:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

  • ১০:৪২:০০ PM
প্রিয় দেবী,

অনেকদিন পর তোমায় লিখছি। কতদিন পর! ঠিক ঠাক মনে পড়ছেনা কিছুই। শুধু মনে পড়ে, শত শত চিঠি পাঠিয়েছি বেনামী ঠিকানায় বহুদিন। হয়ত সেসব কখনো পাওনি তুমি অথবা স্ক্রোল করে সরিয়ে দিয়েছ কোন কিছু না দেখেই।

আজ আবারো লিখছি তোমায়। যখন তুমি আমি দূর বহুদূর।  যখন একটা দেয়ালের এপাশে আমি আর ও পাশে তুমি। দেবী, দেয়াল ভেদ করে আমার ভালবাসার আর্তচিৎকার কি তোমার হৃদয় মন্দিরে পৌছোবে??
যে পূজোর ডালা সাজিয়েছিলাম তাজা রক্ত গোলাপে সে ফুল কি তোমার হৃদয় রাঙাবে?
জানিনা।

দেবী,
আজ আমার অর্ঘ্য অতি সামান্য পাপী পূজারীর। যার দেবীকে চাওয়ার স্পর্ধা হয়ত হবেনা কিংবা দেবীর ভালবাসার স্পর্শ পাওয়ার ব্যাকুলতা মিটবেনা কভু আর ।
 তবুও তোমার প্রতিমার সামনে বারবার এসে দাঁড়াই ভালবাসার অর্ঘ্য নিয়ে। তোমার হৃদয়ের কোণে পাপী পূজারীর জন্য সেই ভালবাসা খুঁজতে। যা একদিন শুধু আমারই ছিলো।

দেবী, 
ভালবাসার মাঝে পাপ আর পূণ্যের হিসেবের খাতা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ওই হৃদয় মন্দিরের পূজোর ভার আমায় দেবে কি? দেবে কি ওই হৃদয় মন্দিরে প্রবেশের একচ্ছত্র অধিকার! জানিনা।
তবুও দেবী তোমায় ভালবেসে যাবো। তোমার পূজোয় বারবার সাজাবো পূজোর ডালা, রাঙাবো তোমার ঘর। দুরত্বের মাইলেজ ঘুচাতে পাড়ি দেবো হাজার আলোকবর্ষ।  মহাবিশ্বের প্রতিটি কণাকে মালা গেথে পড়াবো তোমার গলে। তুমি শুধু ভালবাসতে দিও।।

ইতি
-নীলকান্ত

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

  • ৮:০৪:০০ PM
চোখ বন্ধ করলেই স্মৃতিরা সব
এসে জমে চোখের পাতায়।
অতি অল্প সময়ের এই যাত্রায় 
ইতি টানবার এসেছে সময়।
সেই দুরন্ত ছেলেবেলা,
বাবার বকুনি,মায়ের শাসন
দাদা দাদীর স্নেহ ভালবাসা।
কিংবা সেই এলোমেলো ছুটেচলা।

হাই স্কুলের প্রিয় বারান্দা, সবুজ মাঠে
বন্ধুদের আড্ডা,প্রিয় ক্যাম্পাসে
কলেজের ক্লাসরুম, পাশাপাশি বসে থাকা
প্রিয় কিছু মুখ, বারবার ভেসে উঠে
কেন তবে স্মৃতিপটে,
অজান্তে নিরালায়!!
অতি অল্প এ সময়ের যাত্রায় 
মোহ মায়ার এ পৃথিবীর 
মনে হয়,
ইতি টানবার এসেছে সময়!!

পাশাপাশি বসে কত বুনেছি স্বপ্ন
কত পৃথিবী গড়েছি একসাথে!
আচমকা প্রলয়ে ভেসেছে সব!
দেখে, দেবতা করেছে নৃত্য তাতে।
দূর হতে দূর, বহু দূর দূরে
সাজানো পৃথিবী নিমিষে হয়েছে শেষ 
খঞ্জরবিদ্ধ হৃদয়, ভেঙে চুরে।
সেই হতে এত বছর পরে,
অতি অল্প এ সময়ের যাত্রায়
ফেলে আসা দিনগুলি কেন
আবারো অশ্রু ঝড়ায়!!!

