাও কামে যাইবের পারিচ্ছে না।"
অনেক কষ্ট নিয়ে আবেগভরা গলায় কথাটি বললেন এখানে বাস করা এক অসহায় মহিলা।
নাম মহিরুন বিবি।বয়স আনুমানিক ৫০/৫৫। একটা ছেড়া শাড়ি পড়া আর গায়ে ছেড়া ফাড়া এক পাতলা চাদর গায়ে কনকনে শীতের সকালে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন এর রেললাইন এর পাশ থেকে গবর খুটছিলেন।বেশ কিছুক্ষন সময় নিয়ে তার নাম ধাম লিখলাম। উদ্দ্যেশ্য বগুড়া রেলওয়ে তে শীতবস্ত্র বিতরনের দিন যেন তিনিও একটা পান। লেখা শেষ হতেই তিনি উঠে দাড়ালেন।
তারপর কথা বলতে বলতে ফিরে গেলেন আপন কাজে।
আর আমি ফিরে গেলাম সেই সব ঝুপড়ি গুলোর কাছে।একে একে ১৪ টা ঝুপড়ি থেকে তাদের নাম পরিচয় ইত্যাদি লিখে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললাম,
"হে বিধাতা, তুমি আমাদের সেই সামর্থ্য দাও যেন আমরা এই অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে পারি।"
পাশেই আরেক পাগল বসে বসে কি যেন দেখছিল আপন মনে।কাছে যাবার চেষ্টা করতেই কেমন যেন করে উঠলেন। তাই দূরে থেকেই তার ছবি নিলাম।
মনের মধ্যে একটা চাপা কষ্ট অনুভব করলাম।কিছু করতে না পারার,নিজের অপারগতার।
জানিনা,
বিধাতা আমার কথা শুনেছেন কিনা! কিন্তু আপনারা শুনছেন নিশ্চয়ই।
তাই যদি পারেন তবে আমাদের কাছে আপনার সহযোগিতার হাত বাড়ান।আমরা আপনার সহযোগিতা যথাযথ মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। অথবা আপনি নিজেই এগিয়ে জান তাদের কাছে।অন্তত একটি শীতবস্ত্র দিয়ে তাদের সহযোগিতা করুন।
আমরা একা কিছুই করতে পারবো না।আমরা জানি,দশের লাঠি একের বোঝা।তাই প্লিজ এগিয়ে আসুন তাদের পাশে।।
[বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে অসহায়, দরিদ্র শীতার্তদের জরিপ কালে SAVA BD এর একজন Volunteer এর অনুভুতি ]
#SAVA_BD( www.fb.com/sava.org)
লেখাঃ নীলকান্ত
  • ৮:২৮:০০ PM
সকাল সকাল দুই নেত্রী রোমান্টিক্যালি ঝগড়া করছে। তাদের ঝগড়ার ধারাপাতঃ(এডিটেড-সংযোজিত হয়েছে)
হাসিনাঃ এক এক্কে এক,ভালো করে দেখ ,
খালেদাঃ দুই এক্কে দুই , গদি থেকে নাম তুই,
হাসিনাঃ তিন এক্কে তিন,চলছে আমার দিন।
খালেদাঃ চার এক্কে চার, বাড়িস না আর বাড়। ।
হাসিনাঃ পাঁচ এক্কে পাচ, নিজে আগে বাঁচ
খালেদাঃ ছয় এক্কে ছয়,দেখ অবরোধ এ কি হয়!
হাসিনাঃ সাত এক্কে সাত,জনগন কুপোকাত।
কখালেদাঃ আট একে আট, তুই এত বড় কোন লাট?
জনগনঃ
নয় এক্কে নয়, আর করিস না দেশের ক্ষয়,
দশ এক্কে দশ, নামবে  তোদের দুজনারঈ ধস।
হাসিনা+ খালেদাঃ
দুই এক্কে দুই,
চুপ হারামজাদা, কথা কস ক্যান তুই?
