সকাল ৬:০০ টায় যখন দিন শুরু হয় তখন মূলত কামলা দেয়ার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবেই শুরু হয়।এরপর ৮:০০ টা নাগাদ কামলা দিতে বের হই। পেটে দানা পানি বলতে কখনো সখনো নিকোটিনের সাদা ধোয়া কিংবা বুড়িগঙ্গার শুদ্ধপ্রায় জল। স্যুটেড, বুটেড হয়ে নিজের ইচ্ছা, আকাঙখা, ভালবাসা, চাওয়া পাওয়া এমনকি পেটের ক্ষুধা ভুলে সভ্যতার অসভ্য নীতিভ্রষ্টতাকে সমর্থন করে তেল দেই রাত-দিন। প্রতিদানসরূপ কখনো ঝাঁঝালো বাক্যবাণ, কখনো নীতিভ্রষ্টের শিষ্টাচার। আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই শিষ্টাচারের ভার্চুয়াল ইমেজ নিয়ে ধন্য মনে করি নিজেকে। যাক, তবুও ত কিছু পেয়েছি! এভাবে সকাল গড়িয়ে দুপুর, ভেতরে...
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯
- ১১:৪৫:০০ AM
গভীর হতে থাকে একাকী রাত,
নিস্তব্ধতা ভাঙে একেকটা দীর্ঘশ্বাস।
কত দিন হলো বলো তো?
কত শত শতাব্দী, কত শত বছর
কত সহস্র মাস!
হিসেবের খাতায় শূন্য ফলাফল
চাওয়া-পাওয়ার যোগবিয়োগে
চোখের লোনা জল।
কত সমুদ্র হলো বলো তো?
কত প্রশান্ত, কত আটলান্টিক
কত টাইগ্রিস -ইউফ্রেটিস!
স্মৃতিরা সব ধাওয়া করে পিছু,
ধূলো জমা ক্যানভাস,পোঁড়া হৃদয়,
ছেঁড়া এলবাম, আকুল স্পর্শ।
কত বয়স হলো বলো তো?
কত চন্দ্ররাত, কত শত সহস্র আলোকবর্ষ!
ফেলে আসা শতাব্দীর গল্পে,
তোমার আমার লাল নীল সংসার,
ফিরে ফিরে যায় বিরহী হৃদয়,
এ অশান্ত মন আমার।।
দেখো, আজ তুমিও একা, আমিও একা
শুধুই...
শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
- ১১:৪৫:০০ PM
কবিতার অন্ত্যমিলে খুঁজে চলি অবিরাম ছন্নছাড়া জীবন, মেঘ কালোকেশী রমণীর টোল পড়া গাল, জোড়া ভ্রু, পশমি বলের মত বুক, কাব্যিক হাসি। পার্কের বেঞ্চে বসে যাকে প্রথম দেখেছিলাম, চারসহস্র শতাব্দী বছর আগে। তারপর স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম দুজনে একসাথে, দু'রুমের ফ্লাটে স্বপ্নগুলোর হয়েছিল স্থান। তারপর একশত বিশ কিংবা তার কিছু বেশী শতাব্দী কেটেছে উন্মত্ত জৈবিক সাধনায়। শতাব্দীর সুখ সে তো দিয়েছিল আমায়। সেই জোড়া ভ্রু, কালোকেশ, টোল পড়া গাল। সেই সব ঝড়ের রাত, শীতের কুয়াশা সকালের মিঠে রোদ, সম্পর্কজাল। সে তো আমার নয়, আমিই ছিলাম তার, কিন্তু কি আশ্চর্য! আজ ভুলেই...