#নীলকান্ত©♥
  • ৮:০৩:০০ PM
ইদানীং ফেসবুকে এর ওর মৃত্যুর সংবাদে
বিচলিত হয়ে যাই।
কি সহজেই না আমরা অতি প্রিয়জনের মৃত্যুর সংবাদ কে ভাগাভাগি করে নেই!
যার সাথে বসে সকালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম
রাতে তার মৃত্যুর সংবাদে টাইমলাইন ভরে যায়!
কি ভয়াবহ সত্যতা! 
মেনে নিতে হয়।

একদিন হয়ত আমার মৃত্যুর সংবাদ
অন্য কেউ পড়ে শোনাবে,
কিংবা কারো টাইমলাইনে আমার মৃত্যুর সংবাদ
হবে বিরক্তির কারণ!
কি আশ্চর্য এই মৃত্যু!
কি ভয়াবহ এই বেদনা!

আমার মৃত্যুকে নিয়ে হয়ত কোথায় পড়ে যাবে কলরব,
কেউবা স্ক্রোল করে সরিয়ে দেবে  জঞ্জাল সেই সব!
কারো নজর এড়িয়ে হয়ত সেসব রয়ে যাবে বহুদূর।
কিন্তু, সেই আমিই তো ছিলাম একদিন !
আনন্দ তামাশায়,
স্মৃতিতে কি রবে সেই সব?

তারপর বহু দিন পর, হঠাৎ কারো নজর পড়তেই
হয়ত অজান্তে ঝড়বে লোনাজল! 
কি আশ্চর্য!  
সেদিন আমার দেহ মিশে গেছে মাটিতে।
দু'চোখের দেখা হবে না আর কখনো কোন ক্ষণে,
পড়বে না মনে আর কোন বিরহী রাতে।
টাইমলাইনে ছড়াবেনা আর, হাজারো রঙিন ছবি!
ভাসবেনা ঈর্ষায় জ্বলে পোড়া
সেই সব লাভ রিয়্যাক্ট,
কমেন্টের ফুলঝুরি।

শুধু কোন এক শ্রাবনের বিকেলে বৃষ্টির ফোঁটায়
ফিরে আসবে আমার স্মৃতি তোমার ক্যানভাসে।
হঠাৎ হয়ত চমকে উঠবে আমার অশরীরী স্পর্শে।

শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

  • ৪:২৮:০০ PM


২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়েছিলাম। এতটাই অসুস্থ যে, জীবনে প্রথমবারের মত আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিলো। 
আমার কপাল ভালো ছিলো কারণ,
তখনো বাংলাদেশে কোন করোনা রুগী ধরা পড়েনি। অন্যদিকে চীন, স্পেন কিংবা ইটালিতে তখন করোনার প্রাদুর্ভাব প্রচণ্ড। আর তখন একটা ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিলো যে, শুধুমাত্র যারা বিদেশফেরত(বিশেষ করে চীন,ইটালি ফেরত) কারো সংস্পর্শে গিয়েছে তাদেরই করোনা হবে। তা না হলে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং বলাই যায় যে, আমার করোনা হয়নি বা হবে না। কারণ আমি তখনও কোন বিদেশফেরত আত্মীয়,স্বজন,বন্ধু,বান্ধব বা পরিচিত কারো সংস্পর্শে যাইনি। হা হা হা। 