হাসিনাঃ দুই দুগুনে চার, খুলে নেব তোর হাড়।
খালেদা এবার একটু হেসেঃ
হাড় নিবি নে,মাংস গুলো কিন্তু আমার!!
হাসিনাঃ তিন দুগুনে ছয়,
জনগন তো সব আমার, তোর তো কিছু নয়।
খালেদাঃ চার দুগুনে আট,
মাথার স্ক্রু ঢিলা নাকি?
টাইট দিয়ে নে নাট।
হাসিনাঃ পাঁচ দুগুনে দশ,
ফাইভ পাস মহিলা তুই,
কথা এত ক্যান কস?
খালেদাঃ ছয় দুগুনে বারো,
তবু
তিনবারের প্রধানমন্ত্রীত্ব কিন্তু আমারো!
হাসিনাঃ সাত দুগুনে চৌদ্দ,
জানি জানি ক্যামনে হইছিলি!
জানে দুনিয়া শুদ্দ।
খালেদাঃ আট দুগুনে ষোল,
এইবার তুই কি করলি?
বুঝিনাই? কেমন নির্বাচন হইছিলো?
হাসিনাঃ নয় দুগুনে আঠারো,
চুপ থাক বুনি, পাঁচ বছর পর
তুইই তো আসবি আবারো!
খালেদাঃ দশ দুগুনে বিশ,
আয় তাহলে মিলে মিশে খাই,
জনগন খাক বিষ!!
খালেদা এবং হাসিনা এবার দুজনঈ খুশি।তাই দুজন গলাগলি ধরে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে হাটছে।
লেখাঃ নীলকান্ত
(ব্যাঙ্গ রচনা।কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়।)
  • ৮:২৩:০০ PM

বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি সেই সাথে বজ্রপাত হচ্ছে বেশ ঘন ঘন।কাঁচের জানালা ভেদ করে বিদ্যুতের ঝলকানি এসে মুখে পড়ছে বারংবার।
হয়ত তুমি থাকলে জানালার পর্দাটা আরেকটু সরিয়ে দুজন মিলে বৃষ্টি দেখতাম,মেঘের গর্জন শুনতাম।হয়ত তুমি থাকলে,  আমার বুকে মুখ লুকিয়ে আড় চোখে বিদ্যুতের চোখ ধাঁধানো নৃত্য দেখতে, মেঘ দেবতার হুংকারে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে  পরম নির্ভরতায়।
  তারপর হয়ত, সময়ের কাটা কখন ভোর নিয়ে আসত টেরই পেতাম না।হয়ত, বসন্তের রাতে বৃষ্টি ভেজা হিমেল হাওয়ায় তুমি আমি উষ্ণতা খুঁজে নিতাম গভীর চুম্বনে। হয়ত, এভাবেই বৃষ্টি শেষে সকালের সূয্যি মামা সেই জানালার ফাঁক গলে তোমার কপোলে সোনালী চুম্বন এঁকে দিত!
হয়ত এভাবেই, যেভাবে তুমি আমি, আমি -তুমি স্বপ্ন দেখছি দু প্রান্তে বসে।।।।
#নীলকান্ত
  • ৮:১৮:০০ PM
স্বাধীনতা তুমি আর কত দূর!
আর কত জীবন গেলে শান্তি পাবে?
আর কত রক্ত পেলে তোমার মিটবে পিপাসা ??
আর কত ছোট্ট খুকির ঝলসানো
শৈশব দিয়ে ক্ষান্ত হবে?
স্বাধীনতা,
আর কত মানুষ মরলে তুমি আসবে কাছে??
আর কত বছর পেরুলে তুমি বৃদ্ধ হবে?
আর কত দিনমজুরের খাবার কাড়লে
তোমার  মিটবে ক্ষুধা ?