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯
- ১২:১৬:০০ PM
আজ আমি নীরবে মেনে নেই সব। আজ আমি সব পারি, পারতে হয়। এতটুকু প্রতিবাদ নেই কণ্ঠে। নিজস্বতা, স্বাধীনতা বলতে দিন শেষে ঘরে ফিরে এক মুঠো ভাত, ক্লান্ত শরীর, ছটফটানি ঘুম। তবুও ভাল আছি আমি। নিম্ন মধ্যবিত্তের বড় ছেলেদের সব শেষে ভাল থাকতে হয়। একজন সাধারন গৃহিণী নারীর ছা পোষা হাসব্যান্ডকে ভাল থাকতে হয়। মুখে হাসি টেনে বলতে হয়, আমি ভাল আছি। ভাল থাকাটা শিখে গেছি মেনে নেয়ার সাথে সাথে।। পৃথীবির চিরাচরিত দাসত্বের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি অথবা চেষ্টা করছি মানিয়ে নিতে। জীবনের ত্রিশটা বছর সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে কখন যে সুখ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি বুঝতে পারিনি। একটা...
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
- ৬:২৭:০০ PM
পুরুষ মানুষকে যদি কোন স্ত্রী বশে রাখতে চান, তবে তার সাথে ভাল ব্যবহার করুন, যা বলে তাই শুনুন, দিন কে রাত, রাত কে দিন বললে মেনে নিন।তারপর রাতের বেলায় ঠান্ডা মাথায় সুন্দর করে আপনার আবদার টা উপস্থাপন করুন। যদি আপনার আবদার শুনে সে রাগ করে তবে তার কথা মেনে নিন। এরপর, রাগ না করে হাসিমুখে তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন।দেখবেন আমতা আমতা করলেও সময় মত আপনার কাজ হয়ে গেছে। এবার আরেকটা কথা বলি, আপনি কি সারাজীবন শুধু কম্প্রোমাইজ করে চলবেন? না, সুন্দর সম্পর্কের জন্য উভয় পক্ষকে কম্প্রোমাইজ করতে হয়। শুধুমাত্র স্ত্রী কিংবা স্বামী সারাজীবন কম্প্রোমাইজ করে চললে...
বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯
- ১১:৪২:০০ AM
আমার ও------------দু'চোখ ভরা অভিমান নিয়ে ও প্রায়ই বলে,"তুমি আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাও না। ""বল তো,আমাকে নিয়ে তুমি কোথাও বেড়াতে গেছো? "তারপরওর অভিমানী চোখের পাতায় না পাওয়ার শিশিরেরা ভর করে । আমি একটু ভেবে দেখি,সত্যিই তো, ওকে নিয়ে কোথাও সেভাবে ঘোরা হয়নি!আমাদের সীমাবদ্ধ ঘোরা ফেরা শুধু সাত মাথা থেকে খোকন পার্ক আর বড়জোর বিসিএল কিংবা কোয়ালিটিরর ফাস্ট ফুড শপ।তার বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি।এমনকি এক দেড় ঘন্টার বেশি বাহিরে যে ওকে সময় দিতে পেরেছি তাও না! বরং যা দিতে পেরেছি তা হল, অনাগত ভবিষ্যৎ জীবনে দু'জন সারা দেশ ঘুরে বেড়াবো সেই অনিশ্চিত প্রতিশ্রুতি।তবে...
বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯
- ৯:৩২:০০ AM
জীবন থেকে সুখ গুলো সব উড়ে গেছে,
ব্যর্থতারা ছায়ার মত পিছু লাগে।।
হতাশার ছানিপড়া চোখে, আশার আলোও যেন আধারে ডাকে।
স্বপ্নগুলো সব ধরাশায়ী তাই হৃৎপিন্ডের ব্লকেজে,
আমি যে হেরে গেছি আজ জীবনের শো-কজে।
ভাবি, মৃত আর অমৃতের মাঝে আমি এক সাদাকালো জঞ্জাল।
আমাকে গ্রাস করেছে তাই নিরাশা, ব্যর্থতা আর
বেকারত্বের ধূসর কঙ্কাল।।
নীলকান্ত©
...
বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯
- ৪:৪৫:০০ PM

পাগলী, তোমার সঙ্গ
পাগলী, তোমার সঙ্গ
- জয় গোস্বামী--
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন
এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা
পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু’কদম।
অশান্তি চরমে তুলব, কাকচিল বসবে না বাড়িতে
তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙব কাঁচের বাসন
পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ৪২ কাটাব জীবন।
মেঘে মেঘে বেলা বাড়বে, ধনে পুত্রে লক্ষ্মী লোকসান
লোকাসান পুষিয়ে তুমি রাঁধবে...
