:::: MENU ::::
  • slider image 1

    Take my hand, take my whole life too.

  • slider image 2

    I never want to live without you

  • slider image 3

    I am who I am because of you.

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

  • ১২:৪১:০০ PM

মৃত্যুর তৃপ্তি
এস এম হারুন অর রশিদ

ওদের রক্তের পিপাসা মেটেনি
ওরা রক্ত পিপাসু,পশুর দল।
নেড়ে কুকুরের মত।
নেড়ে কুকুরের মত
চেটে চেটে খেয়েছে ঐ পশুগুলো,
রাজপথে যে তাজা রক্ত ঢেলেছিলাম
আমি- আমরা।
হিংস্রে নেকড়ের মতটেনে-হিঁচড়ে আমার
আমাদের লাশগুলো করেছিল বীভৎস।
রাইফেলের বেয়ানট দিয়ে,
শকুনের মত খুবলেখুবলেআমায়-
আমাদেরকে করেছিলক্ষতবিক্ষত।
পশু ওরা,
ওরা কুকুর,হায়নাশকুনের দল।

সবার অলক্ষে আমার যে লাশ
পুঁতে রেখেছিলবুড়িগঙ্গার তীরে।
আজ ৬৪ বছর পর কোদালের আঘাতে
জেগেছি আমি।
আমার লাশের গায়ে মাংশের
প্রলেপ নেই। যা আছে-
মাথার খুলিতে বুলেটের গর্ত আর-
কয়েকটা পাঁজরের হাড়।

আমি ভেবেছিলাম,
হয়ত কোন পশুওদের মত,
রাইফেল হাতে বলবে-
“ ডাল দো আন্দার,
কই পরোয়া নেহিযো ভি হো

কিন্তু এ কি?
কোন এক বাঙ্গালী ভাই
মিষ্টি অথচ করুনার স্বরে বলছে-
“ ইস কংকালটার খুলিতে বুলেটের
আঘাত আহা !!

আজ ৬৪ বছর পরও-
কারো মুখে বাংলা কথা শুনে
আমি ভুলে গেছি-
সেই দুর্বিষহ পরিনতির কথা,
মিছিলে সেই বুলেটের আঘাত,আমার মৃত্যু।।

প্রকাশকালঃ ২০১৪
গ্রন্থঃ বর্ণে একুশ

  • ১২:৩৯:০০ PM

  কষ্ট
        নীলকান্ত

একবার যখন, বুকের পাঁজর ভেঙ্গেছিল
আমি কেঁদেছিলাম।
একবার যখন মন দিয়েছিলাম
আমি ভেবেছিলাম,
আমি নিশ্চুপ ছিলাম।
         
দ্বিতীয় বার যখন মনটা শান্ত ছিল
কারো করাঘাতে অশান্ত হল
আমি স্তব্ধ হলাম।
দ্বিতীয় বার যখন হৃদয় ভাঙলো
সেবার আমি কাদিনি
তবে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

তাই আর কারো হাতছানি
আমায় কাছে ডাকতে পারেনি,
বিশ্বাস ভাঙা হৃদয়ে আর,
কখনো এতটুকু বিশ্বাস জমেনি।

কিন্তু হঠাৎ -
কেউ একজন চুপিসারে
হৃদয়ের ঘরে সিঁধ কেটে
আমার ঘুমন্ত হ্রিদয়ে,জাগ্রত নিরাশাকে
আশার আলেয়াতে আলো জ্বালালো।
হঠাৎ আলোর ঝলসানিতে যখন
এই হৃদয় ঝলসে যাচ্ছে,
বিশ্বাস ভাঙা হৃদয়ে বিশ্বাসের
চারাগাছে দু একটা কচি পাতা গজিয়েছে
ঠিক তখনই-
ঠিক তখনি,আবারো সেই একই পরিনতি।

বুকের পাঁজর দুমড়ে মুচড়ে গেলো,
হৃদয়ে বিশ্বাসের আলো নিভে গেলো,
ভেঙে গেলো সাজানো স্বপ্ন,
স্বপ্নের বাসর।

বেদনার নীল বিষে,
কস্তের ছুরিতে হৃদয়টা রক্তাক্ত,
ঝরে গেলো সব-
একটা হৃদয়,
কিছু স্বপ্ন
কিছু ভালবাসা,
কিছু আশা।।


কিন্তু-
কিন্তু আমি কাদিনি-
বুকের ভেতর থেকে কস্তের অট্টহাসিতে
করেছিলাম পৃথিবী প্রকম্পিত।
আজ আর,
কষ্ট পাই না, কষ্ট বুঝি না-
শুধু হাসতে জানি।
হা হা হা আমি হাসতে জানি।।