আর কত জীবন গেলে তুমি শান্তি পাবে!!!!
(এমন স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেই কি তারা যুদ্ধে গিয়েছিল? যে দেশে ক্ষমতার জন্য কেউ হাত রক্তাক্ত করতে কুন্ঠিত হয়না, কিংবা ক্ষমতার লালসায় কেউ রক্তের মিছিল করে??
এমন একটা দেশের জন্য? এরকম এক স্বাধীনতার জন্য কি তারা প্রাণ দিয়েছিলো???)
#ঞ্জল
  • ৮:১৭:০০ PM
স্বপ্নের পাল্লা অনেক ভারী হয়ে গেছে এখন তাই দু হাত লাগিয়েও তা তুলে ধরতে পারছি না।
সেই ছোট বেলা হতে আজ পর্যন্ত শুধু স্বপ্ন দেখেই গেলাম তা আর পূরণ করা হলো না।আর সেই অপূর্ণ স্বপ্নরা আজ মিছিল মিটিং সমাবেশ করে আমার বিরুদ্ধাচরণ করছে।অবশ্য তার জন্য তাদের যথেষ্ট যুক্তিসংগত কারনও বিদ্যমান। তাই অনেক চেষ্টা করেও যেমন তাদের ধর্মঘট রুখতে পারছি না তেমনি তাদের দাবি পূরণ করবো আজ সেটাও নাগালের বাহিরে চলে গেছে।কখনো কখনো এটা মনে হয় যে,ধুর..সবগুলো কে ছাটাই করে দেই কিন্তু ২০বছরের লালিতপালিত স্বপ্নগুলোর মায়া ত্যাগ করা চাট্টিখানি কথা না।তাছাড়া নিজের কাছেই খারাপ লাগে এই ভেবে যে,
আজ অবধি তাদের জন্য আমি কিছুই করিনি,যা করার কথা ছিল বা দরকার ছিল।তাই তাদের এই ধর্মঘট যুক্তিযুক্ত এবং অবসম্ভাবীই বলা চলে।
তাহলে এতসব অপূর্ণ স্বপ্নের মিছিলে আমি হারিয়ে যাচ্ছি না তো? কিংবা হেরে যাচ্ছি স্বপ্নের সাথে স্নায়ু যুদ্ধে?
হয়তবা।
তারপরেও আরেকবার উঠে দাড়ানোর একটা সুযোগ হয়ত আছে।কিন্তু আমি উঠে দাঁড়াতে পারবো তো?
হয়তবা।
জীবনের এই দ্বিধান্বিত প্রশ্নে আমি কি ধীরে ধীরে অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছি? কই আমারো তো আর সবার মত হাত আছে,চোখ আছে,নাক আছে,পা আছে, মাথা আছে, সবই আছে তবে আমি কেন পারবো না??
জীবনের শত শত ভুল আজ স্বপ্ন পূরনে বাধার সৃষ্টি করেছে।নিজের সুক্ষ্মাতি সুক্ষ্ম ভুল গুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।এখন শুধু সেই ভুলগুলোকে ডিঙিয়ে সামনে এগুনোর পালা। আমি পারবো তো?
আমি পারবো তো স্বপ্নের মিছিলে সামনে থাকতে? অপূর্ণ পাল্লা ভারী স্বপ্ন গুলো কে পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিতে?
