সকাল ৬:০০ টায় যখন দিন শুরু হয় তখন মূলত কামলা দেয়ার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবেই শুরু হয়।এরপর ৮:০০ টা নাগাদ কামলা দিতে বের হই। পেটে দানা পানি বলতে কখনো সখনো নিকোটিনের সাদা ধোয়া কিংবা বুড়িগঙ্গার শুদ্ধপ্রায় জল। স্যুটেড, বুটেড হয়ে নিজের ইচ্ছা, আকাঙখা, ভালবাসা, চাওয়া পাওয়া এমনকি পেটের ক্ষুধা ভুলে সভ্যতার অসভ্য নীতিভ্রষ্টতাকে সমর্থন করে তেল দেই রাত-দিন। প্রতিদানসরূপ কখনো ঝাঁঝালো বাক্যবাণ, কখনো নীতিভ্রষ্টের শিষ্টাচার। আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই শিষ্টাচারের ভার্চুয়াল ইমেজ নিয়ে ধন্য মনে করি নিজেকে। যাক, তবুও ত কিছু পেয়েছি! এভাবে সকাল গড়িয়ে দুপুর, ভেতরে...
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯
- ১১:৪৫:০০ AM
গভীর হতে থাকে একাকী রাত,
নিস্তব্ধতা ভাঙে একেকটা দীর্ঘশ্বাস।
কত দিন হলো বলো তো?
কত শত শতাব্দী, কত শত বছর
কত সহস্র মাস!
হিসেবের খাতায় শূন্য ফলাফল
চাওয়া-পাওয়ার যোগবিয়োগে
চোখের লোনা জল।
কত সমুদ্র হলো বলো তো?
কত প্রশান্ত, কত আটলান্টিক
কত টাইগ্রিস -ইউফ্রেটিস!
স্মৃতিরা সব ধাওয়া করে পিছু,
ধূলো জমা ক্যানভাস,পোঁড়া হৃদয়,
ছেঁড়া এলবাম, আকুল স্পর্শ।
কত বয়স হলো বলো তো?
কত চন্দ্ররাত, কত শত সহস্র আলোকবর্ষ!
ফেলে আসা শতাব্দীর গল্পে,
তোমার আমার লাল নীল সংসার,
ফিরে ফিরে যায় বিরহী হৃদয়,
এ অশান্ত মন আমার।।
দেখো, আজ তুমিও একা, আমিও একা
শুধুই...
শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
- ১১:৪৫:০০ PM
কবিতার অন্ত্যমিলে খুঁজে চলি অবিরাম ছন্নছাড়া জীবন, মেঘ কালোকেশী রমণীর টোল পড়া গাল, জোড়া ভ্রু, পশমি বলের মত বুক, কাব্যিক হাসি। পার্কের বেঞ্চে বসে যাকে প্রথম দেখেছিলাম, চারসহস্র শতাব্দী বছর আগে। তারপর স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম দুজনে একসাথে, দু'রুমের ফ্লাটে স্বপ্নগুলোর হয়েছিল স্থান। তারপর একশত বিশ কিংবা তার কিছু বেশী শতাব্দী কেটেছে উন্মত্ত জৈবিক সাধনায়। শতাব্দীর সুখ সে তো দিয়েছিল আমায়। সেই জোড়া ভ্রু, কালোকেশ, টোল পড়া গাল। সেই সব ঝড়ের রাত, শীতের কুয়াশা সকালের মিঠে রোদ, সম্পর্কজাল। সে তো আমার নয়, আমিই ছিলাম তার, কিন্তু কি আশ্চর্য! আজ ভুলেই...