  • ১২:৩৬:০০ PM
হৃদয়ের আস্ফলন
           নীলকান্ত



অথৈই সমুদ্রের মাঝে দাড়িয়ে আছে
দুটি দ্বীপ।
তার একটিতে তুমিঅন্যটিতে আমি।
দুজনার দেখা নেইকথা নেই,আছে শুধু
প্রত্যাশা।
তা কি জানো?
একদিন তোমায় পাব।।

নির্জনে তোমার কথা হয়
সমুদ্রের সাথে।
আমার কথা হয় তোমার দিকে বয়ে
যাওয়া বাতাসের সাথে।
শুধু কথা হয়না তোমার আমার।

সমুদ্রের বাতাসে বলাবলি করে।
কিন্তু সে কথা তুমি বুঝো না।
বুঝিনা আমিও।
তুমি কান পেতে থাক বাতাসে
আর আমি সমুদ্রে।


এমনি ভাবে আমাদের কথাগুলি
জমা হয়।
একদিন বলা হবে বলে।
তোমাকে পাব বলে।

মাঝে মাঝে সমুদ্রটা উত্তাল হয়,
বুঝি, তোমার কথা সে আমাকে বলছে।
বাতাসের তাণ্ডব চলে,
বুঝি আমার কথা তোমার কানে পৌঁছেছে

সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি আমাকে
বলে-
তুমি নাকি খুব কষ্টে আছো।
অবিরত তোমার চোখে অশ্রু ঝরে
তোমার হৃদয়ের জলোচ্ছ্বাসে,
সবকিছু উন্মাদ হয়ে গেছে।
নির্বাক সমুদ্রটাও।
তোমার চোখের অশ্রু সমুদ্রের
জলে মিশে, হয়েছে প্রলয়ংকারি
জলোচ্ছ্বাস।
ভেসে গেছে সব।
শুধু ভাসিনি আমি।।

বাতাসের তাণ্ডবে বুঝেছি-
তোমার হৃদয়ে বয়ে চলেছে একহাজার মাইল
বেগে টর্নেডো, ঘূর্ণিঝড়।
অবিচল অতঃপর-
চেয়ে আছো আমারি পথ চেয়ে
আমারি মত করে।
  • ১২:৩৫:০০ PM

  পার্থক্য
      নীলকান্ত


তুমি এক আলোর নাম
আমি এক আঁধার।
এই তো পার্থক্য শুধু
তোমার আর আমার।

তুমি এক আলেয়ার নাম
আমি এক পথিক।
তাইতো উদ্ভ্রান্ত আমি
হারিয়ে ফেলি দিক।

তুমি এক মেঘের নাম
আমি এক ফোঁটা বৃষ্টি
দুজনার তাই হয়নি মিলন
দূরত্বই হয়েছে সৃষ্টি ।

তুমি এক পৃথিবীর নাম
আমি এক শনির বলয়
তাই তো হয় না কো লেনদেন
হয়ে যাই একা ক্ষয়।
  • ১২:৩৪:০০ PM
পারু,
হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেলো টিনের চালায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে।
একটু কান খাড়া করে শুনতে চাইলাম, আসলে এটা বৃষ্টি না তোমার নুপুরের নিক্কন।একবার
মনে হল, তুমি আমার বারান্দায় দাড়িয়ে আছো।
লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম।দরজা খুলে দেখি,না সেখানে কেউ নেই বৃষ্টির ফোটারা ছাড়া।শুধু মাঝে মাঝে কে বা কারা যেন বেশ জোড়ে সোরে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে একেরপর এক।আর কোন অশতীপর বৃদ্ধার দৃষ্টি শক্তি বোধহয় একটু বেশিই কমে গেছে।না হলে এরকম সকালে বিজলী বাতি জ্বালিয়ে আমার বোকা হয়ে দাড়িয়ে থাকা দেখত না।
টিনের চাল বেয়ে বৃষ্টির ধারা সারি করে মাটিতে পরছে, তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে জমা হচ্ছে ঐ নিচু জায়গাটায়। জানো পারু, ওখানে বৃষ্টির ফোটারা এক এক করে স্পেস স্যুট এর মাস্ক পড়ে কি দারুন ভাবে ভেসে যাচ্ছে! ইস! তুমি যদি দেখতে।
পারু,
কথা ছিলো,সকালে তোমার সাথে দেখা করব।আমারো খুব ইচ্ছে করছে এই বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে তোমার সামনে দাঁড়াতে। তারপর, খোলা আকাশের নিচে, ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হেটে যাব সাতমাথায়।ওখান থেকে পৌর পার্ক,খোকন পার্ক হয়ে আলতাবেলীর সামনের ফুট পাতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে এক কাপ চা খাব ভাগা ভাগি করে।।লোকজন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে আর মাঝে মাঝে ঐ অশতীপর বৃদ্ধা হয়ত হাতের লাইট জ্বালিয়ে দেখবে আমাদের ছেলেমানুষি।
কিন্তু কি করব বলো, তুমিই তো বের হতে পারবে না। আর এখন যখন তোমাকে এত সব লিখছি তখন, হুমকি-ধামকির জোড় অনেক বেরে গেছে।বেড়ে গেছে বৃদ্ধার লাইটের চার্জ।।
এখন আমি কি করি বলো তো!!
পারু,
তুমিও কি জানালা খুলে বৃষ্টি দেখছ?
মনে হচ্ছে,তুমি হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোটাগুলো ধরে আলতো করে ঠোটের কোনে লাগিয়ে মিষ্টি করে হেসে উঠছো আমাকে ভেবে! দেখো, কি আশ্চার্য ! আমিও তো তোমার ছুয়ে দেয়া বৃষ্টিতে ভিজছি।এ যেন,তোমার স্পর্শ বুলিয়ে যাচ্ছে আলতোভাবে।