আমাকে যে পারতেই হবে। তা না হলে সারা জীবন স্বপ্ন পোড়ার জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে আর তা এখনকার চেয়ে বেশি দূর্বিষহ।।
# নীলকান্ত
  • ৮:১৫:০০ PM
উত্তর-পশ্চিম থেকে অবিরত বয়ে চলা হিমেল হাওয়ায় গা শিরশির করছে।তাই বাধ্য হয়ে রুম থেকে হালকা শীতের টি শার্ট পড়ে আবার ছাদে এলাম।
ছাদটাকে বেশ সুন্দর লাগছে।পূব  আকাশে লুকোচুরি খেলা চাঁদ,মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ায় ঝড়ে পড়া গাছের পাতার শব্দ,পায়ের নিচে শুকনো পাতার বিছানা। আর ছাদের উপর দিয়ে ধূসর আকাশের ক্যানভাস পেছনে রেখে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকা মেহগনি-কড়ই এর আধো ছায়ায় এ যেন এক অন্য পৃথিবী।
বেশ ভালো লাগছে সবকিছু।।
হঠাৎ হঠাৎ ছোপ ছোপ কালো মেঘের আড়াল থেকে চাঁদটা উঁকি মেড়ে কি যেন দেখছে, তারপর আবার হারিয়ে যাচ্ছে মেঘের আড়ালে।
আচ্ছা, চাঁদটা কি দেখলো?
পাশেই বড় রাস্তা দিয়ে দ্রুত বেগে ছুটে চলা সি এন জি,অটো,বাস ট্রাকের পিক পিক, ভ্যা-ভু শব্দ কে এই পরিবেশের সাথে একটু অন্যরকম রোমাঞ্চকর অনুভুতির সঞ্চারক বললে অত্যুক্তি হবে না।
বোধ হয় জীবনকে নতুন করে দেখার এ এক অন্যরকম তৃপ্তি।
কিন্তু সব কিছুর মাঝেও একটা অতৃপ্তি, তুমি নেই বলে।
I miss u,miss u so much.
#নীলকান্ত
  • ৪:৪৫:০০ PM
মুক্তিচিন্তা,প্রগতিশীলতা ও উগ্রতা বলতে যা আমি বুঝিঃ
------------------------------------+---------
প্রগতিশীলতাঃ
যে কোন ধর্ম কে আঘাত দিয়ে লেখা বা বলাকে প্রগতিশীলতা বলা যায় না।
প্রগতিশীলতা হলো এমন সব চিন্তা চেতনা যা মানুষের সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিকতা বোধ, সামাজিক কুসংস্কার বা সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসংগতি কে তুলে ধরে এবং এর থেকে উত্তরণের চিন্তা,বক্তব্য বা লেখনি।।
মুক্ত চিন্তাঃ
"মুক্ত চিন্তা বলতে যে কোন বিষয়ে ব্যক্তি তার যে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করে কিন্তু ব্যক্তির চিন্তা চেতনা, বক্তব্য বা লেখনি যদি কোনভাবে সমাজের যে কোন একটি নৃগোষ্ঠী  বা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকে তবে তাকে আমরা মুক্তবাদ/মুক্ত চিন্তা বলতে পারি না।বরং এটি তার গোঁড়ামি বা ব্যক্তিগত আক্রোশ এর প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।"
ইতিকথাঃ
আমি ইসলাম বিরোধী, খ্রীষ্ট বিরোধী বা হিন্দু বিরোধী বক্তব্য দিলে আমি নিশ্চয়ই গোঁয়ার,আর এসব আমার ঠ্যাটামি ছাড়া কিছু না।
হ্যাঁ,আমি বলতে পারি ইসলামের এই জিনিসটা ভালো, এটা ভালো না কিংবা এর কিছুটা উন্নয়ন দরকার।তাহলে ঠিক আছে।কারণ ইসলামে শরীয়তের মূল বিষয় ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে যুগোপযোগী আইন বা রীতি গ্রহন করা হয়েছে।
এবং ইসলাম একটি প্রগতিশীল ধর্ম।
হিন্দু ধর্মের মাঝে কিছু অসংগতি বা কুসংস্কার আছে বলে যদি আমার মনে হয় তবে আমি সেই বিষয় টা নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করতেই পারি।কিন্তু সেই সমালোচনার মানে এই নয় যে, আমি কোন হিন্দু মতাবলম্বী কে আঘাত দেব!
