বৈশাখী বাঙালিপনা
==============
পহেলা বৈশাখ এলে পান্তা খাওয়ার ধুম পরে যায়। এমন কি বাঙালি হওয়ার জন্য যে জীবনে ঠান্ডা ভাত খেতে পারে না বা খায় না সেও কাচা মরিচ আর পেয়াজ নিয়ে বসে পান্তা খেতে( যদিও আমি এটাকে বলি, বৈশাখী বাঙালি।কারন এরা শুধু বৈশাখ মাসে বাঙালি হয়)। তখন গ্রাম বাঙলার আঞ্চলিক গান,গরুর গাড়ি আর রং বেরঙের বাংলা শাড়ি পরে,লুঙ্গী পরে রাস্তায় বাঙালি চেতনা ফুটিয়ে তোলে(আসলে এইটা একটা ফ্যাশান আর কি! ফটো শুট আর ফেসবুকে আপলোড দিয়ে বাঙালিপনা দেখানোর জন্য)। এরপর বৈশাখ শেষ তো,
এ ছি! গরুর গাড়িতে কেউ ঊঠে না কি!
পান্তা? ওহ নো, নেভার।
হঠাৎ করে রাস্তায় চলতে চলতে যদি কোন গ্রামের চাষা-ভূসার গায়ের সাথে গা লেগে যায় তো,
ইউ ব্লাডি রাসকেল!
দেখে চলতে পারো না।
তারপর, ছি ছি করে যেখানে সেই গেয়ো ভূত টার স্পর্শ লেগেছে সেই জায়গা দশবার করে ঝারেন।যেন,ওই খানে কোন বিষ্ঠা লেগেছে।
বলি, এই আপনার পান্তা খেয়ে বাঙালি সাজার নমুনা!
যখন বাসায় আসেন তখন টিভি অন করে রিমোট টিপে এইচ বি ও,স্টার মুভিজ,একশ্যান,স্টার এইচ ডি কিংবা জি সিনেমা,মাক্স,স্টার গোল্ড দেখেন।সন্ধ্যে হলে জলসা ঘরে বসেন অথবা স্টার প্লাসের সিরিয়াল দেখে দেখে নিজেকে স্টার ভাবেন।
কিন্তু ভুলেও বাংলা চ্যানেল বাংলা নাটক দেখার চেষ্টা ও করেন না।আবার আঞ্চলিক ভাষায় কোন নাটক যদিও বা দেখেন,দেখে মজাও নেন কিন্তু সমালোচনা করবার সময়,
"এই সব কি নাটক? কি গেয়ো ভাষা! ছি! আমি তো কখনোঈ বাংলা নাটক দেখি না "।
আরে বাবা আপনি দেখবেন কিভাবে, সারাদিন তো আপনার হিন্দি আর ভারতীয় সিরিয়াল দেখতেই চলে যায়! বাংলা নাটক দেখার সময় কোথায়!
নাটক, সিনেমায় আঞ্চলিকতা এবং কিছু আঞ্চলিক গালি ব্যবহার হয় ঠিক, কিন্তু তা চরিত্রের প্রয়োজনে। আদার ওয়াইজ, নাটকের চরিত্রগুলো আনফিট লাগবে।
যাই হোক, এত কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য না।আমার উদ্দেশ্য হলো,
"নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আর যাই হোন না কেন,আপনি নিজেকে স্মার্ট ভাববার চেষ্টা করবেন না"।
বৈশাখী বাঙালি না হয়ে মনে প্রানে জন্য বাঙালি হয়ে যান।ওসব আনুষ্ঠানিক পান্তা খাওয়া আর নিজেকে বাঙালি জাহির করার দরকার পড়বে না।
==============
পহেলা বৈশাখ এলে পান্তা খাওয়ার ধুম পরে যায়। এমন কি বাঙালি হওয়ার জন্য যে জীবনে ঠান্ডা ভাত খেতে পারে না বা খায় না সেও কাচা মরিচ আর পেয়াজ নিয়ে বসে পান্তা খেতে( যদিও আমি এটাকে বলি, বৈশাখী বাঙালি।কারন এরা শুধু বৈশাখ মাসে বাঙালি হয়)। তখন গ্রাম বাঙলার আঞ্চলিক গান,গরুর গাড়ি আর রং বেরঙের বাংলা শাড়ি পরে,লুঙ্গী পরে রাস্তায় বাঙালি চেতনা ফুটিয়ে তোলে(আসলে এইটা একটা ফ্যাশান আর কি! ফটো শুট আর ফেসবুকে আপলোড দিয়ে বাঙালিপনা দেখানোর জন্য)। এরপর বৈশাখ শেষ তো,
এ ছি! গরুর গাড়িতে কেউ ঊঠে না কি!
পান্তা? ওহ নো, নেভার।
হঠাৎ করে রাস্তায় চলতে চলতে যদি কোন গ্রামের চাষা-ভূসার গায়ের সাথে গা লেগে যায় তো,
ইউ ব্লাডি রাসকেল!
দেখে চলতে পারো না।
তারপর, ছি ছি করে যেখানে সেই গেয়ো ভূত টার স্পর্শ লেগেছে সেই জায়গা দশবার করে ঝারেন।যেন,ওই খানে কোন বিষ্ঠা লেগেছে।
বলি, এই আপনার পান্তা খেয়ে বাঙালি সাজার নমুনা!
যখন বাসায় আসেন তখন টিভি অন করে রিমোট টিপে এইচ বি ও,স্টার মুভিজ,একশ্যান,স্টার এইচ ডি কিংবা জি সিনেমা,মাক্স,স্টার গোল্ড দেখেন।সন্ধ্যে হলে জলসা ঘরে বসেন অথবা স্টার প্লাসের সিরিয়াল দেখে দেখে নিজেকে স্টার ভাবেন।
কিন্তু ভুলেও বাংলা চ্যানেল বাংলা নাটক দেখার চেষ্টা ও করেন না।আবার আঞ্চলিক ভাষায় কোন নাটক যদিও বা দেখেন,দেখে মজাও নেন কিন্তু সমালোচনা করবার সময়,
"এই সব কি নাটক? কি গেয়ো ভাষা! ছি! আমি তো কখনোঈ বাংলা নাটক দেখি না "।
আরে বাবা আপনি দেখবেন কিভাবে, সারাদিন তো আপনার হিন্দি আর ভারতীয় সিরিয়াল দেখতেই চলে যায়! বাংলা নাটক দেখার সময় কোথায়!
নাটক, সিনেমায় আঞ্চলিকতা এবং কিছু আঞ্চলিক গালি ব্যবহার হয় ঠিক, কিন্তু তা চরিত্রের প্রয়োজনে। আদার ওয়াইজ, নাটকের চরিত্রগুলো আনফিট লাগবে।
যাই হোক, এত কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য না।আমার উদ্দেশ্য হলো,
"নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আর যাই হোন না কেন,আপনি নিজেকে স্মার্ট ভাববার চেষ্টা করবেন না"।
বৈশাখী বাঙালি না হয়ে মনে প্রানে জন্য বাঙালি হয়ে যান।ওসব আনুষ্ঠানিক পান্তা খাওয়া আর নিজেকে বাঙালি জাহির করার দরকার পড়বে না।