অনেক মিস করছি তোমাকে, পারু। অনেক মিস করছি তোমাকে।
  • ১২:৩২:০০ PM



তোর শরীরে বিদ্যুৎ এর প্রবাহ আছে না কি?
কাছে গেলে গা শিরশির করে,
ছুতে চাইলেই ছিটকে পড়ি দূরে;
বোধহয়, ৩৩ হাজার ভোল্টের প্রবাহ চলে,
দশ ফুট দূরে থেকেও ঝিনঝিন করে গা।
তুই জানিস?
তুই জানিস,
কতবার ছুতে গিয়েও গুটিয়ে নিয়েছি হাত?
কতবার অভুক্ত মন নিয়ে এসেছি ফিরে!
কতদিন-
সীমানার কাটাতারের বেড়া ডিঙানোর ভয়ে,
পাইনি নাগাল তোর!
আচ্ছা বলতো,
তোর শরীরে  "লাইন অফ কন্ট্রল" আঁকা আছে নাকি!!
#নীলকান্ত ©

 
  • ১২:৩০:০০ PM
১#
আমার এক পুরোনো ছাত্রী।ও যখন ইন্টারমিডিয়েট পড়ত তখন পড়াতাম।গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে রাস্তায় দেখা।
বলল,"স্যার,কেমন আছেন? "
আমি তো পুরাই হব্ব তব্ব লেগে গেছি।কিরে এত বড় মেয়ে আমাকে স্যার বলে! কে এইটা!
বললাম,ভালো আছি।
বলেই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি।মেয়েটি আবার বলল,
"স্যার,আমাকে চিনতে পারেন নি? "
কি বিপদ! এখন কি বলি? বললাম, তোমার নামটা ঠিক মনে হচ্ছে না! কি যেন নাম তোমার?
বলল, সেতু।স্যার,আপনার কাছে দুই বছর পড়লাম আর ভুলে গেছেন?
আমি বললাম, না ভুলি নাই,আসলে নামটা মনে পড়ছিল না।তা তুমি কি কর এখন?
-অনার্স ২য় বর্ষে এখন।
কোথায় আছো?
-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আচ্ছা,তাই না কি? তো ভালো তো।ভেরী গুড।
তোমার বাসা তো আশে পাশেই না?
-হ্যা স্যার। স্যার, একটা কথা বলব?
হ্যা বল।কি বলবা?
- স্যার, আপনি একদিন আমাদের বাসায় আসেন না, প্লিজ।আপনাকে তো কোনদিন বাসায় নিতে পারিনি।অন্তত একদিন আসেন প্লিজ।
আমি বললাম, দেখো, আসলে কারো বাসায় যেতে আমার ভালো লাগে না।আচ্ছা, তারপরেও চেষ্টা করব।
নিজের কাছে নিজেকে যেন ৪০ বছরের চশমা পড়া টিচার টিচার মনে হচ্ছিল তখন।অত্যন্ত গম্ভীর। জ্ঞানী জ্ঞানী। হা হা হা।।
এবার আমার সেই ছাত্রী আরেকটা আবদার করে বসলো,স্যার, আপনার ফোন নাম্বারটা দেয়া যাবে?আপনার আগের নাম্বারে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ঢোকেনি।আপনার রিসেন্ট নাম্বারটা দেন প্লিজ।
আমি বললাম, নাম্বার দিয়ে কি করবা?
[এদিকে নিজের কাছে কিছুটা অস্বস্তিও লাগছে।যতই সে আমার ছাত্রী হোক কিন্তু এই লোকজনের মধ্যে কে কি ভাবছে,কে জানে? আর আমি একেতো কেবল অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ি তার পরে আবার অবিবাহিত। এটা আশে পাশের সবাই খুব ভালো করেই জানে। এ এলাকায় কথা বাড়ানোর আল্লাহ দিলে লোকেরও অভাব নাই।]
যাই হোক মেয়েটি বলল, স্যার,আপনাকে আমার বাসায় আসতেই হবে।আর এই জন্যে নাম্বার নিচ্ছি।যেন আপনি ভুলে যেতে না পারেন।
[এই মেয়ে কি বলে! আমি ভুলে যাব? অবশ্য যেতেও পারি।]
আমি কথা বাড়ালাম না।একে তো ছাত্রী তার উপর পাবলিক প্লেস।এই জায়গা যত দ্রুত ত্যাগ করা যায় ততই ভালো। এরকম অস্বস্তি তে থাকতে হবে না।
নাম্বারটা দিয়ে দিলাম।তারপর আমার জরুরী কাজ আছে বলে চলে আসছি।পেছন থেকে মেয়েটি  মানে সেতু, চিৎকার করে বলছে,"স্যার, আসবেন কিন্তু।আমি ফোন দেব কিন্তু "।
আমি একবার ছোট্ট করে পেছনে তাকিয়ে মাথা ঝাকিয়ে চলে এলাম।
মনে মনে ভাবলাম,"এই মেয়েকে আমি আবার কবে পড়ালাম? মনে তো পড়ছে না। আর সেতু, সেতু সেতু......উমম।
সেতু কে??"
#২
দুইদিন পরের কথা।মানে গত রাতের।হঠাৎ একটা রবি নাম্বার থেকে ফোন এলো।আমি কেবল ঘুমিয়েছি।রাতও সম্ভবত অনেক হয়েছে।বালিশের পাশে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ঘুম ঘুম চোখে ফোন রিসিভ করলাম।
-হ্যালো.....
ও পাশে নীরবতা।
-হ্যালো, কে?
এবার একটু ধমকের শুরে বলে উঠলাম।এবার ওপাশ থেকে খসখস একটা শব্দ এলো।তারপর,
