প্রিয় সূপর্ণা,
তুমি বলছিলে, “সারাটা জীবন ছায়া হয়ে, আমি তোমার পাশে থাকব”।আমি সেদিনও বুঝিনি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আমি ভেবেছিলাম সারা জীবন তুমি আমার হাত ধরে পাশা-পাশি হাঁটবে, অচেনা-অজানা জীবনের বন্ধুর পথ এক সাথে পাড়ি দেব। কিন্তু দেখ, আজ আমাকে একা একা এতটা পথ আসতে হল তোমাকে ছাড়া।
সেদিন হেমন্তের মধ্য দুপুরে যখন হেঁটে চলেছি গ্রামের ওই মেঠো পথ ধরে। হটাৎই মনে হল আমার পেছনে কে যেন আমাকে অনুসরণ করছে। এক ঝাঁপটা দক্ষিনা বাতাসে তোমার শরীরের মিষ্টি গন্ধ পেলাম। পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি আশে-পাশে কেউ নেই। নিজের অজান্তেই তোমার নাম ধরে একবার ডেকে ফেললাম, “সুপর্ণা”। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম তুমি নেই, তুমি কখনো আসবে না।
এতটা বছর ধরে,এত পথ পাড়ি দিলাম একা একা।তুমি আমার সাথে ছায়া হয়ে থাকবে বলেছিলে কিন্তু যখনই তোমার ছায়া খুজে ফিরি তখনই দেখি আমারি ছায়া। তুমি কথা রাখনি।আজ তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু কিভাবে করব বল? তুমি তো সেই কবেই না ফেরার দেশে চলে গেছ আমাকে একাকী করে।
তোমার স্মৃতি গুলোর ভার আমি আর বইতে পারছি না, সুপর্ণা ।তাই এই শেষ চিঠি তোমার কাছে ঠিকানা বিহীন পাঠিয়ে দিলাম। ভালো থেকো তুমি।
ইতি
নীলকান্ত