সাদা-মাটা গ্রাম্য জীবন ছেড়ে জীবন ও জীবিকার তাগিদে আজ হয়ত ইট পাথরের শহরে অচেনা-অজানা মানুষের চিড়িয়াখানায় ঢুকেছি।আর যান্ত্রিক এ জীবনের চিড়িয়াখানায় অনুভূতি গুলো যেমন ভোতা হয়ে যায়,তেমনি আবেগগুলো একে একে টলে পরে মৃত্যুর কোলে।সময়ের ৩৬০ ডিগ্রীর আবর্তনে সেকেন্ডের কাটা ধরে দৌড়াতে হয়, পিছিয়ে পড়লে পৃষ্ট হতে হয় সময়ের যাঁতাকলে।
কিন্তু কি আশ্চর্য! যে আমি আমার অনুভূতিকে জীবনের সবচেয়ে বড় বলে মনে করি,অনুভূতি ছাড়া যার কাছে জীবন অসম্পূর্ণ,সেই আমাকেও আজ ভোঁতা অনুভূতি নিয়ে চলতে হবে??কিংবা অনুভূতিহীন ভাবে??
সত্যিই, হয়ত ভোতা অনুভূতিগুলোও এক সময় শূন্যে এসে দাঁড়াবে আর আমিও হয়ে যাব অন্য সব যন্ত্র মানবের মত!!!
কিন্তু কি আশ্চর্য! যে আমি আমার অনুভূতিকে জীবনের সবচেয়ে বড় বলে মনে করি,অনুভূতি ছাড়া যার কাছে জীবন অসম্পূর্ণ,সেই আমাকেও আজ ভোঁতা অনুভূতি নিয়ে চলতে হবে??কিংবা অনুভূতিহীন ভাবে??
সত্যিই, হয়ত ভোতা অনুভূতিগুলোও এক সময় শূন্যে এসে দাঁড়াবে আর আমিও হয়ে যাব অন্য সব যন্ত্র মানবের মত!!!
ইট -পাথরের শহরে যেখানে ভোরের সূর্য জানালার পর্দার ফাঁক গলে চোখে এসে পড়ে না, কাক ডাকা ভোরে দূর্বা ঘাসে শিশির জমে না, বাস-ট্রেন -রিক্সার টুনটুন-প্যা পু তে অনুভূতির আর্তনাদ কারো কানে যায় না, যেখানে কর্মক্লান্ত ঘামে ভেজা মুখের উপর বসুন্ধরা টিস্যুতে ছাড়া মৃত্তিকার ছোয়া পাওয়া যায় না, সেখানে আমার মত বিল পাড়া গাঁয়ের- মাটির মানুষের স্থান আছে কি??
হয়ত নেই।হয়ত হবে।কিন্তু একটা প্রার্থনা করি,"সেই বিল পাড়া গাঁয়ের মানুষের মাঝে যেন বিধাতা কখনো অনুভূতিহীন যান্ত্রিক শহুরে মানুষ ঢুকিয়ে না দেন।আমি যে যান্ত্রিক,অনুভূতিহীন,বদ্ধ,ইট-পাথরের বিলাসী জীবিকার চেয়ে বিল গাঁয়ের এই কাদা মাখা জীবনকেই বড্ড বেশি ভালবাসি। "