#হ্যালো, স্যার।সরি স্যার।হঠাৎ করে ফোন চলে গেছে।
আমি বললাম, "কে আপনি? "
#স্যার আমি সেতু।
-ওহ আচ্ছা, তা সেতু, কি খবর? এত রাতে ফোন দিছো যে! ঘুমাও নি?
#না স্যার ঘুমাই নি।আর ফোনটা এমনিতেই চলে গেছে।চাপ লেগে।আপনাকে বিরক্ত করার জন্য সরি।
আমি একটু স্বাভাবিক ভদ্রতা দেখিয়ে বললাম, no problem , its all right. ঠিক আছে ঘুমাও তাহলে।
বলেই ফোনটা রাখতে যাচ্ছি।ওমনি ওপাশ থেকে সেতু বলল, স্যার, আপনার কি খুব ঘুম পাচ্ছে? স্যার,
আমি কি আপনার সাথে একটু কথা বলতে পারি?
আমি বললাম, সেতু, ঠিক আছে কাল সকালে।
#না স্যার, এখনি।প্লিজ দুই মিনিট।
-আচ্ছা বলো।
তারপর ও পাশ থেকে একটানা ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত মোটামুটি দুইশ কথা বলে ফেলল প্রায় এক নিশ্বাসে।
ওর কথা শুনে আমি তো পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম।না হ্যা বলার শক্তি আছে না না বলার শক্তি!
মাথায় জ্যাম লেগে গেলো।
কি বলল এসব? 
আমি তো মনের ভুলেও কোনদিন ভাবিনি এসব।আর আজ কিনা, এই মেয়েটি নিজের মুখে সব বলে দিল??
আমি কিছুক্ষন চুপ চাপ থেকে বললাম, ঠিক আছে, সকালে এ বিষয়ে কথা বলব।
।।
#৩
পরেরদিন কোন এক কারনে বেশ সকালেই একবার ঘুম ভেঙে গেলো।সাধারনত এত সকালে আমার ঘুম ভাঙার রেকর্ড নাই বললেই চলে।প্রতিদিন গভীর রাতে ঘুমোতে যাওয়া আর বেলা করে ঘুম থেকে উঠা একরকম রুটিন হয়ে গেছে।
কিন্তু সেদিন এই সকাল সকাল ঘুম ভাঙার কারনটা ঠিক বুঝলাম না।তবে ঘুম ভাঙলেও বিছানা ছেড়ে উঠার মত ইচ্ছে নেই।তাই শুয়ে শুয়ে গান শুনছি।সকালে রবীন্দ্রসংগীত আমার খুব প্রিয়।বিশেষ করে হেমন্তের কন্ঠে।গান শুনছি।এমন সময় মোবাইল টা বেজে উঠলো।আমি ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি সেতুর ফোন।
আরে,আমি তো সব ভুলেই গেছিলাম।বিশেষত গত রাতের আচমকা হৃৎকম্প।কিন্তু আবারো মেয়েটার ফোনে সব মনে পড়ে গেলো।ভাবছি,ফোন ধরব কি না!
একবার রিং বেজে থেমে গেলো।আবার রিং হচ্ছে.......
ক্রিং ক্রিং ক্রিং.....
[আসলে পুরোনো টেলিফোনের রিং গুলো আমার খুব ভালো লাগত আর সেই সুবাদে ফোনে সাধারন্ত এই ক্রিং ক্রিং টোন টা দেয়া থাকে।]
এবার একটু বিরক্ত হয়েই ফোনটা রিসিভ করলাম।ও পাশ থেকে একটা ভীত সন্ত্রস্ত সালাম।
-অলাইকুম আসসালাম।হ্যা বলো,সেতু।
#স্যার,কেমন আছেন?
-ভালো আছি।তা কিছু বলবে?
[আমি ভেবেছিলাম, হয়ত মেয়েটি আর রাতের কথা পাড়বে না।কিন্তু নাহ! আমার ধারনায় ভুল ছিল।]
ও পাশ থেকে সেতু বলে চলল,
#স্যার, আমি যা বলেছি সব সত্য।আমি আবেগ থেকে না,সব কিছু ভেবেই বলেছি।প্লিজ স্যার কিছু বলেন।
[আমার মেজাজটা সাত সকালে চরমে উঠার উপক্রম।তারপরেও নিজেকে সংযত করে অত্যান্ত ঠান্ডা ভাবে বললাম,
"সেতু, ভেবেছি এবার তোমার আম্মুর সাথে একটু কথা বলা দরকার।"
এবার কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে আই-গাই করতে করতে ফোন টা কেটে দিল।বুঝলাম ভয় পেয়ে গেছে।পাছে আমি সব ওর মাকে বলে দেই কিনা!
আমি আর ফোন ব্যাক করলাম না।বরং মনে মনে ভাবছি, কি করা যায়?আর সেই সাথে আশা ভঙ্গের কি চিত্র এই মুহূর্তে সেতুর মুখে ফুটে উঠেছে তা যেন স্পষ্টত দেখতে পেলাম।কিন্তু আমি জানি,ও এখনো আবেগের দুনিয়ায় রঙিন চশমার অন্তরালের পৃথিবী দেখেছে কিন্তু বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত জীবনের চিত্র উপলব্ধি করেনি।তাই জীবনের পোড় খাওয়া,ছেড়া-ফাটা মানুষ হিসেবে ওকে বুঝানোর একটা ছোট্ট দায়িত্ব আমার উপর যেন রয়েই গেল।দেখি,কোন একদিন ওর বাসায় যাবার দাওয়াতটা কবুল করা যায় কিনা!!!
#নীলকান্ত©
ফ্রমঃ  ছোট গল্প "সেতু"।(১ ২ ও ৩)
www.facebook.com/swopnonil
 

মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭

  • ৫:৫৭:০০ PM
ক্যান?? (ছোট গল্প)


এমনিতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত। তার উপর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিও হয়েছে। সব মিলিয়ে রাস্তার যা অবস্থা তাতে রাস্তায় পা দিলেই হাটু পর্যন্ত দেবে যায়। আর যদিও বা কেউ খুব প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয় তবে অন্ধকারে দিক ঠিক না পেয়ে পাশের খাদে বা নালায় পরে যাওয়া অভূতপুর্ব কিছু না। এমন অবস্থায় ঘরের মধ্যে কাথা গায়ে শুয়ে থাকার চেয়ে উত্তম কিছু আর হয় না। রাত অবশ্য খুব একটা বেশি হয়েছে তা কিন্তু নয়,এই মোটামুটি আটটা কি নয়টা বাজে। কিন্তু এরকম অজপাড়াগাঁয়ে রাত আসে খুব তাড়াতাড়ি। গোধূলির রঙ মিলিয়ে যাবার সাথে সাথে । পাড়ার লোকেরাও তখন মুরগীর মত খোয়ারে উঠে।আবার মোরগ ডাকের সাথে সাথে সেই খোয়ার থেকে বেরও হয় । তাই রাত আটটা মানে এখানে অনেক রাত। মানুষ এখানে সময়ের হিসাবের জন্য দিনের সূর্য, রাতের চাঁদ বা তারাদের অনুসরণ করে। মোরগের ডাক জানিয়ে দেয় এখন সকাল। তখন মানুষগুলো ঘুম থেকে উঠে যার যার কাজে বের হয়। আর বাড়ির মহিলারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে গৃহিস্থালি কাজে।  এখানে আসলে দিন আর রাতের ব্যবধান শুধু আলো আর আধারের আসা যাওয়া বৈ আর কিছু না।  কিন্তু এখানকার লোকগুলো খুব সহজ সরল।  আধুনিক সভ্যতার স্যুটেড বুট্যেডদের থেকে এরা আলাদা। পড়নে তাঁতের লুঙ্গি কিংবা ধুতি, পেট পূর্তির জন্য দু বেলা দু মুঠো মোটা ভাত,আর রাত হলে শান্তিমত একটানা ঘুম ছাড়া তারা আর কিছুর আশা করে না। ঘড়ি তো অনেক দূরের কথা! অনেকে কখনো চোখেই দেখেনি এই যন্ত্রটা! তাই সারা গ্রামে দু একজন অতীব বিলাসী শিক্ষিত লোক ছাড়া আর কারো হাতে বা ঘরে সময় দেখার এই যন্ত্র যাকে কিনা ঘড়ি বলে তা নেই। সেখানে এই অজপাড়াগায়ে রাত আটটাই কি আর আর রাত বারোটাই কি! সবই সমান।