- ৪:৪১:০০ PM

খুব কাক্সহে এসোনা
-রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
খুব কাছে এসো না কোন দিন
যতটা কাছে এলে কাছে আসা বলে লোকে
এ চোখ থেকে ঐ চোখের কাছে থাকা
এক পা বাড়ানো থেকে অন্য পায়ের সাথে চলা
কিংবা ধরো রেল লাইনের পাশাপাশি শুয়ে
অবিরাম বয়ে চলা ।
যে কাছাকাছির মাঝে বিন্দু খানেক দূরত্বও আছে
মেঘের মেয়ে অতো কাছে এসোনা কোন দিন
দিব্যি দিলাম মেঘের বাড়ীর,
আকাশ কিংবা আলোর সারির।
তার চেয়ে বরং দূরেই থেকো
যেমন দূরে থাকে ছোঁয়া, থেকে স্পর্শ
রোদ্দুরের বু্ক, থেকে উত্তাপ
শীতলতা, থেকে...
- ৪:৩৬:০০ PM

হৃদয়ের ঋণ-হেলাল হাফিজ। ফটোঃ সংগৃহীত
হৃদয়ের ঋণ
-হেলাল হাফিজ
আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর
বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত
গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি
কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত
অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী,
একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি
অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক,
ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি
আয় মেয়ে গড়ি চারু আনন্দলোক।
দেখবো দেখাবো পরস্পরকে খুলে
যতো সুখ আর দুঃখের সব দাগ,
আয় না...
- ৪:৩০:০০ PM

Photo Credit and Photoshop: Copy right @Nilkantobd
একটি বৃষ্টির সন্ধ্যায়- জয় গোস্বামী
চোখ, চলে গিয়েছিল, অন্যের প্রেমিকা, তার পায়ে।যখন, অসাবধানে, সামান্যই উঠে গেছে শাড়ি—বাইরে নেমেছে বৃষ্টি। লন্ঠন নামানো আছে টেবিলের নীচে, অন্ধকারেমাঝে মাঝে ভেসে উঠেছে লুকোনো পায়ের ফর্সা আভা…
অন্যায় চোখের নয়। না তাকিয়ে তার কোনো উপায় ছিল না।সত্যিই ছিল না? কেন?—হুহু করে বৃষ্টিছাট ঢুকে আসে ঘরেসত্যিই ছিল না? কেন?—কাঁটাতারে ঝাঁপায় ফুলগাছসত্যিই ছিল না? কেন?—অনধিকারীর...
- ৩:৪৫:০০ PM
-জয় গোস্বামী
পাখিটি আমাকে ডেকে বলল তার ডানার জখমবলল যে কীভাবে তার পালকে সংসার পোড়া ছ্যাঁকাকীভাবে পায়ের মধ্যে ফুটো করে ঢুকে এল চেনঠোঁট দিয়ে খাঁচার শিক কাটতে গিয়ে ঠোঁটের জখমদ্যাখালো, বাইরে থেকে আমি নিজ ওষ্ঠ থেকে ওমদিলাম, খাঁচার দরজা খুলে তাকে “বাঁচবিযদি আয়’,বলে বার করে এনে রাখলাম আর একটা খাঁচায়সেখানে দুজনে বন্দি পরস্পর দোষারোপ করি,দোষারোপ করতে করতে বৃষ্টি আসে, সন্ধে হয়ে যায়।
-সংগৃহ...
- ৪:৩৪:০০ AM

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
(জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১১, ১৮৮২ - মৃত্যু: ফেব্রুয়ারী ২৫, ১৯২২) একজন বাঙালি কবি ও ছড়াকার। তাঁর কবিতায় ছন্দের কারুকাজ, শব্দ ও ভাষা যথোপযুক্ত ব্যবহারের কৃতিত্বের জন্য তাঁকে ছন্দের যাদুকর নামে আখ্যায়িত করা হয়। মধ্যযুগে ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি, পৌরাণিক প্রভৃতি বুদ্ধি-বৃত্তিবিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্তের অধিকারী।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নিকটবর্তী নিমতা...
