মৃত্যুর তৃপ্তি
এস এম হারুন অর রশিদ
ওদের রক্তের পিপাসা মেটেনি
ওরা রক্ত পিপাসু,পশুর দল।
নেড়ে কুকুরের মত।
নেড়ে কুকুরের মত
চেটে চেটে খেয়েছে ঐ পশুগুলো,
রাজপথে যে তাজা রক্ত ঢেলেছিলাম
আমি- আমরা।
হিংস্রে নেকড়ের মত, টেনে-হিঁচড়ে আমার
আমাদের লাশগুলো করেছিল বীভৎস।
রাইফেলের বেয়ানট দিয়ে,
শকুনের মত খুবলে, খুবলে, আমায়-
আমাদেরকে করেছিল, ক্ষত- বিক্ষত।
পশু ওরা,
ওরা কুকুর,হায়না- শকুনের দল।
সবার অলক্ষে আমার যে লাশ
পুঁতে রেখেছিল, বুড়িগঙ্গার তীরে।
আজ ৬৪ বছর পর কোদালের আঘাতে
জেগেছি আমি।
আমার লাশের...
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
- ১২:৩৯:০০ PM
কষ্ট
নীলকান্ত
একবার যখন, বুকের পাঁজর ভেঙ্গেছিল
আমি কেঁদেছিলাম।
একবার যখন মন দিয়েছিলাম
আমি ভেবেছিলাম,
আমি নিশ্চুপ ছিলাম।
দ্বিতীয় বার যখন মনটা শান্ত ছিল
কারো করাঘাতে অশান্ত হল
আমি স্তব্ধ হলাম।
দ্বিতীয় বার যখন হৃদয় ভাঙলো
সেবার আমি কাদিনি
তবে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
তাই আর কারো হাতছানি
আমায় কাছে ডাকতে পারেনি,
বিশ্বাস ভাঙা হৃদয়ে আর,
কখনো এতটুকু বিশ্বাস জমেনি।
কিন্তু হঠাৎ -
কেউ একজন চুপিসারে
হৃদয়ের ঘরে সিঁধ কেটে
আমার...
- ১২:৩৬:০০ PM
হৃদয়ের আস্ফলন
নীলকান্ত
অথৈই সমুদ্রের মাঝে দাড়িয়ে আছে
দুটি দ্বীপ।
তার একটিতে তুমি, অন্যটিতে আমি।
দুজনার দেখা নেই, কথা নেই,আছে শুধু
প্রত্যাশা।
তা কি জানো?
একদিন তোমায় পাব।।
নির্জনে তোমার কথা হয়
সমুদ্রের সাথে।
আমার কথা হয় তোমার দিকে বয়ে
যাওয়া বাতাসের সাথে।
শুধু কথা হয়না তোমার আমার।
সমুদ্রের বাতাসে বলাবলি করে।
কিন্তু সে কথা তুমি বুঝো না।
বুঝিনা আমিও।
তুমি কান পেতে থাক বাতাসে
আর আমি সমুদ্রে।
এমনি ভাবে আমাদের কথাগুলি
জমা হয়।
একদিন বলা...
- ১২:৩৫:০০ PM
পার্থক্য
নীলকান্ত
তুমি এক আলোর নাম
আমি এক আঁধার।
এই তো পার্থক্য শুধু
তোমার আর আমার।
তুমি এক আলেয়ার নাম
আমি এক পথিক।
তাইতো উদ্ভ্রান্ত আমি
হারিয়ে ফেলি দিক।
তুমি এক মেঘের নাম
আমি এক ফোঁটা বৃষ্টি
দুজনার তাই হয়নি মিলন
দূরত্বই হয়েছে সৃষ্টি ।
তুমি এক পৃথিবীর নাম
আমি এক শনির বলয়
তাই তো হয় না কো লেনদেন
হয়ে যাই একা ক্ষয়...
- ১২:৩৪:০০ PM
পারু,
হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেলো টিনের চালায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে।
একটু কান খাড়া করে শুনতে চাইলাম, আসলে এটা বৃষ্টি না তোমার নুপুরের নিক্কন।একবার
মনে হল, তুমি আমার বারান্দায় দাড়িয়ে আছো।
লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম।দরজা খুলে দেখি,না সেখানে কেউ নেই বৃষ্টির ফোটারা ছাড়া।শুধু মাঝে মাঝে কে বা কারা যেন বেশ জোড়ে সোরে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে একেরপর এক।আর কোন অশতীপর বৃদ্ধার দৃষ্টি শক্তি বোধহয় একটু বেশিই কমে গেছে।না হলে এরকম সকালে বিজলী বাতি জ্বালিয়ে আমার বোকা হয়ে দাড়িয়ে থাকা দেখত না।
টিনের চাল বেয়ে বৃষ্টির ধারা সারি করে মাটিতে পরছে, তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে জমা হচ্ছে...
- ১২:৩২:০০ PM
তোর শরীরে বিদ্যুৎ এর প্রবাহ আছে না কি?