যাই হোক ,কুমোর পাড়ার মত এমন পিছিয়ে পড়া পাড়া এ গ্রামে কি ,হয়ত সারা বাঙ্গলাদেশে দু একটি পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। পনেরো বিশঘর কুমোর এ পাড়ায় থাকে। সবাই দরিদ্র বা হত দরিদ্র সীমারও নীচে বাস করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি করে ,রোদে শুকিয়ে ,আগুণে পুড়িয়ে তা বিক্রি করেই এদের জীবিকা চলে। তারপর সেই মাটির হাড়ি পাতিল পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করেই এদের দু বেলা অন্নের ব্যবস্থা হয় । কিন্তু বর্ষাকালে তাদের জীবিকার সে পথটাও রুদ্ধ হয়ে যায় প্রায়।রাস্তা ঘাট ডুবে যায় পানিতে, কাদা,বৃষ্টি ইত্যাদি কারনে বাহিরে বের হওয়াই দায়। তার উপর জেলে নৌকা ভাড়া করে হাড়ি পাতিল বেঁচে খুব একটা পরতায়ও হয় না। তাই বর্ষাকাল মানেই অফুরন্ত অবসর এ পাড়ার কুমোরদের জন্য।তবে এদের মধ্যে দু একজন যারা হাড়ি পাতিলগুলোতে নকশা করতে পাড়ে তারা নিজেদের হাড়ি পাতিল গুলতে সুন্দর সুন্দর নকশা আঁকায় এই অবসরে ।তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে নিজেদের স্বপ্নকে। আশা করে এ হাড়িগুলোর দাম একটু বেশি হবে।কিন্তু যাদের কোন কাজই থাকে না তারা এসে ভীর করে হীরেনের বাড়ি কিংবা মন্দিরঘরের বারান্দায়। সারাদিন খেয়ে না খেয়ে খুনসুটি,ঝগরাঝাটি আর তামাকের ধোয়া নিতে নিতে কেটে যায় পাড়ার পুরুষদের। আর মহিলারা রান্না বান্না,ছেলেমেয়েদের বকাঝকা করে করে দিন কাটায়। কিন্তু এত কিছুর পড়েও গোমানীর বুকে স্যালো নৌকার ভটভট আওয়াজ কানে আসতেই  মনের সব আনন্দ মাটি হয়ে যায়। ভয়ে চুপসে যায় বাল, বৃদ্ধ বণিতা সবাই।