কিন্তু আমার যেসব লক্ষণ ছিলো তা পুরোপুরি করোনার বর্তমান লক্ষণসমূহের সাথে মিলে যায়।
আমার লক্ষণ গুলোর মধ্যে ছিলোঃ
১. প্রচণ্ড জ্বর (১০২-১০৩ ডিগ্রী)
২. সর্দি
৩. প্রচন্ড কাশি।( এতটাই কাশি যে,  কাশতে কাশতে বুক ব্যাথা এমনকি বাথরুম হয়ে যেত।)
৪. বমি।( বমি এতটাই ছিল যে, পানি খেলেও বমি হয়ে যেত,  ভাত কিংবা অন্য খাবার তো দূরের কথা। এমনকি জ্বরের জন্য প্যারাসিটেমল, বমির জন্য এমিস্টেট কিংবা কাশির জন্য মন্টিলুকাস্ট জাতীয় যে ঔষধই খাই না কেন তা বমি হয়ে বের হয়ে যেত।)
৫. পাতলা পায়খানা। (মনে আছে, আমি সোরওয়ার্দীতে ভর্তি হওয়ার পর সেদিনই বাথরুমে যেতে যেতেই প্যান্ট পর্যন্ত নষ্ট করে ফেলেছিলাম।)
৬. শ্বাস কষ্ট। (রাত্রে শ্বাস কষ্টে ঘুমাতে পারিনি।  মাঝ রাত্রে ঘুম ভেঙে জালানা খুলে হা করে শ্বাস নিয়েছি।)
৭. মাথা ব্যাথা। (মাঝে মাঝে মনে হত মাথাটা কেটে আলাদা করে রাখি।)
৮. র‍্যাশ ( সারা শরীরে হাম এর মত র‍্যাশ বের হয়েছিলো।) 


যাই হোক,
আমি তখন চাকরির সুবাদে ঢাকায় একা থাকি। পরিবার পরিজন কেউ সাথে ছিলো না তাই নিজের যা কিছুই হোক না কেন দেখার মত কেউ নেই। অগত্যা বাধ্য হয়ে কয়েকদিন নিজের সাথে লড়াই করলাম। 
এদিকে জ্বরের শুরুর দিকে একটু আধটু খেতে পারলেও ধীরে ধীরে পানি পর্যন্ত খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। কারন যা খেতাম তাই বমি হয়ে যেত। এমতাবস্থায় দিন সাতেক পর আর কোনভাবেই নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারছিলাম না। আমি সেসময় একটা ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করি।আর ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরির সুবাধে যেসব জানা শোনা প্রাথমিক চিকিৎসা ছিলো সব শেষ করে ফেলেছি। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। এভাবে থাকতে থাকতে ৪/৫ দিন কোন মত সামান্য স্যালাইনের পানি ছাড়া আর কিছুই খেতেও পারিনি। তাই যে মনের জোরে অসুস্থ শরীরটা কে চালিয়ে নিচ্ছিলাম এতদিন তা আর মনের জোরে কাজ করছিল না। শারীরিক দূর্বলতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো সাথে সাথে শ্বাস কষ্টের মত সমস্যা তো ছিলই।

আমার এরকম অবস্থা দেখে 
রুমমেট দুইটা ছোট ভাই বারবার আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও এতদিন আমি পাত্তা দেইনি। কিন্তু পরে আর পারছিলাম না।মনে হচ্ছিলো, আমি বোধহয় জীবনের কাছে হেরে যাবো। 
সত্যি বলতে কি,আমার জীবনের কৃত কর্মগুলো আমার চোখের সামনে ভাসছিল তখন। জীবনের ভুল গুলোর জন্য অনুশোচনার শেষ ছিলো না। আমি হয়ত বাঁচবো না আর এমনই চিন্তাভাবনা মাথায় এসে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলো।

আমি আমার ডায়রি নিয়ে বসলাম। ভেবেই নিয়েছিলাম,আমি আর হয়ত বাচবো না। তাই ডায়রির পাতা ভরে আমার সব লেন- দেন, ভুল ভ্রান্তি,  যাদের মনে কষ্ট দিয়েছি তাদের নাম, কি কারণে কিভাবে কষ্ট দিয়েছি সেগুলো। আমার বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া একাউন্ট, মেইল একাউন্ট,পাসওয়ার্ড, ব্যাংকিং পিন ইত্যাদি লিখে রাখতাম ডায়রিতে।  যেন আমি মারা গেলেও পরিবারের লোকজন আমার পক্ষ থেকে সেগুলোর সমাধান করে কিংবা আমার কথাগুলো জানতে পারে।