কাছে গেলে গা শিরশির করে,
ছুতে চাইলেই ছিটকে পড়ি দূরে;
বোধহয়, ৩৩ হাজার ভোল্টের প্রবাহ চলে,
দশ ফুট দূরে থেকেও ঝিনঝিন করে গা।
তুই জানিস?
তুই জানিস,
কতবার ছুতে গিয়েও গুটিয়ে নিয়েছি হাত?
কতবার অভুক্ত মন নিয়ে এসেছি ফিরে!
কতদিন-
সীমানার কাটাতারের বেড়া ডিঙানোর ভয়ে,
পাইনি নাগাল তোর!
আচ্ছা বলতো,
তোর শরীরে "লাইন অফ কন্ট্রল" আঁকা আছে নাকি!!
#নীলকান্ত ©
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
&nb...
- ১২:৩০:০০ PM
১#
আমার এক পুরোনো ছাত্রী।ও যখন ইন্টারমিডিয়েট পড়ত তখন পড়াতাম।গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে রাস্তায় দেখা।
বলল,"স্যার,কেমন আছেন? "
আমি তো পুরাই হব্ব তব্ব লেগে গেছি।কিরে এত বড় মেয়ে আমাকে স্যার বলে! কে এইটা!
বললাম,ভালো আছি।
বলেই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি।মেয়েটি আবার বলল,
"স্যার,আমাকে চিনতে পারেন নি? "
কি বিপদ! এখন কি বলি? বললাম, তোমার নামটা ঠিক মনে হচ্ছে না! কি যেন নাম তোমার?
বলল, সেতু।স্যার,আপনার কাছে দুই বছর পড়লাম আর ভুলে গেছেন?
আমি বললাম, না ভুলি নাই,আসলে নামটা মনে পড়ছিল না।তা তুমি কি কর এখন?
-অনার্স ২য় বর্ষে এখন।
কোথায় আছো?
-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আচ্ছা,তাই...
মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭
- ৫:৫৭:০০ PM
ক্যান?? (ছোট গল্প)
এমনিতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত। তার উপর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিও হয়েছে। সব মিলিয়ে রাস্তার যা অবস্থা তাতে রাস্তায় পা দিলেই হাটু পর্যন্ত দেবে যায়। আর যদিও বা কেউ খুব প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয় তবে অন্ধকারে দিক ঠিক না পেয়ে পাশের খাদে বা নালায় পরে যাওয়া অভূতপুর্ব কিছু না। এমন অবস্থায় ঘরের মধ্যে কাথা গায়ে শুয়ে থাকার চেয়ে উত্তম কিছু আর হয় না। রাত অবশ্য খুব একটা বেশি হয়েছে তা কিন্তু নয়,এই মোটামুটি আটটা কি নয়টা বাজে। কিন্তু এরকম অজপাড়াগাঁয়ে রাত আসে খুব তাড়াতাড়ি। গোধূলির রঙ মিলিয়ে যাবার সাথে সাথে । পাড়ার লোকেরাও...
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭
- ৩:০০:০০ PM
-#নীলকান্ত
তখন শিল্প বিপ্লবের যুগ।বৃটেনে শিল্প বিপ্লবের(সম্ভবত ১৭৬০-১৮২০/৩০ এর মধ্যবর্তী সময়ে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়।) সূচনা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ শিল্পকারখানায় ক্রীতদাসের মত খেটে চলেছে।তবে হ্যা,তখনও কিন্তু দাস প্রথা উচ্ছেদ হয়নি।কেবল বেশ কিছু দেশে দাস প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন এবং দাসপ্রথা রহিত করণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
এই তো ১৮৩৪ সালে বৃটেন দাস প্রথা নিষিদ্ধ করে একটা করা আইন পাস করে।যদিও এর আগে থেকেই জার্মান (১৭০৭ সালে),বৃটেন (১৭৭৭ সালে) দাসপ্রথা উচ্ছেদের জন্য আইন পাশ করেছিলো কিন্তু ১৮৩৪...
বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭
- ৯:৪৫:০০ PM
"Man is mortal" এর বাংলা অনুবাদ "মানুষ মরনশীল"-কিন্তু এটা কতটা যুক্তিসংগত??চিরন্তন সত্য এই বাক্য থেকে আমরা এটা নিশ্চিত যে, "Man" মানে "মানুষ"।আর মানুষ বলতে অবশ্যই পুরুষ মানুষ এবং মহিলা মানুষ উভয়কেই বুঝানো হচ্ছে।সে অনুযায়ী 'Man" শব্দটি একটি উভলিঙ্গ শব্দ। এবং তাই হওয়ার কথা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তুআমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু জানি তাতে Man এর স্ত্রী লিঙ্গ আছে।ছোটবেলা থেকেই পড়েও এসেছিা।Boy-Girl,He-SheMan-Womanযদি MAN দ্বারা পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই বুঝানো হয় তবে লজিক্যালি এর স্ত্রী লিঙ্গ"WOMAN" থাকার কথা না।আর...