- ৪:২৭:০০ AM

জীবনানন্দ দাশঃ
জীবনানন্দ দাশ
১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ - ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪; ৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ - ৫ কার্তিক, ১৩৬১ বঙ্গাব্দ)[২] ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম।[১] জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী।[১] মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন...
- ৩:৪৮:০০ AM

চড়ুইভাতির দৃশ্যঃ সংগৃহীত
চড়ুইভাতি-
কপিরাইট© নীলকান্ত
যাহ!
তোকে চাইব না আর ডাকতে কাছে,
ভ্যান্না তলায়, কলার পাতায় ঘর বানাতে।
আমন খরের জাজিম পেতে
ডাকবো না আর,
চাইবো না আর বউ বানাতে।
গোল মরিচের তরকারি আর
জংলী কচুর শাক,
বলব না আর রাঁধতে তোকে
বালি মাটির ভাত।
করবো না আর মাটির থালায়
মিছি মিছি বউভাত।
গামছা পড়িয়ে চাইব না আর বউ বানাতে,
ভ্যান্না তলায় কলার পাতার ঘর পাতাতে।
বলব না আর,বৃষ্টি মাথায় আসতে কাছে,
ডাকবো না আর, বউ বলে রাগলে পাছে।
যাহ!
তোকে...
মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯
- ১২:৫৫:০০ AM
কমলে কামিনী
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
কমলে কামিনী আমি হেরিনু স্বপনে
কালিদহে। বসি বামা শতদল-দলে
(নিশীথে চন্দ্রিমা যথা সরসীর জলে
মনোহরা।) বাম করে সাপটি হেলনে
গজেশে, গ্রাসিছে তারে উগরি সঘনে
গুঞ্জরিছে অলিপুঞ্জ অন্ধ পরিমলে,
বহিছে দহের বারি মৃদু কলকলে!---
কার না ভোলে রে মনঃ, এহেন ছলনে!
কবিতা-পঙ্কজ-রবি, শ্রীকবিকঙ্কণ,
ধন্য তুমি বঙ্গভূমে! যশঃ-সুধাদানে
অমর করিলা তোমা অমরকারিণী
বাগ্দেবী! ভোগিলা দুখ জীবনে, ব্রাহ্মণ,
এবে কে না পূজে তোমা, মজি তব গানে?---
বঙ্গ-হৃদ-হ্রদে চণ্ডী কমলে কামিনী॥
======================
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
চলে...
- ১২:৪৫:০০ AM

আমি তো আকাশ সত্য গোপন রাখিনি
আমি তো আকাশসত্য গোপন রাখিনি
- জয় গোস্বামী
সূর্য পোড়া ছাই
আমি তো আকাশসত্য গোপন রাখিনি
খুলে দ্যাখো পাখির কঙ্কাল।
নীচের প্রান্তরে উড়ত পাখি ও পাখিনী
অনেক উপরে ঢালু বাটির মতন শূন্য ধ’রে
আমি তার ছায়াচিত্র তুলে রাখতাম।
এ দৃশ্য যে দেখেছিল তার মধ্যে থেকে আজ আর
আলো অব্দি বেরোতে পারে না।
সেখানে দিবস রাত্রি নেই, শুধু জমে থাকা
থলথলে অন্ধকার সময় একতাল।
তার চারিদিকে আজ শেষ হয়ে যাওয়া
জ্যোতিষ্ককোটর ভরা ছাই।
আমি দীর্ঘাকার প্রভা...