বাবা মায়ের কাছে শেষ চিঠিও লিখলাম। তারপর নিজের সব কর্ম অপকর্ম লিপিবদ্ধ করে নিজের শেষ নিশ্বাসের জন্য যেন অপেক্ষা ছাড়া আমার যেন আর উপায় ছিল না। 

এদিকে আমার অসুস্থতা বেশি দেখে আর আমার হাল ছেড়ে দেয়া দেখে রুমমেট ছোট ভাই দুইটা আমাকে একরকম জোর করেই হাসপাতালে নিয়ে গেলো। সৌরওয়ার্দী তে ভর্তি করলো। 

আমার কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে বাসায় সংবাদ দেয়া হলো। মা বাবা সব কিছু জেনে অস্থির হয়ে উঠলেন। প্রিয় জন যারা ছিলো তারাও বারবার খোজ নেয়া শুরু করলেন। কিন্তু ফোনে কথা বলার শক্তিও যেন আর ছিল না। এদিকে আব্বা আম্মা ঢাকা আসার জন্য রওয়ানা হলেন সেদিনই।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর
আমার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার বস,এরিয়া ম্যনেজার বস সহ সহকর্মী রা বলতে গেলে আমার জন্য যা করেছে তার ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো না। বাকের বস নিজের বাসা থেকে নরম খাবার বানিয়ে নিয়ে এসেছে আমার জন্য। ছোট ভাইয়ের মত মুখে তুলে খাইয়েছে। হয়ত আপন ভাইও অনেক সময় এতটা করেন না যতটা বাকের বস আমার জন্য করেছেন। চির কৃতজ্ঞ আমি তার কাছে।
তাছাড়া আমার কাছের এক বান্ধবী ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে আমার মাথায় পানি দিয়েছে, জলপটি দিয়েছে,ধরে বসিয়ে ঔষধ খাইয়েছে। সত্যিই এদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। ছোট মামাতো ভাই এসে পাশে থেকেছে। নানা ভাবে সহযোগিতা করেছে। ওদের কাছে আমার ঋণ শোধ হবার মত না।

যাই হোক,
আব্বা আম্মা সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকা এসে পৌছালো। আসলে সন্তান যখন বিপদে থাকে তখন বাবা মা যত দূরেই থাক আর যত কষ্টই হোক সন্তানের কাছে ছুটে আসে। আমার বাবা মাও তার ব্যতিক্রম নন। চিরদিন শক্ত হৃদয়ের বাবার চোখেও ছলছল জল দেখেছি সেই দিন। আর গত ২৭-২৮ বছর যা বুঝিনি সেদিন সেটা বুঝেছিলাম। বুঝেছিলাম, বাবারা উপরে যতটা শক্তই হোন, সন্তানের বিপদে অন্তরে ততটাই নরম।



অসুস্থতার ৭ম দিনে আমি হাসপাতালে ভর্তি হলাম। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে আমায় স্যালাইন করা হলো। ওরালি কিছুই খেতে পারছিলাম না। তাই হাসপাতালে ভর্তির পর তিনদিন শুধু স্যালাইন চলেছে। টাইফয়েড, ডেঙ্গু, কিংবা জানা শোনা যেসব রোগ আছে তা নির্ণয়ের জন্য ব্লাড টেষ্ট,এক্স রে, ইউরিন টেস্ট সহ নানা টেস্ট দেয়া হলো। সেগুলো করালাম। নিউমোনিয়ার লক্ষণ ছাড়া তেমন কোন কিছু পাওয়া গেলো না। 
ডাক্তার মেডিকেশন দিলেন। সেগুলো চলতে থাকলো একটানা। নিয়ম করে সকাল বিকাল নার্স এসে ইঞ্জেকশন দিয়ে যেতেন। রাত্রে ডাক্তার  এসে রিপোর্ট দেখে, একটু আধটু খোজ নিতেন। প্রয়োজনে নতুন ঔষধ লিখতেন।আবার চএ যেতেন।
এভাবে হাসপাতালের দিন গুলো কাটছিলো আমার। এই কদিন  হাসপাতালের বেডে শুয়ে চোখের সামনে অনেক রুগীর মৃত্যু দেখলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারি তে হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে যেত মাঝে মঝেই। আমি সেই ভারী বাতাসের স্পর্শ হৃদয়ে অনুভব করতাম।আর সেই মৃত্যুপুরী থেকে বেঁচে ফেরার জন্য মনে মনে প্রার্থনা করতাম স্রষ্টার কাছে। 


