ভাবনার জীবন ও জগৎঃ
-----------------+--------------
-----------------+--------------
আমি এত এত ভাবি যে,ভাবতে ভাবতে ভাবনাগুলোও ভুলে যাই।
আমার গার্লফ্রেন্ড প্রায়শই বলে,"তুমি এত বেশি বুঝ ক্যান? এত বেশি ভাবো কেন? "
গার্লফ্রেন্ডকে কিভাবে বুঝাই,"সুস্থ মস্তিস্কই ভাবনায় ডুবে থাকে,একমাত্র পাগলের কোন ভাবনা থাকে না।"
কে যেন বলেছিলো, "যে কোন চিন্তা করে না বা যার কোন টেনশন নাই সেই একমাত্র সুখি। আর যে সবচেয়ে বেশি সুখি সে অবশ্যই পাগল নয়ত ভগবান। কারন,পাগলের কোন ভাবনা থাকে না।আর মানুষ যেহেতু ভগবান নয় তাই সে পাগলই।"
আমার মনে হয় যিনি এ কথাটি বলেছিলেন তিনি এরিষ্টটলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বলেছেন।এবং যা বলেছিলেন তা খাটি সত্য কথাই বলেছেন।
আমার গার্লফ্রেন্ড প্রায়শই বলে,"তুমি এত বেশি বুঝ ক্যান? এত বেশি ভাবো কেন? "
গার্লফ্রেন্ডকে কিভাবে বুঝাই,"সুস্থ মস্তিস্কই ভাবনায় ডুবে থাকে,একমাত্র পাগলের কোন ভাবনা থাকে না।"
কে যেন বলেছিলো, "যে কোন চিন্তা করে না বা যার কোন টেনশন নাই সেই একমাত্র সুখি। আর যে সবচেয়ে বেশি সুখি সে অবশ্যই পাগল নয়ত ভগবান। কারন,পাগলের কোন ভাবনা থাকে না।আর মানুষ যেহেতু ভগবান নয় তাই সে পাগলই।"
আমার মনে হয় যিনি এ কথাটি বলেছিলেন তিনি এরিষ্টটলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বলেছেন।এবং যা বলেছিলেন তা খাটি সত্য কথাই বলেছেন।
মানুষের ভাবনার ধারা বিচিত্র।একেক জনের একেক ধরনের ভাবনা।একেক বিষয়ে একেক জন ভাবেন। কিন্তু যেটা সবার ক্ষেত্রে কমন সেটা হলো,"সবারই ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু জীবন ও জগৎ। "
জীবনের ভাবনা গুলো আবার দুই রকমঃ
এক, ব্যবহারিক জীবন
এবং দুই, আধ্যাত্মিক জীবন
এক, ব্যবহারিক জীবন
এবং দুই, আধ্যাত্মিক জীবন
ব্যবহারিক জীবনের মধ্যে রয়েছে, দৈনন্দিন কর্মকান্ড, কল্পনা-জল্পনা,অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এক কথায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা যা কিছু ভাবি তা আমার মতে, "ব্যবহারিক জীবন ভাবনা"।
আর জন্মের পূর্বের এবং মৃত্যুর পরের ভাবনা গুলো হলো আধ্যাত্মিক জীবন ভাবনা।
আর জন্মের পূর্বের এবং মৃত্যুর পরের ভাবনা গুলো হলো আধ্যাত্মিক জীবন ভাবনা।
মজার বিষয় হলো, আধ্যাত্মিকতা এবং ব্যবহারিক জীবন দু'টো পরস্পরের উপর নির্ভরশীল ।