যাই হোক, যা বলছিলাম। সারাদিন ঝগড়াঝাটি ,মারামারি আর খুনসুটি করে সন্ধ্যা হওয়ার আগ আগ দিয়ে কারো উনুন জ্বলে আবার কারো জ্বলেই না। সন্ধ্যা হতে না হতেই এরা যার যার মত খেয়ে বা না খেয়ে মা দূর্গার মন্দিরে ধূপ জ্বালিয়ে শুয়ে পড়ে। আবার কোন কোন ঘর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি চলে বেশ রাত পর্যন্ত।তারপর স্ত্রীর চাপা কান্নার শব্দ রাতের আধার কে আরো ভারী করে তোলে আবার কখনো সেই গালাগালি ওখানেই ধপ করে থেমে যায়।
কিন্তু সে যাই হোক, আজ রাতে সারা কুমোর পাড়ায় বোধ হয় ঘুম দেবতার আসীম কৃপা হয়েছে।শ্মশানের মত নিস্তব্ধ হয়ে আছে সব। মাঝে মাঝে শুধু ঝি ঝি পোকার ডাক ভেসে আসছে একটানা। আর হীরেনের বাড়ির পেছনের পচা পুকুরের কচুরিপানার উপর দিয়ে হেটে যাওয়া ডাহুকের ডাক, কখনো বাদুরের পাখার ঝাপ্টানি শোনা যাচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে।এদিকে ঐ বাদুরগুলোর জ্বালায় অবশ্য হীরেনের এটে কলা গাছের কলা গুলো পাকারও সুযোগ পায় না।হীরেন পাল অবশ্য এবার একটা ডুং ডুঙি লাগিয়েছে।একটা ভাঙা টিনের প্লেটের সাথে একটা লোহা দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরের জানালা দিয়ে ওয়র মাথার কাছে চৌকির পায়ার সাথে বেঁধে রেখেছে। আজও তাই কলা গাছতাতে বাদুর বসতেই ডুং ডাঙ করে ঐ অদ্ভুত জিনিসটা বেজে উঠলো আর ওমনি বাদুরটাও উড়ে গেল।
হীরেনের ঘরে আলো জ্বলে উঠলো। তার মানে হীরেন এখনো ঘুমায়নি। অবশ্য ওর ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে ঘুমানো খুব শক্ত কাজ। চার মাসের মেয়েটা যখন তখন ঘুম থেকে উঠে পড়ে। হীরেন আর হীরেনের বউ কাঞ্চি তখন মেয়েটাকে নানা ছলা কলা করে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তি আর কোন যুক্তিতেই ঘুমাতে চায় না। ফ্যালফ্যাল করে মা বাবার দিকে তাকিয়ে বাপ মায়ের কীর্তিকলাপে ফিকফিক করে হাসতে থাকে।
কাঞ্চিকে দেখিয়ে তখন হীরেন বলে, " দেহো, আমারে মুক্তি কতা শিকে গেছে! ক্যামুন কইরে তাকায়া থাহে দেহো না!"
কাঞ্চি স্বামীর কথা শুনে মুচকি হেসে উত্তর দে, "হ , বাপের মতন ডঙ্গি হইছে" হা হা হা ।
(কন্টিনিউ...)  

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

  • ৩:০০:০০ PM
তখন শিল্প বিপ্লবের যুগ।বৃটেনে শিল্প বিপ্লবের(সম্ভবত ১৭৬০-১৮২০/৩০ এর মধ্যবর্তী সময়ে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়।) সূচনা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ শিল্পকারখানায় ক্রীতদাসের মত খেটে চলেছে।তবে হ্যা,তখনও কিন্তু দাস প্রথা উচ্ছেদ হয়নি।কেবল বেশ কিছু দেশে দাস প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন এবং দাসপ্রথা রহিত করণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
এই তো ১৮৩৪ সালে বৃটেন দাস প্রথা নিষিদ্ধ করে একটা করা আইন পাস করে।যদিও এর আগে থেকেই জার্মান (১৭০৭ সালে),বৃটেন (১৭৭৭ সালে) দাসপ্রথা উচ্ছেদের জন্য আইন পাশ করেছিলো কিন্তু ১৮৩৪ সালের আইন ছিল আরো কঠোর এবং মূলত ১৮৩৪ সালের আইনেই বৃটেন এবং তার সমস্ত উপনিবেশ থেকে দাস প্রথা উচ্ছেদ করা হয়।
যাই হোক,
শিল্প বিপ্লবের যুগে দাস প্রথাটা কিছু কিছু দেশে ছিলো "ওপেন সিক্রেট"। এমতাবস্থায় শিল্পকারখানায় নিজের জীবিকা গড়ার তাগিদে এক যুবক নিজের ছোট্ট মফস্বল শহর ত্যাগ করে লন্ডনে চলে আসে।যুবকের নাম হ্যারি ওয়াষ্টেন।লেখা পড়া জানে যৎসামান্য। অল্প বয়সে পিতার মৃত্যুতে পড়ালেখা করতে পারেনি।তার পরিবর্তে ছোট দুই ভাই আর এক বোন এবং বিধবা মায়ের সমস্ত দায়িত্ব তুলে নিয়েছে কাঁধে। কিন্তু তার ছোট্ট শহরের সামান্য আয়ে এতবড় সংসার চালানো কিছুতেই সম্বব নয়।তাই কোন উপায় না দেখে সোজা লন্ডন। লন্ডনের পথ ঘাট,মানুষ জন সবাই অপরিচিত তার কাছে। এমনকি তাকে এক রাত আশ্রয় দেবে তেমন কেউও নেই এখানে । কি আর করা, বাধ্য হয়ে এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে,ফুটপাতে থেকে তার দিন রাত অতিবাহিত হচ্ছিলো। এদিকে সংগে নিয়ে আসা সামন্য কিছু সম্বলও প্রায় শেষের দিকে।কি খাবে আর কোথায় থাকবে তার ঠিক নেই।দিনে দিনে শরীরটাও অস্থিচর্মসার হয়ে গেছে। বিভিন্ন কারখানায় ঘুরে ঘুরে কোন কাজ পায় নি।আজ সারাদিন ক্লান্তিকর ঘোরাঘুরি শেষে প্রবল হতাশা নিয়ে রাস্তার পাশেই এক পার্কের বেঞ্চে গিয়ে বসলো সে।পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা।সারাদিন তেমন কিছুই পেটে যায় নি।এদিকে রাত এখন বেশ হয়ে এলো প্রায়।কিছুটা দূরের এক হোটেলের মৃদু আলো চোখে পড়ছে।
যুবক তার তেলচিটে কোটের পকেট থেকে অবশিষ্ট কয়েক পেনি হাতে নিয়ে একবার দেখলো। যা আছে তা দিয়ে আর দু বেলা হালকা খাবার খাওয়া যাবে, কিন্তু তারপর??উশকো খুশকো মাথা ভর্তি চুলের মধ্যে দু'হাতের দশ আঙুল ঢুকিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেলো সে। 
"নাহ! আজ আর কিছু খাবে না।"
বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সে ওই হোটেলে গেলো।তারপর বন্ধ প্রায় হোটেল থেকে পেট ভর্তি করে পানি খেয়ে ফিরে এলো পূর্বের স্থানে ।
তখনি পাশের কোন গীর্জা থেকে ১২ টার ঘন্টা বেজে উঠলো। চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না সে।চারপাশে সুনসান নীরবতা। বাড়ি গুলোর জানালা দিয়ে যে আলো গুলো দেখা যাচ্ছিলো তাও এক এক করে নিভে যাচ্ছে। হ্যারি তার তেলচিটে ওভার কোটটা জড়িয়ে পার্কের বেঞ্চে শুয়ে পড়লো।
বন্ধ চোখের পাতায় ফেলে আসা ছোট্ট শহরটা আর তার মানুষ গুলোর মুখ বারবার ভেসে উঠছে। মায়ের জলে ভেজা চোখ,ভাই বোনের অসহায় চেহারা, সব সব কিছু। "নাহ! আর পারছি না।" মনে মনে বলে উঠলো সে। শোয়া ছেড়ে উঠে বসে দু হাত দিয়ে চোখ টা আড়াল করে হু হু করে কেঁদে উঠলো নিজের অপরাগতায়।
বেশ কিছুক্ষন ধরে সে ওভাবেই আছে।হঠাৎ শুকনো পাতায় কারো পা ফেলার শব্দে সেদিকে ফিরে তাকালো। কেউ যেন তার দিকেই এগিয়ে আসছে। কিন্তু কে সে? আর এত রাতে?
লম্বা ওভার কোটে জড়ানো মধ্যবয়সী এক লোক, সামনে এসে কিছুক্ষন হ্যারির মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের হাত প্রসারিত করলো হ্যারির দিকে,
"হ্যালো, আমি ম্যাথুস"।
টু বি কন্টিনিউড...... 
(১ম পর্ব)