- ১২:৪২:০০ AM
নগ্ন নির্জন হাত
- জীবনানন্দ দাশ
আবার আকাশে অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে:
আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।
যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে
অথচ যার মুখ আমি কোনাদিন দেখিনি,
সেই নারীর মতো
ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়ে উঠেছে।
মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা
সেই নগরীর এক ধুসর প্রাসাদের রূপ জাগে হৃদয়ে।
ভারতসমুদ্রের তীরে
কিংবা ভূমধ্যসাগরের কিনারে
অথবা টায়ার সিন্ধুর পারে
আজ নেই, কোনা এক নগরী ছিল একদিন,
কোন এক প্রাসাদ ছিল;
মূল্যবান আসবাবে ভরা এক প্রাসাদ;
পারস্য গালিচা, কাশ্মিরী শাল, বেরিন তরঙ্গের নিটোল মুক্তা প্রবাল,
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন...
- ১২:৪০:০০ AM
বনলতা সেন
- জীবনানন্দ দাশ
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে , ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির...
- ১২:৩৮:০০ AM

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
হঠাৎ নীরার জন্য
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়---
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল
স্বপ্নে বহুক্ষণ
দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন–
বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরে
তোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নের
নীল দুঃসময়ে।
দক্ষিণ সমুদ্রদ্বারে...
- ১২:২৪:০০ AM

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ঝর্ণা
- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা!
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা!
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে,
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে,
তনু ভরি' যৌবন, তাপসী অপর্ণা!
ঝর্ণা!
পাষাণের স্নেহধারা! তুষারের বিন্দু!
ডাকে তোরে চিত-লোল উতরোল সিন্ধু|
মেঘ হানে জুঁইফুলী বৃষ্টি ও-অঙ্গে,
চুমা-চুমকীর হারে চাঁদ...
সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯
- ১০:৫৭:০০ PM
জবা
আমারে লইয়া সুখী হও তুমি ওগো দেবী শবাসনা,
আর খুঁজিও না মানব-শোনিত, আর তুমি খুঁজিও না|
আর মানুষের হৃত্ পিণ্ডটা নিওনা খড়গে ছিঁড়ে,
হাহকার তুমি তুলো না গো আর সুখের নিভৃত নীড়ে|
এই দেখ আমি উঠেছি ফুটিয়া উজলি পুষ্পসভা,
ব্যথিত ধরার হৃত্ পিণ্ডটি আমি যে রক্তজবা|
তোমার চরণে নিবেদিত আমি, আমি যে তোমার বলি,
দৃষ্টি-ভোগের রাঙ্গা খর্পরে রক্ত কলিজা-কলি|
আমারে লইয়া খুশি হও ওগো, নম দেবি নম নম,
ধরার অর্ঘ্য করিয়া গ্রহণ, ধরার শিশুরে ক্ষম|
Satyendranath Dut...
- ১০:৫৫:০০ PM
কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর
কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার
আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু
শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক
অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই
বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির মাঝি নাদের
আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল
দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর
ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো?
আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর
তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
একটাও রয়্যাল
গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স
দেখিয়ে...
- ১০:৫৩:০০ PM
প্রিয় সূপর্ণা,
তুমি বলছিলে, “সারাটা জীবন ছায়া হয়ে, আমি তোমার পাশে থাকব”।আমি সেদিনও বুঝিনি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আমি ভেবেছিলাম সারা জীবন তুমি আমার হাত ধরে পাশা-পাশি হাঁটবে, অচেনা-অজানা জীবনের বন্ধুর পথ এক সাথে পাড়ি দেব। কিন্তু দেখ, আজ আমাকে একা একা এতটা পথ আসতে হল তোমাকে ছাড়া।
সেদিন হেমন্তের মধ্য দুপুরে যখন হেঁটে চলেছি গ্রামের ওই মেঠো পথ ধরে। হটাৎই মনে হল আমার পেছনে কে যেন আমাকে অনুসরণ করছে। এক ঝাঁপটা দক্ষিনা বাতাসে তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ পেলাম।...