যাই হোক, ৪/৫ দিন একটানা হাসপাতালে থেকে কিছুটা শক্তি ফিরে পেয়ে সৌরওয়ার্দী হাসপাতাল ত্যাগ করলাম। জীবনে কোনদিন হাসপাতালে না থাকা আমি দিব্যি পাঁচ দিন হাসপাতালের বেডে কাটালাম। কিন্তু বাবা মায়ের অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছিলো হাসপাতালে থেকে। তাই কিছুটা সুস্থ অনুভূত হতেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিলাম। একরকম জোর করেই। তারপর আবার নিজ গ্রামের বাড়ি এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলাম। এখানে থাকলাম আরো তিন চার দিন।

এই পনেরো দিনের অসুস্থতায় আমার ওজন ৭৮ কেজি থেকে ৬৬ কেজিতে নামলো। সারা মুখে,শরীরে র‍্যাশ বের হয়ে কালো কালো দাগ হয়ে গেলো। তবে সব শেষে আমি জীবিতদের দলে আরো কিছুদিন পৃথিবীর রূপ উপভোগ করার সুযোগ পেলাম।


যাই হোক,
আমি সেসময় যেসব লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম তা এখনকার সময়ে হলে ১০০% করোনা পজেটিভ হত কিংবা করোনা টেস্ট করালেও সম্ভবত ধরা পড়ত। তবে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত, আমার রোগ যাই হোক, আমাকে তিনি সুস্থ করে ফিরিয়েছেন। 

শনিবার, ২২ মে, ২০২১

  • ৩:৪২:০০ PM

হঠাৎ তুমি এলে
একটা নিস্তব্ধ শহর চারদিকে ফাকা-
মনে হয় আমার দিকে আড়-চোখে তাকিয়ে আছে অপলক! 
আমাকে কিছু বলতে চায়।
বহু বছর জনশূন্য একটি শহর দাড়িয়ে আছে সারিসারি ভাবে, মৃত্যু অমৃত্যুর মাঝামাঝি তে!
নেই কোনো পাখির কিচিরমিচির শব্দ,নেই কোনো কোলাহল। 
এখনো কি স্বপ্ন দেখে সাজসজ্জায় রঙিন হতে?
আমি হতাশায় চেয়ে থাকি ইট,বালু,সিমেন্ট এর শহরে! 
ফিরিয়ে আনতে চাই আমি রক্তিম সূর্য কে,
আবার ফুটবে হাসি এই ধুলাবালির শহরে।

#নুসরাত_জাহান©

  • ৩:২৮:০০ PM
নুসু

নুসু বাবু বেজায় কাবু, 
কাজ দেখলে পায় ভীষণ ভয়!
রান্নাবান্নায় চটপটানি। 
খায় কম,কথা বলে বেশি!
আড্ডাবাজীতে পারদর্শী 
গল্পের মাঝে হাসে বেশি
হাসি আনন্দে মাখামাখি 
কান্না পেলে কথাই নাই
নাকের পানি,চোখের পানিতে পাগল প্রায়!
ভালোবাসা পেলে বিশ্বজয়
নুসুর জীবন স্বপ্নময়।।

শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

  • ১১:১১:০০ PM
অতঃপর তোকে দেখার পরে তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের পিপাসা মিটেছে। অজান্তেই জানা অজানার ভেতর হুহু করে ঝড় বাতাস বইতে শুরু করলো। আমি ডানা ভাঙা পাখির মত আছড়ে পড়লাম তোর বুকে। 
তুই পরম যত্নে আমার মনটাকে পোষ মানিয়ে বন্দী করলি তোর খাঁচায়। 

#নীলকান্ত
  • ৭:৫৫:০০ PM

জীবনের বসন্ত চলে যায় একা দ্বারে দাঁড়িয়ে,
আঁধারে গল্প লেখে, ফেলে আসা স্মৃতিতে।
আজ তুমিও একা,আমিও একা
শূন্যতার হাহাকার, বেঁচে থাকি অতীতে।

তোমার শরীরে সুবাস, উন্মাদ প্রেম
প্রেমার্ত চাহনী, টোলপড়া গাল,
কতবার তার যে নেশায় পড়েছি!
কতবার হয়েছি মাতাল!
আজ শূন্য ঘরে হাহাকার করে মরে,
সেইসব দিনরাত্রির সন্ধিক্ষণ।
আজ আমিও একা, তুমিও একা,
ভুলে ভুলে ভেঙে গেছে দুটি মন।

আবারো স্বপ্ন দেখি অসম্ভবের।
ছোট্ট সংসার, টোলপড়া গাল
মেঘ কালো কেশ মুখের উপর,
লোমশ বুকে স্পর্শ তোমার।

স্মৃতির জ্বালায় জ্বলছি ভীষণ
অতীত থেকে বর্তমানে,
হয়ত আজ সব ভুলেছ তুমি ।
তবু তুমিও একা, আমিও একা
হাতড়ে ফেরা সুখের পাগলামি।

#নীলকান্ত©

১০/০৪/২০২১ইং

শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

  • ১:৪০:০০ AM
মনি,
কত কাল পর! কথা হলো আমাদের!
অপরিচিত কন্ঠ, অগোছালো শব্দের সমাহার! 
স্মৃতির এলবামে যে জমেছিল ধূলা
হাতড়ে সারাবেলা, তোমার আঁচল;
চোখের জলে যদিও ভেজেনি কাজল,
ভেবে হয়েছি সারা, আমি কার!
অগোছালো সেসব শব্দের সমাহার।।

 ছিল জমা কত কথা,
মেলেনি হিসেবের খাতা,হাসির
আড়ালে লুকায়ে চোখের জল
যোগ বিয়োগের শূন্য ফলাফল।
তোমারও কি হৃদয় পুড়ে?চুপিসারে
যতটা পুড়েছে আমার!
একেকটা দীর্ঘশ্বাসে টর্নেডো হয়?
ধেয়ে আসে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়?
কথা হলে আমাদের
এত কাল পর!
আহ! কতকাল পর!

#নীলকান্ত©

বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

  • ৭:৩৬:০০ AM
ভালবাসায় ভরা ছিল আমাদের সংসার,
ভুলে ভাঙে স্বপ্ন,রয় শুধু হাহাকার।
ভুল কি ছিল শুধুই আমার! 
নাকি অল্প কিছু ছিলো তোমারো,
পরোয়া কখনো করনি যার।

দূরে যেতে যেতে এত দূরে আজ
ব্যবধান জমিন আসমান।
বুকের পাজর ভাঙে ক্ষণে ক্ষণে
ভাবি এ কেমন অভিমান!
নিজেও বাঁচনি,বাঁচাতে পারোনি
ভেঙে হই খানখান।

আপনারে লুকায়ে আপনি কাঁদি
ফিরে পাওয়ার ছিল কত অভিলাস,
দূর থেকে দূর মাহাশূন্যতা আজ
শূন্যতায় বসবাস।
তোমারে দেখতে চাতক এ মন
ফেলিছে দীর্ঘশ্বাস।
আমি তো লুকায়ে নিজের ভেতরে
বিরহ করছি চাষ।।

#নীলকান্ত



Writer information NILKANTO