আমরা জন্মের পর থেকেই এমন একটা আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মাই যা জন্মের পূর্বে আমরা মাতৃ গর্ভে ব্যবহার করতাম।আমার মনে হয়,মাতৃ গর্ভে শিশুরা যখন ধীরে ধীরে বড় হয় তখন বাহ্যিক পৃথিবী সম্পর্কে একটা কল্পনা করতে থাকে।আর তারা বাহিরের পরিবেশের সাথে সাথে নানাভাবে রিয়েক্ট করে এটা তো প্রমানিত সত্য।কিন্তু এসব রিয়্যাক্ট করার সাথে সাথে তারা পরিবেশ সম্পর্কে একটা কল্পনাও করে নেয়।
আর এই কল্পনা শক্তি বা আধ্যাত্মিক শক্তি আমরা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেও অনুভব করি।
আমরা জন্মের পর থেকেই এমন একটা আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মাই যা জন্মের পূর্বে আমরা মাতৃ গর্ভে ব্যবহার করতাম।আমার মনে হয়,মাতৃ গর্ভে শিশুরা যখন ধীরে ধীরে বড় হয় তখন বাহ্যিক পৃথিবী সম্পর্কে একটা কল্পনা করতে থাকে।আর তারা বাহিরের পরিবেশের সাথে সাথে নানাভাবে রিয়েক্ট করে এটা তো প্রমানিত সত্য।কিন্তু এসব রিয়্যাক্ট করার সাথে সাথে তারা পরিবেশ সম্পর্কে একটা কল্পনাও করে নেয়।
আর এই কল্পনা শক্তি বা আধ্যাত্মিক শক্তি আমরা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেও অনুভব করি।
কিন্তু ব্যবহারিক জীবনে এসে আমরা যখন কোন বিষয়কে নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করি কিংবা আমাদের মন যদি কোন বিষয়ে একান্তভাবে সায়/সাপোর্ট দেয় তখন তা বাস্তব হয়।তবে বাস্তব অবস্থা কল্পনা করার জন্য আমাদেরকে মাতৃগর্ভে ফিরে যেতে হয়।অর্থ্যাৎ যে বিষয়টা আমাদের সাথে নেই বা যা আমরা দেখতে পাইনা কিন্তু তার অবস্থা কিংবা পরিবেশ বুঝতে চেষ্টা করি,তা বুঝতে হলে সেই বিষয়কে সেভাবে অনুভব করতে হয় যেভাবে মাতৃগর্ভে থেকে আমরা পৃথিবীকে অনুভব করি।
এজন্য ওই বিষয়ের প্রতি একটা গভীর ও নিস্পাপ ভালোবাসা থাকতে হয়,নিষ্পাপ শিশুর মত।
এজন্য ওই বিষয়ের প্রতি একটা গভীর ও নিস্পাপ ভালোবাসা থাকতে হয়,নিষ্পাপ শিশুর মত।
উদাহরণ সরূপঃ
ব্যবহারিক জীবনে আমরা অনেক সময় খুব প্রিয়জনদের অনুপস্থিতিতে তার মুভমেন্ট গুলো আন্দাজ করতে পারি। যা অনেক সময় ৭০-৮০% সত্য হয়।
কিন্তু, এটা কিভাবে সম্ভব?
এটা সম্ভব এই কারনে যে,আমরা যখন কোন কিছুকে গভীর এবং নিষ্পাপ মনে চাই/ ভালবাসি তখন আমাদের মধ্যে সেই স্প্রিচুয়াল পাওয়ারটা অনুভব করতে পারি।
কিন্তু বাস্তব জগতে এটাকে আমি সরাসরি আধ্যাত্মিক ভাবনা না বলে বলতে চাই,"অধি-কাল্পনিক অনুভব"।
ব্যবহারিক জীবনে আমরা অনেক সময় খুব প্রিয়জনদের অনুপস্থিতিতে তার মুভমেন্ট গুলো আন্দাজ করতে পারি। যা অনেক সময় ৭০-৮০% সত্য হয়।
কিন্তু, এটা কিভাবে সম্ভব?