হ্যাঁ,আমি তর্কের খাতিরে কিংবা নিজের লেখনি দিয়ে এ বিষয়ে যদি এরকম মন্তব্য করি যে,
"দেখেন, আমি কোন ধর্ম মানি না।আর হিন্দু ধর্মের এই বিষয় টা আমার কাছে মনে হয়েছে এরকম কিংবা ওরকম।এটা এমন হলে ভালো হত না ওমন হলে।"
তাহলে আশা করি আপনি আপনার মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশকও করতে পারতেন এবং হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী তাদেরও মনে আঘাত লাগত না।"
কারন হিন্দু ধর্ম একটি প্রাচীন সনাতন ধর্ম কিন্তু এর নানা বিষয় যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে প্রয়োজনের খাতিরে।যেমনঃ বিধবা বিবাহ,সতীদাহ প্রথা রহিত হয়েছে, বর্ন প্রথা/কৌলিন্য প্রথা এখন খুব একটা চোখে পরে না,আমরাই দেখেছি, আগে হিন্দু রশই খানায় মুসলিমানদের যেতেই দিত না, ছোয়া কোন জিনিস হিন্দুরা স্পর্শই করত না কিন্তু এখন দিব্যি আমাদের হিন্দু বন্ধুদের ঘরে বসে আমরা চা খাচ্ছি,ভাত খাচ্ছি আড্ডা দিচ্ছি।এমনকি আমার অনেক হিন্দু বন্ধু আছে যারা একসাথে বসে গরুর মাংসও খায়।
এভাবেই প্রয়োজনে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে।
খ্রীষ্ট ধর্মের কোন বিষয় আপনার কাছে ভালো না লাগলে সেক্ষেত্রে আপনি এর বিষয়ে আপনার অভিমত ব্যক্ত করতেই পারেন কিন্তু দেখবেন তা যেন ওই ধর্মে বিশ্বাসী কারো মনে আঘাত না দেয়।কারন,আপনি যেভাবে চিন্তা করবেন তা যে সবাইকে করতে হবে তা তো না।কিংবা আপনি ওই একটা বিষয়ে লিখলেন আর তা সেই ধর্মীয় বিশ্বাসী দের কাছে মনে হবে, এটাই ঠিক।তা তো না।
আপনি কোন ধর্ম বা কোন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব কে নিয়ে উপহাস করতে পারেন না।আপনি তার বিষয়ে যুক্তি নির্ভর আলোচনা করতে পারেন।এবং তার জন্য অবশ্যই সে বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান এবং ভালো মন্দ উভয় দিক উপস্থাপন করতে হবে। তাতে আপনার গ্রহনযোগ্যতা পাবেন।
এবার মুক্ত চিন্তা ও গোঁড়ামি এবং উগ্রবাদঃ
এ বিষয়ে দু একটা কথা বলি।
যদি কোন ধর্মীয় গোষ্ঠী বা উপগোষ্ঠী কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করে তবে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিন্তু সেই নিন্দনীয় কাজের জন্য সেই কাজে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা উপগোষ্ঠী কে দায়ী করা যায়।কিন্তু সামগ্রিক ভাবে সে ধর্মাবলম্বী দের বা ওই ধর্ম কে নিয়ে কিছু বলা বা বলতেই থাকা বা করতেই থাকা গোঁড়ামি। আর  সেই বিষয় বা কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি এমন কোন কাজ করে যা মানবতা ও মনুষত্য বিবর্জিত এবং বল প্রয়োগ করে কোন কিছু আদায় বা আদায়ের চেষ্টা যা মানবতা লংঘন করে তা উগ্রতা।
এবার ভাবুন আপনি মুক্তচিন্তা বিদ, প্রগতিশীল নাকি উগ্রবাদী????
#এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত তাই এ বিষয়ে অন্য কারো কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। (কপি-পেষ্ট বর্জিত)
#নীলকান্ত
Writer information NILKANTO