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

  • ৯:৪৫:০০ PM
"Man is mortal" এর বাংলা অনুবাদ "মানুষ মরনশীল"-কিন্তু এটা কতটা যুক্তিসংগত??

চিরন্তন সত্য এই বাক্য থেকে আমরা এটা নিশ্চিত যে,
 "Man" মানে "মানুষ"।
আর মানুষ বলতে অবশ্যই পুরুষ মানুষ এবং মহিলা মানুষ উভয়কেই বুঝানো হচ্ছে।সে অনুযায়ী 'Man" শব্দটি একটি উভলিঙ্গ শব্দ। এবং তাই হওয়ার কথা।
কিন্তু
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু জানি তাতে Man এর স্ত্রী লিঙ্গ আছে।ছোটবেলা থেকেই পড়েও এসেছিা।
Boy-Girl,
He-She
Man-Woman
যদি MAN দ্বারা পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই বুঝানো হয় তবে লজিক্যালি এর স্ত্রী লিঙ্গ"WOMAN" থাকার কথা না।আর যদি MAN এর স্ত্রী লিঙ্গ থাকে তবে "Man is Mortal" বাক্যটির বাংলা অনুবাদ সঠিক না।এর বাংলা অনুবাদ হওয়া উচিত,'পুরুষ মানুষ মরণশীল"।
আর
যদি Man is Mortal এর বাংলা অনুবাদ তাইই হয় তবে এটা চিরন্তন সত্য বাক্য হতেই পারে না।
তাহলে কি আমরা ছোটবেলা থেকে ভুল পড়েছি,ভুল শিখেছি!!! মনে আমার প্রশ্ন জাগছে!

অতএব,The sentence "Man is Mortal" is not a universal truth.

#ফিলিং_কনফিউজড...।।
#নীলকান্ত®©
(বি.দ্র. এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত কনফিউশন।কারো কাছে সলিউশন থাকলে প্লিজ শেয়ার করবেন।)
Writer information NILKANTO