এটা সম্ভব এই কারনে যে,আমরা যখন কোন কিছুকে গভীর এবং নিষ্পাপ মনে চাই/ ভালবাসি তখন আমাদের মধ্যে সেই স্প্রিচুয়াল পাওয়ারটা অনুভব করতে পারি।
কিন্তু বাস্তব জগতে এটাকে আমি সরাসরি আধ্যাত্মিক ভাবনা না বলে বলতে চাই,"অধি-কাল্পনিক অনুভব"।
#আর যখন আমরা আমাদের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে কল্পনায় বা ভাবনায় নিয়ে আসি তখন তাকে আধ্যাত্মিক ভাবনা বলা যেতে পারে।মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে অবিনশ্বর আত্মার একটা সীমাহীন পথ যাত্রা শুরু হয়।সেই যাত্রা পথের সাম্ভাব্য বিষয়াবলী কে অনুভব করা বা উপলব্ধি করা হলো, "আধ্যাত্মিক জীবন ভাবনা"।
তাই শুধু জীবন নিয়ে আমরা যদি ভাবতে যাই তবে আজীবনেই জীবনের ভাবনা শেষ হবে না।
যে সৃষ্টির শুরু হয়েছে কোটি কোট বছর পূর্বে এবং যা অনন্ত কাল ধরে চলতে থাকবে তা মাত্র ৬০ কিংবা ৭০ কিংবা সর্বোচ্চ ১০০ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে ভেবে শেষ করা কি সম্ভব?
না,কখনোই তা সম্ভব না।
যে সৃষ্টির শুরু হয়েছে কোটি কোট বছর পূর্বে এবং যা অনন্ত কাল ধরে চলতে থাকবে তা মাত্র ৬০ কিংবা ৭০ কিংবা সর্বোচ্চ ১০০ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে ভেবে শেষ করা কি সম্ভব?
না,কখনোই তা সম্ভব না।
তাই আমাদের ভাবতে হয় জগতের ভাবনা। কিন্তু বৃহৎ জগতের আদি ও অন্ত ভাবনা অনন্ত।তাই জগৎ এর আদি বা সৃষ্টি ভাবনা এবং অন্ত বা ধ্বংসের ভাবনাকে জীবনের আধ্যাত্মিক ভাবনার মধ্যে স্থান দিলে মানুষের আয়ুষ্কালে যে ক্ষুদ্র পরিসর পাওয়া যায় তাই টিকে থাকে জগৎ ভাবনা হিসেবে।
জগৎ ভাবনার বিষয়ের মধ্যে থাকে জীবনের লেনদেনের হিসেব,জগতে টিকে থাকার সংগ্রামের বিষয়বস্তু।
এটাকে ব্যবহারিক জীবন ভাবনার সাথে তুলনা করা যেতে পারে তবে ব্যবহারিক জীবন ভাবনা ও জগৎ ভাবনাকে এক বলা যাবে না।
ব্যাবহারিক জীবন ভাবনার বিষয়বস্তু গুলো হলো মানুষিক কিন্তু জগৎ ভাবনার বিষয়গুলো হলো বস্তুগত।
জগৎ ভাবনার বিষয়ের মধ্যে থাকে জীবনের লেনদেনের হিসেব,জগতে টিকে থাকার সংগ্রামের বিষয়বস্তু।
এটাকে ব্যবহারিক জীবন ভাবনার সাথে তুলনা করা যেতে পারে তবে ব্যবহারিক জীবন ভাবনা ও জগৎ ভাবনাকে এক বলা যাবে না।
ব্যাবহারিক জীবন ভাবনার বিষয়বস্তু গুলো হলো মানুষিক কিন্তু জগৎ ভাবনার বিষয়গুলো হলো বস্তুগত।
তবে সে যাই হোক,
জীবন ও জগতের মধ্যে ব্যবহারিক জীবন ভাবনা এবং জগৎ ভাবনাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই দু'টি ভাবনাকেই আমরা বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারি কিংবা বাস্তবে প্রয়োজন হয়।বাকি গুলোর অস্তিত্ব শুধুমাত্র মৃত্যুর পরেই উপলব্ধি করা সম্ভব।। তার আগে নয়।।
জীবন ও জগতের মধ্যে ব্যবহারিক জীবন ভাবনা এবং জগৎ ভাবনাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই দু'টি ভাবনাকেই আমরা বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারি কিংবা বাস্তবে প্রয়োজন হয়।বাকি গুলোর অস্তিত্ব শুধুমাত্র মৃত্যুর পরেই উপলব্ধি করা সম্ভব।। তার আগে নয়।।
#নীলকান্ত®