- ১০:৪৮:০০ PM
বৈশাখী বাঙালিপনা
==============
পহেলা বৈশাখ এলে পান্তা খাওয়ার ধুম পরে যায়। এমন কি বাঙালি হওয়ার জন্য যে জীবনে ঠান্ডা ভাত খেতে পারে না বা খায় না সেও কাচা মরিচ আর পেয়াজ নিয়ে বসে পান্তা খেতে( যদিও আমি এটাকে বলি, বৈশাখী বাঙালি।কারন এরা শুধু বৈশাখ মাসে বাঙালি হয়)। তখন গ্রাম বাঙলার আঞ্চলিক গান,গরুর গাড়ি আর রং বেরঙের বাংলা শাড়ি পরে,লুঙ্গী পরে রাস্তায় বাঙালি চেতনা ফুটিয়ে তোলে(আসলে এইটা একটা ফ্যাশান আর কি! ফটো শুট আর ফেসবুকে আপলোড দিয়ে বাঙালিপনা দেখানোর জন্য)। এরপর বৈশাখ শেষ তো,
এ ছি! গরুর গাড়িতে কেউ ঊঠে না কি!
পান্তা? ওহ নো, নেভার।
হঠাৎ...
- ১০:৪৫:০০ PM
পারু,
হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেলো টিনের চালায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে।
একটু কান খাড়া করে শুনতে চাইলাম, আসলে এটা বৃষ্টি না তোমার নুপুরের নিক্কন।একবার
মনে হল, তুমি আমার বারান্দায় দাড়িয়ে আছো।
লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম।দরজা খুলে দেখি,না সেখানে কেউ নেই বৃষ্টির ফোটারা ছাড়া।শুধু মাঝে মাঝে কে বা কারা যেন বেশ জোড়ে সোরে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে একেরপর এক।আর কোন অশতীপর বৃদ্ধার দৃষ্টি শক্তি বোধহয় একটু বেশিই কমে গেছে।না হলে এরকম সকালে বিজলী বাতি জ্বালিয়ে আমার বোকা হয়ে দাড়িয়ে থাকা দেখত না।
টিনের চাল বেয়ে বৃষ্টির ধারা সারি করে মাটিতে পরছে, তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে জমা হচ্ছে...
- ১০:৪২:০০ PM
তোমায় খুঁজে ফিরি
নীলকান্ত
হন্যে হয়ে তোমায় খুঁজে ফিরি
কখন পুরনিমার রুপালি চাঁদে-
কখন বা অমাবস্যার রাতে
জোনাকির মিটিমিটি আলোয়;
শ্রাবনে একটানা বৃষ্টিতে ,
দক্ষিণা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো কাশফুলে,
অথবা দিন রাতের সন্ধিক্ষণ
রাঙা গোধূলিতে।
মেঘলা আকাশে কাল মেঘের
রগরগে বরসায়,
অথবা ফাগুণের নীল আকাশে
সালা মেঘের ভেলায়-
তোমায় খুঁজে ফিরি একান্ত আনমনে
ফেলে আসা স্মৃতির দরজায়।
গোমানির বুকে পাল তোলা-
জেলেদের নৌকায়,
বরষার প্লাবনে কলা গাছের ভভেলায়-
তোমায় খুঁজে ফিরি; আজ-
তেইশ বছর পড়ে, জীবনের এ বেলায়।
#nilkanto...
- ১০:৪১:০০ PM
চম্পা
সত্যন্দ্রনাথ দত্ত
আমারে ফুটিতে হ'লো বসন্তের অন্তিম নিশ্বাসে,
বিষণ্ণ যখন বিশ্ব নির্মম গ্রীষ্মের পদানত;
রুদ্র তপস্যার বনে আধ ত্রাসে আধেক উল্লাসে,
একাকী আসিতে হ'লো - সাহসিকা অপ্সরার মতো|
বনানী শোষণ-ক্লিষ্ট মর্মরি' উঠিল এক বার,
বারেক বিমর্ষ কুঞ্জে শোনা গেল ক্লান্ত কুহু স্বর;
জন্ম-যবনিকা-প্রান্তে মেলি' নব নেত্র সুকুমার
দেখিলাম জলস্থল, - শুন্য, শুষ্ক, বিহ্বল, জর্জর|
তবু এনু বাহিরিয়া, - বিশ্বাসের বৃন্তে বেপমান, -
চম্পা আমি, - খর তাপে আমি কভু ঝরিবো না মরি,
উগ্র মদ্য-সম রৌদ্র - যার তেজে বিশ্ব মুহ্যমান, -
বিধাতার আশির্বাদে আমি তা সহজে পান করি|
ধীরে...
- ১০:৪০:০০ PM
দেখা না হলেই হতো বেশ
নীলকান্ত
দেখা না হলেই হতো বেশ
দক্ষিনা হাওয়ায় কেন তুমি
উরিয়েছিলে কেশ!
দেখা না হলেই হতো বেশ।
গোধূলি বেলা
দিন যবে হবে শেষ,
দিগন্ত হতে হাসি হাসি মুখে এসে
চলে গেলে।
রেখে গেলে সে আবেশ।
দেখা না হলেই হতো বেশ।
অপলক চোখে চেয়ে থেকে তবু
মেটেনি মনের আশা
ও চোখে জেন মায়া ছিল শুধু
ছিল আরও বেশি নেশা।
আর তাইতো হারিয়েছি দিশা।
দিয়ে ভালবাসা, হয়ে গেছে
জীবনের শেষ।
দেখা না হলেই হতো বেশ।।
কপিরাইট© নীলকান্ত সময় 11:33:00 AM
প্রকাশকালঃSunday, March 3, 20...
- ১০:৩৯:০০ PM
সুপর্না,
রাতের অন্ধকারের গুমট গন্ধ পাও তুমি?
কি বিশ্রী,ভয়ংকর এ গন্ধ!
মনে হয় যেন,
লাশের
গায়ে গুবরেপোকারা বাসা করেছে।
এক ঝাক শকুনির দল খুবলে খুবলে খাচ্ছে
আধারের পচা মাংস।
আর,
জানালার ফাক-
ফোকরগুলো গলে উত্তরের বাতাস
আমার ফুসফুসীয়
কার্যে এনেছে ধর্মঘট।
বন্ধ হয়ে গেছে হৃৎপিন্ডের মুদিখানা।
জানো সুপর্না,
যে আলো আমার বন্ধু ছিল,
তা আজ রুপ নিয়েছে পাওনাদারে।
ওর থেকে পালিয়ে বেড়াই।
যে আধার আমার স্বপ্নের রাজ্য ছিল,
তার গায়ে আজ পচন ধরেছে।
আজ তাই ওর গায়ে পচা মাংসের গন্ধ।
(সঙ্ক্ষিপ্ত)
কপিরাইট© নীলকান্ত সময় 12:14:00 PM
প্রকাশকালঃ 23-12-20...
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯
- ৮:৫৯:০০ AM
বলার মত কিছু নেই যে কথাটা বলা যায়!!সারা রাত হা ডু ডু খেলে সকালে ঘুম ভাঙতে ভাঙতে যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে তা বুঝতে পারলাম কিছুক্ষন আগে। ঘুম ভাঙবেই বা কিভাবে! আজ ঘুমের দেবতার সাথে সাথে স্বপ্ন দেবীও যে বেশ প্রসন্ন ছিলো।দেবীর স্বদিচ্ছায় বন-বাদার, মাঠ-ঘাট,সমুদ্র-আকাশ কোনটাই বাদ যায়নি আজ। এই এখন সমুদ্রের মাঝে ছোট্ট ডিঙিতে মরনপণ বাচার লড়াই তো,কিছুক্ষন পর দেখি আকাশে ডানাবিহীন উড়ন্ত মানখি(মানুষ +পাখি)।নিজেকে সুপারম্যান কিংবা কৃষ টাইপের কিছু একটা মনে হচ্ছিল তখন। দেবী সবকিছুই ঠিকঠাকই মেইনটেইন করছিলেন কিন্তু হঠাৎ বোধহয় ঘুম দেবতার সাথে রোমাঞ্চ করতে...